Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
10 হে আমার নারী, আমার কথা শোন।
খুব মন দিয়ে শোন, তাহলে তুমি বুঝতে পারবে।
নিজের লোকজন
এবং বাপের বাড়ীর কথা ভুলে যাও।
11 তাহলে রাজা তোমার রূপে খুশী হবেন।
তিনি তোমার নতুন প্রভু হবেন।
তাই তাঁকে তোমার সম্মান করা উচিৎ।
12 সোর প্রদেশের ধনী লোকরা, তোমার সাক্ষাৎ পাবার জন্য
তোমার কাছে মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিয়ে আসবে।
13 সোনার সুতো দিয়ে বোনা তাঁর পোশাকে
রাজকন্যাকে দেখতে মহিযসী লাগছে।
14 সেই সুন্দর পোশাক পরে যখন তিনি রাজার কাছে যাবেন
তখন রাজার সভা-নন্দিনীরা তাঁর পিছন পিছন যাবে।
15 নাচে, গানে, আনন্দে মশগুল হয়ে
তারা রাজপ্রাসাদের দিকে যাবে।
16 হে রাজা, আপনার পরে, রাজ্য শাসন করার জন্য
আপনি অনেক পুত্র সন্তান পাবেন। যাতে আপনার পরে তারা রাজ্য শাসন করতে পারে।
17 আমি আপনার নাম চিরদিনের জন্য বিখ্যাত করে যাবো।
লোকে চিরকাল আপনার প্রশংসা করে যাবে!
ইস্হাকের পরিবার
19 এবার ইস্হাকের কাহিনী। ইস্হাক নামে অব্রাহামের এক পুত্র ছিল। 20 যখন ইস্হাকের বয়স 40 হল তখন তিনি রিবিকাকে বিয়ে করলেন। রিবিকা ছিলেন পদ্দন্ অরাম অঞ্চলের মেয়ে। তাঁর পিতা বথুযেল এবং অরামীয় লাবন ছিলেন তাঁর ভাই। 21 ইস্হাকের স্ত্রীর সন্তানাদি হচ্ছিল না। তাই তিনি প্রভুর কাছে তাঁর স্ত্রীর জন্যে প্রার্থনা করলেন এবং প্রভু তাঁর প্রার্থনা শুনলে রিবিকা গর্ভবতী হলেন।
22 গর্ভবতী অবস্থায় রিবিকা যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন কারণ তাঁর গর্ভে দুটি শিশু একে অপরকে জোরে ঠেলাঠেলি করছিল। গর্ভস্থ শিশুর জন্যে রিবিকা অনেক কষ্ট পেতে থাকেন। তিনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে জানতে চাইলেন, “আমার কেন এমন হচ্ছে?” 23 প্রভু উত্তরে বললেন,
“তোমার গর্ভের মধ্যে
দুটি জাতি আছে।
তুমি দুই মহান বংশের শাসকদের জন্ম দেবে।
তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটবে।
এক পুত্রের অপেক্ষা অন্য পুত্র শক্তিশালী হবে।
ছোট পুত্রের সেবা করবে বড় পুত্র।”
24 যথাসময়ে রিবিকা দুটি যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন। 25 প্রথম সন্তানের গায়ের রং ছিল লাল। গায়ের ত্বক ছিল লোমশ বস্ত্রের মত। তাই তার নাম রাখা হল এষৌ। 26 তারপরে যখন দ্বিতীয় সন্তানটির জন্ম হল তখন তার শক্ত মুঠোর মধ্যে এষৌর পায়ের গোড়ালি ধরা ছিল। তাই তার নাম রাখা হল যাকোব। এষৌ এবং যাকোবের জন্মের সময় ইস্হাকের বয়স ছিল 60 বছর।
27 ছেলে দুটি বড় হতে লাগল। এষৌ হল একজন দক্ষ শিকারী। সে জঙ্গলে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসত। কিন্তু যাকোব ছিল শান্ত প্রকৃতির। সে তাঁবুতেই থাকত।
বিবাহের দৃষ্টান্ত
7 ভাই ও বোনেরা, তোমরা যখন মোশির বিধি ব্যবস্থা জান, তখন তোমরা নিশ্চয়ই জান যে মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিনই সে বিধি-ব্যবস্থার অধীনে থাকে। 2 তোমাদের কাছে একটা দৃষ্টান্ত দিই। একজন স্ত্রীলোক নিয়ম মত, যতদিন তার স্বামী বেঁচে থাকে ততদিন তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। স্বামী মারা গেলে সে বিয়ের বিধি-ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পায়। 3 কিন্তু সেই স্ত্রীলোক, তার স্বামী বেঁচে থাকতে যদি অপর পুরুষকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে। তার স্বামী যদি মারা যায়, তাহলে সে বিয়ের বিধি-ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে যায়; আর তখন সে যদি অন্য পুরুষকে বিয়ে করে তাহলে সে ব্যভিচারের দোষে দোষী হয় না।
4 অতএব আমার ভাই ও বোনেরা, খ্রীষ্টের দেহের মাধ্যমে সেইভাবেই তোমাদের পুরানো সত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে ও তোমরা বিধি-ব্যবস্থার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছ। মৃত্যু থেকে যিনি বেঁচে উঠেছেন এখন তোমরা তাঁরই হয়েছ। আমরা খ্রীষ্টের হয়েছি, যেন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ফল উৎপন্ন করতে পারি। 5 অতীতে আমরা মানবিক পাপ প্রকৃতি অনুসারে জীবনযাপন করছিলাম। বিধি-ব্যবস্থা পাপের যেসব প্রবৃত্তি জাগিয়ে তোলে সেগুলি আমাদের দেহে প্রবল ছিল। যার ফলে আমরা যা করতাম তা আমাদের কাছে আত্মিক মৃত্যু নিয়ে আসত। 6 অতীতে বিধি-ব্যবস্থা আমাদের বন্দী করে রেখেছিল, কিন্তু এখন আমাদের পুরানো সত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে এবং আমরা বিধি-ব্যবস্থার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছি। এখন আমরা নুতন ধারায় ঈশ্বরের সেবা করি, পুরানো লিখিত বিধি-ব্যবস্থার নির্দেশ অনুসারে নয় কিন্তু পবিত্র আত্মার নির্দেশে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International