Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
পরিচালকের প্রতি: শমীনীৎসহ তারবাদ্যে গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
6 হে প্রভু, ক্রুদ্ধ অবস্থায় আমাকে সংশোধন করবেন না।
মহাক্রোধে আমাকে শাস্তি দেবেন না।
2 প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন,
আমি দুর্বল এবং অসুস্থ।
আমায় সুস্থ করে দিন
কারণ আমার হাড়গুলো নড়বড় করছে।
3 প্রভু আমার সারা দেহ টল্মল্ করছে।
প্রভু সুস্থ হতে আমার আর কতদিন লাগবে?
4 প্রভু ফিরে আসুন এবং আবার আমাকে শক্তিশালী এবং সবল করে দিন।
আপনার দয়াগুনে আমাকে পরিত্রাণ করুন।
5 মৃত লোকরা তাদের কবরে আপনাকে স্মরণ করে না।
মানুষ মৃত্যুর মুখে এসেও আপনার প্রশংসা করে না।
তাই আমায় সুস্থ করে দিন!
6 হে প্রভু, সারা রাত ধরে প্রার্থনা করে
আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি।
আমার চোখের জলে
আমার বিছানা ভিজে গেছে।
7 আমার শত্রুরা আমাকে যা দুঃখ দিয়েছে
তার দরুণ কেঁদে কেঁদে আমার চোখ দুর্বল হয়ে গেছে।
8 মন্দ লোকরা, তোমরা চলে যাও।
কেন? কারণ প্রভু আমার কান্না শুনেছেন।
9 প্রভু আমার মিনতি শুনেছেন।
প্রভু আমার প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন এবং আমায় উত্তর দিয়েছেন।
10 আমার সকল শত্রু হতাশ এবং নিরাশ হবে।
হঠাৎ একটা কিছু ঘটবে এবং ঐসব শত্রুরা লজ্জায় চলে যাবে।
যিহূদার রাজা উষিয়
26 1-3 এরপর যিহূদার লোকরা অমৎসিয়র জায়গায় কিশোর উষিয়কে নতুন রাজা হিসেবে নিযুক্ত করলো। উষিয় মাত্র 16 বছর বয়সে রাজা হয়ে 52 বছর জেরুশালেমে শাসন করেছিলেন। তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তিনি এলত্ শহরটি নতুন করে বানিয়ে যিহূদাকে ফেরৎ দিয়েছিলেন।
উষিয়র মা যিখলিয়া ছিলেন জেরুশালেমের বাসিন্দা। 4 উষিয় প্রভুর বাধ্য ছিলেন এবং তাঁর পিতা অমৎসিয়র মত জীবনযাপন করেছিলেন। 5 সখরিয়র জীবদ্দশায় তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করে ও অনুপ্রেরণা পেয়ে উষিয় ঈশ্বরকে অনুসরণ করেছিলেন। আর ঈশ্বরের প্রতি যতদিন তাঁর অবিচল ভক্তি ছিল প্রভু ঈশ্বরও তাঁকে সাফল্য দিয়েছিলেন।
6 উষিয় পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, গাত, যব্নি ও অস্দোদ শহরগুলোর চারপাশের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছিলেন এবং অস্দোদ ও পলেষ্টীয় অধ্যুষিত অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে নতুন শহরসমূহ তৈরী করেছিলেন। 7 পলেষ্টীয় ও গূরবালে বসবাসকারী আরবীয় ও মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে যখন উষিয় যুদ্ধ করেছিলেন, প্রভু উষিয়র সহায়তা করেছিলেন। 8 অম্মোনীয়রা উষিয়র বশ্যতা স্বীকার করে তাঁকে উপঢৌকন পাঠায়। তাঁর অসীম সাহসের খ্যাতি মিশরের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে কারণ তিনি খুব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন।
9 জেরুশালেমের কোণার ফটকে, উপত্যকার ফটকে এবং প্রাচীরের বাঁকের মুখে উষিয় সুদৃঢ় নজরদারি স্তম্ভসমূহ তৈরী করেছিলেন এবং সেগুলোর সবগুলোকে দূর্গ দিয়ে বেষ্টিত করেছিলেন। 10 উষিয় জনহীন স্থানে কয়েকটি গম্বুজ বানিয়েছিলেন, কারণ পার্বত্য অঞ্চলে ও সমভূমিতে তাঁর বিস্তর গবাদি পশু ছিল। তিনি পাহাড়তলী এবং উপত্যকাবর্তী সমভূমিতে কৃষকও রেখেছিলেন ও কারমেলে দ্রাক্ষাক্ষেত দেখাশোনার লোক রেখেছিলেন যেহেতু তিনি কৃষিকাজ ভালবাসতেন।
11 উষিয়র একটি সুদক্ষ সেনাবাহিনীও ছিল। যিয়ূয়েল নামে এক সচিব ও মাসেয় নামে জনৈক অধ্যক্ষ মিলে গুণে গেঁথে সেনাবাহিনীটিকে কয়েকটি দলে বিভক্ত করে হনানিয়কে প্রধান সেনাপতি পদে নিয়োগ করেছিলেন। হনানিয় ছিলেন রাজার অধীনস্থ পদস্থ চাকুরেদের অন্যতম। 12 সেনাবাহিনীকে যারা নির্দেশ দিতেন তাদের মধ্যে মোট 2600 জন পরিবারের নেতা ছিলেন। 13 এই লোকরা 307,500 যোদ্ধার এই সৈন্যদলকে পরিচালনা করতেন, যারা যে কোন শত্রুর বিরুদ্ধে অত্যন্ত পারদর্শীতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারত। 14 উষিয় তাঁর সেনাবাহিনীর জন্য বল্লম, ঢাল, শিরস্ত্রাণ, তীর, ধনুক ও গুলতির জন্য পাথর তৈরি করিয়েছিলেন। 15 জেরুশালেমে প্রাচীরের ওপরে এবং নজরদারির স্তম্ভগুলোর ওপরে পারদর্শীদের দ্বারা আবিষ্কৃত বিশেষ ধরণের গুলতিসমূহ বসানো হয়েছিল যেগুলো পাথর ও তীর ছুঁড়তে পারত। দূরদূরান্তে উষিয়র খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি ক্রমে বিখ্যাত ও শক্তিশালী এক রাজায় পরিণত হন।
16 কিন্তু শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষিয়র দম্ভ তাঁকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়, কারণ তিনি প্রভু, তাঁর ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করতে শুরু করেন। এমনকি উষিয় একবার প্রভুর মন্দিরের বেদীতে ধুপধূনো জ্বালাতেও গিয়েছিলেন। 17 যাজক অসরিয় ও প্রভুর সেবায় নিযুক্ত আরো 80 জন সাহসী যাজকও উষিয়কে অনুসরণ করেন। 18 তাঁরা উষিয়কে থামিয়ে দেন ও সতর্ক করে বলেন, “ধুপধূনো জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই, এ কাজ একমাত্র হারোণের এবং যাজক উত্তরপুরুষরা করতে পারেন কারণ এ কাজের জন্য তাঁদের নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আপনি অনুগ্রহ করে পবিত্রতমস্থান থেকে চলে যান। আপনি অনধিকার প্রবেশ করেছেন এবং এটা প্রভুর কাছ থেকে আপনাকে সম্মান এনে দেবে না।”
19 কিন্তু একথা শুনে, উষিয় যাজকদের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি ধুনুচি এবং সে সময়ে যাজকদের চোখের সামনে বেদীর পাশে দাঁড়ানো অবস্থাতেই উষিয়র কপালে কুষ্ঠরোগের লক্ষণ ফুটে উঠলো। 20 অসরিয় ও অন্যান্য যাজকরা উষিয়র কপালে কুষ্ঠর চিহ্ন ফুটে উঠতে দেখে জোর করে তাঁকে মন্দির থেকে বার করে দিলেন। উষিয় দ্রুত মন্দির ছেড়ে চলে গেলেন কারণ শাস্তিস্বরূপ প্রভু তাঁকে চর্মরোগ দিয়েছিলেন। 21 এইভাবে মৃত্যুর দিন অবধি রাজা উষিয়র চর্মরোগ ছিল এবং তিনি প্রভুর মন্দিরে প্রবেশের অধিকার হারালেন। তাঁর পুত্র যোথম তাঁর রাজত্বের শেষদিকে শাসক হিসেবে রাজপ্রাসাদ ও লোকদের ওপর কর্তৃত্ব করতেন।
খোঁড়া লোককে পিতর আরোগ্য করলেন
3 একদিন পিতর ও যোহন মন্দিরে গেলেন, তখন বেলা প্রায় তিনটে। এই সময়েই মন্দিরে রোজ প্রার্থনা হত। 2 যখন তাঁরা মন্দির প্রাঙ্গনে যাচ্ছিলেন, সেখানে একটা লোককে দেখা গেল। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া, চলতে পারত না। তার বন্ধুরা প্রতিদিন তাকে মন্দির চত্বরে বয়ে নিয়ে আসত আর মন্দিরের “সুন্দর” নামে যে ফটক আছে সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে বসিয়ে রাখত। যারা মন্দিরে ঢুকত, সে তাদের কাছে কিছু অর্থ ভিক্ষা চাইত। 3 সেদিন এই লোকটা পিতর ও যোহনকে মন্দিরে ঢুকতে দেখে তাদের কাছ থেকে ভিক্ষা চাইতে লাগল।
4 পিতর ও যোহন সেই খোঁড়া লোকটির দিকে একদৃষ্টে চেয়ে বললেন, “আমাদের দিকে তাকাও!” 5 সেই লোকটা তখন কিছু অর্থ পাবার আশায় তাঁদের দিকে তাকালো। 6 কিন্তু পিতর তাকে বললেন, “আমার কাছে সোনা বা রূপো নেই, আমার কাছে যা আছে আমি তোমাকে তাই দিচ্ছি। নাসরতীয় যীশুর নামে তুমি উঠে দাঁড়াও ও হেঁটে বেড়াও।”
7 এই বলে পিতর তার ডান হাত ধরে তাকে তুললেন, সঙ্গে সঙ্গে সে তার পায়ে ও গোড়ালিতে বল পেল, 8 আর লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল ও চলতে লাগল। তারপর সে তাঁদের সঙ্গে মন্দিরের মধ্যে ঢুকে সেখানে হেঁটে লাফিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল। 9-10 লোকরা দেখল সেই লোকটি হাঁটছে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করছে। তারা চিনতে পারল মন্দিরের “সুন্দর” নামে ফটকের সামনে বসে ভিক্ষা করত যে লোক, সেই লোকই হেঁটে বেড়াচ্ছে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করছে। ঐ লোকটির জীবনে যা ঘটেছে তা দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে গেল, তারা বুঝে উঠতে পারল না এমন বিস্ময়কর ব্যাপার কি করে ঘটল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International