Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
22 ধনী হওয়ার চেয়ে সম্মানিত হওয়া শ্রেয়। সোনা ও রূপোর চেয়ে সুনাম অর্জন করা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
2 গরীব এবং ধনীর মধ্যে কোন বিভেদ নেই। সবাই সমান, প্রভুই তাদের তৈরী করেছেন।
8 যে সমস্যার বীজ বোনে সে সমস্যারই ফসল তোলে। এবং পরিশেষে অন্যদের সমস্যায় ফেলার জন্য তার নিজেরই বিনাশ হয়।
9 যে মুক্তহস্তে দান করে তার কপালে আশীর্বাদ জোটে। সে আশীর্বাদ-ধন্য হবে কারণ সে তার নিজের খাবার গরীবদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছিল।
— 1 —
22 দরিদ্রের কাছ থেকে জিনিস চুরি করা সহজ। কিন্তু তা করো না এবং আদালতে দীনহীনের কাছ থেকে কোন সুবিধা উপভোগ করো না। 23 প্রভু গরীবদের পক্ষে রয়েছেন। প্রভু তাদের সমর্থন করেন। সুতরাং কেউ গরীবদের কিছু নিলে প্রভু তা আবার ছিনিয়ে নেন।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
125 যে লোকরা প্রভুতে আস্থা রাখে তারা সিয়োন পর্বতের মত হবে।
তারা কখনই কাঁপবে না
এবং তারা চিরদিন অব্যাহত থাকবে।
2 জেরুশালেমের চারদিকেই পর্বত রয়েছে এবং প্রভু তাঁর লোকদের চারদিকে রয়েছেন।
তাঁর লোককে তিনি চিরদিন রক্ষা করবেন।
3 দুষ্ট লোকরা ভাল লোকদের দেশকে চিরদিন শাসন করবে না।
যদি তাই হত তাহলে সৎ লোকরাও হয়তো মন্দ কাজ করা শুরু করতো।
4 হে প্রভু, ভাল ও সৎ লোকদের প্রতি ভালো ব্যবহার করুন।
শুদ্ধ হৃদয়ের লোকদের প্রতি সৎ ব্যবহার করুন।
5 মন্দ লোকরা মন্দ কাজকর্ম করে।
প্রভু ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দেবেন।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক!
সবাইকে ভালবাসো
2 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা আমাদের মহিমাময় প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না। 2 মনে কর কোন ব্যক্তি হাতে সোনার আংটি ও পরনে দামী পোশাক পরে তোমাদের সভায় এল। সেই সময় একজন গরীব লোকও ময়লা পোশাক পরে সেখানে এল। 3 যদি তোমরা সেই দামী পোশাক পরা মানুষটির দিকে বিশেষ নজর দিয়ে বল, “এই ভাল চেয়ারে বসুন,” আর সেই গবীর লোকটিকে বল, “তুমি ওখানে দাঁড়াও,” কিংবা “তুমি আমার এই পায়ের কাছে মাটিতে বস,” 4 তাহলে তোমরা কি করছ? এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনকে কি বেশী সম্মানের পাত্র বলে বিচার করছ না? তোমরা কি মন্দ মাপকাঠিতে লোকের বিচার করছ না?
5 আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা শোন, সংসারে যারা গরীব, ঈশ্বর কি তাদের বিশ্বাসে ধনী হবার জন্য মনোনীত করেন নি? যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে তাদের যে রাজ্য দেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই রাজ্যের অধিকারী হবার জন্য এই গরীব লোকদের কি তিনি বেছে নেন নি? 6 কিন্তু তোমরা সেই গরীব লোকটিকে কোন সম্মান দিলে না। ধনীরাই কি তোমাদের দাবিয়ে রাখে না? তারাই কি তোমাদের আদালতে টেনে নিয়ে যায় না? 7 যে উত্তম নাম (যীশু) তোমাদের কাছে কীর্ত্তিত হয়েছে, তোমরা যাঁর আপনজন, ধনীরাই কি সেই সম্মানিত নামের নিন্দা করে না?
8 সমস্ত বিধি-ব্যবস্থার উর্দ্ধে একটি বিধি আছে। এই রাজকীয় ব্যবস্থাটি শাস্ত্রে রয়েছে: “তোমরা প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালবাসবে।”(A) তোমরা যদি সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর তবে ভালই করছ। 9 কিন্তু তোমরা যদি কারোর প্রতি পক্ষপাতিত্ব কর তবে তোমরা পাপ করছ, আর এই রাজকীয় ব্যবস্থা তোমাদের ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা ভঙ্গকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করবে।
10 কেউ যদি সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে ও তার মধ্যে কেবল যদি একটি ব্যবস্থা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে সে সমস্ত ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়।
11 ঈশ্বর বলেছেন, “ব্যভিচার করো না।”(A) আবার তিনিই বলেছেন, “নরহত্যা করো না।”(B) এবার তুমি যদি ব্যভিচার না করে নরহত্যা কর, তাহলেও তুমি একজন ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা ভঙ্গকারী।
12 যে ব্যবস্থা তোমাদের স্বাধীন করেছে তারই দ্বারা তোমাদের বিচার হবে, সুতরাং তোমরা যে কোন কাজ করার আগে ও কথা বলার পূর্বে এইসব স্মরণ কর। 13 তোমাদের উচিত অপরের প্রতি দয়া করা। যে কারও প্রতি দয়া করে নি, ঈশ্বরের কাছ থেকে সে বিচারের সময় দয়া পাবে না। কিন্তু যে দয়া করেছে সে বিচারের সময় নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারবে।
বিশ্বাস ও সৎ কর্ম
14 আমার ভাই ও বোনেরা, যদি কেউ বলে আমার বিশ্বাস আছে, অথচ সে সেই অনুসারে কোন কাজ না করে, তা হলে তার বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই। সেই বিশ্বাস কি তাকে রক্ষা করতে পারবে? কখনই না। 15 ধর, কোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ভাই বা বোনের অন্ন বস্ত্রের অভাব আছে, 16 এই অবস্থায় তাকে কোন সাহায্য না করে তোমরা যদি মুখে বল, “ঈশ্বর তোমার সহায় হোন, খেয়ে পরে থাক।” কিন্তু তার উপকার করতে ঐ প্রয়োজনীয় দ্রব্য না দাও তবে ঐসব কথার কি মূল্য আছে? 17 ঠিক সেইভাবে বিশ্বাস অনুযায়ী যদি কোন কাজ না হয় তবে সে বিশ্বাস মৃত বলেই গন্য হয়। সেই বিশ্বাস শুধু বিশ্বাসই, তার বেশী কিছু নয়।
যীশু একটি অইহুদী স্ত্রীলোককে সাহায্য করলেন
(মথি 15:21-28)
24 পরে তিনি সেই স্থান ছেড়ে সোর অঞ্চলে গিয়ে সেখানে একটা বাড়িতে ঢুকলেন, আর তিনি যে সেখানে এসেছেন সেটা গোপন রাখতে চাইলেন: কিন্তু পারলেন না। 25 যীশুর আসার কথা শুনে একটি স্ত্রীলোক, যার মেয়ের ওপর অশুচি আত্মা ভর করেছিল, সে সঙ্গে সঙ্গে এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। 26 স্ত্রীলোকটি ছিল জাতিতে গ্রীক, সুরফৈনীকী। সে মিনতি করে যীশুকে বলল যেন তিনি তার মেয়ের ভেতর থেকে ভূতকে তাড়িয়ে দেন।
27 তিনি স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “প্রথমে ছেলেমেয়েরা তৃপ্ত হোক্, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরকে খাওয়ানো ঠিক নয়।”
28 তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “প্রভু এটা সত্য; কিন্তু কুকুররাও তো খাবার টেবিলের নীচে ছেলেমেয়েদের ফেলে দেওয়া খাবারের টুকরোগুলো খেতে পায়।”
29 তখন তিনি তাকে বললেন, “তুমি ভালোই বলেছ, বাড়ি যাও, গিয়ে দেখ ভূত তোমার মেয়েকে ছেড়ে চলে গেছে।”
30 তখন সে বাড়ি গিয়ে দেখতে পেল, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে আছে এবং ভূত তার মধ্য থেকে বেরিয়ে গেছে।
এক বধিরের আরোগ্যলাভ
31 পরে তিনি সোর থেকে সীদোন হয়ে দিকাপলি অঞ্চলের ভেতর দিয়ে গালীল হ্রদের কাছে ফিরে এলেন। 32 তখন কিছু লোক একটা বোবা কালাকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে তার ওপর হাত রাখতে মিনতি করল।
33 তিনি তাকে ভীড়ের মধ্যে থেকে এক পাশে এনে তার দুই কানে নিজের আঙ্গুল দিলেন। তারপর থুথু ফেলে তার জিভ ছুঁলেন। 34 আর স্বর্গের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “ইপফাথা!” যার অর্থ “খুলে যাক!” 35 সঙ্গে সঙ্গে লোকটি কানে শুনতে পেল, তার জিভের জড়তা কেটে গেল আর সে ভালভাবেই কথা বলতে লাগল।
36 পরে তিনি তাদের একথা আর কাউকে বলতে নিষেধ করলেন; কিন্তু তিনি যতই বারণ করলেন ততই তারা আরো বেশী করে বলতে লাগল। 37 যীশুর এই কাজ দেখে তারা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে গিয়ে বলল, “তিনি যা কিছু করেন তা অপূর্ব। তিনি কালাকে শোনার শক্তি, বোবাকে কথা বলার শক্তি দেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International