Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
113 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুর দাসরা, তাঁর প্রশংসা কর!
প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
2 প্রভুর নাম এখনকার জন্য এবং চিরকালের জন্য ধন্য হোক্।
3 যেখানে পূর্বদিকে সূর্যোদয় হয়
সেখান থেকে শুরু করে পশ্চিমে যেখানে সূর্য অস্ত যায় সেখান পর্যন্ত প্রভুর নামের প্রশংসা হোক্।
4 প্রভু, সমস্ত জাতিগুলির উর্দ্ধে।
তাঁর মহিমা আকাশ পর্যন্ত যায়।
5 কোন ব্যক্তিই আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মত নয়।
ঈশ্বর স্বর্গের উঁচু আসনে বসেন।
6 ঈশ্বর আমাদের থেকে এত উঁচুতে আছেন যে আকাশ ও পৃথিবীকে দেখতে হলে
তাঁকে নীচের দিকে তাকাতে হয়।
7 ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের ধূলো থেকে ওপরে তোলেন।
আস্তাকুঁড় থেকে ঈশ্বর ভিখারীদের তুলে আনেন।
8 এবং সেই সব লোকদের ঈশ্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন।
ঈশ্বর তাদের লোকদের ওপর নেতৃত্ব করবার জন্য উচ্চ স্থানগুলি দেন।
9 একজন নারীর কোন সন্তান না থাকতে পারে।
কিন্তু ঈশ্বর তাকে সন্তান দেন ও সুখী করেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
30 রাহেল দেখল যে সে যাকোবকে কোন সন্তান দিতে পারে নি। রাহেল তাই তার বোন লেয়ার প্রতি ঈর্ষান্বিত হল। তাই রাহেল যাকোবকে বলল, “আমায় সন্তান দিন নতুবা আমি মারা যাব!”
2 যাকোব রাহেলের প্রতি ক্রুদ্ধ হল। সে বলল, “আমি ঈশ্বর নই। ঈশ্বরই তোমার গর্ভ রুদ্ধ করে রেখেছেন।”
3 তারপর রাহেল বলল, “আপনি আমার দাসী বিল্হাকে নিন। তার সাথে শয়ন করুন এবং সে আমার জন্য সন্তান প্রসব করবে। তাহলে আমি তার মাধ্যমে মাতা হতে পারব।”
4 তাই রাহেল বিল্হাকে যাকোবের কাছে পাঠাল। যাকোব বিল্হার সঙ্গে যৌন সহবাস করল। 5 বিল্হা গর্ভবতী হয়ে যাকোবের জন্য এক পুত্রের জন্ম দিল।
6 রাহেল বলল, “ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনেছেন। তিনি তাই আমায় এক পুত্র দিতে মনস্থ করলেন।” তাই রাহেল এই সন্তানের নাম দান রাখল।
7 বিল্হা আবার গর্ভবতী হয়ে দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম দিল। 8 রাহেল বলল, “আমি আমার বোনের সঙ্গে ভারী প্রতিদ্বন্দিতা করেছি এবং আমি জিতেছি।” তাই সে সেই পুত্রের নাম দিল নপ্তালি।
9 লেয়া দেখলেন যে তাঁর আর সন্তান হবার সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি তাঁর দাসী সিল্পাকে যাকোবকে দিলেন। 10 এবার সিল্পার এক পুত্র হল। 11 লেয়া বললেন, “আমি খুবই সৌভাগ্যবতী।” তাই তিনি এই পুত্রের নাম গাদ রাখলেন। 12 সিল্পা আর একটি পুত্রের জন্ম দিল। 13 লেয়া বললেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত! এখন হতে স্ত্রী লোকরা আমায় ধন্যা বলবে।” তাই তিনি তার নাম আশের রাখলেন।
14 গম কাটার সময় রূবেণ ক্ষেতে গিয়ে একটি বিশেষ ধরণের ফুল[a] দেখতে পেল। রূবেণ সেই ফুলগুলি তার মা লেয়ার কাছে নিয়ে এল। কিন্তু রাহেল লেয়াকে বলল, “তোমার পুত্রের আনা ঐ ফুলের কিছু আমাকে দাও।”
15 লেয়া উত্তরে বললেন, “তুমি এর মধ্যেই আমার স্বামীকে নিয়ে নিয়েছ। এখন তুমি আমার পুত্রের ফুলগুলিও নিতে চাইছ?”
কিন্তু রাহেল বলল, “তুমি তোমার পুত্রের আনা ফুল আমায় দিলে আজ রাত্রে আমার স্বামীর সঙ্গে সহবাস করতে পাবে।”
16 ক্ষেত থেকে রাতে যাকোব বাড়ী ফিরল। লেয়া তাকে দেখে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাইরে এলেন। তিনি বললেন, “আজ রাতে তুমি আমার সঙ্গে শোবে। আমি তোমার জন্য মূল্য হিসাবে আমার পুত্রের ফুল দিয়ে দিয়েছি।” তাই সেই রাত্রে যাকোব লেয়ার সঙ্গে শয়ন করল।
17 এরপর ঈশ্বরের দয়ায় লেয়া আবার গর্ভবতী হলেন। তিনি পঞ্চম পুত্রের জন্ম দিলেন। 18 লেয়া বললেন, “আমি আমার দাসীকে আমার স্বামীর কাছে পাঠানোর বেতন হিসাবে ঈশ্বর আমাকে এই সন্তান দিলেন।” তিনি সেই পুত্রের নাম ইষাখর রাখলেন।
19 লেয়া আবার গর্ভবতী হয়ে ষষ্ঠ পুত্রের জন্ম দিলেন। 20 লেয়া বললেন, “ঈশ্বর আমাকে অপূর্ব উপহার দিলেন। এখন নিশ্চয়ই যাকোব আমাকে গ্রহণ করবেন কারণ আমি তাঁকে দুটি পুত্র দিয়েছি।” তাই লেয়া সেই পুত্রের নাম সবূলূন রাখলেন।
21 পরে লেয়া একটি কন্যার জন্ম দিলেন। তিনি তার নাম রাখলেন দীণা।
22 এবার ঈশ্বর রাহেলের প্রার্থনা শুনলেন। ঈশ্বর রাহেলের গর্ভ মুক্ত করলেন। 23-24 রাহেল গর্ভবতী হয়ে এক পুত্রের জন্ম দিল। রাহেল বলল, “ঈশ্বর আমার লজ্জা দূর করেছেন” এবং এক পুত্র দিয়েছেন। তাই রাহেল ঈশ্বর আমাকে আর একটি পুত্র দিন, একথা বলে তার নাম রাখল যোষেফ।
ভবিষ্যতে আমরা মহিমান্বিত হব
18 এখন আমরা দুঃখ ভোগ করছি; কিন্তু আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার সঙ্গে বর্তমান কালের এই দুঃখভোগ তুলনার যোগ্যই নয়। 19 বিশ্বসৃষ্টি ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে ঈশ্বর কবে তাঁর পুত্রদের প্রকাশ করবেন। সমগ্র বিশ্ব এর জন্য আকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে। 20 বিশ্ব সৃষ্টিকে তো ব্যর্থতার বন্ধনে বেঁধে রাখা হয়েছে যদিও তা তার নিজের ইচ্ছায় নয় কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায়, যিনি সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেছেন। 21 তবুও বিশ্বসৃষ্টির এই আশা রয়েছে যে সেও একদিন এই অবক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত হবে আর ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাময় স্বাধীনতার অংশীদার হবে।
22 আমরা জানি যে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি ব্যথায় আর্তনাদ করছে যেমন করে নারী সন্তান প্রসবের ব্যথা ভোগ করে। 23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি। 24 আমরা উদ্ধার পেয়েছি তাই আমাদের অন্তরে এই প্রত্যাশা রয়েছে। প্রত্যাশার বিষয় প্রত্যক্ষ হলে তা প্রত্যাশা নয়। যা পাওয়া হয়ে গেছে তার জন্য কে প্রত্যাশা করে? 25 আমরা যা এখনও পাই নি তারই জন্য প্রত্যাশা করছি, ধৈর্য্য্যের সঙ্গেই তার জন্য প্রতীক্ষা করছি।
26 একইভাবে আমাদের দুর্বলতায় পবিত্র আত্মাও আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, কারণ আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করব জানি না, তাই স্বয়ং পবিত্র আত্মা আমাদের হয়ে অব্যক্ত আর্তস্বরে আবেদন জানিয়ে থাকেন। 27 মানুষের অন্তরে কি আছে ঈশ্বর তা দেখতে পান; আর ঈশ্বর পবিত্র আত্মার বাসনা কি তা জানেন; কারণ পবিত্র আত্মা ভক্তদের হয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে সেই আবেদন করেন।
28 আমরা জানি যে সব কিছুতে তিনি তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, যারা তাঁর সংকল্প অনুসারে আহুত। 29 জগৎ সৃষ্টির পূর্বে ঈশ্বর যাদের জানতেন, তাদের তিনি তাঁর পুত্রের মত করবেন বলে মনস্থ করলেন। এইভাবে যীশু হবেন অনেক ভাইদের মধ্যে প্রথমজাত। 30 আগে থেকে তিনি যাদের বেছে রেখেছিলেন তাদের আহ্বান করলেন; যাদের তিনি আহ্বান করলেন তাদের ধার্মিক গন্য করলেন এবং যাদের তিনি ধার্মিক গন্য করলেন তাদের মহিমান্বিত করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International