Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
দায়ূদের একটি গীত।
29 হে ঈশ্বরের সন্তানরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর শক্তি এবং মহিমার প্রশংসা কর।
2 প্রভুর প্রশংসা কর এবং তাঁর নামের সম্মান কর!
তোমরা পবিত্র বস্ত্র পরে তাঁর উপাসনা কর।
3 প্রভুর রব সমুদ্রের এপার থেকে ওপারে শোনা যায়।
মহিমান্বিত ঈশ্বরের রব মহাসমুদ্রের বজ্রধ্বনির মত।
4 প্রভুর রব তাঁর শক্তি ঘোষণা করে।
প্রভুর রব তাঁর মহিমা প্রকাশ করে।
5 প্রভুর রব বিরাট বড় এরস গাছদের ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়।
প্রভু লিবানোনের এরস গাছ ভেঙে দিয়েছেন।
6 প্রভু লিবানোনকে প্রকম্পিত করেছেন এবং দেখে মনে হয় যেন একটি বাচ্চা বাছুর নাচছে।
শিরিয়োণ[a] প্রকম্পিত হচ্ছে, দেখে মনে হয় যেন একটা বাচ্চা ছাগল লাফাচ্ছে।
7 বিদ্যুতের চমক দিয়ে প্রভুর রব বাতাসকে কেটে কেটে দিচ্ছে।
8 প্রভুর রব মরুভূমিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
প্রভুর রবে কাদেশ মরুভূমি কেঁপে উঠছে।
9 প্রভুর রব দেবদারু গাছকে কাঁপিয়ে দেয়।
প্রভু বনস্থলী ধ্বংস করেন।
কিন্তু তাঁর পবিত্র মন্দিরে, লোকে তাঁর মহিমার গান গায়।
10 প্লাবনের সময় প্রভুই ছিলেন রাজা
এবং চিরদিনের জন্য প্রভুই রাজা থাকবেন।
11 প্রভু তাঁর লোকদের শক্তি দেন।
তিনি তাঁর লোকেদের শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
3 শমূয়েল ইস্রায়েলীয়দের বলল, “যদি তোমরা সত্যিই মনে প্রাণে প্রভুর কাছে ফিরে আসো তাহলে ভিন-দেশী অন্যান্য মূর্ত্তিকে অবশ্যই তোমাদের ফেলে দিতে হবে। অষ্টারোতের সমস্ত মূর্ত্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। প্রভুর সেবায় অবশ্যই তোমাদের সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। তোমাদের শুধু মাত্র প্রভুরই সেবা করতে হবে। তাহলেই তিনি তোমাদের পলেষ্টীয়দের হাত থেকে রক্ষা করবেন।”
4 একথা শুনে ইস্রায়েলীয়রা বাল এবং অষ্টারোতের মূর্ত্তি ফেলে দিয়ে কেবলমাত্র প্রভুরই সেবা করতে লাগল।
5 শমূয়েল বলল, “সমস্ত ইস্রায়েলীয়কে মিস্পায় জমায়েত হতে হবে। আমি তোমাদের জন্য প্রভু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব।”
6 ইস্রায়েলীয়রা মিস্পায় সমবেত হল। তারা জল তুলল এবং সেটা প্রভুর সামনে ঢেলে দিল। এইভাবে তারা উপবাস কাল শুরু করল। সেই দিন তারা কোন খাদ্য গ্রহণ না করে সমস্ত পাপ স্বীকার করল। তারা বলল, “আমরা প্রভুর কাছে পাপ করেছি।” এইভাবে মিস্পায় ইস্রায়েলীয়দের বিচারক হিসেবে শমূয়েল কাজ করতে লাগল।
7 পলেষ্টীয়রা জানতে পারল ইস্রায়েলীয়দের মিস্পায় সমবেত হবার খবর। ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে পলেষ্টীয় শাসকরা যুদ্ধ করতে গেল। পলেষ্টীয়দের আসার সংবাদে ইস্রায়েলীয়রা ভয় পেয়ে গেল। 8 ইস্রায়েলীয়রা শমূয়েলকে বলল, “আমাদের জন্য, আমাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো, থেমো না! তাঁকে বলো, হে প্রভু পলেষ্টীয়দের হাত থেকে আমাদের বাঁচান!”
9 শমূয়েল একটা মেষশাবক নিয়ে এল। প্রভুকে সে এই মেষটি একটি সম্পূর্ণ হোমবলি হিসাবে নিবেদন করল। ইস্রায়েলের জন্য শমূয়েল প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে লাগল। প্রভু সেই প্রার্থনায় সাড়া দিলেন। 10 শমূয়েল যখন মেষটি পোড়াচ্ছিল, সেই সময় পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এল। আর তখন প্রভু পলেষ্টীয়দের দিকে প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত করলেন। এতে তারা হতবুদ্ধি হয়ে পড়ল। ভয় পেয়ে গেল। ওদের নেতারাই ওদের সামলাতে পারল না। তাই যুদ্ধে ইস্রায়েলীয়রা পলেষ্টীয়দের হারিয়ে দিল। 11 মিস্পা থেকে বেরিয়ে ইস্রায়েলীয়রা পলেষ্টীয়দের তাড়া করল। বৈৎ-কর পর্যন্ত সারাটা রাস্তা তাড়িয়ে নিয়ে গেল। আর সমস্ত পলেষ্টীয় সৈন্যদের ওরা পথে মেরে ফেলল।
ইস্রায়েলে শান্তি এল
12 এরপর শমূয়েল একটা বিশেষ ধরণের প্রস্তর স্থাপন করল। উদ্দেশ্য, লোকরা যাতে প্রভুর কর্মকাণ্ড ভুলে না যায়। পাথরটা রইল মিস্পা এবং সেন এর মাঝখানে। শমূয়েল পাথরটির নাম দিল “সাহায্যের পাথর।” সে বলল, “প্রভু সমস্ত রাস্তা ঘুরে আমাদের এখানে আসতে সাহায্য করেছেন!”
13 পলেষ্টীয়রা হেরে গেল। তারা আর ইস্রায়েলে ঢুকল না। শমূয়েলের বাকি জীবনে প্রভু পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে ছিলেন। 14 পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলের কিছু শহর দখল করেছিল। তারা ইক্রোণ থেকে গাৎ পর্যন্ত সমস্ত শহর নিয়ে নিয়েছিল। সে সব ইস্রায়েলীয়রা আবার ফিরে পেল। এই শহরগুলোর চারপাশের ভূখণ্ডগুলিও তারা জিতে নিল।
ইস্রায়েল এবং ইমোরীয়দের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হল।
15 শমূয়েল সারাজীবন ধরে ইস্রায়েলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। 16 নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে সে ইস্রায়েলীয়দের বিচার করত। প্রত্যেক বছর সে সারা দেশ ঘুরত। বৈথেল, গিল্গাল, আর মিস্পা এইসব জায়গায় গিয়ে ইস্রায়েলের লোকের শাসন ও বিচার করত। 17 শমূয়েলের বাড়ী ছিল রামাতে। তাই প্রত্যেকবার তাকে রামায় ফিরে যেতে হত। ঐ শহর থেকেই সে ইস্রায়েল শাসন করত, বিচারের কাজকর্ম চালাত। রামায় শমূয়েল প্রভুর উদ্দেশ্যে একটা বেদী তৈরী করেছিল।
19 এরপর কিছু খাওয়া-দাওয়া করে সবল হলেন।
দম্মেশকে শৌলের প্রচার কার্য্য
তিনি কিছুদিন দম্মেশেকে অনুগামীদের সঙ্গে থাকলেন। 20 এরপর তিনি সরাসরি সমাজ-গৃহে গিয়ে যীশুর কথা প্রচার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, “এই যীশুই হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।”
21 তার কথা শুনে সকলে আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “একি, সেই লোক নয় যে জেরুশালেমে যাঁরা যীশুর নামে বিশ্বাস করত তাদের ধ্বংস করত? আর এখানে সে যীশুর অনুগামীদের গ্রেপ্তার করে প্রধান যাজকের কাছে নিয়ে যাবার জন্য কি আসে নি?”
22 কিন্তু শৌল ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, আর দম্মেশকে যে সব ইহুদী বাস করত, শৌল তর্কে তাদের নীরব করে দিলেন, তিনি প্রমাণ দিতে থাকলেন যে যীশুই খ্রীষ্ট।
শৌল ইহুদীদের থেকে মুক্ত
23 বেশ কিছু দিন পর ইহুদীরা শৌলকে হত্যা করার চক্রান্ত করতে লাগল। 24 কিন্তু শৌল তাদের চক্রান্ত জানতে পারলেন। ইহুদীরা তাকে হত্যা করার জন্য শহরের প্রধান ফটকগুলির ওপর দিন রাত নজর রাখতে লাগল। 25 কিন্তু যারা শৌলের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছিল, তারা শৌলকে শহর ত্যাগ করতে সাহায্য করল। তারা শৌলকে একটা ঝুড়িতে রেখে শহরের প্রাচীরের এক গর্ত দিয়ে ঝুড়িশুদ্ধ শৌলকে বাইরে নামিয়ে দিল।
জেরুশালেমে শৌল
26 এরপর শৌল জেরুশালেমে গেলেন। সেখানে তিনি যীশুর অনুগামীদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন; কিন্তু তাঁরা সকলে তাঁকে ভয় করলেন। তাঁরা বিশ্বাস করতে চাইলেন না যে তিনি সত্যিকার যীশুর অনুগামী হয়েছেন। 27 কিন্তু বার্ণবা শৌলকে গ্রহণ করে তাঁকে নিয়ে প্রেরিতদের কাছে গেলেন। দম্মেশকের পথে শৌল কিভাবে যীশুর দেখা পেয়েছেন ও প্রভু যীশু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আর কিভাবে তিনি দম্মেশকে সাহসের সঙ্গে যীশুর নাম প্রচার করেছেন, সেসব কথা তাদের সবিস্তারে জানালেন।
28 শৌল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সঙ্গে জেরুশালেমে থাকতেন, তিনি সেখানে সব জায়গায় গিয়ে সাহসের সঙ্গে প্রভুর নাম প্রচার করতেন। 29 তিনি গ্রীকভাষী ইহুদীদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন বলে তারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করতে লাগল। 30 ভাইরা সে কথা জানতে পেরে তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন ও সেখান থেকে তার্ষে পাঠিয়ে দিলেন।
31 সেই সময় যিহূদিয়া, গালীল ও শমরিয়ায় বিশ্বাসী মণ্ডলীগুলিতে শান্তি বিরাজ করছিল। বিশ্বাসীরা প্রভুর ভয়ে জীবনযাপন করত ও পবিত্র আত্মায় উৎসাহিত হত; এর ফলে দলটি শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং ক্রমে ক্রমে সংখ্যায় বৃদ্ধিলাভ করতে লাগল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International