Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
114 ইস্রায়েল মিশর ত্যাগ করলো।
যাকোব সেই বিদেশ ত্যাগ করলো।
2 যিহূদা ঈশ্বরের বিশেষ মানুষ হলো।
ইস্রায়েল তাঁর রাজত্ব হলো।
3 এই দেখে লোহিতসাগর দৌড়ে পালিয়েছিলো।
যর্দন নদীও ঘুরে দৌড় দিয়েছিলো।
4 পর্বতগুলো বুনো ছাগলের মত নেচে উঠেছিলো।
পাহাড়গুলো মেষের মত নেচে উঠেছিলো।
5 লোহিতসাগর কেন তুমি ছুটে পালালে?
যর্দন নদী কেন তুমি ঘুরে দৌড় দিলে?
6 পর্বতমালা কেন তোমরা বুনো ছাগলের মত নাচলে?
পাহাড় সকল, কেন তোমরা মেষশাবকের মত নাচলে?
7 যাকোবের প্রভু, ঈশ্বরের সামনে, পৃথিবী কেঁপে গিয়েছিলো।
8 ঈশ্বর হলেন এমন একজন, যিনি পাথর থেকে জলকে প্রবাহিত করান।
ঈশ্বর শক্ত পাথর থেকে একটি জলধারা প্রবাহিত করেছিলেন।
ঈশ্বরের আহ্বান আর যোনার পলায়ন
1 প্রভু অমিত্তয়ের পুত্র যোনার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। প্রভু বলেছিলেন, 2 “নীনবী একটা বড় শহর। আমি শুনেছি, সেখানকার লোকরা নানা রকম খারাপ কাজকর্ম করছে। কাজেই সেই শহরে যাও এবং লোকদের বল তারা যেন সেই খারাপ কাজ করা বন্ধ করে।”
3 যোনা ঈশ্বরের আদেশ মানতে চাননি সেজন্য যোনা প্রভুর কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। যোনা যাফোতে গেলেন। যোনা সেখানে একটা নৌকা দেখতে পেয়েছিলেন যেটা অনেক দূরের শহর তর্শীশে যাচ্ছিল। যোনা নৌকাতে উঠে যাবার ভাড়া দিলেন। ঈশ্বরের কাছ থেকে পালিয়ে যাবার জন্য যোনা ঐ নৌকায় তর্শীশ পর্যন্ত ভ্রমন করতে চেয়েছিলেন।
ভারী ঝড়
4 কিন্তু প্রভু সমুদ্রে একটা বড় রকমের ঝড় আনলেন। বাতাস সমুদ্রকে খুবই রুক্ষ করে তুললো। ঝড়টা এতই শক্তিশালী ছিল যে নৌকাটি ভেঙে টুকরো টুকরো হবার উপক্রম হল। 5 ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোকরা নৌকাটিকে হাল্কা করতে চেষ্টা করল। সে জন্য তারা নৌকার মালগুলো ছুঁড়ে সমুদ্রে ফেলে দিতে আরম্ভ করল। মাঝিরা খুবই ভয় পেয়ে গেল। প্রত্যেকে তাদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে আরম্ভ করল।
যোনা নৌকার একেবারে পশ্চাদ্ভাগে চলে গেলেন এবং তিনি শুয়ে পড়লেন ও ঘুমোতে গেলেন। 6 নৌকার প্রধান মাঝি যোনাকে দেখতে পেল এবং বলল, “উঠে পড়ো! তুমি কেন ঘুমাচ্ছো? তুমি তোমার দেবতার কাছে প্রার্থনা করো! দেবতা হয়তো তোমার প্রার্থনা শুনবেন এবং আমাদের রক্ষা করবেন!”
এই ঝড়ের কারণ কি ছিল?
7 তখন লোকরা একে অপরকে বলল, “আমরা অবশ্যই ঘুঁটি চেলে জানতে চেষ্টা করব এই দুর্যোগগুলো কেন আমাদের ভাগ্যে ঘটছে।”
সে জন্য লোকে ঘুঁটি চালল এবং দেখা গেল, যোনার জন্যেই এই দুর্যোগগুলো ঘটছে। 8 তখন লোকরা যোনাকে বলল, “দেখ তোমার দোষেই এই ভয়ঙ্কর ঝড় আমাদের ভাগ্যে ঘটছে! সেজন্য আমাদের বল তুমি কি করেছো? তোমার পেশা কি? তুমি কোথা থেকে আসছো? তোমার দেশ কোথায়? তোমার লোকরা কারা?”
9 যোনা লোকদের বললেন, “আমি একজন ইব্রীয় (ইহূদী)। আমি প্রভু, স্বর্গের ঈশ্বরের উপাসনা করি, তিনি সেই ঈশ্বর যিনি সমুদ্র ও ভূমি সৃষ্টি করেছেন।”
10 যোনা লোক জনদের বললেন, তিনি প্রভুর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকরা এই কথা জেনে খুবই ভয় পেয়ে গেল। যোনাকে তখন তারা জিজ্ঞেস করল, “তুমি তোমার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কেন এমন ভয়ঙ্কর কাজ করেছ?”
11 বাতাস ও সমুদ্রের ঢেউ ক্রমশঃ শক্তিশালী হতে আরম্ভ করছিল। তাই লোকরা যোনাকে জিজ্ঞেস করল, “আমরা আমাদের রক্ষা করার জন্য কি করবো? সমুদ্রকে শান্ত করবার জন্য আমরা তোমার প্রতি কি করব?”
12 যোনা লোকদের বললেন, “আমি জানি আমি ভুল করেছি সেই জন্যই সমুদ্রে ঝড় এসেছে। আমাকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দাও। তাহলে সমুদ্র শান্ত হয়ে যাবে।”
13 কিন্তু লোকরা যোনাকে সমুদ্র ছুঁড়ে দিতে চাইল না। নৌকাটিকে তীরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু তারা সফল হল না। প্রচণ্ড বাতাস এবং উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগল!
যোনার শাস্তি
14 সেই জন্য লোকরা প্রভুর কাছে চিৎকার করে বলল, “প্রভু আমরা এই লোকটিকে তার খারাপ কাজের জন্য সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি। কাজেই দয়া করে বলবেন না যে আমরা এক নির্দোষ লোককে মেরে ফেলার জন্য দয়া করে আমাদের মেরে ফেলবেন না। আমরা জানি আপনি হচ্ছেন প্রভু, এবং আপনি যা চাইছেন তা সবকিছুই করতে পারেন। কিন্তু দয়া করে আপনি আমাদের প্রতি সদয় হোন।”
15 সেই জন্য লোকরা যোনাকে সমুদ্রে ফেলে দিল। ঝড় থেমে গেল—সমুদ্র আবার শান্ত হল! 16 লোকরা এই ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে গেল এবং তারা প্রভুকে খুব ভয় পেত। তারা প্রভুর নামে বিশেষ শপথ নিল এবং নৈবেদ্য উৎসর্গ করল।
17 আর প্রভু যোনাকে গিলে ফেলার জন্য একটা বড় মাছ ঠিক করে রেখেছিলেন। যোনা মাছের পেটের মধ্যে তিন দিন ও তিন রাত্রি রইলেন।
19 খ্রীষ্টের প্রতি প্রত্যাশা যদি শুধু এই জীবনের জন্যই হয়, তবে অন্য লোকদের চেয়ে আমাদের দশা শোচনীয় হবে।
20 কিন্তু সত্যিই খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, আর যেসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের মধ্যে প্রথম ফসল। 21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে যেমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে। 22 কারণ আদমে যেমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে। 23 কিন্তু প্রত্যেকে তার পালাক্রমে জীবিত হবে; খ্রীষ্ট, যিনি অগ্রনী, তিনি প্রথমে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হলেন, আর এরপর যারা খ্রীষ্টের লোক তারা তাঁর পুনরুত্থানের সময়ে জীবিত হয়ে উঠবে। 24 এরপর খ্রীষ্ট যখন প্রত্যেক শাসনকর্তার কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রমকে পরাস্ত করে পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্য সঁপে দেবেন তখন সমাপ্তি আসবে।
25 কারণ যতদিন না ঈশ্বর তাঁর সমস্ত শত্রুকে খ্রীষ্টের পদানত করছেন, ততদিন খ্রীষ্টকে রাজত্ব করতে হবে। 26 শেষ শত্রু হিসেবে মৃত্যুও ধ্বংস হবে। 27 কারণ, “ঈশ্বর সব কিছুই তাঁর অধীনস্থ করে তাঁর পায়ের তলায় রাখবেন।” যখন বলা হচ্ছে যে, “সব কিছু” তাঁর অধীনস্থ করা হয়েছে, তখন এটি স্পষ্ট যে ঈশ্বর নিজেকে বাদ দিয়ে সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ করেছেন। 28 সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ হলে পুত্র ঈশ্বরের অধীনস্থ হবেন। যেন ঈশ্বর, যিনি তাঁকে সব কিছুর ওপর কর্ত্তৃত্ব করতে দিয়েছেন, তিনিই সর্বেসর্বা হন।[a]
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International