Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
11 প্রভু আমার সদাপ্রভু একথা বলেন, “আমি নিজে তাদের মেষপালক হব। আমিই আমার মেষদের খুঁজে তাদের দেখব। 12 কোন মেষপালকের মেষরা পথভ্রষ্ট হলে সে যেমন তাদের খুঁজে বেড়ায়, সেই একই ভাবে আমিও আমার মেষদের খুঁজে বেড়াব। আমি আমার মেষদের রক্ষা করব। অন্ধকার ও মেঘলা দিনে তারা হারিয়ে গিয়ে যেখানে যেখানে ছড়িয়ে গিয়েছিল, আমি সেই খান থেকেই তাদের ফেরত আনব। 13 আমি তাদের জাতিগণের মধ্য থেকে ফিরিয়ে আনব। ঐ দেশগুলি থেকে আমি তাদের সংগ্রহ করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত আনব। আর আমি তাদের ইস্রায়েলের পাহাড়, নদী ও যেখানে জনবসতি আছে সেখানেই চরাব। 14 আমি তাদের ঘাসে ভরা মাঠে নিয়ে যাব। তারা ইস্রায়েলের উঁচু পর্বতের উপর উঠে সেখানকার উত্তম ভূমিতে শোবে ও ঘাস খাবে। তারা ইস্রায়েলের পর্বতে সবুজ ঘাসে ভরা মাঠে চরবে। 15 হ্যাঁ, আমি আমার মেষপালদের চরাব ও তাদের বিশ্রামের স্থানে নিয়ে যাব।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
16 “আমি হারিয়ে যাওয়া মেষদের খুঁজব। যে মেষরা ছড়িয়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনব। যে মেষরা আঘাত পেয়েছিল তাদের আঘাতের স্থান বেঁধে দেব। কিন্তু ঐ হৃষ্টপুষ্ট বলবানদের মেষপালকদের ধ্বংস করব। তারা যে শাস্তির যোগ্য তাই দিয়ে তাদের পেট ভরাব।”
20 তাই প্রভু আমার সদাপ্রভু তাদের উদ্দেশ্যে বলেন: “আমি নিজে মোটা ও রোগা মেষদের মধ্যে বিচার করব! 21 তোমরা তোমাদের শরীরের পাশ ও কাঁধ দিয়ে ঢুঁ মারছ। তোমরা সমস্ত দুর্বল মেষদের তোমাদের শিং দিয়ে ঢুঁ মেরে ফেলে দিচ্ছ। তাদের জোর করে বার করে না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের ঠেলছ। 22 তাই আমি আমার মেষদের রক্ষা করব। বন্য জন্তুরা আর তাদের ধরে নিয়ে যাবে না। আমি এক মেষের সাথে অন্য মেষের বিচার করব। 23 তারপর আমি তাদের জন্য একজন মেষপালককে নিযুক্ত করব; সে আমার দাস দায়ূদ। সে তাদের খাওয়াবে ও তাদের মেষপালক হবে। 24 তখন আমি, প্রভু তাদের ঈশ্বর হব আর আমার দাস দায়ূদ শাসক হয়ে তাদের মধ্যে বাস করবে। আমি, প্রভু এই কথা বলেছি।
একটি ধন্যবাদার্হ গীত।
100 হে পৃথিবী, প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও!
2 যখন তুমি প্রভুর সেবা কর তখন আনন্দিত থেকো!
আনন্দ গীত গাইতে গাইতে প্রভুর সামনে এসো!
3 এটা জেনো যে প্রভুই ঈশ্বর।
তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আমরা তাঁরই মেষের পাল।
4 ধন্যবাদের গীত গাইতে গাইতে তাঁর শহরে এসো।
প্রশংসা গীত গাইতে গাইতে তাঁর মন্দিরে এসো।
তাঁকে সম্মান কর, তাঁর নামকে ধন্য কর।
5 প্রভু ভালো!
তাঁর ভালোবাসা চিরন্তন।
আমরা সর্বদাই তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারি!
পৌলের প্রার্থনা
15-16 এইজন্য আমি আমার প্রার্থনায় তোমাদের সর্বদা স্মরণ করি ও তোমাদের জন্য সর্বদা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রভু যীশুর ওপর তোমাদের বিশ্বাসের কথাও সমস্ত ঈশ্বরের লোকদের প্রতি তোমাদের ভালবাসার কথা শুনেছি। 17 আমি ঈশ্বরের কাছে তোমাদের জন্য নিরন্তর প্রার্থনা করছি যেন, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মহিমাময় পিতা তোমাদের সেই আত্মা দেন, যা তোমাদের বিজ্ঞ করবে এবং ঈশ্বরকে তোমাদের কাছে প্রকাশ করবে যাতে তোমরা তাঁকে ভালভাবে জানতে পার।
18 আমি প্রার্থনা করছি যেন তোমরা আপন আপন হৃদয়ে ঐশ্বরিক জ্ঞান লাভ করতে পার, তাহলে ভবিষ্যতে কি প্রত্যাশার জন্য ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছেন তা তোমরা জানতে পারবে। যে আশীর্বাদ ঈশ্বর তাঁর পবিত্র লোকদের দেবার জন্য স্থির করেছেন তা কত সম্পদশালী ও প্রতাপশালী তা তোমরা বুঝতে পারবে। 19 আমরা যারা বিশ্বাসী, আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে মহাশক্তি কাজ করছে তাও তোমরা জানতে পারবে। 20 সেই মহাশক্তি দ্বারা ঈশ্বর খ্রীষ্টকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন ও তাঁর ডানপাশে স্বর্গীয় স্থানে বসিয়েছেন। 21 ঈশ্বর খ্রীষ্টকে সমস্ত রাজা, মহারাজা, শাসনকর্তা ও মহান নেতাদের থেকে এবং প্রত্যেক শীর্ষ স্থানীয় শক্তির উর্দ্ধে খ্রীষ্টকে স্থাপন করেছেন, কেবল এই কালে নয়, আগামীকালেও। 22 ঈশ্বর সবকিছুই খ্রীষ্টের চরণের নীচে স্থাপন করেছেন। তাঁকেই সকলের ওপরে মস্তক স্বরূপ করে মণ্ডলীকে দান করেছেন। 23 মণ্ডলী হল খ্রীষ্টের দেহ; আর তাঁর পরিপূর্ণতা সব কিছুই সমস্ত দিকে দিয়ে পূর্ণ করে।
মানবপুত্র সকল লোকের বিচার করবেন
31 “মানবপুত্র যখন নিজ মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে তাঁর স্বর্গদূতদেব সঙ্গে নিয়ে এসে মহিমার সিংহাসনে বসবেন, 32 তখন সমস্ত জাতি তাঁর সামনে জড়ো হবে। রাখাল যেমন ভেড়া ও ছাগল আলাদা করে, তেমনি তিনি সব লোককে দুভাগে ভাগ করবেন। 33 তিনি নিজের ডানদিকে ভেড়াদের রাখবেন আর বাঁদিকে ছাগলদের রাখবেন।
34 “এরপর রাজা তাঁর ডানদিকের যারা তাদের বলবেন, ‘আমার পিতার আশীর্বাদ পেয়েছ, তোমরা এস! জগত সৃষ্টির শুরুতেই যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তার অধিকার গ্রহণ কর। 35 কারণ আমি ক্ষুধিত ছিলাম, তোমরা আমায় খেতে দিয়েছিলে। আমি পিপাসিত ছিলাম আর তোমরা আমাকে পান করবার জল দিয়েছিলে। আমি অচেনা আগন্তুক রূপে এসেছিলাম আর তোমর আমায় আশ্রয় দিয়েছিলে। 36 যখন আমার পরনে কোন কাপড় ছিল না, তখন তোমরা আমায় পোশাক পরিয়েছিলে। আমি অসুস্থ ছিলাম, তোমরা আমার সেবা করেছিলে। আমি কারাগারে ছিলাম, তোমর আমায় দেখতে এসেছিলে।’
37 “এর উত্তরে যারা ভাল তারা বলবে, ‘প্রভু, কখন আমরা আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে খেতে দিয়েছিলাম, পিপাসিত দেখে জল পান করতে দিয়েছিলাম? 38 কখনই বা আপনাকে অচেনা আগন্তুক দেখে আতিথেয়তা করেছিলাম অথবা আপনার পরনে কাপড় নেই দেখে পোশাক পরিয়েছিলাম? 39 আর কখনই বা অসুস্থ বা কারাগারে আছেন দেখে আপনাকে দেখতে গিয়েছিলাম?’
40 “এর উত্তরে রাজা তাদের বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই তুচ্ছতমদের মধ্যে যখন কোন একজনের প্রতি তোমরা এরূপ করেছিলে, তখন আমারই জন্য তা করেছিলে।’
41 “এরপর রাজা তাঁর বাম দিকের লোকদের বলবেন, ‘ওহে অভিশপ্তরা, তোমরা আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবল ও তার দূতদের জন্য যে ভয়াবহ অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে গিয়ে পড়। 42 কারণ আমি যখন ক্ষুধার্ত ছিলাম, তখন তোমরা আমায় খেতে দাও নি। আমার যখন পিপাসা পেয়েছিল, তখন আমায় জল দাও নি। 43 আমি অচেনা আগন্তুকরূপে এসেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার আতিথেয়তা করনি। আমার পোশাক ছিল না, কিন্তু তোমরা আমায় পোশাক দাও নি। আমি অসুস্থ ছিলাম ও কারাগারে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার খোঁজ নাও নি।’
44 “এর উত্তরে তারা তাঁকে বলবে, ‘প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত, কি পিপাসিত, কি আগন্তুকরূপে দেখে অথবা কবেই বা আপনার পরনে কাপড় ছিল না, বা আপনি অসুস্থ ছিলেন ও কারাগারে গিয়েছিলেন বলে আমরা আপনার সাহায্য করিনি?’
45 “এ কথার উত্তরে রাজা বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যখন এই অতি সামান্য যারা তাদের কোন একজনের প্রতি তা করনি, তখন আমারই প্রতি তা কর নি।’
46 “এরপর অধার্মিক লোকেরা যাবে অনন্ত শাস্তি ভোগ করতে, কিন্তু ধার্মিকরা প্রবেশ করবে অনন্ত জীবনে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International