Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
ঈশ্বরকে মেনে চলার কথা লোকদের বলতে হবে
58 যত জোরে পারো চিৎকার করো! নিজেকে থামিয়ো না।
শিঙার মতো চেঁচিয়ে ওঠো।
মানুষকে তাদের ভুল কাজের কথা বলে দাও।
যাকোবের পরিবারকে তাদের পাপের কথা জানিয়ে দাও!
2 তারা আমার খোঁজে প্রতিদিন আসে
এবং আমার পথ শিখতে চায়,
যেন তারা সঠিক পথের জাতি,
যারা তাদের ঈশ্বরের বিধি অনুসরণ করা বন্ধ করেনি।
তারা আমার কাছে তাদের ন্যায্য বিচার চায়।
তারা ঈশ্বরকে কাছে পাবার ইচ্ছা করে।
3 এখন তারা বলে, “আপনাকে সম্মান জানাতে, আমরা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আপনি কেন আমাদের দিকে তাকাচ্ছেন না? আমরা আপনাকে সম্মান জানাতে আমাদের শরীরকে আঘাত করছি। আপনি কেন আমাদের লক্ষ্য করছেন না?”
কিন্তু প্রভু বলেন, “উপবাসের দিনগুলিতে তোমরা তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো। এবং তোমরা তোমাদের ভৃত্যদের কষ্ট দাও; নিজের শরীরকে নয়। 4 তোমরা ক্ষুধার্ত, কিন্তু খাদ্যের জন্য নয়। তোমাদের খিদে তর্ক আর যুদ্ধ করার জন্য, রুটির জন্য নয়। তোমরা তোমাদের শয়তান হাত দিয়ে লোককে আঘাত করার জন্য ক্ষুধার্ত। তোমরা যখন খাওয়া বন্ধ করো সেটা আমার জন্য নয়। তোমরা আমার প্রশংসার জন্য তোমাদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করো না। 5 তোমরা কি মনে কর ঐসব বিশেষ দিনে আমি চাই তোমরা উপবাস করে নিজেদের শরীরকে কষ্ট দাও? তোমরা কি মনে কর, আমি তোমাদের দুঃখী দেখতে চাই? তোমরা কি মনে কর আমি তোমাদের একটি ঘাসের মত মাথা নোয়াতে চাই? তোমরা কি মনে কর আমি তোমাদের শোকবস্ত্র পরাতে চাই? তোমরা কি মনে কর যে আমি চাই লোকরা ছাইয়ের ওপরে বসে তাদের দুঃখ দেখাক? খাবার না খেয়ে তোমরা তোমাদের বিশেষ দিনে তাই করো। তোমরা কি ভাবো যে সত্যিই প্রভু এসব চান?
6 “আমি তোমাদের জানাবো কোন ধরণের বিশেষ দিন আমি চাই, এটা লোকদের মুক্ত করার দিন। আমি একটা দিন চাই যেদিন তোমরা লোকদের তাদের বোঝার ভার থেকে মুক্তি দেবে। আমি চাই একটা দিন, যে দিন তোমরা লোককে কষ্ট মুক্ত করবে। আমি চাই একটা দিন যেদিন তোমরা মানুষের বোঝা নামিয়ে দেবে। 7 আমি চাই তোমরা তোমাদের খাদ্য ভাগ করে নেবে ক্ষুধার্ত মানুষের সঙ্গে। আমি চাই তোমরা গৃহহীনদের খুঁজে নিজের ঘরে নিয়ে এসে রাখো। কোন মানুষকে বস্ত্রহীন দেখলে তাকে নিজের পোশাক দেবে। তারাও তোমাদের মত, তাদের দেখে নিজেকে লুকিয়ে রেখো না।”
8 তোমরা যদি এইসব করো তবে তোমাদের আলো ভোরের আলোর মতো কিরণ দিতে শুরু করবে। তখন তোমাদের সব ক্ষত নিরাময় হবে। তোমাদের “ধার্মিকতা” (ঈশ্বর) তোমাদের সামনে দিয়ে হাঁটবে, এবং প্রভুর মহিমা[a] তোমাদের পেছন পেছন চলবে। 9 তখন তোমরা প্রভুর সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারবে। প্রভু তোমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন! তোমরা প্রভুর জন্য চিৎকার করবে এবং তিনি বলবেন, “আমি এই খানে।”
তোমাদের উচিৎ অন্যের সমস্যা ও বোঝা বানানো বন্ধ করা। তোমাদের অন্যকে আঘাত করে বা দোষারোপ করে কথা বলা বন্ধ করা উচিৎ।
9 তখন তোমরা প্রভুর সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারবে। প্রভু তোমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন! তোমরা প্রভুর জন্য চিৎকার করবে এবং তিনি বলবেন, “আমি এই খানে।”
তোমাদের উচিৎ অন্যের সমস্যা ও বোঝা বানানো বন্ধ করা। তোমাদের অন্যকে আঘাত করে বা দোষারোপ করে কথা বলা বন্ধ করা উচিৎ। 10 ক্ষুধার্ত মানুষদের জন্য দুঃখী হয়ে তাদের খাদ্য দেওয়া উচিৎ। যারা সমস্যায় পড়েছে তাদের প্রয়োজন মতো তোমাদের সাহায্য করা উচিৎ। তাহলে অন্ধকারের মধ্যে তোমরা আলোর দিশা পাবে এবং তোমাদের কোন দুঃখ থাকবে না। দুপুরের সূর্যালোকের মতো উজ্জল হবে তোমরা।
11 প্রভু তোমাদের সর্বদা নেতৃত্ব দেবেন। শুকনো জমিতেও তিনি তোমাদের আত্মাকে সন্তুষ্ট করবেন। প্রভু তোমাদের হাড়কে শক্তি দেবেন। তোমরা যথেষ্ট জল পাওয়া বাগানের মতো। তোমরা হবে সর্বদা জলে ভরা ঝর্ণার মতো।
12 বহু বছর ধরে ধ্বংস হলেও তোমরা তোমাদের শহরগুলি পুর্নগঠন করবে এবং বহু বছর ধরে থেকে যাবে। তোমাদের বলা হবে “যারা বেড়া মেরামত করে” এবং “যারা রাস্তাসমূহ ও বাড়ীগুলি তৈরী করে।”
112 প্রভুর প্রশংসা কর!
সেই ব্যক্তি যে প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে সে খুব সুখী হবে।
সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের আজ্ঞা পছন্দ করে।
2 তার উত্তরপুরুষরা এই পৃথিবীতে মহৎ হবে।
সৎ লোকদের উত্তরপুরুষরা সত্যিকারের ধন্য হবে।
3 সেই ব্যক্তির পরিবার প্রচণ্ড ধনী হবে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
4 সৎ লোকদের কাছে ঈশ্বর অন্ধকারে প্রতিভাত একটি আলোর মত।
ঈশ্বর দয়াময়, ক্ষমাশীল এবং ভালো।
5 একজন ব্যক্তির পক্ষে দয়ালু এবং উদার হওয়া ভালো।
একজন ব্যক্তির পক্ষে তার কর্মে সৎ থাকা ভালো।
6 সেই ব্যক্তির কোনদিন পতন হবে না।
একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে চিরদিন স্মরণ করা হবে।
7 সে দুঃসংবাদে ভীত হবে না।
সে তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় কেননা সে প্রভুতে আস্থা রাখে।
8 সেই ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে দৃঢ়।
সে কখনও ভয় পাবে না, সুতরাং সে তার শত্রুদের পরাজিত করবে।
9 সেই ব্যক্তি দরিদ্রদের মুক্তহস্থে দান করে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
সে বিরাট সম্মান পাবে।
10 দুষ্ট লোকরা এইসব দেখে রেগে যায়।
ওরা রাগে দাঁত কড়মড় করতে থাকে কিন্তু তারপর ওরা অদৃশ্য হয়ে যায়।
যা সব থেকে বেশী করে দুষ্ট লোকরা চায় তা ওরা পাবে না।
ক্রুশের ওপর খ্রীষ্ট বিষয়ে বার্তা
2 আমার ভাই ও বোনেরা, যখন আমি তোমাদের কাছে গিয়ে ঈশ্বরের সত্য প্রচার করেছিলাম, তখন আমি তা অলঙ্কারযুক্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত ভাষায় প্রচার করি নি। 2 কারণ আমি স্থির করেছিলাম যে কেবল যীশু খ্রীষ্ট এবং ক্রুশের ওপর তাঁর মৃত্যুর কথাই তোমাদের জানাবো। 3 আমি তোমাদের কাছে দুর্বলের মতো হয়ে কাঁপতে কাঁপতে গিয়েছিলাম। 4 তাই আমার শিক্ষা ও আমার প্রচার প্ররোচনামূলক জ্ঞানের কথায় ভরা ছিল না, বরং আমার শিক্ষাগুলিতে আত্মার শক্তির প্রমাণ ছিল, 5 যাতে তোমাদের বিশ্বাস যেন মানুষের জ্ঞানের ওপর নির্ভর না করে ঈশ্বরের শক্তির উপর নির্ভর করে।
ঈশ্বরের জ্ঞান
6 কিন্তু তবু আমরা পরিপক্কদের কাছে জ্ঞানের কথা বলি, সেই জ্ঞান পার্থিব জ্ঞানের মতো নয়, তা এই যুগের শাসকদের জ্ঞানের মতো নয়, সেই শাসকরা তো শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। 7 কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বে ঈশ্বরের জ্ঞানের কথা বলি। সেই জ্ঞান গুপ্ত ছিল এবং ঈশ্বর আমাদের মহিমান্বিত করবেন বলে এবিষয় সৃষ্টির পূর্বেই স্থির করে রেখেছিলেন। 8 এই যুগের শাসকদের মধ্যে কেউ তা বোঝেনি, যদি বুঝত তবে তারা কখনও মহিমাপূর্ণ প্রভুকে ক্রুশে বিদ্ধ করত না। 9 কিন্তু শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে:
“ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে,
তাদের জন্য তিনি যা প্রস্তুত করেছেন,
কোন মানুষ তা কখনও চোখে দেখেনি,
কানে শোনেনি, এমন কি কল্পনাও করেনি।”(A)
10 কিন্তু আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁর আত্মার দ্বারা তা প্রকাশ করেছেন।
কারণ আত্মা সব কিছুর অনুসন্ধান করেন, এমন কি ঈশ্বরের নিগূঢ় তত্ত্বের অনুসন্ধান করেন। 11 বিষয়টি এই রকম: কোন মানুষ অপরে কি চিন্তা করছে তা জানে না। কেবল সেই ব্যক্তির আত্মা, যে তার অন্তরে থাকে সেই জানে। তেমনি ঈশ্বর কি চিন্তা করেন তা কেউ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন। 12 আমরা জগতের আত্মাকে গ্রহণ করি নি কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে যে আত্মা এসেছেন তাঁকেই আমরা পেয়েছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহ করে আমাদের যা যা দান করেছেন তা জানতে পারি।
13 সেই সব বিষয়ে বলতে গিয়ে আমরা মানবিক জ্ঞানের শিক্ষানুরূপ কথায় নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার শিক্ষানুসারে বলেছি, আত্মিক বিষয় বোঝাতে আত্মিক কথাই ব্যবহার করছি। 14 যার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা নেই সে আত্মা থেকে যে বিষয়গুলি আসে তা গ্রহণ করতে পারে না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা। যে ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মা নেই সে আত্মিক কথা বুঝতে পারে না, কারণ সেই বিষয়গুলি কেবল, আত্মিকভাবেই বিচার করা যায়। 15 কিন্তু আত্মিক ব্যক্তি সকল বিষয়ে বিচার করতে পারে। অন্য কেউ তার সম্বন্ধে বিচার করতে পারে না। কারণ শাস্ত্র বলছে:
16 “কে প্রভুর মন জেনেছে,
যে তাঁকে নির্দেশ দিতে পারে?”(A)
কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
তোমরা লবন এবং আলোর মতো
(মার্ক 9:50; 4:21; লূক 14:34-35; 8:16)
13 “তোমরা পৃথিবীর লবন, কিন্তু লবন যদি তার নিজের স্বাদ হারায় তবে কেমন করে তা আবার নোন্তা করা যাবে? তখন তা আর কোন কাজে লাগে না। তা কেবল বাইরে ফেলে দেওয়া হয় আর লোকরা তা মাড়িয়ে যায়।
14 “তোমরা জগতের আলো, পাহাড়ের ওপরে কোন শহর, যা কখনও লুকানো যায় না। 15 বাতি জ্বেলে কেউ পাত্রের নীচে রাখে না, তা বাতিদানের ওপরেই রাখে আর তা ঘরের সকলকে আলো দেয়। 16 তেমনি তোমাদের আলোও লোকদের সামনে উজ্জ্বল হোক্, যেন তারা তোমাদের সৎকাজ দেখে তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করে।
পুরাতন নিয়ম সম্বন্ধে যীশুর বক্তব্য
17 “ভেবো না যে আমি মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষা ধ্বংস করতে এসেছি। আমি তা ধ্বংস করতে আসিনি বরং তা পূর্ণ করতেই এসেছি। 18 আমি তোমাদের সত্যি বলছি আকাশ ও পৃথিবীর লোপ না হওয়া পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থার বিন্দু বিসর্গও লোপ হবে না, বিধি-ব্যবস্থার সবই পূর্ণ হবে।
19 “তাই কেউ যদি এইসব আদেশের মধ্যে অতি সামান্য আদেশও অমান্য করে আর অপরকে তা করতে শিক্ষা দেয়, তবে সে স্বর্গরাজ্যে সব থেকে তুচ্ছ বলে গন্য হবে। কিন্তু যারা বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ও অপরকে তা পালন করতে শিক্ষা দেয়, তারা স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গন্য হবে। 20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিকতা যদি উন্নত মানের না হয় তবে তোমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International