Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
আসফের প্রশংসা গীতগুলির একটি
83 ঈশ্বর, নীরব থাকবেন না!
কান বন্ধ করে রাখবেন না!
ঈশ্বর আপনি কিছু বলুন।
2 ঈশ্বর, শত্রুরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এবং খুব শীঘ্রই ওরা আক্রমণ করবে।
3 আপনার লোকদের বিরুদ্ধে ওরা ফন্দি আঁটছে।
যে লোকদের আপনি ভালোবাসেন, আপনার শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করছে।
4 ওই শত্রুরা বলাবলি করছে, “এস, আমরা ওদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই।
তাহলে কোন ব্যক্তি আর কোনদিনের জন্যও ইস্রায়েলের নাম স্মরণ করবে না।”
13 হে ঈশ্বর, খড় কুটো যেমন বাতাসে উড়ে যায়, তেমনি ভাবে আপনি ওদের উড়িয়ে দিন।
ঝোড়ো হাওয়ায় খড় যেমন ছড়িয়ে যায় তেমনি ভাবে ওদের ইতঃস্তত ছড়িয়ে দিন।
14 দাবানল যেমন করে অরণ্য ধ্বংস করে,
লেলিহান আগুন যেমন করে পাহাড় পুড়িয়ে দেয় তেমন করে আপনি শত্রুদের ধ্বংস করুন।
15 হে ঈশ্বর, ঝড় যেমন করে ধূলো উড়িয়ে নিয়ে যায় তেমনি করে আপনি ওই লোকেদের তাড়া করুন।
টর্নেডোর মত ওদের কাঁপিয়ে দিন, ওদের উড়িয়ে দিন।
16 ঈশ্বর, আপনি ওদের এমন শিক্ষা দিন যাতে ওরা বুঝতে পারে ওরা প্রকৃতই দুর্বল।
তখন ওরা আপনার নামের উপাসনা করতে চাইবে!
17 ঈশ্বর, চিরদিনের মত ওদের ভীত ও লজ্জিত করে দিন।
ওদের অপমানিত ও বিনষ্ট করুন।
18 তখন ওরা বুঝতে পারবে যে,
আপনিই ঈশ্বর।
ওরা জানতে পারবে যে, আপনিই একমাত্র পরাৎপর,
সারা পৃথিবীর ঈশ্বর!
ফরৌণের সম্মুখে মোশি এবং হারোণ
5 লোকদের সঙ্গে কথা বলার পর মোশি এবং হারোণ ফরৌণের কাছে গিয়ে বলল, “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমার সম্মানার্থে উৎসব করার জন্য আমার লোকদের মরুপ্রান্তরে যাওয়ার ছাড়পত্র দাও।’”
2 কিন্তু ফরৌণ বলল, “কে প্রভু? আমি কেন তাকে মানব? কেন ইস্রায়েলকে ছেড়ে দেব? এমনকি এই প্রভু কে আমি তাই জানি না। সুতরাং আমি এভাবে ইস্রায়েলের লোকদের ছেড়ে দিতে পারি না।”
3 তখন হারোণ এবং মোশি বলল, “ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাই আমরা তিন দিনের জন্য মরুপ্রান্তরে ভ্রমণের অনুমতি প্রার্থনা করছি, সেখানে আমরা আমাদের প্রভু, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য উৎসর্গ করব। আমরা যদি তা না করি তাহলে তিনি প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে আমাদের ধ্বংস করে দেবেন। আমাদের মহামারী অথবা যুদ্ধের প্রকোপে মেরে ফেলবেন।”
4 কিন্তু তখন মিশরের রাজা তাদের উত্তর দিলেন, “মোশি ও হারোণ, তোমরা কাজের লোকদের বিরক্ত করছ। ওদের কাজ করতে দাও। গিয়ে নিজের কাজে মন দাও। 5 দেখ, দেশে এখন প্রচুর কর্মী আছে এবং তোমরা তাদের কাজ করা থেকে বিরত করছ।”
ফরৌণ লোকদের শাস্তি দিলেন
6 একই দিনে ক্রীতদাস প্রভুদের এবং ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়কদের ফরৌণ আদেশ দিলেন ইস্রায়েলীয় লোকদের আরো কিছু কঠিনতর কাজ দিতে। 7 ফরৌণ তাদের বললেন, “ইঁট তৈরির জন্য এতদিন তোমরা খড় সরবরাহ করেছো। কিন্তু ওদের বলো, এখন থেকে ইঁট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খড় ওরা নিজেরাই যেন খুঁজে আনে। 8 কিন্তু খড় খুঁজে আনতে হবে বলে ইঁটের উৎপাদন যেন না কমে। আগে ওরা সারাদিনে যে পরিমাণ ইঁট তৈরি করতো নিজেরা খড় জোগাড় করে আনার পরও ওদের আগের মতো একই পরিমাণ ইঁট তৈরি করতে হবে। আজকাল ওরা ভীষণ অলস হয়ে গেছে। এবং সেজন্যই ওরা আমার কাছে মরুপ্রান্তরে যাওয়ার ছাড়পত্র চাইছে। ওদের হাতে বিশেষ কাজ নেই তাই ওরা ওদের ঈশ্বরকে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে যেতে চায়। 9 তাই এই লোকদের আরও কঠিন পরিশ্রম করাও যাতে ওরা ব্যস্ত থাকে। তাহলে ওদের আর প্রতারণামূলক কথা শোনবার সময় হবে না।”
10 তাই মিশরের ক্রীতদাস প্রভু এবং ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়করা ইস্রায়েলের লোকদের কাছে গিয়ে বলল, “ফরৌণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ইঁট তৈরির জন্য তোমাদের আর খড় সরবরাহ করা হবে না। 11 এবার থেকে তোমরা নিজেরা খড় জোগাড় করে আনবে। সুতরাং যাও গিয়ে খড় জোগাড় করো। কিন্তু ইঁট তৈরির পরিমাণ আগের মতোই রাখতে হবে। খড় জোগাড়ের নাম করে কম ইঁট তৈরি করলে চলবে না।”
12 সুতরাং লোকরা মিশরের চারিদিকে খড়ের খোঁজে গেল। 13 ক্রীতদাস প্রভুরা ইস্রায়েলীয়দের আরো কঠিন কাজ করালো এবং তাদের একদিনে সমান সংখ্যক ইঁট তৈরি করতে বাধ্য করল যা তারা খড় থাকাকালীন করত। 14 মিশরীয় ক্রীতদাস প্রভুরা ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে এই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করানোর দায়িত্ব চাপালো ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়কদের ওপর। মিশরীয় ক্রীতদাস প্রভুরা ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়কদের মারলো এবং তাদের বলল, “কেন তোমরা আগের মতো ইঁট তৈরি করতে পারছো না? তোমরা আগে যা করতে পারতে এখনও তোমাদের তাই পারা উচিৎ।”
15 তখন ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়করা ফরৌণের কাছে নালিশ জানাতে গেল। তারা ফরৌণকে বলল, “আমরা তো আপনার অনুগত ভৃত্য়, তাহলে আমাদের সঙ্গে কেন এরকম ব্যবহার করছেন? 16 আপনি আমাদের খড় সরবরাহ বন্ধ করেছেন। আবার বলছেন আগের মতোই ইঁটের উৎপাদন চালু রাখতে হবে। ইঁট তৈরির পরিমাণ কম হলেই আমাদের মনিবরা আমাদের মারধোর করছে। আপনার লোকরা এটা তো অন্যায় করছে।”
17 উত্তরে ফরৌণ জানালেন, “তোমরা কাজ করতে চাও না। তোমরা অলস হয়ে গেছ। সেজন্যই তোমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে যাবার ব্যাপারে আমার অনুমতি চেয়েছো। 18 যাও, এখন আবার কাজে ফিরে যাও। আমরা তোমাদের কোনও খড় সরবরাহ করব না এবং তোমাদের আগের মতোই সমপরিমাণ ইঁট তৈরি করতে হবে।”
19 তখন ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়করা বুঝতে পারল যে তারা গভীর সঙ্কটে পড়েছে। তারা জানতো যে কিছুতেই তারা আগের পরিমাণ মতো ইঁট আর তৈরি করতে পারবে না।
20 ফরৌণের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে মোশি এবং হারোণের সঙ্গে তাদের দেখা হল। মোশি ও হারোণ অবশ্য তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্যই অপেক্ষা করছিল। 21 সুতরাং ইস্রায়েলীয় তত্ত্বাবধায়করা মোশি ও হারোণকে বলল, “আমাদের যাওয়ার ছাড়পত্র চাওয়ার ব্যাপারে ফরৌণের সঙ্গে কথা বলে তোমরা একটা মারাত্মক ভুল করেছো। প্রভু যেন তোমাদের শাস্তি দেন। কারণ তোমাদের জন্যই ফরৌণ ও তার শাসকরা আমাদের এখন ঘৃণা করে। তোমরাই তাদের হাতে আমাদের হত্যা করার অজুহাত তুলে দিয়েছ।”
ঈশ্বরকে মোশির নালিশ
22 তখন মোশি প্রভুর কাছে ফিরে গেল এবং বলল, “প্রভু কেন আপনি লোকদের এমন অমঙ্গল করলেন? কেন আপনি আমায় এখানে পাঠিয়েছিলেন? 23 আপনি যা বলতে বলেছিলেন আমি সে কথাগুলো বলতেই ফরৌণের কাছে গিয়েছিলাম। অথচ সেই সময় থেকেই ফরৌণ আপনার লোকদের প্রতি অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছে। এবং আপনি ঐসব লোকদের সাহায্যের জন্য কোনও কিছুই করছেন না।”
6 প্রভু তখন মোশিকে বললেন, “ফরৌণের এখন আমি কি অবস্থা করব তা তুমি দেখতে পাবে। আমি তার বিরুদ্ধে আমার মহান ক্ষমতা ব্যবহার করব এবং সে আমার লোকদের চলে যেতে বাধ্য করবে। সে যে শুধু আমার লোকদের ছেড়ে দেবে তা নয়, সে তার দেশ থেকে তাদের জোর করে পাঠিয়ে দেবে।”[a]
2 ঈশ্বর তখন মোশিকে আবার বললেন, 3 “আমিই হলাম প্রভু। আমি অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতাম। তারা আমায় এল্সদাই (সর্বশক্তিমান ঈশ্বর) বলে ডাকত। আমার নাম যে যিহোবা তা তারা জানত না। 4 আমি তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলাম। আমি তাদের কনান দেশ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ঐ দেশে তারা বাস করলেও দেশটি কিন্তু তাদের নিজস্ব দেশ ছিল না। 5 এখন, আমি ইস্রায়েলীয়দের বিলাপ শুনেছি। আমি জানি মিশরীয়রা তাদের ক্রীতদাস করে রেখেছিল এবং আমি আমার চুক্তিকে মনে রাখব। 6 সুতরাং ইস্রায়েলের লোকদের গিয়ে বলো আমি তাদের বলেছি, ‘আমি হলাম প্রভু। আমি তোমাদের রক্ষা করব। আমিই তোমাদের মুক্ত করব। তোমরা আর মিশরীয়দের ক্রীতদাস থাকবে না। আমি আমার মহান শক্তি ব্যবহার করব এবং মিশরীয়দের ভয়ঙ্কর শাস্তি দেব। তখন আমি তোমাদের উদ্ধার করব। 7 আমি তোমাদের আমার লোক করে নিলাম এবং আমি হব তোমাদের ঈশ্বর। তোমরা জানবে যে আমি হলাম তোমাদের প্রভু, ঈশ্বর, যে তোমাদের মিশর থেকে মুক্ত করেছে। 8 আমি অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবের কাছে একটি মহান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি তাদের একটি বিশেষ দেশ দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাই আমার নেতৃত্বে তোমরা ঐ দেশে যাবে। আমি তোমাদের ঐ দেশটি দিয়ে দেব। সেই দেশটি একান্তভাবে তোমাদেরই হবে। আমিই হলাম প্রভু।’”
9 মোশি এই কথাগুলো ইস্রায়েলীয়দের বলল, কিন্তু তাদের ধৈর্য্যহীনতা ও কঠোর পরিশ্রমের দরুণ তারা তার কথা শুনতে অস্বীকার করল।
10 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, 11 “যাও মিশরের রাজা ফরৌণকে বলো যে তার উচিৎ ইস্রায়েলীয়দের তার দেশ থেকে মুক্তি দেওয়া।”
12 কিন্তু মোশি উত্তরে জানাল, “ইস্রায়েলের লোকরাই আমার কথা শুনতে অস্বীকার করছে, সেক্ষেত্রে ফরৌণ আর কি শুনবে! সেও আমার কথা শুনতে রাজি হবে না। এ ব্যাপারে আমি একরকম নিশ্চিত। তার উপর আমি ভালোভাবে কথা বলতেও পারি না।”
13 কিন্তু প্রভু মোশি এবং হারোণের সঙ্গে কথা বললেন এবং তাদের ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে ও ফরৌণের সঙ্গে কথা বলতে আদেশ দিলেন। ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনতে প্রভু তাদের আদেশ দিলেন।
ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র
7 “ফিলাদিলফিয়ার মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের কাছে লেখ:
“যিনি পবিত্র ও যিনি সত্য তিনি তোমায় একথা বলছেন। তাঁর কাছে দায়ূদের চাবি আছে; তিনি খুললে কেউ তা বন্ধ করতে পারে না বা বন্ধ করলে কেউ তা খুলতে পারে না। তিনিই একথা বলছেন:
8 “আমি তোমার সব কাজের কথা জানি। শোন, আমি তোমার সামনে একটি খোলা দরজা রাখছি, এই দরজা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আমি জানি যদিও তুমি দুর্বল, তবু তুমি আমার শিক্ষা অনুসারে চলেছ, আর তুমি আমার নাম অস্বীকার কর নি। 9 শোন! শয়তানের দলের যে লোকরা ইহুদী না হয়েও মিথ্যাভাবে নিজেদের ইহুদী বলে তাদের আমি তোমার পায়ের সামনে নিয়ে এসে প্রণাম করাব। আমি তাদের জানাবো যে আমি তোমাকে ভালবেসেছি। 10 কারণ ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করবার যে আদেশ আমি দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ। এই পৃথিবীবাসী লোকদের পরীক্ষার্থে সমস্ত জগতের ওপর যে মহাকষ্ট ঘনিয়ে আসছে, আমি তোমাকে সেই পরীক্ষার সময় নিরাপদেই রাখব। পৃথিবীর লোকদের পরীক্ষার জন্যই এই মহাকষ্ট আসবে।
11 “আমি শিগ্গির আসছি। তোমার যা আছে তা ধরে রাখ, যেমন চলছ তেমনি চলতে থাক, যেন কেউ তোমার বিজয়মুকুট কেড়ে নিতে না পারে। 12 যে বিজয়ী হয় তাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে একটি স্তম্ভ করব, আর তাকে কখনও সেই মন্দির থেকে বাইরে যেতে হবে না। তার ওপর আমি আমার ঈশ্বরের নাম আর আমার ঈশ্বরের নগরের নাম লিখব। সেই নগর হল নতুন জেরুশালেম। সেই নগর ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গ হতে নেমে আসছে। আমার নতুন নামও আমি তার ওপর লিখে দেব। 13 আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International