Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
ঈশ্বরের দাস মুক্তি আনে
10 প্রভু আমাকে খুব সুখী করেছেন।
আমার সমগ্র সত্ত্বা আমার ঈশ্বরে সুখী।
ঈশ্বর আমাকে পরিত্রাণের বস্ত্র পরিয়েছেন।
এটা হচ্ছে যেমন একজন বিয়ের বর নিজেকে মালা দিয়ে সাজায় সেই রকম।
ঈশ্বর আমার ওপর ধার্মিকতার আবরণ বস্ত্র পরিয়েছেন।
যেন বিয়ের বধূ বিবাহের চমৎকার পোশাক পরেছে।
11 পৃথিবীই গাছদের জন্মানোর কারণ।
লোকরা বাগানে বীজ লাগায় এবং বাগান তাদের বড় করে তোলে।
একই রকম ভাবে প্রভু ধার্মিকতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবেন।
প্রভু সমস্ত জাতির সামনে প্রশংসাকে বৃদ্ধি করবেন।
জেরুশালেম: ধার্ম্মিকতায় পূর্ণ একটি শহর
62 “সিয়োনকে আমি ভালবাসি,
তাই আমি তার জন্য কথা বলে যাব।
জেরুশালেমকে আমি ভালবাসি, তাই আমি কথা বন্ধ করব না।
যতক্ষণ না ধার্মিকতা উজ্জ্বল আলোর মতো কিরণ দেয়
ততক্ষণ আমি কথা বলে যাব।
অগ্নিশিখার মত পরিত্রাণ জ্বলে না ওঠা পর্যন্ত আমি কথা বলব।
2 তখন সব জাতি তোমার ধার্মিকতা দেখতে পাবে।
সমস্ত রাজারা তোমাকে সম্মান দেখাবে।
তখন তোমার নতুন নাম হবে।
প্রভু নিজেই সেই নাম দেবেন।
3 প্রভু তোমার জন্য গর্বিত হবেন।
তুমি হবে প্রভুর হাতের সুন্দর মুকুটের মত।
148 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে দূতগণ স্বর্গ থেকে প্রভুর প্রশংসা কর!
2 তোমরা সব দূতগণ, প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর সেনাবাহিনীরা[a] প্রভুর প্রশংসা কর!
3 চন্দ্র ও সূর্য প্রভুর প্রশংসা কর।
আকাশের তারকাগণ এবং আলো তাঁর প্রশংসা কর!
4 স্বর্গের উচ্চতম স্থানে প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আকাশের উর্দ্ধের জলরাশি, তাঁর প্রশংসা কর!
5 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
কারণ ঈশ্বর আদেশ দিয়েছিলেন এবং তাই প্রতিটি বস্তু অস্তিত্ব পেয়েছে!
6 চিরদিন অব্যাহত থাকবার জন্য ঈশ্বর এইসব সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাদের অনন্ত বিধিসমুহ দিয়েছেন।
7 পৃথিবীর সব কিছুই প্রভুর প্রশংসা করে!
মহাসাগরের বড় বড় সামুদ্রিক প্রাণীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
8 আগুন ও শিলাবৃষ্টি, তুষার এবং ধোঁয়া,
এবং ঝোড়ো বাতাস সবই ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন।
9 ঈশ্বর পাহাড় ও পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন,
ফলের বৃক্ষসমুহ ও এরস গাছ সৃষ্টি করেছেন।
10 সমস্ত প্রাণী ও গবাদি পশু এবং সরীসৃপ ও পাখি সৃষ্টি করেছেন।
11 ঈশ্বরই পৃথিবীতে রাজাগণকে এবং জাতিগণকে সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই নেতাদের ও বিচারকদের সৃষ্টি করেছেন।
12 ঈশ্বরই তরুণ তরুণীদের সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই বৃদ্ধ ও যুবকদের সৃষ্টি করেছেন।
13 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
চিরদিনের জন্য তাঁর নামের সম্মান কর!
পৃথিবী এবং স্বর্গে যা কিছু রয়েছে,
তারা সবাই প্রভুর প্রশংসা কর!
14 ঈশ্বর তাঁর মানুষদের শক্তিশালী করবেন।
লোক ঈশ্বরের অনুগামীদের প্রশংসা করবে।
লোকে ইস্রায়েলের প্রশংসা করবে।
ওরা সেই লোক যাদের জন্য ঈশ্বর লড়াই করেন, প্রভুর প্রশংসা কর!
4 কিন্তু নিরুপিত সময়ে ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন। ঈশ্বরের পুত্র একজন স্ত্রীলোকের গর্ভজাত হলেন এবং বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটালেন, 5 যাতে তিনি বিধি-ব্যবস্থার অধীন সমস্ত লোকদের স্বাধীন করতে পারেন এবং যেন আমরা সকলে তাঁর পুত্ররূপে স্বীকৃতি পেতে পারি।
6 তোমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান, সেইজন্যই তাঁর পুত্রের আত্মাকে তিনি তোমাদের অন্তরে পাঠিয়েছেন। সেই আত্মা ডেকে ওঠে, “আব্বা, পিতা” বলে। 7 তাই তোমরা আগের মতো আর দাস নও কিন্তু ঈশ্বরের পুত্র। আর যেহেতু তোমরা পুত্র তাই ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুত বিষয়গুলি তোমাদের দেবেন।
যীশুকে মন্দিরে আনা হল
22 মোশির বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে শুচিকরণ অনুষ্ঠানের সময় হলে তাঁরা যীশুকে জেরুশালেমে নিয়ে গেলেন, যেন সেখানে প্রভুর সামনে তাঁকে উৎসর্গ করতে পারেন। 23 কারণ প্রভুর বিধি-ব্যবস্থায় লেখা আছে, “স্ত্রীলোকের প্রথম সন্তানটি যদি পুত্র হয়, তবে তাকে ‘প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হবে,’”[a] 24 আর প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে, “এক জোড়া ঘুঘু অথবা দুটি পায়রার বাচ্চা উৎসর্গ করতে হবে।”(A) সুতরাং যোষেফ এবং মরিয়ম সেইমত কাজ করবার জন্য জেরুশালেমে গেলেন।
শিমিয়োন যীশুকে দেখলেন
25 জেরুশালেমে সেই সময় শিমিয়োন নামে একজন ধার্মিক ও ঈশ্বরভক্ত লোক বাস করতেন। তিনি ইস্রায়েলের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। পবিত্র আত্মা তাঁর ওপর অধিষ্ঠান করছিলেন। 26 পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাঁর কাছে একথা প্রকাশ করা হয়েছিল যে প্রভু খ্রীষ্টকে না দেখা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হবে না। 27 পবিত্র আত্মার প্রেরণায় তিনি সেদিন মন্দিরে এসেছিলেন। যীশুর বাবা-মা মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতে যীশুকে নিয়ে সেখানে এলেন। 28 তখন শিমিয়োন যীশুকে কোলে তুলে নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন,
29 “হে প্রভু, তোমার প্রতিশ্রুতি অনুসারে তুমি তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় দাও।
30 কারণ আমি নিজের চোখে তোমার পরিত্রাণ দেখেছি।
31 যে পরিত্রাণ তুমি সকল লোকের সাক্ষাতে প্রস্তুত করেছ।
32 তিনি অইহুদীদের অন্তর আলোকিত করার জন্য আলো;
আর তিনিই তোমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য সম্মান আনবেন।”
33 তাঁর বিষয়ে যা বলা হল তা শুনে যোষেফ ও মরিয়ম আশ্চর্য হয়ে গেলেন। 34 এরপর শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করে যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “ইনি হবেন ইস্রায়েলের মধ্যে বহু লোকের পতন ও উত্থানের কারণ। ঈশ্বর হতে আগত এমন চিহ্ন যা বহু লোকই অগ্রাহ্য করবে। 35 এতে বহু লোকের হৃদয়ের গোপন চিন্তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। যা যা ঘটবে তাতে তোমার হৃদয় বিদীর্ণ হবে।”
হান্না যীশুকে দেখলেন
36 সেখানে হান্না নামে একজন ভাববাদিনী ছিলেন। তিনি আশের গোষ্ঠীর পনুয়েলের কন্যা। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। বিবাহের পর সাত বছর তিনি স্বামীর ঘর করেন, 37 তারপর চুরাশি বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বৈধব্য জীবনযাপন করেছিলেন। মন্দির ছেড়ে তিনি কোথাও যেতেন না; উপবাস ও প্রার্থনাসহ সেখানে দিন-রাত ঈশ্বরের উপাসনা করতেন।
38 ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি তাঁদের দিকে এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে আরম্ভ করলেন; আর যারা জেরুশালেমের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তাদের সকলের কাছে সেই শিশুটির বিষয় বলতে লাগলেন।
যোষেফ ও মরিয়মের গৃহে প্রত্যাবর্তন
39 প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে যা যা করণীয় তা সম্পূর্ণ করে যোষেফ ও মরিয়ম তাঁদের নিজেদের নগর নাসরতে ফিরে গেলেন। 40 শিশুটি ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠতে লাগলেন ও বলিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। তিনি জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন, তাঁর ওপরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছিল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International