Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
135 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নামের প্রশংসা কর!
হে প্রভুর দাসগণ, তাঁর প্রশংসা কর!
2 তোমরা যারা প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে আছো,
আমাদের ঈশ্বরের মন্দিরের আঙিনায়, তারা তাঁর প্রশংসা কর।
3 প্রভুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি ভালো।
তাঁর নামের প্রশংসা কর, কারণ তা অত্যন্ত মনোরম।
4 প্রভু যাকোবকে মনোনীত করেছেন।
ইস্রায়েল ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত।
5 আমি জানি প্রভু মহান!
আমাদের প্রভু সব দেবতাদের চেয়ে মহান!
6 স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, সমুদ্র বা গভীর মহাসাগরে
ঈশ্বর যা চান তাই করতে পারেন।
7 ঈশ্বরই, সারা পৃথিবীতে মেঘ সৃষ্টি করেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ সৃষ্টি করেন
এবং ঈশ্বরই বাতাস সৃষ্টি করেন।
8 ঈশ্বর, মিশরবাসীদের প্রথম সন্তান এবং সেখানকার পশুদের প্রথম শাবককে ধ্বংস করেছিলেন।
9 ঈশ্বর, মিশরে অনেক চমৎকার ও অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
এমনকি ফরৌণ এবং তার আধিকারিকদের জন্যও ঈশ্বর এইসব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর অনেক জাতিকে পরাজিত করেছিলেন।
অনেক শক্তিশালী রাজাকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
11 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
বাশনের রাজা ওগকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
কনানের সব রাজ্যগুলিকে ঈশ্বর পরাস্ত করেছিলেন।
12 এবং তাদের ভূখণ্ডগুলি প্রভু ইস্রায়েলকে দিয়েছেন।
তাদের ভূখণ্ড প্রভু তাঁর লোকদের দিয়েছেন।
13 প্রভু আপনার নাম চিরদিন ধরে বিখ্যাত থাকবে!
প্রভু মানুষ আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে।
14 প্রভু জাতিগুলিকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
কিন্তু প্রভু তাঁর সেবকদের প্রতি সদয় ছিলেন।
15 অন্যান্য লোকদের দেবতারা শুধুই সোনা ও রূপোর মূর্ত্তি।
ওদের দেবতারা নিছকই মানুষের হাতের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
16 ওই মূর্ত্তিগুলোর মুখ ছিলো কিন্তু কথা বলতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগুলোর চোখ ছিলো কিন্তু দেখতে পেতো না।
17 ওই মূর্ত্তিগুলোর কান ছিলো কিন্তু শুনতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগূলোর নাক ছিলো কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারতো না।
18 যে লোকগুলো ওই মূর্ত্তিগুলো তৈরী করেছে তারাও ওই রকম হয়ে যাবে!
কেন? কারণ ওরা বিশ্বাস করে যে মূর্ত্তিগুলোই ওদের সাহায্য করবে।
19 হে ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ, প্রভুর প্রশংসা কর!
হে হারোণের পরিবার, প্রভুর প্রশংসা কর!
20 হে লেবীয় পরিবার প্রভুর প্রশংসা কর!
হে প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
21 সিয়োন থেকে, তাঁর গৃহ জেরুশালেম থেকে,
প্রভু প্রশংসা প্রাপ্ত হন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
14 ইস্রায়েলের কিছু প্রবীণ আমার কাছে এসে আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য বসল। 2 প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 3 “মনুষ্যসন্তান, এই লোকদের হৃদয়ে এখনও তাদের নোংরা মূর্ত্তিগুলো রয়েছে। যে জিনিষগুলি তাদের পাপের পথে নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো তারা এখনও রেখে দিয়েছে। তারা এখনও ঐ মুর্ত্তিগুলোর পূজো করে। সুতরাং পরামর্শের জন্য কেন তারা আমার কাছে এসেছে? তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কি আমার উচিৎ? না! 4 কিন্তু আমি তাদের একটি উত্তর দেব। আমি তাদের শাস্তি দেব। ঐসব লোকদের তুমি এসব কথাগুলো অবশ্যই বলবে: প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন: যদি কোন ইস্রায়েলীয়, যে ঐ নোংরা মূর্ত্তিগুলি রাখে এবং পূজো করে, একজন ভাববাদীর কাছে যায় এবং আমার কাছ থেকে পরামর্শ নেবার কথা বলে, যদিও তারা ঐ নোংরা মূর্ত্তিগুলি রাখে তবু আমি তাদের উত্তর দেব। তাদের কাছে সেই সব নোংরা মূর্ত্তি থাকলেও আমি তাদের উত্তর দেব। 5 কারণ আমি তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে চাই। আমি দেখাতে চাই যে আমি তাদের ভালোবাসি, যদিও তাদের নোংরা প্রতিমার জন্য তারা আমায় পরিত্যাগ করেছে।”
6 “তাই ইস্রায়েল পরিবারকে এইসব কথা বলো। তাদের বলো, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন: তোমরা নোংরা মূর্ত্তি ছেড়ে আমার কাছে ফিরে এসো। ঐসব ভয়ঙ্কর মূর্ত্তি থেকে দূরে সরে যাও। 7 যদি কোন ইস্রায়েলীয়, অথবা ইস্রায়েলে বসবাসকারী আমাকে প্রশ্ন করবার জন্য কোন বিদেশী ভাববাদীর কাছে যায়, আমি তাকে উত্তর দেব। যদিও সে আমাকে ত্যাগ করে থাকে এবং যে সব নোংরা মূর্ত্তিগুলি তাকে পাপের পথে ঠেলে নিয়ে গিয়েছিল সেগুলি রাখে এবং পূজা করে তবুও আমি তাকে উত্তর দেব। আর আমি তাকে এই উত্তর দেব। 8 আমি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াব। আমি তাকে ধ্বংস করব, অন্য লোকেদের কাছে সে উদাহরণ স্বরূপ হবে। লোকে তাকে দেখে হাসবে। আমি তাকে আমার প্রজাদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ করব। তখন তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু! 9 আর যদি কোন ভাববাদী প্রতারিত হয় এবং অন্য কিছু বলে, তার মানে, আমি, প্রভু, ঐ ভাববাদীকে ঠকিয়েছি। আমি তাকে শাস্তি দেব। আমি তাকে ধ্বংস করব এবং আমি তাকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের মধ্য থেকে সরিয়ে নেব। 10 তাই সেই পরামর্শ প্রার্থী প্রশ্নকারক ও উত্তরকারী ভাববাদী দুজনেই একই শাস্তি পাবে। 11 আমি এটা করব যাতে ইস্রায়েলীয়রা আমাকে আর ছেড়ে না যায়। আর তাহলে আমার লোকরা তাদের পাপে আর নোংরা হবে না। তখন তারা আমার বিশেষ লোক হবে। আর আমি তাদের ঈশ্বর হব।’” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেছেন।
খোঁড়া লোককে পিতর আরোগ্য করলেন
3 একদিন পিতর ও যোহন মন্দিরে গেলেন, তখন বেলা প্রায় তিনটে। এই সময়েই মন্দিরে রোজ প্রার্থনা হত। 2 যখন তাঁরা মন্দির প্রাঙ্গনে যাচ্ছিলেন, সেখানে একটা লোককে দেখা গেল। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া, চলতে পারত না। তার বন্ধুরা প্রতিদিন তাকে মন্দির চত্বরে বয়ে নিয়ে আসত আর মন্দিরের “সুন্দর” নামে যে ফটক আছে সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে বসিয়ে রাখত। যারা মন্দিরে ঢুকত, সে তাদের কাছে কিছু অর্থ ভিক্ষা চাইত। 3 সেদিন এই লোকটা পিতর ও যোহনকে মন্দিরে ঢুকতে দেখে তাদের কাছ থেকে ভিক্ষা চাইতে লাগল।
4 পিতর ও যোহন সেই খোঁড়া লোকটির দিকে একদৃষ্টে চেয়ে বললেন, “আমাদের দিকে তাকাও!” 5 সেই লোকটা তখন কিছু অর্থ পাবার আশায় তাঁদের দিকে তাকালো। 6 কিন্তু পিতর তাকে বললেন, “আমার কাছে সোনা বা রূপো নেই, আমার কাছে যা আছে আমি তোমাকে তাই দিচ্ছি। নাসরতীয় যীশুর নামে তুমি উঠে দাঁড়াও ও হেঁটে বেড়াও।”
7 এই বলে পিতর তার ডান হাত ধরে তাকে তুললেন, সঙ্গে সঙ্গে সে তার পায়ে ও গোড়ালিতে বল পেল, 8 আর লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল ও চলতে লাগল। তারপর সে তাঁদের সঙ্গে মন্দিরের মধ্যে ঢুকে সেখানে হেঁটে লাফিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল। 9-10 লোকরা দেখল সেই লোকটি হাঁটছে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করছে। তারা চিনতে পারল মন্দিরের “সুন্দর” নামে ফটকের সামনে বসে ভিক্ষা করত যে লোক, সেই লোকই হেঁটে বেড়াচ্ছে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করছে। ঐ লোকটির জীবনে যা ঘটেছে তা দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে গেল, তারা বুঝে উঠতে পারল না এমন বিস্ময়কর ব্যাপার কি করে ঘটল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International