Revised Common Lectionary (Complementary)
21 প্রভু, আপনি আমার সদাপ্রভু। তাই আমার প্রতি এমন ব্যবহার করুন যা আপনার নামের মর্যাদা এনে দেবে।
আপনার প্রেম খুব মহান, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 আমি নিছক একজন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
প্রকৃতই আমি ভগ্ন হৃদয়ের এক দুঃখী মানুষ।
23 আমি এমন অনুভব করি যেন, বেলা শেষের লম্বা ছায়ার মত আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
আমি নিজেকে অগ্রাহ্য করা ছারপোকার মত মনে করি।
24 ক্ষুধার কারণে আমার হাঁটু দুটো দুর্বল।
ওজন কমে গিয়ে আমি ক্রমশঃই রোগা হয়ে যাচ্ছি।
25 মন্দ লোকরা আমায় অপমান করে।
আমার দিকে তাকিয়ে ওরা মাথা নাড়ায়।
26 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমায় সাহায্য করুন।
আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন!
27 তখন ওই লোকরা জানতে পারবে যে আপনি আমায় সাহায্য করেছিলেন।
ওরা জানতে পারবে যে আপনার শক্তিই আমাকে সাহায্য করেছিলো।
28 ওই মন্দ লোকরা আমায় অভিশাপ দেয়।
কিন্তু আপনি আমায় আশীর্বাদ করতে পারেন প্রভু।
ওরা আমায় আক্রমণ করেছে, তাই ওদের পরাজিত করুন।
তাহলে আপনার দাস, আমি সুখী হব।
29 আমার শত্রুদের বিব্রত করে দিন!
ওদের বস্ত্রাবরণ হিসেবে ওরা যেন ওদের লজ্জাই পরিধান করে।
30 আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
বহু লোকদের সামনে আমি তাঁর প্রশংসা করি।
31 কেন? কারণ অসহায় লোকদের পাশে প্রভু দাঁড়ান।
ওদের যারা মৃত্যুদণ্ড দিতে চায়, তাদের থেকে ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেন।
20 এক দিন কয়েকজন প্রবীণ প্রভুর পরামর্শ জানতে আমার কাছে এসে আমার সামনে বসলেন। এটা ছিল নির্বাসনে থাকার সপ্তম বছরের পঞ্চম মাসের দশম দিন।
2 তখন প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 3 “হে মনুষ্যসন্তান, ইস্রায়েলের প্রবীণদের কাছে এই কথা বল, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমরা কি আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছ? যদি এসে থাক তবে আমি তা দেব না।’ প্রভু আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেন। 4 তুমি কি তাদের বিচার করবে? হে মনুষ্যসন্তান, তুমি কি তাদের বিচার করবে? তবে তাদের পিতারা যে জঘন্য কাজগুলি করেছে তার কথা নিশ্চয়ই তাদের বল। 5 তোমরা অবশ্যই তাদের বলবে, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন: যেদিন আমি ইস্রায়েলকে বেছে নিই, আমি যাকোব পরিবারের ওপর আমার হাত তুলে মিশরে তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম এবং বলেছিলাম, “আমি তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর।” 6 আমি তাদের মিশর থেকে বার করে নিয়ে যাবার এবং যে দেশ তাদের আমি দেব সেই ভূমিতে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই দেশ বহু উত্তম বিষয়ে পরিপূর্ণ[a] এবং অন্য বহুদেশের চেয়ে ভালো![b]
7 “‘আমি ইস্রায়েল পরিবারকে তাদের জঘন্য মূর্ত্তিগুলো ছুঁড়ে ফেলতে বলেছিলাম। বলেছিলাম মিশরের ঐ সমস্ত নোংরা মূর্ত্তি দ্বারা তারা যেন নিজেদের অশুচি না করে। “আমি তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর।” 8 কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল, আমার কথা শুনতে চায়নি। তারা তাদের জঘন্য মূর্ত্তিগুলো ফেলেও দেয়নি, মিশরে ছেড়েও আসেনি। তাই আমি (ঈশ্বর) তাদের মিশরেই ধ্বংস করার পরিকল্পনা করলাম—যেন তারা আমার ক্রোধের পূর্ণ মাত্রা বুঝতে পারে। 9 কিন্তু আমি তাদের ধ্বংস করিনি। আমি আমার সুনাম রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। আমি চাইনি যে আমার নাম তাদের চারপাশের জাতিগুলোর মধ্যে কলঙ্কিত হোক্। আমি চেয়েছিলাম যে ঐ জাতিগুলি জানুক যে আমি ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বার করে আনছিলাম। 10 আমি ইস্রায়েল পরিবারকে মিশর থেকে বার করে এনেছি, তাদের মরুভূমির মধ্যে পরিচালিত করেছি। 11 আমার বিধিগুলি তাদের দিয়েছিলাম, যে সমস্ত বিধি আমাকে জানতে তাদের সাহায্য করবে সেগুলো তাদের বলেছিলাম। যদি কোন ব্যক্তি সেই সমস্ত নিয়ম পালন করে তবে সে বাঁচবে। 12 আমি তাদের বিশ্রামের বিশেষ বিশেষ দিনের কথাও বলেছিলাম। সেই সমস্ত ছুটির দিনগুলো তাদের ও আমার মধ্যে বিশেষ চিহ্নস্বরূপ ছিল। তারা এই বোঝাত যে আমিই প্রভু আর আমি তাদের আমার বিশেষ প্রজা করে তুলেছি।
13 “‘কিন্তু ইস্রায়েল পরিবার মরুভূমিতে আমার বিরুদ্ধে গেল। তারা আমার বিধিগুলি মানল না, আমার বিধি মানতে অস্বীকার করল। ঐসব বিধি পালন করলে লোকরা বাঁচবে। তারা আমার বিশ্রামের বিশেষ দিনগুলিকে মান্য করেনি, ঐসব দিনে আরও বেশী কাজ করেছে। আমি তাদের মরুভূমিতে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিলাম, যেন তারা আমার ক্রোধের পূর্ণ মাত্রা বুঝতে পারে। 14 জাতিগণ আমায় ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বার করে আনতে দেখেছিল। আমি আমার সুনাম নষ্ট করতে চাইনি তাই ইস্রায়েলকে ঐ লোকদের সামনে ধ্বংস করিনি। 15 ঐ লোকদের সঙ্গে মরুভূমিতে আমি আর একটি প্রতিশ্রুতি করে বলেছিলাম: যে দেশ আমি তাদের দিচ্ছি তাতে তারা পা রাখতে পাবে না। সেই দেশ উত্তম এবং বহু উত্তম বিচারে পরিপূর্ণ, সব দেশের চেয়ে সুন্দর!
16 “‘ইস্রায়েলের লোকরা আমার বিধি মানতে অস্বীকার করেছিল, তারা আমার বিধিসকল পালন করেনি, বিশ্রামের দিনকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। তারা এইসব করেছে কারণ তাদের হৃদয় সেই সব নোংরা মূর্ত্তির অধিকারে। 17 কিন্তু আমি তাদের জন্য দুঃখ বোধ করেছি তাই তাদের মরুভূমিতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করিনি।
আমরা অবশ্যই নিয়ত ঈশ্বরকে অনুসরণ করব
7 তাই পবিত্র আত্মা যেমন বলছেন:
“আজ, তোমরা যদি ঈশ্বরের রব শোন,
8 অতীত দিনের মতো হৃদয় কঠিন করো না, যে দিন তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে;
সেদিন তোমরা প্রান্তরে ঈশ্বরের পরীক্ষা করেছিলে।
9 সেই প্রান্তরে তোমাদের পিতৃপুরুষরা চল্লিশ বছর ধরে আমার সমস্ত কীর্তি দেখতে পেয়েছিল,
তবু তারা আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা করল।
10 তাই আমি এই জাতির ওপর ক্রুদ্ধ হলাম ও বললাম,
‘এরা সব সময় ভুল চিন্তা করে,
এই লোকেরা কখনও আমার পথ বুঝল না।’
11 তখন আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এই শপথ করলাম:
‘তারা কখনই আমার বিশ্রাম স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
12 আমার ভাই ও বোনেরা, দেখো, তোমরা সতর্ক থেকো, তোমাদের মধ্যে কারো যেন দুষ্ট ও অবিশ্বাসী হৃদয় না থাকে যা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। 13 তোমরা দিনের পর দিন একে অপরকে উৎসাহিত কর যতক্ষণ সময় “আজ” আছে। পাপের ছলনা যেন তোমাদের হৃদয়কে নির্মম না করে। 14 শুরুতে আমাদের যে বিশ্বাস ছিল যদি শেষ পর্যন্ত আমরা সেই বিশ্বাসে স্থির থাকি তাহলে আমরা সকলেই খ্রীষ্টের সহভাগী। 15 শাস্ত্র তো এই কথা বলে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তাহলে তোমাদের অন্তর কঠোর করো না, যেমন সেই বিদ্রোহের দিনে করেছিলে।”(B)
16 যারা ঈশ্বরের রব শোনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, প্রশ্ন হল তারা কারা? মোশি যাদের মিশর থেকে বার করে নিয়ে এসেছিলেন তারাই কি নয়? 17 আর কাদের ওপরই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর ধরে ক্রুদ্ধ ছিলেন? সেই লোকদের ওপরে নয় কি যারা পাপ করেছিল ও তার ফলে প্রান্তরে মারা পড়েছিল? 18 তিনি কাদের বিরুদ্ধেই বা শপথ করে বলেছিলেন, “এরা আমার বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না?” যারা অবাধ্য হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কি নয়? 19 তাহলে এখন আমরা দেখলাম যে, অবিশ্বাসের দরুনই তারা ঈশ্বরের বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারল না।
4 ঈশ্বর সেই লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও আমাদের জন্য রয়েছে। এই সেই প্রতিশ্রুতি যে, আমরা ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারব। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ না হও। 2 পরিত্রাণ লাভের জন্য সুসমাচার যেমন ওদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও প্রচার করা হয়েছে, তবু সেই সুসমাচার শিক্ষা শুনেও তাদের কোন শুভ ফল দেখা গেল না, কারণ তারা তা শুনে বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে নি। 3 আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারাই সেই বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে সক্ষম। ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন,
“আমি ক্রুদ্ধ হয়ে শপথ করেছি:
‘এরা কখনও আমার বিশ্রামস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(C)
একথা ঈশ্বর বলেছেন যদিও ঈশ্বরের সমস্ত কাজ জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়েছিল। 4 শাস্ত্রের কোন কোন জায়গায় ঈশ্বর সপ্তাহের সপ্তম দিনের বিষয়ে বলেছিলেন: “সৃষ্টির সমস্ত কাজ শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন।”(D) 5 আবার শাস্ত্রের অন্য একস্থানে ঈশ্বর বলছেন: “আমার বিশ্রামে ঐ মানুষদের কখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
6 তবুও একথা এখনও সত্য যে কেউ সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেই লোকেরা যারা প্রথমে সুসমাচারের কথা শুনেছিল, অবাধ্য হওয়ার কারণে সেখানে প্রবেশ করে নি। 7 তখন ঈশ্বর আবার একটি দিন স্থির করলেন, আর সেই দিনের বিষয়ে তিনি বললেন, “আজ”। ঈশ্বর এর বহুদিন পর রাজা দায়ূদের মাধ্যমে এই দিনটির বিষয়ে বলেছিলেন। যেমন এ বিষয়ে আগেই শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তবে অতীত দিনের মতো তোমাদের হৃদয় কঠোর করো না।”(E)
8 যিহোশূয় তাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত বিশ্রামের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন নি। এবিষয়ে আমরা জানি কারণ ঈশ্বর এরপর আবার বিশ্রামের জন্য আর এক দিনের “আজ” কথাটি উল্লেখ করেছেন। 9 এতে বোঝা যায় যে ঈশ্বরের লোকদের জন্য সেই সপ্তম দিনে যে বিশ্রাম তা আসছে, 10 কারণ ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করার পর বিশ্রাম করেছিলেন। তেমনি যে কেউ ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করে সেও ঈশ্বরের মত তার কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করে। 11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International