Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
123 হে ঈশ্বর, আমি আমার নয়ন যুগল ঊর্দ্ধে তুলি এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করি।
স্বর্গে আপনি রাজার মত বসেন।
2 দাসরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য
তাদের মনিবের ওপর নির্ভর করে।
সেইভাবে আমরাও আমাদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করি।
প্রভু আমাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করবেন, এই প্রতীক্ষায় আমরা রয়েছি।
3 প্রভু, আমাদের প্রতি সদয় হোন,
কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমরা অপমানিত হয়ে এসেছি।
4 ঐসব অলস এবং উদ্ধত লোকদের কাছ থেকে
আমরা যথেষ্ট অপমান ও নিন্দা পেয়েছি।
16 তখন প্রভু কয়েকজন নেতা ঠিক করলেন। এদের বলা হত বিচারক। শত্রুরা যারা ইস্রায়েলবাসীদের আক্রমণ এবং লুট করতো তাদের হাত থেকে এরা তাদের রক্ষা করতো। 17 কিন্তু তারা এই বিচারকদের কথা কানে নিত না। তারা প্রভুর প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না এবং অন্যান্য দেবতাদের পূজা করতো। যদিও তাদের পূর্বপুরুষরা প্রভুর আজ্ঞা এবং নির্দেশ পালন করত, কিন্তু এখন তারা অচিরেই বিমুখ হয়ে গেল। তারা প্রভুকে মানতে চাইল না।
18 বারবার ইস্রায়েলের শত্রুরা তাদের ক্ষতি সাধন করত। আর তাই ইস্রায়েলীয়রা সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করত। প্রত্যেকবারই প্রভু তাদের দুর্দশায় কষ্ট পেয়ে তাদের বাঁচানোর জন্যে একজন করে বিচারক পাঠিয়েছিলেন। তিনি সবসময়েই এইসব বিচারকের সহায় ছিলেন। প্রত্যেকবার এদের সাহায্যেই ইস্রায়েলীয়রা রক্ষা পেত। 19 কিন্তু বিচারক মারা গেলেই তারা আবার তাদের পুরানো পথে ফিরে গিয়ে পাপ করত এবং মূর্ত্তি পূজায় মেতে উঠত। তারা ভীষণ একরোখা ছিল এবং তারা পাপের পথ ত্যাগ করতে অস্বীকার করল। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও খারাপ আচরণ করত।
20 তাই প্রভু ইস্রায়েলীয়দের ওপর ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি বললেন, “এই দেশের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমি যে চুক্তি করেছিলাম এরা তা ভেঙেছে। তারা আমার কথা শোনে নি। 21 তাই আমি আর অন্যান্য জাতিকে হারিয়ে ইস্রায়েলীয়দের পথ পরিষ্কার করব না। এইসব বিদেশী জাতি যিহোশূয়র মৃত্যুর সময়েও এই দেশে বসবাস করত। আমি তাদের এদেশেই থাকতে দেব। 22 ইস্রায়েলীয়দের পরীক্ষা করার জন্য আমি ঐ জাতিদের কাজে লাগাব। আমি দেখব ইস্রায়েলের লোকরা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো প্রভুর আজ্ঞা মানে কি না।” 23 সেই কথামত প্রভু ইস্রায়েলে অন্যান্য জাতির লোকদের থাকতে দিলেন। তিনি তাদের এদেশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য করলেন না। তিনি যিহোশূয়র সৈন্যবাহিনীকে শত্রু দমন করতে সাহায্য করলেন না।
8 পরে চতুর্থ স্বর্গদূত সূর্যের ওপরে তাঁর বাটিটি ঢেলে দিলেন। তাতে লোকদের আগুনে পোড়াবার ক্ষমতা সূর্যকে দেওয়া হল। 9 তখন সেই প্রচণ্ড তাপে মানুষদের পোড়ানো হল। ঈশ্বরকে তারা অভিশাপ দিতে লাগল। এই সমস্ত আঘাতের উপর ঈশ্বরের কর্তৃত্ত্ব ছিল; কিন্তু তারা তবু তাদের মন ফেরালো না আর ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করল না।
10 এরপর পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর বাটিটি সেই পশুর সিংহাসনের ওপর ঢেলে দিলেন। ফলে তার রাজ্যের সব জায়গায় ঘোর অন্ধকার হয়ে গেল, আর লোকেরা যন্ত্রণায় নিজেদের জিভ কামড়াতে লাগল। 11 বেদনা ও ক্ষতের জন্য তারা স্বর্গের ঈশ্বরকে অভিশাপ দিতে লাগল, কিন্তু তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করল না।
12 এরপর ষষ্ঠ দূত তাঁর বাটিটি নিয়ে মহানদী ইউফ্রেটিসের ওপর ঢেলে দিলেন। তাতে নদীর জল শুকিয়ে গেল ও প্রাচ্যের রাজাদের জন্য আসার পথ প্রস্তুত হল। 13 এরপর আমি দেখলাম সেই সাপের মুখ থেকে, পশুর মুখ থেকে ও ভণ্ড ভাববাদীর মুখ থেকে ব্যাঙের মতো দেখতে একটি একটি করে তিনটি অশুচি আত্মা বেরিয়ে এল। 14 সেই অশুচি আত্মারা ভূতের আত্মা, যারা নানা অলৌকিক কাজ করে। তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মহাবিচারের দিনে যুদ্ধ করার জন্য সমস্ত জগৎ ঘুরে রাজাদের একত্রিত করল।
15 “শোন! চোর যেমন আসে আমি তেমনি আসব। ধন্য সেই ব্যক্তি যে জেগে থাকে, আর নিজের পোশাক নিজের কাছে রাখে, যাতে তাকে উলঙ্গ হয়ে না বেড়াতে হয় এবং লজ্জায় না পড়তে হয়।”
16 পরে ঐ অশুচি আত্মারা ইব্রীয় ভাষায় যাকে হরমাগিদোন বলে সেই স্থানে নিয়ে এসে রাজাদের একত্রিত করল।
17 এরপর সপ্তম স্বর্গদূত আকাশের ওপর তাঁর বাটিটি ঢেলে দিলেন। তখন স্বর্গের মন্দিরের সেই সিংহাসন থেকে শোনা গেল এক পরম উদাত্ত কন্ঠস্বর, “সমাপ্ত হল!” 18 তাতে বিদ্যুৎ-ঝলক, মেঘ-গর্জন, বজ্রপাত এবং ভয়ঙ্কর এক ভূমিকম্প হল। পৃথিবীতে মানুষের উৎপত্তিকাল থেকে এমন ভূমিকম্প আর কখনও হয় নি। 19 সেই মহানগরী তাতে ভেঙে টুকরো হয়ে গেল, আর ধূলিসাৎ হয়ে গেল বিধর্মীদের সব শহর। ঈশ্বর মহান বাবিলকে শাস্তি দিতে ভুলে যান নি। তিনি তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধে পূর্ণ সেই পানপাত্র মহানগরীকে দিলেন। 20 এর ফলে সমস্ত দ্বীপ অদৃশ্য হয়ে গেল, আর পর্বতমালা সমভূমি হয়ে গেল। 21 আকাশ থেকে মানুষের ওপরে বিরাট বিরাট শিলা পড়তে লাগল, এক একটি শিলা ছিল এক এক মন ভারী; আর এই শিলা বৃষ্টির জন্য লোকরা ঈশ্বরের নিন্দা করতে লাগল, কারণ সেই আঘাত ছিল নিদারুণ ভয়ঙ্কর এক আঘাত।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International