Revised Common Lectionary (Complementary)
11 হে প্রভু, আমি অনেক পাপ কাজ করেছি।
কিন্তু আপনার মহত্ব দেখাবার জন্য, আমি যা যা করেছিলাম, সেগুলো সবই আপনি ক্ষমা করেছেন।
12 যদি কোন লোক প্রভুকেই অনুসরণ করবে বলে মনোনীত করে,
তাহলে ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকবার শ্রেষ্ঠ রাস্তা দেখাবেন।
13 সেই লোক ভাল জিনিস উপভোগ করতে পারবে,
এবং তাঁর সন্তানরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড পাবে।
14 প্রভু তাঁর গূঢ় কথা তাঁর অনুগামীদের বলেন।
তাঁর চুক্তি সম্পর্কে তিনি তাদের শিক্ষা দেন।
15 সাহায্যের জন্য আমি সর্বদাই প্রভুর দিকে চেয়ে থাকি।
তিনি সর্বদাই আমাকে সমস্যার জাল থেকে মুক্ত করেন।
16 হে প্রভু, আমি নিঃসহায় এবং নিঃসঙ্গ।
আমার দিকে মুখ ফেরান, আমায় কৃপা করুন।
17 আমাকে আমার সংকটসমূহ থেকে মুক্ত করুন।
আমার সমস্যাগুলির সমাধান করতে আমায় সাহায্য করুন।
18 আমার প্রচেষ্টা ও সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করুন।
আমার সকল পাপ থেকে আমায় ক্ষমা করে দিন।
19 আমার যেসব শত্রু আছে তাদের দিকে দেখুন।
তারা আমায় ঘৃণা করে, আমায় আঘাত করতে চায়।
20 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন।
আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
দয়া করে আমায় হতাশ করবেন না।
জ্ঞানের শক্তি
13 যখনই আমি কোন মানুষকে প্রজ্ঞার মতো কাজ করতে দেখেছি তা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। 14 একটি ছোট শহরে খুব অল্প সংখ্যক লোক বাস করত। একজন রাজা শহরটি জয় করতে এলেন এবং তার সেনাবাহিনী দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললেন এবং শহরের চারপাশে অবরোধ গঠন করলেন। 15 কিন্তু সেই শহরে একজন জ্ঞানী মানুষ বাস করতেন যিনি দরিদ্র ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর জ্ঞান ব্যবহার করে সেই শহরকে রক্ষা করেন। সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ সেই দরিদ্র লোকটির কথা ভুলে যায়। 16 কিন্তু আমি এখনও বলব যে দৈহিক শক্তির চেয়ে জ্ঞান শ্রেয়। সেই লোকরা দরিদ্র লোকটির জ্ঞানের কথা ভুলে যায়, তার কথা শুনতে ভুলে যায়। কিন্তু তবুও আমি জ্ঞানকে শ্রেয় বলে মনে করি।
17 একজন জ্ঞানী ব্যক্তির শান্ত, সৌম্য কথা বলা
মূর্খদের মধ্যে একজন শাসকের গর্জনের চেয়ে ঢের ভাল।
18 যুদ্ধে ব্যবহৃত তরবারি ও তীরের চেয়ে জ্ঞান শ্রেয়।
কিন্তু একজন পাপী ভাল জিনিসকে নষ্ট করে ফেলতে পারে।
মানবপুত্র সকল লোকের বিচার করবেন
31 “মানবপুত্র যখন নিজ মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে তাঁর স্বর্গদূতদেব সঙ্গে নিয়ে এসে মহিমার সিংহাসনে বসবেন, 32 তখন সমস্ত জাতি তাঁর সামনে জড়ো হবে। রাখাল যেমন ভেড়া ও ছাগল আলাদা করে, তেমনি তিনি সব লোককে দুভাগে ভাগ করবেন। 33 তিনি নিজের ডানদিকে ভেড়াদের রাখবেন আর বাঁদিকে ছাগলদের রাখবেন।
34 “এরপর রাজা তাঁর ডানদিকের যারা তাদের বলবেন, ‘আমার পিতার আশীর্বাদ পেয়েছ, তোমরা এস! জগত সৃষ্টির শুরুতেই যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তার অধিকার গ্রহণ কর। 35 কারণ আমি ক্ষুধিত ছিলাম, তোমরা আমায় খেতে দিয়েছিলে। আমি পিপাসিত ছিলাম আর তোমরা আমাকে পান করবার জল দিয়েছিলে। আমি অচেনা আগন্তুক রূপে এসেছিলাম আর তোমর আমায় আশ্রয় দিয়েছিলে। 36 যখন আমার পরনে কোন কাপড় ছিল না, তখন তোমরা আমায় পোশাক পরিয়েছিলে। আমি অসুস্থ ছিলাম, তোমরা আমার সেবা করেছিলে। আমি কারাগারে ছিলাম, তোমর আমায় দেখতে এসেছিলে।’
37 “এর উত্তরে যারা ভাল তারা বলবে, ‘প্রভু, কখন আমরা আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে খেতে দিয়েছিলাম, পিপাসিত দেখে জল পান করতে দিয়েছিলাম? 38 কখনই বা আপনাকে অচেনা আগন্তুক দেখে আতিথেয়তা করেছিলাম অথবা আপনার পরনে কাপড় নেই দেখে পোশাক পরিয়েছিলাম? 39 আর কখনই বা অসুস্থ বা কারাগারে আছেন দেখে আপনাকে দেখতে গিয়েছিলাম?’
40 “এর উত্তরে রাজা তাদের বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই তুচ্ছতমদের মধ্যে যখন কোন একজনের প্রতি তোমরা এরূপ করেছিলে, তখন আমারই জন্য তা করেছিলে।’
41 “এরপর রাজা তাঁর বাম দিকের লোকদের বলবেন, ‘ওহে অভিশপ্তরা, তোমরা আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবল ও তার দূতদের জন্য যে ভয়াবহ অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে গিয়ে পড়। 42 কারণ আমি যখন ক্ষুধার্ত ছিলাম, তখন তোমরা আমায় খেতে দাও নি। আমার যখন পিপাসা পেয়েছিল, তখন আমায় জল দাও নি। 43 আমি অচেনা আগন্তুকরূপে এসেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার আতিথেয়তা করনি। আমার পোশাক ছিল না, কিন্তু তোমরা আমায় পোশাক দাও নি। আমি অসুস্থ ছিলাম ও কারাগারে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা আমার খোঁজ নাও নি।’
44 “এর উত্তরে তারা তাঁকে বলবে, ‘প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধার্ত, কি পিপাসিত, কি আগন্তুকরূপে দেখে অথবা কবেই বা আপনার পরনে কাপড় ছিল না, বা আপনি অসুস্থ ছিলেন ও কারাগারে গিয়েছিলেন বলে আমরা আপনার সাহায্য করিনি?’
45 “এ কথার উত্তরে রাজা বলবেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যখন এই অতি সামান্য যারা তাদের কোন একজনের প্রতি তা করনি, তখন আমারই প্রতি তা কর নি।’
46 “এরপর অধার্মিক লোকেরা যাবে অনন্ত শাস্তি ভোগ করতে, কিন্তু ধার্মিকরা প্রবেশ করবে অনন্ত জীবনে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International