Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
বৈৎলেহমে মশীহ জন্মাবেন
2 কিন্তু বৈৎলেহম-ইফ্রাথা,
তুমি যিহূদার সবচেয়ে ছোট শহর।
তোমার পরিবার গোনার পক্ষে খুবই ছোট।
কিন্তু আমার জন্যে “ইস্রায়েলের শাসক” তোমার মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে।
তার উৎপত্তি প্রাচীনকাল থেকে
বহু প্রাচীনকাল থেকে।
3 অতএব যতদিন না ঐ স্ত্রীলোকটি তার শিশু,
প্রতিশ্রুত রাজাকে জন্ম দেয় ততদিন প্রভু তাঁর লোকদের ছেড়ে দেবেন।
তাদের বাকি ভাইরা
ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে ফিরে আসবে।
4 তারপর ইস্রায়েলের শাসক প্রভুর শক্তির ওপর
এবং প্রভু, তার ঈশ্বরের চমৎকার নামের ওপর নির্ভর করবে ও তার মেষের পালকে খাওয়াবে।
সেখানে শান্তি থাকবে।
কারণ সেই সময়ে তাঁর মহিমা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছবে।
5 সেখানে শান্তি বিরাজ করবে।
হ্যাঁ, অশূরীয় সৈন্যরা আমাদের দেশ আক্রমণ করবে
এবং আমাদের দূর্গগুলিকে পদদলিত করবে।
কিন্তু ইস্রায়েলের শাসক সাতজন মেষপালক
ও আটজন নেতা মনোনীত করবেন।
মরিয়ম ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন
46 তখন মরিয়ম বললেন,
47 “আমার আত্মা প্রভুর প্রশংসা করছে,
আর আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরকে পেয়ে আনন্দিত।
48 কারণ তাঁর এই তুচ্ছ দাসীর দিকে
তিনি মুখ তুলে চেয়েছেন।
হ্যাঁ, এখন থেকে সকলেই
আমাকে ধন্যা বলবে।
49 কারণ সেই একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার জীবনে কত না মহত্ কাজ করেছেন।
পবিত্র তাঁর নাম।
50 আর যাঁরা বংশানুক্রমে তাঁর উপাসনা করে
তিনি তাদের দয়া করেন।
51 তাঁর বাহুর যে পরাক্রম, তা তিনি দেখিয়েছেন।
যাদের মন অহঙ্কার ও দম্ভপূর্ণ চিন্তায় ভরা, তাদের তিনি ছিন্নভিন্ন করে দেন।
52 তিনিই শাসকদের সিংহাসনচ্যুত করেন,
যারা নতনম্র তাদের উন্নত করেন।
53 ক্ষুধার্তকে তিনি উত্তম দ্রব্য দিয়ে তৃপ্ত করেন;
আর বিত্তবানকে নিঃস্ব করে বিদায় করেন।
54 তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলকে সাহায্য করতে এসেছেন।
55 যেমন তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তেমনই করবেন।
অব্রাহাম ও তাঁর বংশের লোকদের চিরকাল দয়া করার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “চুক্তির লিলিফুল” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।
80 হে ইস্রায়েলের মেষপালক, আমার কথা শুনুন।
আপনি যোষেফের লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
করূব দূতের ওপর আপনি রাজার মত বসেন।
আপনাকে আমাদের দেখতে দিন।
2 হে ইস্রায়েলের মেষপালক ইফ্রয়িম, বিন্যামীন এবং মনঃশির প্রতি আপনার মহত্ব প্রদর্শন করুন।
আপনি এসে আমাদের রক্ষা করুন।
3 ঈশ্বর, পুনর্বার আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন!
4 প্রভু, হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, কখন আপনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন?
আপনি কি চিরদিনের মত আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে থাকবেন?
5 খাদ্য হিসেবে আপনার লোকদের আপনি চোখের জল দিয়েছেন।
আপনার লোকদের আপনি তাদেরই চোখের জলে ভর্ত্তি গামলা দিয়েছেন।
সেটাই ছিল তাদের পানীয় জল।
6 আমাদের শত্রুদের জন্য আপনি আমাদের ঝগড়ার কারণ হবার লক্ষ্য বানিয়েছেন
এবং শত্রুরা আমাদের বিদ্রূপ করে।
7 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, পুনরায় আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন।
5 সেইজন্যই খ্রীষ্ট এ জগতে আসার সময় বলেছিলেন:
“তুমি বলিদান ও নৈবেদ্য চাও নি,
কিন্তু আমার জন্য এক দেহ প্রস্তুত করেছ।
6 তুমি হোমে ও পাপার্থক বলিদান
উৎসর্গে প্রীত নও।
7 এরপর তিনি বললেন, ‘এই আমি!
শাস্ত্রে আমার বিষয়ে যেমন লেখা আছে, হে ঈশ্বর দেখ,
আমি তোমার ইচ্ছা পূর্ণ করতেই এসেছি।’”(A)
8 প্রথমে তিনি বললেন, “বলিদান, নৈবেদ্য, হোমবলি ও পাপার্থক বলি তুমি চাও নি; আর তাতে তুমি প্রীত হও নি।” (যদিও সেইসব বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে উৎসর্গ করা হয়।) 9 এরপর তিনি বললেন, “দেখো, আমি তোমার ইচ্ছা পালন করবার জন্যই এসেছি।” তিনি দ্বিতীয়টি প্রবর্তন করার জন্য প্রথমটিকে বাতিল করতে এসেছেন। 10 ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারেই তিনি এই কাজ সমাপ্ত করেছেন। এইজন্যই খ্রীষ্ট তাঁর দেহ একবারেই চিরকালের জন্য উৎসর্গ করেছেন যাতে আমরা চিরকালের জন্য পবিত্র হই।
সখরিয় ও ইলীশাবেতের সঙ্গে মরিয়মের সাক্ষাৎ
39 তখন মরিয়ম উঠে তাড়াতাড়ি করে যিহূদার পার্বত্য অঞ্চলের একটি নগরে গেলেন। 40 সেখানে সখরিয়র বাড়িতে গিয়ে ইলীশাবেতকে অভিবাদন জানালেন। 41 ইলীশাবেৎ যখন মরিয়মের সেই অভিবাদন শুনলেন, তখনই তাঁর গর্ভের সন্তানটি আনন্দে নেচে উঠল; আর ইলীশাবেৎ পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হলেন।
42 এরপর তিনি খুব জোরে জোরে বলতে লাগলেন, “সমস্ত স্ত্রীলোকের মধ্যে তুমি ধন্যা, আর তোমার গর্ভে যে সন্তান আছেন তিনি ধন্য। 43 কিন্তু আমার প্রভুর মা যে আমার কাছে এসেছেন, এমন সৌভাগ্য আমার কি করে হল? 44 কারণ যে মুহূর্তে তোমার কন্ঠস্বর আমি শুনলাম, আমার গর্ভের শিশুটি তখনই নড়ে উঠল। 45 আর তুমি ধন্যা, কারণ তুমি বিশ্বাস করেছ যে প্রভু তোমায় যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে।”
মরিয়ম ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন
46 তখন মরিয়ম বললেন,
47 “আমার আত্মা প্রভুর প্রশংসা করছে,
আর আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরকে পেয়ে আনন্দিত।
48 কারণ তাঁর এই তুচ্ছ দাসীর দিকে
তিনি মুখ তুলে চেয়েছেন।
হ্যাঁ, এখন থেকে সকলেই
আমাকে ধন্যা বলবে।
49 কারণ সেই একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার জীবনে কত না মহত্ কাজ করেছেন।
পবিত্র তাঁর নাম।
50 আর যাঁরা বংশানুক্রমে তাঁর উপাসনা করে
তিনি তাদের দয়া করেন।
51 তাঁর বাহুর যে পরাক্রম, তা তিনি দেখিয়েছেন।
যাদের মন অহঙ্কার ও দম্ভপূর্ণ চিন্তায় ভরা, তাদের তিনি ছিন্নভিন্ন করে দেন।
52 তিনিই শাসকদের সিংহাসনচ্যুত করেন,
যারা নতনম্র তাদের উন্নত করেন।
53 ক্ষুধার্তকে তিনি উত্তম দ্রব্য দিয়ে তৃপ্ত করেন;
আর বিত্তবানকে নিঃস্ব করে বিদায় করেন।
54 তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলকে সাহায্য করতে এসেছেন।
55 যেমন তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তেমনই করবেন।
অব্রাহাম ও তাঁর বংশের লোকদের চিরকাল দয়া করার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International