Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের রচিত একটি গীত।
124 যদি প্রভু আমাদের দিকে না থাকতেন তাহলে কি হতে পারত?
হে ইস্রায়েল, আমাকে উত্তর দাও।
2 যখন লোকে আমাদের আক্রমণ করেছিলো,
তখন যদি প্রভু আমাদের দিকে না থাকতেন তাহলে কি অবস্থা হত?
3 যখন আমাদের শত্রুরা আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলো,
তখন হয়তো তারা আমাদের জ্যান্ত গিলে ফেলত।
4 আমাদের শত্রুরা আমাদের বন্যার মত ধুয়ে দিয়ে যেতো,
নদীর মত ডুবিয়ে দিয়ে যেতো।
5 ঐ গর্বিত লোকরা মুখের ওপর ছাড়িযে যাওয়া জলের মত হত
এবং আমাদের ডুবিয়ে দিত।
6 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমাদের শত্রুদের হাতে, আমাদের ধরা পড়তে ও হত হতে দেন নি।
7 আমরা সেই পাখির মত, যে জালে জড়িয়ে পড়েও পালিয়ে গিয়েছিলো।
জাল ছিঁড়ে গেল এবং আমরা পালিয়ে গেলাম।
8 প্রভুর কাছ থেকে আমাদের সাহায্য আসে।
প্রভুই স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
বাণী বষ্টী রাজাকে অমান্য করলেন
1 মহারাজ অহশ্বেরশের রাজত্বকালে এই ঘটনা ঘটেছিল। অহশ্বেরশ ভারতবর্ষ থেকে কূশ দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত 127 টি প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন। 2 তাঁর রাজধানী শূশনের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি সাম্রাজ্য শাসন করতেন।
3 রাজা অহশ্বেরশের রাজত্বের তৃতীয় বছরে তিনি তাঁর আধিকারিক ও নেতাদের জন্য একটি ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন। পারস্য ও মাদিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও প্রশাসকরা সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। 4 এই ভোজসভা একটানা 180 দিন ধরে চলেছিল। সেই সময়, রাজা অহশ্বেরশ সবাইকে তাঁর সাম্রাজ্যের বিপুল সম্পদ, তাঁর রাজপ্রাসাদের রাজকীয় সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্য প্রদর্শন করেছিলেন। 5 এই 180 দিন শেষ হবার পর তিনি তাঁর প্রাসাদের ভেতরের বাগানে সাতদিন ব্যাপী আরো একটি ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন। রাজধানী শূশনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ লোক সকলকেই সেই ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। 6 প্রাসাদের ভেতরের বাগানে সাদা ও নীল রঙের দামী লিনেন কাপড়ের চাঁদোয়া টাঙ্গানো ছিল। শ্বেতপাথরের স্তম্ভে রূপোর আংটায় লিনেনের সাদা ও বেগুনী কাপড়ের দড়ি দিয়ে সেগুলি ঝোলানো হয়। বহুমূল্য পাথর, যেমন মুক্তো, শ্বেতপাথর এবং অন্যান্য পাথর খচিত মেঝেতে বসানো ছিল সোনা ও রূপোর তৈরী কেদারা। 7 সোনার পানপাত্রে দ্রাক্ষারস পরিবেশন করা হত। এই পানপাত্রগুলি ছিল বিভিন্ন আকারের। রাজা অহশ্বেরশ খুবই বদান্য ছিলেন বলে সেখানে সুরার প্রাচুর্য ছিল। 8 অহশ্বেরশ খুবই উদার প্রকৃতির ছিলেন। তিনি দ্রাক্ষারসবাহক ভৃত্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, অতিথিদের যেন তাদের পছন্দ মতো দ্রাক্ষারস পরিবেশন করা হয়। আর তাঁর পরিবেশকরাও রাজাজ্ঞা অনুযায়ী অঢেল পরিমাণ দ্রাক্ষারস পরিবেশন করেছিল।
9 একই সময়, রাণী বষ্টীও রাজপ্রাসাদে মহিলাদের জন্য একটি আলাদা ভোজসভার ব্যবস্থা করেছিলেন।
10-11 ভোজসভার সপ্তম দিনে দ্রাক্ষারস পান করবার পর প্রফুল্ল মনে রাজা অহশ্বেরশ, মহূমন, বিস্থা, হর্বোণা, বিগ্থা, অবগথ, সেথর, কর্ক্কস প্রমুখ সাত জন পরিবেশনকারী নপুংসককে আদেশ করলেন রাণী বষ্টীকে সম্রাজ্ঞীর মুকুট পরিয়ে সেখানে নিয়ে আসতে। তিনি চাইছিলেন সভায় উপস্থিত গণ্যমান্য অতিথিদের রাণী বষ্টী তাঁর সৌন্দর্য প্রদর্শন করুন। কারণ রানী বষ্টী ছিলেন খুবই সুন্দরী।
12 কিন্তু রাজার ভৃত্যরা গিয়ে যখন রাণীকে তাঁর আদেশের কথা জানালো, তিনি রাজার সভায় আসতে রাজী হলেন না। এর ফলে রাজা খুবই ক্রুদ্ধ হলেন। 13-14 প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, রাজা বিধি ও শাস্তি সম্পর্কে বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। কর্শনা, শেথর, অদ্মাখা, তর্শীশ, মেরস, মর্সনা, মমূখন প্রমুখ এই সাত জন পরামর্শদাতা ছিলেন রাজার খুবই ঘনিষ্ঠ এবং পারস্য ও মাদিয়ার সর্বাপেক্ষা উচ্চপদস্থ আধিকারিকবর্গ। 15 রাজা তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “বিধি অনুযায়ী রাণী বষ্টীকে কি শাস্তি দেওয়া যেতে পারে? কারণ রাজা অহশ্বেরশের যে আদেশ নপুংসক ভৃত্যরা তাঁর কাছে নিয়ে গিয়েছিল তা তিনি পালন করেন নি।”
16 তখন আধিকারিক মমূখন অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাজাকে বললেন: “রাণী বষ্টী রাজার প্রতি অন্যায় করেছেন এবং রাজা অহশ্বেরশের সাম্রাজ্যের সমস্ত রাজ্যের সকল নেতা ও লোকদের প্রতি অন্যায় করেছেন। 17 কারণ সাম্রাজ্যের অন্যান্য নারীরা এই ঘটনার কথা জানার পর, তারাও তাদের স্বামীদের নির্দেশ অমান্য করবে। আর তখন প্রশ্ন করলে তারা সকলেই রাণী বষ্টীর দৃষ্টান্ত দিয়ে বলবে, ‘রাজা অহশ্বেরশের রানী বষ্টীকে তাঁর সামনে আসতে আদেশ করেছিলেন কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেছিলেন।’
18 “পারস্য ও মাদিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্ত্রীরা রাণীর এই ব্যবহার স্বচক্ষে দেখলেন। এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁরাও এবার রাজার আধিকারিকদের সঙ্গে এই একই ব্যবহার করবেন এবং ফলতঃ গৃহবিবাদ ও অশান্তির সূচনা হবে।
19 “সুতরাং মহারাজ যদি ইচ্ছা করেন তবে আমার পরামর্শ: রাজার নামে এবং পারস্য ও মাদিয়ার রাজার শাসনমতে একথা লেখা হোক্, ‘বষ্টী যেন আর কখনও রাজাকে নিজের মুখ না দেখান।’ বষ্টী যেন আর কখনও এই প্রাসাদে পা না রাখেন এবং রাজা তাঁর রাণীর পদ কোন যোগ্যতর নারীকে দেন। 20 রাজার এই আদেশ যখন তাঁর সুবিস্তৃত সাম্রাজ্যে ঘোষণা করা হবে একমাত্র তখনই সবচেয়ে গণ্যমান্য থেকে একেবারে তুচ্ছ সমস্ত মহিলারা তাদের স্বামীকে শ্রদ্ধা করবে।”
21 রাজা অহশ্বেরশ এবং তাঁর আধিকারিকদের এই উপদেশ পছন্দ হল। তাই রাজা মমূখনের উপদেশ অনুযায়ীই কাজ করলেন।
13 পিতর ও যোহনের নির্ভীকতা দেখে ও তাঁরা যে লেখাপড়া না জানা সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পেরে পর্ষদ আশ্চর্য হয়ে গেল। তখন তারা বুঝতে পারল যে পিতর ও যোহন যীশুর সঙ্গে ছিলেন। 14 যে লোকটি সুস্থ হয়েছিল, সে পিতর ও যোহনের সঙ্গে আছে দেখে পর্ষদ কিছুই বলতে পারল না।
15 তারা পিতর ও যোহনকে সভাকক্ষ থেকে বাইরে যেতে বলল। তাঁরা বাইরে গেলে নেতৃবর্গ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, 16 “এই লোকদের নিয়ে কি করা যায়? কারণ এটা ঠিক যে ওরা যে উল্লেখযোগ্য অলৌকিক কাজ করেছে তা জেরুশালেমের সকল লোক জেনে গেছে; আর আমরাও একথা অস্বীকার করতে পারি না। 17 কিন্তু একথা যেন লোকদের মধ্যে আর না ছড়ায়়, তাই এস আমরা এদের ভয় দেখিয়ে সাবধান করে দিই, যেন এই লোকের নামের বিষয় উল্লেখ করে তারা কোন কথা না বলে।”
18 তাই তারা পিতর ও যোহনকে আবার ভেতরে ডাকল; আর যীশুর নামে কোন কিছু বলতে বা শিক্ষা দিতে নিষেধ করল। 19 কিন্তু পিতর ও যোহন এর উত্তরে তাদের বললেন, “আপনারাই বিচার করুন, ঈশ্বরের বাক্যকে অমান্য করা বা আপনাদের বাধ্য থাকা কোনটি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সঠিক হবে? 20 কারণ আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি তা না বলে থাকতে পারব না।”
21-22 এরপর তারা পিতর ও যোহনকে আরো কিছুক্ষণ শাসিয়ে ছেড়ে দিল। তারা ওঁদের শাস্তি দেবার মতো কোন কিছুই পেল না, কারণ যা ঘটেছিল তা দেখে সব লোক ঈশ্বরের প্রশংসা করছিল। আর যে লোকটির ওপর আরোগ্যদানের এই অলৌকিক কাজ হয়েছিল, তার বয়স চল্লিশের ওপর ছিল।
বিশ্বাসীদের কাছে পিতর ও যোহনের প্রত্যাবর্তন
23 পিতর ও যোহন ছাড়া পেয়ে নিজের লোকদের কাছে ফিরে গেলেন, আর প্রধান যাজকগণ ও ইহুদী নেতারা তাঁদের যা যা বলেছিলেন, সে সব কথা তাঁদের বললেন। 24 একথা শুনে বিশ্বাসীরা সকলে সমবেত কণ্ঠে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এই প্রার্থনা জানাল, “প্রভু, আকাশমণ্ডল, পৃথিবী, সমুদ্র আর এসবের মধ্যে যা কিছু আছে সে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা তুমিই। 25 তুমি তোমার দাস, আমাদের পিতৃপুরুষ দায়ূদের মুখ দিয়ে পবিত্র আত্মার দ্বারা বলেছ:
‘জাতিবৃন্দ কেন ক্রুদ্ধ হল?
কেনই বা লোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অসার পরিকল্পনা করল?
26 ‘জগতের রাজারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল,
আর শাসকরা প্রভু ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তাঁর খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে এক হল।’(A)
27 হ্যাঁ, এই শহরেই তোমার পবিত্র দাস যীশুর বিরুদ্ধে, যাকে তুমি অভিষিক্ত করেছ তাঁর বিরুদ্ধে হেরোদ, পন্তীয়, পীলাত, ইহুদীরা ও অইহুদীরা এক হয়েছিল। 28 তোমার শক্তিতে ও তোমার ইচ্ছায় পূর্বেই যা ঘটবে বলে তুমি ঠিক করেছিলে, সেই কাজ করতেই তারা একত্র হয়েছিল। 29 আর এখন, হে প্রভু, তাদের এই শাসানি তুমি শোন। প্রভু, আমরা তোমার দাস; তোমার এই দাসদের সাহসের সঙ্গে তোমার কথা বলবার ক্ষমতা দাও। 30 লোককে সুস্থ করে দেবার জন্য তোমার হাত তুমি বাড়িয়ে দাও; তোমার পবিত্র দাস যীশুর নামে যেন অলৌকিক ও আশ্চর্য সব কাজ সম্পন্ন হয়।”
31 সেই বিশ্বাসীরা প্রার্থনা শেষ করলে, তাঁরা যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন সেই জায়গা কেঁপে উঠল। তাঁরা সকলে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন আর অসীম সাহসে ঈশ্বরের কথা বলতে লাগলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International