Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
146 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
2 আমার সারাজীবন ধরে আমি প্রভুর প্রশংসা করবো।
সারা জীবন আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
3 সাহায্যের জন্য তোমরা নেতাদের ওপর নির্ভর কর না।
লোকেদের বিশ্বাস কর না। কেন? কারণ লোকে তোমাকে বাঁচাতে পারে না।
4 মানুষ মরে কবরে চলে যায়।
তখন তাদের সাহায্যের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায়।
5 কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সাহায্য চায় তারা ভীষণ সুখী হয়।
ওরা ওদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 প্রভুই স্বর্গ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু তাদের চিরদিন রক্ষা করবেন।
7 নিস্পেষিত লোকদের জন্য প্রভু ঠিক কাজ করেন।
ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার দেন।
কারাগারে বদ্ধ মানুষকে প্রভুই মুক্ত করেন।
8 প্রভু অন্ধকে পুনরায় দৃষ্টি দেন।
যারা সমস্যায় পড়েছে, প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
যে সব লোকরা ভাল তাদের প্রভু ভালোবাসেন।
9 আমাদের দেশে যে সব বিদেশীরা বাস করে তাদের প্রভু রক্ষা করেন।
প্রভুই বিধবা ও অনাথদের দেখাশোনা করেন
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
10 প্রভু চিরদিনই শাসন করবেন!
সিয়োন, তোমার ঈশ্বর চিরদিনই রাজত্ব করবেন!
প্রভুর প্রশংসা কর!
ইস্রায়েলের পাপ সমস্যা নিয়ে আসে
9 সব সততা ও ধার্মিকতা অদৃশ্য হয়েছে।
আমাদের কাছাকাছি রয়েছে কেবলই অন্ধকার।
তাই আমরা আলোর জন্য অপেক্ষা করি
কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা অন্ধকার পাই,
আমরা আশা করি উজ্জ্বল আলো আসবে, কিন্তু আমরা অন্ধকারে পথ চলি।
10 আমরা চোখহীন মানুষের মতো।
অন্ধ লোকেদের মত আমরা দেওয়ালে ধাক্কা খাই।
আমরা রাতের মতো হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই।
এমনকি দিবালোকেও দেখতে পাই না।
দিন দুপুরে মরা মানুষের মতো পড়ে যাই।
11 আমরা সবাই খুব দুঃখিত,
ঘুঘু ও ভাল্লুকের মতো দুঃখের শব্দ করি।
আমরা মানুষের ন্যায়বোধের জন্য অপেক্ষা করছি।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন ন্যায়বোধের লক্ষণ নেই।
আমরা রক্ষা পাবার জন্য অপেক্ষা করছি।
কিন্তু পরিত্রাণ এখনও অনেক দূরে।
12 কেন? কারণ আমরা আমাদের ঈশ্বরের প্রতি
অনেক অনেক খারাপ কাজ করেছি।
আমাদের পাপ দেখিয়ে দিচ্ছে যে আমরা ভুল করেছি।
আমরা জানি এসব করে আমরা দোষী হয়েছি।
13 আমরা পাপ করে
প্রভুর কাছ থেকে সরে গিয়েছি।
আমরা তাঁর থেকে দূরে চলে গিয়েছি,
তাঁকে ত্যাগ করেছি।
আমাদের পাপ প্রমাণ করে যে আমরা দোষী।
আমরা জানি যে এইসব কাজ করে আমরা দোষ করেছি।
আমরা পাপ করেছি এবং প্রভুর বিরুদ্ধাচরণ করেছি। আমরা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁকে ত্যাগ করেছি।
আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে খারাপ কাজের পরিকল্পনা করেছি।
আমরা এইসব জিনিসগুলির কথা ভেবেছি
এবং মনে মনে তার পরিকল্পনা করেছি।
14 আমরা বিচারবোধশূন্য হয়ে পড়েছি।
ন্যায়বোধ চলে গেছে অনেক দূরে।
সত্য রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়েছে।
ধার্মিকতাকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
15 সত্য অন্তর্হিত হয়েছে।
যারা ভাল করতে চায় তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে।
প্রভু লক্ষ্য রাখলেও তিনি কোন ন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না।
প্রভু এইসব পছন্দ করেন না।
16 প্রভু দেখে অবাক হচ্ছেন যে
মানব জাতির স্বপক্ষে বলবার জন্য কেউ দাঁড়াচ্ছে না।
তাই প্রভু তাঁর নিজের ক্ষমতা ও ধার্মিকতা দ্বারা বিজয়ী হচ্ছেন।
তিনি সমর্থন পাচ্ছেন, তাঁর নিজের মহত্ত্বের দ্বারা।
17 প্রভু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
তিনি পরেন ধার্মিকতার বর্ম,
মুক্তির শিরস্ত্রাণ,
শাস্তির পোশাক-সমূহ
ও তাঁর দৃঢ় আগ্রহশীলতার আবরণ।
18 প্রভু নিজের শত্রুদের প্রতি ক্রুদ্ধ,
অতএব তিনি তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবেন।
প্রভু তাঁর শত্রুদের ওপর ক্রুদ্ধ।
তাই তিনি দূরবর্তী এলাকার লোকদের শাস্তি দেবেন।
19 পশ্চিমের লোকরা প্রভুকে ভয় পাবে এবং প্রভুর নামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
পূর্বের লোকরা তাকে ভয় পাবে এবং তারা প্রভুর মহিমাকে শ্রদ্ধা করবে।
প্রভু ঈশ্বরের বাতাসের জোরে বহমান খরস্রোতা নদীর মতো দ্রুত আসবেন।
শৌলের মন পরিবর্তন
9 এদিকে শৌল জেরুশালেমে যীশুর অনুগামীদের তখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। তিনি মহাযাজকের কাছে গেলেন। 2 দম্মেশকস্থ সমাজ-গৃহে ইহুদীদের দেবার জন্য মহাযাজকের কাছে চিঠিগুলি চাইলেন, যেন স্ত্রী হোক্ বা পুরুষ হোক্, খ্রীষ্টের অনুগামী এমন কোন লোককে পেলেই গ্রেপ্তার করে জেরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।
3 তাই শৌল দম্মেশকে রওনা হয়ে গেলেন। যেতে যেতে তিনি যখন দম্মেশকের কাছাকাছি এলেন, সেই সময় হঠাৎ আকাশ থেকে এক উজ্জ্বল আলো তাঁর চারিদিকে চমকে উঠল। 4 তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন এবং এক রব শুনতে পেলেন, সেই রব তাঁকে বলছে, “শৌল, শৌল! কেন তুমি আমাকে এত কষ্ট দিচ্ছ?”
5 শৌল বললেন, “প্রভু আপনি কে?”
তিনি বললেন, “আমি যীশু; তুমি যার ক্ষতি করার চেষ্টা করছ। 6 ওঠ, ঐ শহরে যাও আর তোমায় কি করতে হবে তা তোমায় বলা হবে।”
7 যে সব পুরুষ তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিল তারা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারা সেই রব শুনতে পেল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। 8 শৌল মাটি থেকে উঠলেন, কিন্তু তিনি যখন চোখ খুললেন তখন কিছুই দেখতে পেলেন না। তাই তারা তাঁকে হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল। 9 তিন দিন তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ অবস্থায় রইলেন, সেই সময় তিনি অন্ন জল কিছুই মুখে তুললেন না।
10 দম্মেশকে অননিয় নামে একজন খ্রীষ্টের অনুগামী ছিলেন। এক দর্শনের মাধ্যমে প্রভু তাঁকে বললেন, “অননিয়!”
তিনি বললেন, “প্রভু, এই তো আমি।”
11 প্রভু তাকে বললেন, “ওঠ, আর ‘সরল’ নামে রাস্তায় যাও। সেখানে যিহূদার বাড়ীর খোঁজ কর। সেখানে তার্ষ থেকে এসেছে শৌল বলে একজন লোক, তার খোঁজ কর, কারণ সে প্রার্থনা করছে। 12 তার এই দর্শনলাভ হয়েছে যে অননিয় নামে একজন লোক এসে তার ওপর হাত রাখাতে সে আবার তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে।”
13 অননিয় বললেন, “প্রভু, আমি অনেক লোকের কাছে এই লোকের বিষয়ে শুনেছি। জেরুশালেমে আপনার পবিত্র লোকদের প্রতি সে যে সব জঘন্য কাজ করেছে তাও আমি শুনেছি। 14 আর এখানে যত লোক আপনাকে বিশ্বাস করে,[a] তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার জন্য সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে বিশেষ পরোয়ানা নিয়ে এসেছে।”
15 কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, “তুমি যাও, কারণ অইহুদীদের কাছে, রাজাদের ও ইস্রায়েলীয়দের কাছে আমার নাম নিয়ে যাবার জন্য আমি তাকে মনোনীত করেছি। 16 আমার নামের জন্য তাকে কত দুঃখভোগ করতে হবে, আমি নিজে তাকে তা দেখিয়ে দেব।”
17 তখন অননিয় যিহূদার বাড়িতে গেলেন। তিনি শৌলের ওপর দুহাত রেখে বললেন, “ভাই শৌল, প্রভু যীশু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। এখানে আসার পথে তোমায় তিনি দর্শন দিয়েছিলেন। যীশু তোমার কাছে আমাকে পাঠালেন, যেন তুমি আবার দেখতে পাও আর পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হতে পার।” 18 সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চোখ থেকে মাছের আঁশের মত একটা কিছু খসে পড়ল, আর শৌল আবার দেখতে পেলেন। পরে তিনি উঠে গিয়ে বাপ্তিস্ম নিলেন। 19 এরপর কিছু খাওয়া-দাওয়া করে সবল হলেন।
দম্মেশকে শৌলের প্রচার কার্য্য
তিনি কিছুদিন দম্মেশেকে অনুগামীদের সঙ্গে থাকলেন। 20 এরপর তিনি সরাসরি সমাজ-গৃহে গিয়ে যীশুর কথা প্রচার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, “এই যীশুই হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International