Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
দায়ূদের একটি গীত।
28 হে প্রভু, আপনি আমার শিলা।
আপনার সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
আমার প্রার্থনা থেকে কান ফিরিয়ে নেবেন না।
যদি আপনি আমার ডাকে সাড়া না দেন,
লোকে ভাববে আমি কবরের মৃত ব্যক্তির চেয়ে উন্নত কিছু নই।
2 প্রভু, আমার দু হাত তুলে আপনার পবিত্রতম স্থানে আমি প্রার্থনা জানাই।
যখন আমি আপনাকে ডাকি আমার ডাক শুনুন।
আমার প্রতি কৃপা প্রদর্শন করুন।
3 প্রভু, আমাকে খারাপ লোকদের একজন ভাববেন না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের বন্ধুভাবে অভিবাদন করে।
কিন্তু মনে মনে তারা প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মন্দ ফন্দি আঁটে।
4 প্রভু, ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের প্রতি মন্দ আচরণ করে।
অতএব তাদের যাতে খারাপ হয় তাই করুন।
যেমন ওরা অন্যদের করেছিল।
5 মন্দ লোকরা কখনই প্রভুর ভালো কাজগুলো বুঝতে পারে না।
প্রভু যে সব ভালো কাজ করেন তা তারা দেখে না।
না তারা বুঝতে চায় না, তারা শুধু ধ্বংস করতে চায়।
6 প্রভুর প্রশংসা কর!
তিনি আমার প্রতি করুণা করার প্রার্থনা শুনেছেন!
7 প্রভুই আমার শক্তি, তিনিই আমার ঢাল।
আমি তাঁকে বিশ্বাস করেছি।
তিনি আমায় সাহায্য করেছেন এবং আমি প্রচণ্ড খুশী!
এবং তাই আমি তাঁর প্রশংসা করে গান গাইছি।
8 প্রভু যাকে পছন্দ করেন তাঁকে রক্ষা করেন।
প্রভুই তাঁর শক্তি!
9 ঈশ্বর আপনার লোকদের রক্ষা করেন।
আপনার অধিকারভুক্ত যারা তাদের আশীর্বাদ করুন।
তাদের আপনি চিরকালের জন্য নেতৃত্ব দিন এবং তাদের সম্মান দিন!
4 প্রভু আমার ঈশ্বর এই কথাগুলি বলেন, “যে মেষগুলিকে হত্যা করবার জন্য পালন করা হচ্ছে তাদের যত্ন নাও। 5 যারা সেগুলো কেনে ও হত্যা করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না। যে সব ব্যবসায়ী মেষগুলো বিক্রী করেছে তারা বলে, ‘প্রভুর প্রশংসা কর, আমি ধনী হয়ে উঠেছি!’ মেষপালকরা তাদের মেষদের জন্য দুঃখিত হয় নি। 6 আমি এই দেশে যে লোকেরা থাকে তাদের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণও হব না” প্রভু এইসব কথা বলেছেন, “আমি প্রত্যেককে তার প্রতিবেশী ও রাজার দ্বারা অপব্যবহৃত হতে দেব। আমি তাদের দেশ ধ্বংস করতে দেব। আমি তা বন্ধ করব না!”
7 তাই আমি সেই সব হতভাগ্য মেষের যত্ন নিলাম, যাদের হত্যা করার জন্য পালন করা হয়েছিল। আমি এই কাজের জন্য দুটি লাঠি নিলাম। একটি লাঠির নাম দিলাম মনোরম, আর অন্যটির নাম দিলাম ঐক্য। তারপর আমি মেষদের যত্ন নিতে শুরু করলাম। 8 এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন মেষপালককে বরখাস্ত করলাম। আমি মেষদের প্রতি অধৈর্য্য হলাম এবং তারাও আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করল। 9 তখন আমি বললাম, “আমি চললাম, আমি তোমাদের যত্ন নেব না। যে সব লোকেরা মরতে বসেছে, তারা মরুক। যারা ধ্বংস হতে চলেছে তাদের ধ্বংস হোক্। এবং যারা বাকী থাকবে তারা একে অপরকে ধ্বংস করুক।” 10 এরপর আমি “মনোরম” নামক লাঠিটা নিলাম এবং তা ভেঙে ফেললাম। সমস্ত লোকদের সঙ্গে ঈশ্বরের চুক্তি যে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল তা দেখাবার জন্য আমি এটা করলাম। 11 তাই, সেই দিনে চুক্তিটি এবং সেই হতভাগ্য মেষেরা যারা আমাকে লক্ষ্য করছিল, তারা জানল যে এই বার্তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছিল।
12 তখন আমি বললাম, “তুমি যদি আমায় বেতন দিতে চাও তো দাও, নতুবা দিও না!” তাই তারা আমায় 30টি রূপোর মুদ্রা দিল। 13 তখন প্রভু আমায় বললেন, “তাদের চোখে আমি ঐরকম মূল্যবান। ঐ টাকা মন্দিরের অর্থভাণ্ডারে ছুঁড়ে ফেলো।” তাই আমি সেই 30টি রূপোর মুদ্রা নিয়ে প্রভুর মন্দিরের অর্থ ভাণ্ডারে ছুঁড়ে দিলাম। 14 এরপর আমি ঐক্য নামক লাঠিটা নিয়ে দুই টুকরো করে ভাঙলাম। যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে যে আর ঐক্য নেই সেটা তাদের বোঝাবার জন্য আমি এটা করলাম।
15 তখন প্রভু আমায় বললেন, “এখন সেইসব জিনিস নাও যা কেবলমাত্র একজন মূর্খ মেষপালক ব্যবহার করে। 16 এটা থেকেই তারা বুঝবে যে আমি আমার দেশে একজন নতুন মেষপালক আনব। যে মেষরা মারা যাচ্ছে তাদের যত্ন এই যুবক নিতে পারবে না। সে আহত মেষদের সুস্থ করতে পারবে না। যারা বেঁচে রয়েছে তাদের সে খাওয়াতে পারবে না। সুস্থ সবল মেষদের মেরে ফেলা হবে এবং তাদের মাংস সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলা হবে। কেবল তাদের ক্ষুরগুলো পড়ে থাকবে।”
17 ওহে আমার অকর্মণ্য মেষপালক!
তোমরা আমার মেষদের ত্যাগ করেছ।
ওকে শাস্তি দাও!
ওর ডান চোখে ও হাতে তরবারি দিয়ে আঘাত কর।
তার ডান হাত নিষ্কর্মা হয়ে যাবে।
তার ডান চোখ অন্ধ হবে।
স্বর্গের লোকরা ঈশ্বরের প্রশংসা করল
19 এরপর আমি স্বর্গে এক বিশাল জনতার কলরব শুনলাম। সেই লোকরা বলছে:
“হাল্লিলুইয়া!
জয়, মহিমা ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই,
2 কারণ তাঁর বিচারসকল সত্য ও ন্যায়।
তিনি সেই মহান গণিকার বিচার নিষ্পন্ন করেছেন,
যে তার যৌন পাপ দ্বারা পৃথিবীকে কলুষিত করত।
ঈশ্বরের দাসদের রক্তপাতের প্রতিশোধ নিতে ঈশ্বর সেই বেশ্যাকে শাস্তি দিয়েছেন।”
3 তারপর স্বর্গের সেই লোকেরা বলে উঠল:
“হাল্লিলুইয়া!
সেই বেশ্যা ভস্মীভূত হবে এবং যুগ যুগ ধরে তার ধোঁয়া উঠবে।”
4 এরপর সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চারজন প্রাণী সিংহাসনে যিনি বসেছিলেন, সেই ঈশ্বরের চরণে মাথা নত করে তাঁর উপাসনা করে বললেন:
“আমেন, হাল্লিলুইয়া!”
5 পরে সিংহাসন থেকে এক বাণী নির্গত হল, কে যেন বলে উঠল:
“হে আমার দাসরা, তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর,
তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান, তোমরা সকলে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!”
6 পরে আমি বিরাট জনসমুদ্রের রব, প্রবল জলকল্লোল ও প্রচণ্ড মেঘগর্জনের মতো এই বাণী শুনলাম:
“হাল্লিলুইয়া!
আমাদের প্রভু যিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর,
তিনি রাজত্ব শুরু করেছেন।
7 এস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, আর তাঁর মহিমা কীর্তন করি,
কারণ মেষশাবকের বিবাহের দিন এল।
তাঁর বধূও বিবাহের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।
8 তাকে পরিধান করতে দেওয়া হল
শুচি শুভ্র উজ্জ্বল মসীনার বসন।”
(সেই মসীনার বসন হল ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের সত্কর্মের প্রতীক।)
9 এরপর তিনি আমায় বললেন, “তুমি এই কথা লেখ। ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিবাহে নিমন্ত্রিত হয়েছে।” তারপর দূত আমায় বললেন, “এগুলি ঈশ্বরের সত্য বাক্য।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International