Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
নূন
105 প্রভু, আপনার বাক্যগুলো
প্রদীপের মত আমার পথকে আলোকিত করে।
106 আপনার বিধিগুলো ভালো।
আমি সেগুলো পালন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
107 প্রভু দীর্ঘদিন ধরে আমি ভুগেছি।
দয়া করে আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমাকে আবার বাঁচতে দিন!
108 প্রভু আমার প্রশংসা গ্রহণ করুন
এবং আপনার বিধিগুলো শেখান।
109 আমার জীবন সর্বদাই সঙ্কটাপন্ন।
কিন্তু আমি আপনার শিক্ষাগুলো ভুলি নি।
110 দুষ্ট লোকরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলো।
কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞাগুলি অমান্য করিনি।
111 প্রভু, আমি চিরদিন আপনার চুক্তি অনুসরণ করবো।
এটা আমাকে ভীষণ খুশী করে।
112 আপনার বিধিগুলো পালন করার জন্য
আমি অবশ্যই সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
যোশিয় মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দিলেন
3 তাঁর রাজত্বের 18তম বছরে, যোশিয় মশুল্লমের পৌত্র ও অৎসলিয়ের পুত্র সচিব শাফনকে প্রভুর মন্দিরে পাঠিয়ে ছিলেন। 4 প্রধান যাজক হিল্কিয়কে লোকরা প্রভুর মন্দিরে যা প্রণামী দেয় তা সংগ্রহ করতে বলেন। তিনি বলেন, “দারোয়ানরা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে এই প্রণামী নিয়ে থাকে। 5 যাজকদের এই টাকা দিয়ে মিস্ত্রি ডেকে প্রভুর মন্দির সারানো উচিৎ। যাজক যেন অবশ্যই যে সমস্ত লোক প্রভুর মন্দির সারানোর কাজের তদারকি করবে, তাদের হাতে এইসব টাকাপয়সা তুলে দেন। 6 এই টাকা দিয়ে ছুতোর মিস্ত্রি, পাথর খোদাইকার, পাথর কাটিয়েদের মাইনে দেওয়া ছাড়াও যেন প্রয়োজন মতো মন্দির সারানোর কাঠ, পাথর ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনা হয়। 7 মিস্ত্রিদের গুণে টাকা পয়সা দেবার কোন দরকার নেই, কারণ ওরা সকলেই খুব বিশ্বাসী।”
মন্দিরে বিধিপুস্তক পাওয়া গেল
8 প্রধান যাজক হিল্কিয়, সচিব শাফনকে বললেন, “দেখো, আমি প্রভুর মন্দিরের ভেতরে বিধিপুস্তক খুঁজে পেয়েছি!” তিনি শাফনকে পুস্তকটি দিলে শাফন তা পড়ে দেখলেন।
9 অতঃপর সচিব শাফন গিয়ে রাজা যোশিয়কে মন্দির সম্পর্কিত সব কথাবার্তা বললেন। তিনি বললেন, “আপনার কর্মচারীরা মন্দিরের সমস্ত প্রণামী সংগ্রহ করে, প্রভুর মন্দির সংস্কারের জন্য তা যারা তদারকি করবে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।” 10 তখন সচিব শাফন রাজাকে বলল, “যাজক হিল্কিয়, আমাকে এই পুস্তকটি দিয়েছেন।” একথা বলে শাফন রাজাকে পুস্তকটি পড়ে শোনালেন।
11 বিধিপুস্তকে বর্ণিত কথা শুনে মহারাজ দুঃখ ও শোক প্রকাশের জন্য নিজের পরিধেয় পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। 12 তারপর তিনি যাজক হিল্কিয়, শাফনের পুত্র অহীকাম, মীখায়ের পুত্র অক্বোর, সচিব শাফন ও তাঁর নিজস্ব ভৃত্য অসায়কে ডেকে নির্দেশ দিলেন, 13 “আমার হয়ে, আমার প্রজাদের হয়ে, সমগ্র যিহূদার হয়ে প্রভুকে জিজ্ঞেস কর আমরা কি করব? খুঁজে পাওয়া এই বিধিপুস্তকের বাণী সম্পর্কেও তাঁকে প্রশ্ন করো। প্রভু আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন কারণ আমাদের পূর্বপুরুষরা এই বিধিপুস্তকের কথা আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা মেনে চলেন নি।”
যোশিয় এবং ভাববাদিনী হুল্দা
14 যাজক হিল্কিয়, অহীকাম, অক্বোর, শাফন আর অসায় তখন মহিলা ভাববাদিনী হুল্দার কাছে গেলেন। হুল্দা ছিলেন বস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধায়ক হর্হসের পৌত্র, তিক্বেরের পুত্র ও শল্লুমের স্ত্রী, দ্বিতীয় বিভাগে থাকতেন। তাঁরা সকলে জেরুশালেমের কাছেই হুল্দার কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বললেন।
15 হুল্দা তাঁদের জানালেন, “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলছেন: ‘তোমাকে আমার কাছে যে পাঠিয়েছে তাকে বল: 16 প্রভু বলছেন: আমি এই স্থান এবং এখানকার বাসিন্দাদের জীবনে দুর্যোগ ঘনিয়ে তুলছি। এই দুর্যোগের কথা, যিহূদার রাজা ইতিমধ্যেই যে বই পড়েছেন তাতে বর্ণিত আছে। 17 যিহূদার লোকরা আমায় ত্যাগ করে অন্য মূর্ত্তির সামনে ধুপধূনো দিয়েছে। তারা মূর্ত্তি পূজা করেছে। এসব করে আমায় ক্রুদ্ধ করে তুলেছে। আমি তাই এই জায়গার ওপর আমার ক্রোধ প্রকাশ করব। আগুনের শিখার মতো আমার ক্রোধাগ্নি কেউ নির্বাপিত করতে পারবে না!’
18-19 “যিহূদার রাজা যোশিয় তোমাদের প্রভুর কাছে পরামর্শ নিতে পাঠিয়েছেন, তাঁকে গিয়ে তোমরা প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলা যে সব কথা শুনলে তা জানাও। তোমরা সকলেই এখানে আর এখানকার লোকদের জীবনে কি ঘটতে চলেছে শুনলে। তোমাদের হৃদয় কোমল, আমি জানি এসব ভয়ঙ্কর কথা শুনে তোমাদের খুব খারাপ লেগেছে। তোমরা তোমাদের পোশাক ছিঁড়ে, কাঁদতে কাঁদতে শোকপ্রকাশ করেছ বলেই আমি তোমাদের কথা শুনেছি, প্রভু একথা বলেন। 20 ‘যাও, তোমরা সকলেই অন্তত শান্তিতে মরতে পারবে। প্রভু বলেছেন, তিনি জেরুশালেমে যে দুর্যোগ ঘনিয়ে তুলবেন তা তোমাদের দেখে যেতে হবে না।’”
তখন যাজক হিল্কিয়, অহীকাম, অক্বোর, শাফন আর অসায় রাজাকে গিয়ে এসব কথা জানালেন।
2 পূর্বেই ঈশ্বর যাদের তাঁর নিজের লোক বলে মনোনীত করেছিলেন তাদের তিনি দূরে সরিয়ে দেন নি। শাস্ত্রে এলিয় সম্বন্ধে কি বলে তোমরা কি জান না? এলিয় যখন ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, 3 তখন তিনি বললেন, “প্রভু তারা তোমার ভাববাদীদের হত্যা করেছে, তোমার সমস্ত যজ্ঞবেদী ধ্বংস করেছে। আমিই একমাত্র ভাববাদী এখনও জীবিত আছি আর লোকরা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছে।”(A) 4 কিন্তু ঈশ্বর তখন এলিয়কে কি উত্তর দিয়েছিলেন? ঈশ্বর বললেন, “এখনও আমার সাত হাজার লোককে বাঁচিয়ে রেখেছি, যারা আমার উপাসনা করে। এই সাত হাজার লোক বালের সামনে জানুপাত করে নি।”(B)
5 ঠিক সেই ভাবেই এখনও কিছু লোক আছে, ঈশ্বর যাদের নিজ অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন। 6 ঈশ্বর যদি তাঁর লোকদের অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন, তবে তাদের কৃতকর্মের ফলে তারা ঈশ্বরের লোক বলে গন্য হয় নি, কারণ তাই যদি হত তবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ হত না।
7 তবে ব্যাপারটি দাঁড়াল এই: ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চাইলেও সফলকাম হয় নি। কিন্তু ঈশ্বর যাদের মনোনীত করলেন, তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হল। বাকি ইস্রায়েলীয়রা তাদের অন্তঃকরণ কঠোর করে তুলল ও ঈশ্বরের কথা অমান্য করল।
8 শাস্ত্রে তাই লেখা আছে:
“ঈশ্বর তাদের এক জড়তার আত্মা দিয়েছেন।”(C)
“ঈশ্বর তাদের চক্ষু রুদ্ধ করেছেন, তাই তারা চোখে সত্য দেখতে পায় না।
ঈশ্বর তাদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন, তাই তারা কানে সত্য শুনতে পায় না,
এ কথা আজও সত্যি।”(D)
9 দায়ূদ এ সম্বন্ধে বলেছেন:
“তাদের ভোজ হোক্ ফাঁদের মতো, জালের মতো যা তাদের ধরে।
তাদের পতন হোক্ ও তারা দণ্ড ভোগ করুক্।
10 তাদের চোখ রুদ্ধ হয়ে যাক্ যাতে তারা দেখতে না
পায় আর তারা কষ্টের ভারে সর্বদা নুয়ে থাকুক।”(E)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International