Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
ঈশ্বর যিরমিয়কে ডাকলেন
4 যিরমিয়ের কাছে প্রভুর বার্তা পৌঁছালো।
5 প্রভুর বার্তা ছিল এই রূপ:
“তোমাকে আমি তোমার মাতৃগর্ভে রূপ দেবার আগেই জানতাম।
তোমার জন্মের আগে থেকেই
আমি তোমাকে একটি বিশেষ কাজের জন্য নির্বাচন করে রেখেছিলাম।
আমি তোমাকে জাতিসমূহের ভাববাদী হিসেবে মনোনীত করেছিলাম।”
6 যিরমিয় তখন বললেন, “কিন্তু প্রভু সর্বশক্তিমান, আমি তো কথাই বলতে জানি না। আমি একজন বালক মাত্র।”
7 কিন্তু প্রভু আমাকে বললেন,
“নিজেকে বালক বলো না,
যেখানে আমি তোমাকে পাঠাবো সেখানেই তোমাকে যেতে হবে।
আমি তোমাকে যা যা বলতে বলব তুমি কেবল তাই-ই বলবে।
8 কাউকে কখনও ভয় পাবে না।
আমি সব সময় তোমার সঙ্গেই আছি এবং আমিই তোমাকে রক্ষা করবো।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
9 তারপর প্রভু তাঁর বাহু প্রসারিত করে আমার ঠোঁট স্পর্শ করে বললেন,
“যিরমিয়, আমি আমার শব্দ তোমার ঠোঁটে স্থাপন করলাম।
10 আজ থেকে আমি তোমাকে এই জাতিগুলির এবং রাজ্যগুলির ভার দিলাম।
তুমি তাদের উৎপাটন করবে এবং তাদের ছিঁড়ে ফেলে দেবে।
তুমি তাদের ধ্বংস করবে এবং ক্ষমতাচ্যুত করবে।
তুমিই সৃষ্টি করবে এবং বপণ করবে।”
71 হে প্রভু, আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি,
তাই আমি কখনও হতাশ হব না।
2 আপনার ধার্ম্মিকতা দিয়ে আপনি আমায় রক্ষা করবেন।
আপনিই আমায় উদ্ধার করবেন। আমার কথা শুনুন, আমায় রক্ষা করুন।
3 আপনি আমার দুর্গ হোন,
সেই গৃহ হোন যেখানে আমি নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে পারি।
আপনিই আমার শিলা এবং আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
তাই আমাকে রক্ষার আজ্ঞা দিন।
4 হে আমার ঈশ্বর, আমায় দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষা করুন।
নৃশংস ও মন্দ লোকেদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
5 আমার জন্মের সময় থেকে আমি আপনার যত্নে ছিলাম।
আমার জন্মের সময় থেকে আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
6 এমনকি আমার জন্মের আগে থেকেই আমি আপনার ওপর নির্ভর করেছি।
আমি যখন মাতৃগর্ভে ছিলাম তখনও আমি আপনার ওপর আস্থা রেখেছি।
সর্বদাই আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
ভালবাসা শ্রেষ্ঠ বরদান
13 আর এখন আমি তোমাদের এসবের থেকে আরো উৎকৃষ্ট একটা পথ দেখাব। আমি যদি বিভিন্ন মানুষের ভাষা, এমনকি স্বর্গদূতদের ভাষাও বলি কিন্তু আমার মধ্যে যদি ভালবাসা না থাকে, তবে আমি জোরে বাজানো ঘন্টা বা ঝনঝন করা করতালের আওয়াজের মতো। 2 আমি যদি ভাববাণী বলার ক্ষমতা পাই, ঈশ্বরের সব নিগূঢ়তত্ত্ব ভালভাবে বুঝি এবং সব ঐশ্বরিক জ্ঞান লাভ করি, আমার যদি এমন বড় বিশ্বাস থাকে যার শক্তিতে আমি পাহাড় পর্যন্ত টলাতে পারি, অথচ আমার মধ্যে যদি ভালবাসা না থাকে তবে এসব থাকা সত্ত্বেও আমি কিছুই নয়। 3 আমি যদি আমার যথা সর্বস্ব দিয়ে দরিদ্রদের মুখে অন্ন যোগাই, যদি আমার দেহকে আহুতি দেবার জন্য আগুনে সঁপে দিই,
4 কিন্তু যদি আমার মধ্যে ভালবাসা না থাকে, তাহলে আমার কিছুই লাভ নেই। ভালবাসা ধৈর্য্য ধরে, ভালবাসা দয়া করে, ভালবাসা ঈর্ষা করে না, অহঙ্কার বা গর্ব করে না। 5 ভালবাসা কোন অভদ্র আচরণ করে না। ভালবাসা স্বার্থ-সিদ্ধির চেষ্টা করে না, কখনও রেগে ওঠে না, অপরের অন্যায় আচরণ মনে রাখে না। 6 ভালবাসা কোন মন্দ বিষয় নিয়ে আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে আনন্দ করে। 7 ভালবাসা সব কিছুই সহ্য করে, সব কিছু বিশ্বাস করে, সব কিছুতেই প্রত্যাশা রাখে, সবই ধৈর্য্যের সঙ্গে গ্রহণ করে।
8 ভালবাসার কোন শেষ নেই। কিন্তু ভাববাণী বলার ক্ষমতা যদি থাকে তো লোপ পাবে। যদি অপরের ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা থাকে, তবে তাও একদিন শেষ হবে। যদি জ্ঞান থাকে, তবে তাও একদিন লোপ পাবে। 9 এসব কিছুর পরিসমাপ্তি ঘটবে কারণ আমাদের যে জ্ঞান ও ভাববাণী বলার ক্ষমতা তা অসম্পূর্ণ। 10 কিন্তু যখন সম্পূর্ণ সিদ্ধ বিষয় আসবে, তখন যা অসম্পূর্ণ ও সীমিত সে সব লোপ পেয়ে যাবে।
11 আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর মতো কথা বলতাম, শিশুর মতোই চিন্তা করতাম, ও শিশুর মতোই বিচার করতাম। এখন আমি পরিণত মানুষ হয়েছি, তাই শৈশবের বিষয়গুলি ত্যাগ করেছি। 12 এখন আমরা আয়নায় আবছা দেখছি; কিন্তু সেই সময় সরাসরি পরিষ্কার দেখব। এখন আমার জ্ঞান সীমিত, কিন্তু তখন আমি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারব, ঠিক যেমন ঈশ্বর এখন আমাকে সম্পূর্ণভাবে জানেন। 13 এখন এই তিনটি বিষয় আছে: বিশ্বাস, প্রত্যাশা ও ভালবাসা; আর এদের মধ্যে ভালবাসাই শ্রেষ্ঠ।
21 তখন তিনি তাদের বললেন, “শাস্ত্রের এই কথা যা তোমরা শুনলে তা আজ পূর্ণ হল।”
22 সকলেই তাঁর খুব প্রশংসা করল, তাঁর মুখে অপূর্ব সব কথা শুনে তারা আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “এ কি যোষেফের ছেলে নয়?”
23 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা নিশ্চয়ই আমার বিষয়ে প্রচলিত প্রবাদটি বলবে, ‘চিকিৎসক, আগে নিজেকে সুস্থ কর। কফরনাহূমে যে সমস্ত কাজ করেছ বলে আমরা শুনেছি সে সব এখন এখানে নিজের গ্রামেও কর দেখি!’” 24 তারপর যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কোন ভাববাদী তাঁর নিজের গ্রামে গ্রাহ্য হন না।
25-26 “সত্যি বলতে কি এলিয়র সময়ে যখন সাড়ে তিন বছর ধরে আকাশ রুদ্ধ ছিল এবং সারা দেশে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ চলছিল, সেই সময ইস্রায়েল দেশে অনেক বিধবা ছিল। কিন্তু তাদের কারো কাছে এলিয়কে পাঠানো হয় নি, কেবল সীদোন প্রদেশে সারিফতে সেই বিধবার কাছেই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল।
27 “আবার ভাববাদী ইলীশায়ের সময়ে ইস্রায়েল দেশে অনেক কুষ্ঠরোগী ছিল, কিন্তু তাদের কেউ সুস্থ হয় নি, কেবল সুরীয় নামান সুস্থ হয়েছিল।”
28 এই কথা শুনে সমাজ-গৃহের সমস্ত লোক রেগে আগুন হয়ে গেল। 29 তারা উঠে যীশুকে নগরের বাইরে বার করে দিল আর নগরটি যে পাহাড়ের ওপর ছিল তার শেষ প্রান্তে তাঁকে ঠেলে নিয়ে গেল, যেন পাহাড়ের চূড়া থেকে তাঁকে নীচে ফেলে দিতে পারে। 30 কিন্তু তিনি তাদের মাঝখান দিয়ে চলে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International