Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
24 হে ঈশ্বর, আপনি অনেক বিস্ময়কর কাজ করেছেন।
আপনার সৃষ্ট জিনিসে এই পৃথিবী পূর্ণ।
আপনি যা কিছু করেন, তার মধ্যে আমরা আপনার প্রজ্ঞা দেখি।
25 সাগরের দিকে দেখ তা কত বড়!
সাগরের মধ্যে কত রকম ছোট
এবং বড় প্রাণীসমূহ আছে যা গোনা যায় না!
26 আপনার সৃষ্ট লিবিয়াথন যখন সমুদ্রে খেলা করে,
তখন জাহাজসমূহ সমুদ্র পারাপার করে।
27 ঈশ্বর, ওই সব জিনিসই আপনার ওপর নির্ভর করে।
যথাসময়ে আপনি ওদের খাদ্য দেন।
28 সব জীবন্ত প্রাণীকেই আপনি তাদের আহারের খাদ্য দেন।
ভালো ভালো খাবারে ভর্ত্তি করে আপনি আপনার করযুগল উন্মুক্ত করেন এবং তারা সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আহার করে যায়।
29 কিন্তু যখন আপনি ওদের থেকে বিমুখ হন ওরা ভয় পেয়ে যায়।
ওদের আত্মা ওদের ছেড়ে যায়, ওরা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মারা যায় এবং ওদের দেহ আবার ধূলোয় পরিণত হয়!
30 কিন্তু যখন আপনি আপনার আত্মাকে পাঠালেন, প্রভু, তখন ওরা আবার স্বাস্থ্যবান হল।
দেশটিকে আপনি আবার নতুন করে তোলেন!
31 প্রভুর মহিমা চিরদিন বিরাজ করুক!
ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন তা তিনি উপভোগ করুন।
32 প্রভু যদি একবার পৃথিবীর দিকে তাকান
পৃথিবী কেঁপে যাবে।
পর্বতকে তিনি স্পর্শ করলে
সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকবে।
33 আমার সারা জীবন আমি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গান গাইব।
যতক্ষণ আমি বেঁচে থাকবো, আমি প্রভুর প্রশংসা গীত গাইব।
34 আমি যা বলেছি, তা যেন ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে।
প্রভুর সঙ্গ লাভ করে আমি খুশী।
35 পাপ যেন পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
দুষ্ট লোকদের অস্তিত্ব যেন আর না থাকে।
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আবার দেশ পুনঃস্থাপন করবেন
18 তখন প্রভু তাঁর দেশের জন্য ঈর্ষাকাতর হবেন
এবং তাঁর লোকদের দয়া করবেন।
19 তখন প্রভু তাঁর লোকদের সঙ্গে কথা বললেন,
এবং বললেন, “আমি তোমাদের কাছে শস্য দ্রাক্ষারস ও অলিভ তেল পাঠাবো
এবং তোমরা প্রচুর পাবে ও তাতে তোমরা সন্তুষ্ট হবে।
আমি আর অন্য দেশকে তোমাদের কখনও অপমান করতে দেব না।
20 আমি উত্তর দেশীয় লোকদের তোমাদের কাছ থেকে বহু দূরে পাঠাব
এবং আমি তাদের শুষ্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে নির্বাসনে পাঠাব।
আমি তাদের কিছু লোককে পূর্বদিকের সমুদ্রে
এবং কিছু লোককে পশ্চিমের ভূমধ্যসাগরে পাঠাব।
তারা পচে যাবে
এবং তাদের পূর্ত্তিগন্ধ ওপরে উঠবে,
কারণ তারা অনেক ক্ষতি করেছে!”
ভূমিকে নবায়িত করা হবে
21 হে দেশ, ভয় কোরো না।
আনন্দ অনুষ্ঠান কর
কারণ প্রভু অনেক মহৎ কাজ করবেন।
22 মাঠের পশুরা ভয় পেয়ো না
কারণ প্রান্তরের ভূমিতে আবার ঘাস জন্মাবে।
গাছে আবার ফল ধরবে,
এবং ডুমুর ও দ্রাক্ষা গাছে আবার উত্তম ফল হবে।
23 সিয়োনের লোকরা তোমরা প্রভু ঈশ্বরেতে আনন্দ অনুষ্ঠান কর।
কারণ তিনি তাঁর উদারতার চিহ্ন হিসাবে বৃষ্টি বর্ষাবেন।
তা ছাড়াও তিনি আগের মতোই
তোমাদের আগে আগে বৃষ্টি ও শেষের দিকে বৃষ্টি দেবেন।
24 আর ঢেঁকির মেঝেগুলি শস্যে ভরে যাবে,
অলিভ তেলে ও দ্রাক্ষারসে পিপেগুলো ভরে উপচে পড়বে।
25 “আমি তোমাদের বিরুদ্ধে
যে সমস্ত ঝাঁকের পঙ্গপাল, লাফানে পঙ্গপাল,
ধ্বংসকারী পঙ্গপাল এবং কাটুরে পঙ্গপাল অর্থাৎ আমার মহা সৈন্যদের পাঠিয়েছিলাম
যারা সেই বছর তোমাদের শস্য ধ্বংস করেছে
তা আমি পরিশোধ করব।
26 তোমরা প্রচুর খাবার খেয়ে তৃপ্ত হবে
এবং প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের নামের প্রশংসা করবে।
কারণ তিনি তোমাদের জন্য চমৎকার অলৌকিক কাজ করেছেন।
প্রভু বলেন, আমার লোকরা আর কখনও লজ্জিত হবে না।
27 আর তোমরা জানবে যে আমি (প্রভু) ইস্রায়েলের মধ্যে বাস করি।
আমিই তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর
আর কোন ঈশ্বর নেই।
আমার লোকরা আর কখনও লজ্জিত হবে না।”
ঈশ্বর সমস্ত লোকদের তাঁর আত্মা দেবেন
28 “এখন থেকে আমি আমার আত্মা সবার মধ্যে ঢেলে দেব।
এর ফলে তোমাদের ছেলেমেয়েরা ভাববাণী বলবে।
বয়স্ক লোকরা স্বপ্ন দেখবে
আর তোমাদের কনিষ্ঠরা দর্শন পাবে।
29 আর সেই সময় আমি এমনকি,
তোমাদের দাসদাসীদের ওপরও আমার আত্মা ঢেলে দেব।
ভবিষ্যতে আমরা মহিমান্বিত হব
18 এখন আমরা দুঃখ ভোগ করছি; কিন্তু আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার সঙ্গে বর্তমান কালের এই দুঃখভোগ তুলনার যোগ্যই নয়। 19 বিশ্বসৃষ্টি ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে ঈশ্বর কবে তাঁর পুত্রদের প্রকাশ করবেন। সমগ্র বিশ্ব এর জন্য আকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে। 20 বিশ্ব সৃষ্টিকে তো ব্যর্থতার বন্ধনে বেঁধে রাখা হয়েছে যদিও তা তার নিজের ইচ্ছায় নয় কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায়, যিনি সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেছেন। 21 তবুও বিশ্বসৃষ্টির এই আশা রয়েছে যে সেও একদিন এই অবক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত হবে আর ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাময় স্বাধীনতার অংশীদার হবে।
22 আমরা জানি যে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি ব্যথায় আর্তনাদ করছে যেমন করে নারী সন্তান প্রসবের ব্যথা ভোগ করে। 23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি। 24 আমরা উদ্ধার পেয়েছি তাই আমাদের অন্তরে এই প্রত্যাশা রয়েছে। প্রত্যাশার বিষয় প্রত্যক্ষ হলে তা প্রত্যাশা নয়। যা পাওয়া হয়ে গেছে তার জন্য কে প্রত্যাশা করে?
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International