Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
গলিয়াৎ ইস্রায়েলকে যুদ্ধে আহ্বান করল
17 পলেষ্টীয়রা যুদ্ধের জন্যে সৈন্য জড়ো করতে লাগল। যিহূদার সোখোতে তারা জড়ো হল। সোখোর আর অসেকার মাঝখানে তাদের তাঁবু পড়লো। জায়গাটা ছিল এফস্দম্মীম নামে একটা শহরে।
4 পলেষ্টীয়দের মধ্যে একজন বিজয়ী যোদ্ধা ছিল। তার নাম গলিয়াৎ। সে গাৎ থেকে এসেছিল। তার দেহ বিশাল লম্বা ছিল। 9 ফুটেরও বেশী। পলেষ্টীয় শিবির থেকে সে বেরিয়ে এলো। 5 তার মাথায় পিতলের শিরস্ত্রাণ। গায়ে মাছের আঁশের মতো দেখতে একটা বর্ম, সেটা ছিল পিতলের তৈরী, ওজন প্রায় 125 পাউণ্ড। 6 গলিয়াতের পায়েও ছিল পিতলের বর্ম। তার পিঠে ছিল পিতলের বর্শা। 7 তার বর্শার কাঠের দণ্ডটা ছিল তাঁতির লাঠির মতো লম্বা। বর্শার ফলকের ওজন 15 পাউণ্ড। গলিয়াতের ঢাল নিয়ে তার সহকারী আগে আগে হাঁটত।
8 প্রত্যেকদিন গলিয়াৎ বেরিয়ে এসে ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের দিকে যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়ে বলত, “কেন তোমরা যুদ্ধের জন্য সারবন্দি দাঁড়িয়ে? তোমরা শৌলের ভৃত্য। আমি একজন পলেষ্টীয়। একজনকে তোমরা বেছে নাও, তাকে আমার সঙ্গে লড়বার জন্য পাঠিয়ে দাও। 9 যদি সে আমাকে হত্যা করে তাহলে আমরা পলেষ্টীয়রা সকলেই তোমাদের ক্রীতদাস হব। কিন্তু আমি যদি তাকে হত্যা করি, তাহলে তোমাদের সবাইকে আমাদের ক্রীতদাস হতে হবে এবং আমাদের সেবা করতে হবে।”
10 পলেষ্টীয়রা আরো বলল, “এই আমি এখানে দাঁড়িয়ে ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করছি। সাহস থাকে তো একজনকে পাঠিয়ে দাও। আমার সঙ্গে হয়ে যাক এক হাত লড়াই।”
11 শৌল এবং ইস্রায়েলীয় সৈন্যরা গলিয়াতের এইসব আস্ফালন শুনে বেশ ভয় পেয়ে গেল।
19 তোমার ভাইরা এলা উপত্যকায় শৌল আর ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের সঙ্গে রয়েছে। তারা সেখানে পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রয়েছে।”
20 যিশয়ের কথা মতো ভোরবেলায় দায়ূদ একজন রাখালের ওপর মেষগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে খাবার দাবার নিয়ে চলে গেলেন। দায়ূদ শিবিরে ঠেলাগাড়ী চালিয়ে নিয়ে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখলেন সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছে। ওরা সিংহনাদ দিতে থাকল। 21 ইস্রায়েলীয়রা ও পলেষ্টীয়রা সারিবদ্ধ হয়েছিল এবং যুদ্ধের জন্য তৈরী হয়েছিল।
22 যে খাবার-দাবার যোগান দেয় তার কাছে সব কিছু রেখে দিয়ে দায়ূদ বেরিয়ে পড়লেন। যেদিকে ইস্রায়েলীয় সৈন্যরা দাঁড়িয়েছিল, সেদিকে তিনি দ্রুত চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দাদাদের খোঁজ খবর নিলেন। 23 তারপর ওদের সঙ্গে দেখা করে দায়ূদ কথা বলতে লাগলেন। তারপর গাতের সেরা যোদ্ধা গলিয়াৎ তাঁবু থেকে বেরিয়ে এলো এবং যথারীতি ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে গর্জাতে লাগল। তার কথাগুলো দায়ূদ সবই শুনলেন।
32 দায়ূদ শৌলকে বললেন, “লোকরা যেন গলিয়াতকে নিরুৎসাহিত করে না দেয়। আমি তোমার ভৃত্য। আমি এই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই।”
33 শৌল বললেন, “তুমি তা করতে পারো না। তুমি তো একজন সৈনিকও নও।[a] আর গলিয়াৎ তো ছোটবেলা থেকেই যুদ্ধ করছে।”
34 তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আমি তোমার ভৃত্য, পিতার মেষগুলোর দেখাশুনা করছিলাম। একটা সিংহ আর একটা ভাল্লুক পাল থেকে একটা মেষ নিয়ে গেল। 35 আমি ঐ জন্তুটার পেছনে ধাওয়া করে ওটার মুখ থেকে মেষটাকে টেনে বার করে নিয়ে এলাম। জন্তুটা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন আমি ওর দাড়ি ধরে টেনে জোরে এমন আঘাত করলাম যে সেটা মরে গেল। 36 একটা সিংহ আর একটা ভাল্লুককে আমি শেষ করে দিয়েছি। এরপর আমি এই বিদেশী গলিয়াতকে ওদের মতোই হত্যা করব। গলিয়াৎ মরবেই কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছে। 37 প্রভু আমাকে সিংহ আর ভাল্লুকের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এই পলেষ্টীয়দের হাত থেকে তিনি আমায় রক্ষা করবেন।”
শৌল দায়ূদকে বললেন, “তবে যাও। প্রভু তোমার সহায় হোন।” 38 এই বলে শৌল তাঁর পোশাক দায়ূদকে পরিয়ে দিলেন। ওর মাথায় চড়িয়ে দিলেন পিতলের শিরস্ত্রাণ আর দেহে দিলেন পিতলের বর্ম। 39 দায়ূদ কোমরে তরবারি নিলেন। একটু ঘুরে ফিরে বেড়িয়ে দেখলেন সব ঠিক আছে কি না। তিনি শৌলের পোশাকটা পরার চেষ্টা করলেন কিন্তু তিনি এমন ভারী জিনিস পরতে অভ্যস্ত ছিলেন না।
তাই তিনি শৌলকে বললেন, “আমি এইসব জিনিস নিয়ে লড়াই করতে পারব না। আমি ওগুলোতে অভ্যস্ত নই।” তারপর তিনি ওগুলো সব খুলে ফেললেন। 40 তারপর তিনি তাঁর বেড়ানোর ছড়িটা হাতে নিয়ে নদীর ধারে গিয়ে পাঁচটা নিটোল নুড়ি পাথর তুলে নিলেন। সেগুলো তিনি মেষপালকের থলেতে রাখলেন। হাতে গুলতি নিয়ে গেলেন গলিয়াতের মুখোমুখি হতে।
দায়ূদ গলিয়াতকে হত্যা করলেন
41 পলেষ্টীয় ধীরে ধীরে দায়ূদের দিকে এগিয়ে এলো। গলিয়াতের অস্ত্রবাহক ঢাল নিয়ে ওর আগে-আগে চললো। 42 দায়ূদকে দেখে গলিয়াৎ হাসলো। সে দেখল দায়ূদ ঠিক সৈন্য নয়, কিন্তু লাল মুখো একজন সুদর্শন বালক। 43 গলিয়াৎ দায়ূদকে জিজ্ঞাসা করল, “এই লাঠিটা কিসের জন্য? তুমি কি এটা দিয়ে কুকুরের মতো আমায় তাড়াবে?” এই বলে সে তার দেবতাদের নাম নিয়ে দায়ূদকে গালমন্দ করতে লাগল। 44 গলিয়াৎ বলল, “আয় তোর দেহটাকে নিয়ে পাখি আর জানোয়ারদের খাওয়াই।”
45 দায়ূদ পলেষ্টীয়কে বললেন, “তুমি তো তরবারি, বর্শা, বল্লম নিয়ে আমার কাছে এসেছ। কিন্তু আমি এসেছি সর্বশক্তিমান প্রভুর নাম নিয়ে। এই প্রভুই ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের ঈশ্বর। তুমি তাঁকে নিয়ে অনেক অকথা কুকথা বলেছ। 46 আজ প্রভুর দয়ায় আমি তোমাকে পরাজিত করব। তোমাকে আজ আমি হত্যা করব। তোমার মুণ্ড কেটে নিয়ে জন্তু জানোয়ারদের আর পাখীদের খাওয়াব। শুধু তুমি নয়, সব পলেষ্টীয়দের ঐ একই অবস্থা করব। তখন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ জানবে, ইস্রায়েলে একজন ঈশ্বর আছেন। 47 এখানে যারা এসেছে তারা সবাই জানবে যে মানুষকে বাঁচাতে প্রভুর কোন তরবারি বা বল্লমের দরকার হয় না। এটাতো প্রভুরই যুদ্ধ। পলেষ্টীয়দের হারাতে প্রভুই আমাদের সহায়ক।”
48 গলিয়াৎ দায়ূদকে আক্রমণ করতে উদ্যত হল। সে একটু একটু করে দায়ূদের কাছে ঘেঁষে এল। তখন দায়ূদ ওর দিকে ছুটে গেলেন।
49 দায়ূদ থলে থেকে একটা পাথর বের করলেন। সেটাকে তাঁর গুলতির মধ্যে রেখে তিনি ছুঁড়লেন। গুলতি থেকে পাথরটি ছিটকে গিয়ে একেবারে গলিয়াতের দু চোখের মাঝখানে পড়ে ওর মাথার ভেতর অনেকখানি ঢুকে গেল। গলিয়াৎ মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
57 গলিয়াতকে হত্যা করে দায়ূদ যখন ফিরে এলেন তখন অবনের তাকে শৌলের কাছে নিয়ে এলো। দায়ূদের হাতে তখন গলিয়াতের কাটা মুণ্ড।
58 শৌল দায়ূদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক তোমার পিতা কে?”
দায়ূদ উত্তর দিলেন, “আমি আপনার ভৃত্য বৈৎলেহমের যিশয়ের পুত্র।”
দায়ূদ ও যোনাথনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব
18 1-2 শৌলের সঙ্গে দায়ূদের কথাবার্তার পর শৌল দায়ূদের বেশ অন্তরঙ্গ হয়ে উঠলেন। তিনি নিজেকে যতটা ভালবাসতেন, দায়ূদকেও ততটা ভালবেসেছিলেন। সে দিন থেকে, শৌল দায়ূদকে তাঁর কাছে রেখে দিলেন। তিনি দায়ূদকে তাঁর পিতার কাছে ফিরে যেতে দিলেন না। 3 যোনাথন দায়ূদকে খুব ভালবাসত। সে দায়ূদের সঙ্গে একটা চুক্তি করল। 4 যোনাথন নিজের গা থেকে কোট খুলে দায়ূদকে দিল। তার পোশাকও সে দায়ূদকে দিয়ে দিল। এমন কি সে তার ধনুক, তরবারি ও কোমরবন্ধও ওঁকে দিয়ে দিল।
শৌল দায়ূদের সাফল্য লক্ষ্য করলেন
5 শৌল দায়ূদকে নানা জায়গায় যুদ্ধ করতে পাঠালেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দায়ূদ ভালভাবেই সফল হলেন। তারপর শৌল তাঁকে সৈন্যদের অধিনায়ক করে দিলেন। এতে সকলেই খুশী হল, এমনকি শৌলের সৈন্যবাহিনীর পদস্থ কর্মীরাও।
শৌল দায়ূদকে ভয় পেলেন
10 ঈশ্বরের কাছ থেকে এক দুষ্ট আত্মা এসে পরদিন শৌলের ওপর ভর করল। শৌল বাড়িতে প্রলাপ বকতে লাগলেন। দায়ূদ রোজকার মত বীণা বাজালেন। 11 কিন্তু শৌলের হাতে বর্শা ছিল। তিনি মনে মনে ভাবলেন, “আমি দায়ূদকে দেওয়ালের সঙ্গে গেঁথে দেব।” তিনি দু-দুবার দায়ূদের দিকে বর্শা ছুঁড়েও দিলেন। কিন্তু দুবারই দায়ূদ নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন।
12 প্রভু দায়ূদের সহায় ছিলেন। তিনি শৌলকে ত্যাগ করেছিলেন। শৌল তাই দায়ূদকে ভয় করতেন। 13 তিনি দায়ূদকে তাঁর কাছ থেকে দূর করে দিলেন। শৌল তাঁকে 1000 সৈন্যের অধিনায়ক করেছিলেন। দায়ূদ যুদ্ধে তাঁদের নেতৃত্ব দিলেন। 14 প্রভু ছিলেন দায়ূদের সহায়। তাই দায়ূদ সব কাজেই সফল হতেন। 15 শৌল দায়ূদের সাফল্য দেখতে দেখতে দায়ূদকে আরও বেশী ভয় করতে লাগলেন। 16 কিন্তু ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত লোক দায়ূদকে ভালোবাসত। কারণ দায়ূদ তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যেতেন এবং তাদের হয়ে যুদ্ধ করতেন।
9 বহু মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যার ফাঁদে আবদ্ধ এবং জর্জরিত।
তাদের সমস্যার ভারের নীচে তারা পিষ্ট হয়ে গেছে।
প্রভু, তাদের জন্য আপনি নিরাপদ স্থান হোন
যেন তারা আপনার কাছে যেতে পারে।
10 লোকেরা যারা আপনার নাম জানে
তারা আপনার ওপর বিশ্বাস রাখবে।
প্রভু, লোকজন যদি আপনার কাছে আসে,
আপনি তাদের সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেবেন না।
11 হে সিয়োন-বাসীরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
প্রভুর মহৎ কর্মের কথা অন্যান্য জাতিকে বল।
12 যারা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল
তিনি তাদের কথা মনে রেখেছেন।
সেই বঞ্চিত দরিদ্র লোকেরা সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
প্রভু তাদের ভুলে যান নি।
13 আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলাম: “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
দেখুন, আমার শত্রুরা আমায় আঘাত করেছে।
আমাকে ‘মৃত্যুর ফটকগুলি’ থেকে রক্ষা করুন।
14 তাহলে, হে প্রভু, জেরুশালেম শহরের ফটকে আমি আপনার প্রশংসাগীত করতে পারবো।
এতে আমি সুখী হবো। কারণ আপনি আমায় রক্ষা করেছিলেন।”
15 অন্য সব জাতি, লোকদের ফাঁদে ফেলার জন্য মাটিতে গর্ত খুঁড়েছে।
কিন্তু তারা নিজেরাই নিজের ফাঁদে পড়ে গেছে।
অন্যসব লোকজনকে ধরবে বলে ওরা লুকিয়ে জাল পেতেছিল
কিন্তু ওরা নিজের জালেই ধরা পড়ে গেছে।
16 প্রভু ওই মন্দ লোকদের ধরেছেন।
তাই লোকজন জানতে পারলো, যারা মন্দ কাজ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
17 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তারাই মন্দ।
তারা পাতালে পতিত হবে।
18 কখনও কখনও এমন মনে হয় যে, সমস্যা জর্জরিত মানুষকে ঈশ্বর ভুলে গেছেন।
এমনও মনে হচ্ছে যে, এইসব দরিদ্র লোকদের কোন আশা বাকী নেই।
কিন্তু ঈশ্বর কখনই তাদের চিরদিনের মত ভোলেন না।
19 হে প্রভু, উঠুন এবং জাতিগণের বিচার করুন।
মানুষকে একথা ভাবতে দেবেন না যে তারা শক্তিশালী।
20 লোকদের কিছু শিক্ষা দিন।
তাদের একথা বুঝতে দিন যে তারা কেবলই মানুষ।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের গানের অন্যতম।
133 যখন ভাইরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে একত্রিত বসে
তখন সেটা কত সুন্দর ও মনোরম।
2 এটা যেন সেই সুগন্ধি তেলের মত যে তেল হারোণের মাথায় ঢালা হয়েছে
এবং তার মাথা থেকে মুখ ও দাড়ি বেয়ে তার বিশেষ বস্ত্রে গড়িয়ে পড়েছে।
3 এটা হর্ম্মোণ পর্বত থেকে আগত মৃদু বৃষ্টির মত যেটা সিয়োন পর্বতের ওপর ঝরে পড়ছে।
কারণ সিয়োনে প্রভু তাঁর আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, অনন্তকালের জীবনের আশীর্বাদ।
6 ঈশ্বরের সহকর্মী হিসাবে আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ লাভ করেছ তা নিষ্ফল হতে দিও না। 2 কারণ ঈশ্বর বলেন,
“আমি উপযুক্ত সময়ে তোমাদের প্রার্থনা শুনলাম
এবং পরিত্রাণের দিনে আমি তোমাদের সাহায্য করলাম।”(A)
আমি যা বলছি শোন, এখনই সেই “উপযুক্ত সময়।” আজই “পরিত্রাণের দিন।”
3 আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের কোন কাজের দ্বারা কেউ বিঘ্নিত না হয়। যেন আমাদের কাজের কোন রকম নিন্দা কেউ করতে না পারে। 4 আমরা সব বিষয়ে নিজেদের ঈশ্বরের সেবক বলে প্রমাণ করি। আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে দুঃখভোগ করে সবসময় কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করেছি। 5 আমাদের মারধোর করা হয়েছে, কারাগারে দেওয়া হয়েছে, মারমুখী জনতার সামনে আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে। কাজ করতে করতে অবসন্ন হয়েছি, কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, এমনকি অনাহারেও কতদিন কেটেছে। 6-7 এসব সত্ত্বেও আমরা আমাদের জীবনের পবিত্রতা, জ্ঞান, ধৈর্য্য, স্নেহ, মমতা, পবিত্র আত্মা, প্রকৃত ভালবাসা ও সত্যের প্রচার দ্বারা এবং ঈশ্বরের পরাক্রমের দ্বারা, কি আক্রমণে কি আত্মরক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই সদাচারের অস্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ দিয়েছি যে আমরা ঈশ্বরের সেবক।
8 আমরা সম্মানিত হয়েছি, আবার অসম্মানিতও হয়েছি। আমরা অপমানিত হয়েছি, আবার প্রশংসিতও হয়েছি। আমাদের মিথ্যাবাদী হিসেবে ধরা হয়েছে যদিও আমরা সত্য বলি। 9 কিছু লোক আমাদের প্রেরিত বলে স্বীকার করে না, কিন্তু তবুও আমরা স্বীকৃত। মনে হচ্ছিল আমরা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু দেখ আমরা মরিনি। আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু মেরে ফেলা হচ্ছে না। 10 একদিকে মনে হয় আমরা দুঃখ পাচ্ছি কিন্তু আমরা সদাই আনন্দ করছি। মনে হয় আমরা নিঃস্ব, তবু সবকিছুই আমাদের আছে। ধরে নেওয়া হয় আমরা দরিদ্র কিন্তু আমরা অপরকে ধনবান করি।
11 হে করিন্থীয়গণ, খোলাখুলিভাবেই আমরা তোমাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের হৃদয় তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ খোলা রয়েছে। 12 তোমাদের প্রতি আমাদের ভালবাসা অটুট আছে; কিন্তু তোমরা তোমাদের ভালবাসা থেকে আমাদের দূরে রেখেছ। 13 আমি তোমাদের সন্তান মনে করে বলছি, আমরা যেমন তোমাদের ভালবেসেছি তোমরাও যেন তেমনি মনপ্রাণ খুলে আমাদের ভালবাস।
যীশু ঝড় থামালেন
(মথি 8:23-27; লূক 8:22-25)
35 ঐদিন সন্ধ্যে হলে তিনি শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা হ্রদের ওপারে যাই।” 36 তখন তাঁরা লোকদের বিদায় দিয়ে, তিনি নৌকায় যে অবস্থায় বসেছিলেন, তেমনিভাবেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন, সেখানে আরও নৌকা তাদের সঙ্গে ছিল। 37 দেখতে দেখতে প্রচণ্ড ঝড় উঠল এবং ঢেউগুলো নৌকায় এমন আছড়ে পড়তে লাগল যে নৌকা জলে ভরে উঠতে লাগল। 38 সেইসময় যীশু নৌকার পিছন দিকে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, “গুরু, আপনার কি চিন্তা হচ্ছে না যে আমরা সকলে ডুবতে বসেছি?”
39 তখন তিনি জেগে উঠে ঝড়কে ধমক দিলেন ও সমুদ্রকে বললেন, “থাম! শান্ত হও!” সঙ্গে সঙ্গে ঝড় থেমে গেল, আর সবকিছু শান্ত হল।
40 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা এত ভীতু কেন? তোমাদের কি এখনও বিশ্বাস হয় নি?”
41 কিন্তু শিষ্যরা আরও ভয় পেয়ে পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ইনি তবে কে? এমন কি ঝড় এবং সমুদ্রও এঁর কথা শোনে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International