Revised Common Lectionary (Complementary)
23 “আমিই ঈশ্বর।
আমি বহুদূরে নয়, খুব কাছেই আছি।
এই হল প্রভুর বার্তা।
24 কেউ গোপন জায়গায় লুকিয়ে থাকলেও
আমি কিন্তু সহজেই তাকে দেখতে পাই।
কেন? কারণ আমি স্বর্গ এবং মর্ত্য সর্বত্র বিরাজমান।”
প্রভু একথা বলেছেন: 25 “ঐ ভাববাদীরা আমার নাম দিয়ে মিথ্যে ধর্মোপদেশ প্রচার করেছে। তারা বলেছে, ‘আমি স্বপ্নাদেশ পেয়েছি! আমি স্বপ্নাদেশ পেয়েছি!’ আমি তাদের ঐ কথাগুলো বলতে শুনেছি। 26 আর কতদিন এভাবে চলবে? ঐ ভাববাদীরা মিথ্যা রচনা করে এবং লোকদের মিথ্যা শিক্ষা দেয়। 27 ঐ ভাববাদীরা চেষ্টা করল যাতে যিহূদার লোকরা আমার নাম ভুলে যায়। তারা তাদের মিথ্যে স্বপ্নাদেশের কথা বলে বেড়াতে লাগল। যে ভাবে তাদের পূর্বপুরুষরা আমাকে ভুলে গিয়েছিল, সেই ভাবে তারা আমার লোকদের আমাকে ভুলে যাওয়াতে চেষ্টা করছে। তাদের পূর্বপুরুষরা আমাকে ভুলে ভ্রান্ত দেবতার পূজা করেছিল। 28 খড় আর গম যেমন এক জিনিস নয়, তেমনি ভাববাদীদের স্বপ্নাদেশ আর আমার বার্তাও এক নয়। কেউ যদি নিজেদের দেখা স্বপ্নকে বলে বেড়াতে চায় তা সে বলুক। কিন্তু একজন লোক যদি আমার বার্তা শোনে, তাকে সে কথা সত্যি করে বলতে হবে।” এই হল প্রভুর বার্তা। 29 হ্যাঁ, প্রভু বলেন, “আমার বার্তা হল আগুনের মতো। আমার বার্তা হল পাথরে আছড়ে পড়া হাতুড়ি, যা পাথরকেও গুঁড়িয়ে দেয়।”
আসফের একটি প্রশংসা গীত।
82 ঈশ্বর দেবতাদের মণ্ডলীতে[a] দাঁড়ান।
দেবতাদের সেই সভায় তিনিই ছিলেন বিচারক।
2 ঈশ্বর বলেন, “কতদিন তোমরা অন্যায়ভাবে লোকের বিচার করবে?
আর কতদিন তোমরা দুষ্ট লোকদের শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেবে?”
3 “দরিদ্র লোকদের এবং অনাথদের বিচার কর।
ওই সব দরিদ্র লোকদের অধিকারকে রক্ষা কর।
4 ওই সব অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য কর।
দুষ্ট লোকদের থেকে ওদের রক্ষা কর।
5 “কে ঘটে চলেছে তা ওরা জানে না।
ওরা বোঝে না!
ওরা যে কি করছে তা ওরা জানে না,
ওদের চারপাশে ওদের পৃথিবী ভেঙে পড়েছে!”
6 আমি ঈশ্বর বলছি, “তোমরা দেবতা।
তোমরা পরাৎপরের সন্তানগণ।
7 যেমন ভাবে সাধারণ মানুষ অবশ্যই মরে, তোমরাও সেই ভাবেই মারা যাবে।
সব নেতারা যেভাবে মারা যায়, তোমরাও সেইভাবেই মারা যাবে।”
8 ঈশ্বর, আপনি উঠুন! আপনিই বিচারক হন!
ঈশ্বর, সব জাতির ওপরে আপনিই নেতা হন!
29 যে লোকদের মোশি নিয়ে চলেছিলেন তারা শুকনো জমির ওপর দিয়ে যাওয়ার মতো লোহিত সাগর হেঁটে পার হয়ে গেল। তাদের বিশ্বাস ছিল বলেই তারা তা করতে পেরেছিল। মিশরীয়রাও লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সবাই মারা পড়ল।
30 ঈশ্বরের লোকদের বিশ্বাসের জন্যই যিরীহোর প্রাচীর ভেঙে পড়ল। লোকরা প্রাচীরের চারপাশে সাতদিন ধরে ঘুরলো আর তার পরেই সেই প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ল।
31 বিশ্বাসে বেশ্যা রাহব, ইস্রায়েলীয় গুপ্তচরদের সাদরে গ্রহণ করে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করায় নগর ধ্বংস হবার সময় ঈশ্বরের অবাধ্য লোকদের সঙ্গে সে বিনষ্ট হল না।
32 তোমাদের কাছে কি আমি আরো দৃষ্টান্ত তুলে ধরব? আমার যথেষ্ট সময় নেই যে আমি তোমাদের কাছে গিদিয়োন, বারক, শিম্শোন, যিপ্তহ, দায়ূদ, শমূয়েল ও ভাববাদীদের সব কথা বলি। ওঁদের প্রচণ্ড বিশ্বাস ছিল। 33 তাঁরা বিশ্বাসের দ্বারা রাজ্যসকল জয় করেছিলেন। তাঁরা যা ন্যায় তাই করলেন এবং ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিগুলি পেলেন। তাঁরা সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন। 34 কেউ কেউ আগুনের তেজ নিস্প্রভ করলেন, তরবারির আঘাতে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন। এঁদের বিশ্বাস ছিল তাই এঁরা এসব করতে পেরেছিলেন। বিশ্বাসের বলেই দুর্বল লোকেরা বলশালী লোকে রূপান্তরিত হয়েছিলেন; তাঁরা যুদ্ধের সময় মহাবিক্রমী হয়ে শত্রু সৈন্যদের পরাস্ত করেছিলেন। 35 কোন কোন লোক মৃতদের মধ্য থেকে পুনর্জীবিত হলেন আর পরিবারের নারীরা তাঁদের স্বামীদের ফিরে পেলেন। আবার অনেকে ভয়ঙ্কর পীড়ন সহ্য করলেন তবু তার থেকে নিষ্কৃতি চাইলেন না। তাঁরা বিশ্বাসে এসব সহ্য করলেন যেন মহত্তর পুনরুত্থানের ভাগী হন। 36 কেউ কেউ বিদ্রূপ ও চাবুকের মার সহ্য করলেন, আবার অনেকে বেড়ি বাঁধা অবস্থায় কারাবাস করলেন। 37 কেউ বা মরলেন পাথরের আঘাতে, কাউকে বা করাত দিয়ে দুখণ্ড করা হল, কাউকে তরবারির আঘাতে মেরে ফেলা হল। কেউ কেউ নিঃস্ব অবস্থায় মেষ ও ছাগের চামড়া পরে ঘুরে বেড়াতেন, নির্যাতিত হতেন এবং খারাপ ব্যবহার পেতেন। 38 জগতটা এই ধরণের লোকের যোগ্য ছিল না। এঁরা গুহায় ও মাটির গর্তে আশ্রয় নিয়ে মরুভূমি ও পর্বতে ঘুরে বেড়াতেন।
39 বিশ্বাসের জন্য এঁদের সুখ্যাতি করা হল, কিন্তু তাঁরা কেউ ঈশ্বরের সেই মহান প্রতিশ্রুতি পান নি। 40 ঈশ্বর আমাদের জন্য মহত্তর কিছু করতে চেয়েছিলেন, যাতে তাঁরা আমাদের সাথে মিলিত হয়ে পরিপূর্ণ হতে পারেন।
আমাদেরও যীশুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা উচিত
12 আমাদের চারপাশে ঈশ্বর বিশ্বাসী ঐসব মানুষরা রয়েছেন। তাঁদের জীবন ব্যক্ত করছে বিশ্বাসের প্রকৃতরূপ, তাই আমাদের উচিত তাঁদের অনুসরণ করা। আমাদেরও উচিত সেই দৌড়ে যোগ দেওয়া যা আমাদের জন্য নির্দিষ্ট আছে, কখনই থেমে যাওয়া উচিত নয়। জীবনে যা বাধার সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কিছু আমরা যেন দূরে ফেলে দিই। যে পাপ সহজে জড়িয়ে ধরে তা যেন দূরে ঠেলে দিই। 2 আমাদের সর্বদাই যীশুর আদর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। বিশ্বাসের পথে যীশুই আমাদের নেতা; তিনি আমাদের বিশ্বাসকে পূর্ণতা দেন। তিনি ক্রুশের উপর মৃত্যুভোগ করলেন; ক্রুশের মৃত্যুর অপমান তুচ্ছ জ্ঞান করে তা সহ্য করলেন। তাঁর সম্মুখে ঈশ্বর যে আনন্দ রেখেছিলেন সেই দিকে দৃষ্টি রেখেই যীশু তা করতে পেরেছিলেন। এখন তিনি ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানপাশে বসে আছেন।
যীশুর বিষয়ে লোকেরা একমত হবে না
(মথি 10:34-36)
49 “আমি পৃথিবীতে আগুন নিক্ষেপ করতে এসেছি, আহা, যদি তা আগেই জ্বলে উঠত! 50 এক বাপ্তিস্মে আমায় বাপ্তাইজিত হতে হবে, আর যতক্ষণ না তা হচ্ছে, আমি ব্যাকুল হয়ে উঠেছি। 51 তোমরা কি মনে কর এই পৃথিবীতে আমি শান্তি স্থাপন করতে এসেছি? না, আমি তোমাদের বলছি, বরং বিভেদ ঘটাতে এসেছি। 52 কারণ এখন থেকে একই পরিবারে পাঁচজন থাকলে তারা পরস্পরের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। তিনজন দুজনের বিরুদ্ধে যাবে, আর দুজন তিনজনের বিরুদ্ধে যাবে।
53 বাবা ছেলের বিরুদ্ধে
ও ছেলে বাবার বিরুদ্ধে যাবে।
মা মেয়ের বিরুদ্ধে
ও মেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে যাবে।
শাশুড়ী বৌমার বিরুদ্ধে
ও বৌমা শাশুড়ীর বিরুদ্ধে যাবে।”[a]
সময়কে বুঝতে হবে
(মথি 16:2-3)
54 এরপর যীশু সমবেত জনতার দিকে ফিরে বললেন, “পশ্চিমদিকে মেঘ জমতে দেখে তোমরা বলে থাকো, ‘বৃষ্টি আসলো বলে, আর তা-ই হয়।’ 55 যখন দক্ষিণা বাতাস বয়, তোমরা বলে থাক, ‘গরম পড়বে,’ আর তা-ই হয়। 56 ভণ্ডের দল! তোমরা পৃথিবী ও আকাশের চেহারা দেখে তার অর্থ বুঝতে পার; কিন্তু এ কেমন যে তোমরা বর্তমান সময়ের অর্থ বুঝতে পার না?
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International