Revised Common Lectionary (Complementary)
দায়ূদের একটি গীত।
25 প্রভু, আমি নিজেকে আপনার হাতে সমর্পণ করেছি।
2 হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
তাই আমাকে লজ্জিত করবেন না।
আমার শত্রুরা যেন আমার ওপর জয়লাভ না করে।
3 যদি কোন ব্যক্তি আপনার ওপর নির্ভর করে, সে কখনও হতাশাগ্রস্থ হবে না।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা হতাশ হবে।
তারা কিছুই পাবে না।
4 হে প্রভু, আপনার পথগুলি আমাকে দেখান।
আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
5 আমায় পরিচালিত করুন এবং আপনার সত্য সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার পরিত্রাতা।
প্রতিদিন আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
6 হে প্রভু, আমার প্রতি দয়া করে আমায় স্মরণ করবেন।
যে কোমল ভালোবাসা আপনি আমায় চিরদিন দিয়ে এসেছেন সেই ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদর্শন করুন।
7 আমার তরুণ বয়সের কৃত কুকর্ম ও পাপ আপনি স্মরণে রাখবেন না।
হে প্রভু, আপনার সুনামের জন্য, আমায় ভালোবেসে স্মরণ করবেন।
8 প্রভু প্রকৃতপক্ষেই ভাল এবং সৎ।
তিনি পাপীদের ঠিক পথে জীবনযাপন করবার শিক্ষা দেন।
9 যারা বিনীত, তাদেরই তিনি তাঁর পথগুলি শেখান।
তিনি ন্যায়পথে তাদের পরিচালিত করেন।
10 প্রভুই রাজা, যারা তাঁর চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে
তিনি তাদের প্রতি সত্যনিষ্ঠ হন।
স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে যোষেফের ডাক পড়ল
14 তাই ফরৌণ যোষেফকে ডেকে পাঠালে দুজন রক্ষী দ্রুত তাকে কারাগার থেকে বার করে আনল। যোষেফ দাড়ি কামালেন, পরিষ্কার জামা পরলেন। তারপর ফরৌণের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। 15 ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারছে না। আমি শুনেছি যে তুমি স্বপ্ন শুনলে তার ব্যাখ্যা করতে পার।”
16 উত্তরে যোষেফ বললেন, “আমি পারি না! কিন্তু হয়তো ফরৌণের জন্য ঈশ্বর তার অর্থ বলে দেবেন।”
17 তখন ফরৌণ যোষেফকে বলতে লাগলেন, “আমার দেখা স্বপ্নে আমি নীল নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিলাম। 18 তখন নদী থেকে সাতটা গরু উঠে এসে ঘাস খেতে শুরু করল। গরুগুলো ছিল হৃষ্টপুষ্ট, দেখতেও সুন্দর। 19 তারপর আমি নদী থেকে আরও সাতটি গরু উঠে আসতে দেখলাম। কিন্তু এই গরুগুলো রোগা রোগা, দেখতেও অসুস্থ। ঐরকম বিশ্রী গরু আমি মিশরে কখনও দেখি নি। 20 তারপর রোগা অসুস্থ গরুগুলো প্রথমে আসা হৃষ্টপুষ্ট গরুগুলোকে খেয়ে ফেলল। 21 কিন্তু তাও তাদের চেহারা রোগা আর অসুস্থই রইল। দেখে মনেই হবে না যে তারা সেই মোটা মোটা গরুগুলো খেয়েছে। তারপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
22 “আমার পরের স্বপ্নে আমি দেখলাম একটা গাছে সাতটা শীষ বেড়ে উঠছে। শীষগুলো পুষ্ট শস্যের দানায় ভরা। 23 তারপর সেগুলোর পরে সাতটা আরও শীষ উঠে এলো। কিন্তু এগুলো রোগা আর পূবের বাতাসে ঝলসানো ছিল। 24 এরপর সেই অপুষ্ট শীষগুলো পুষ্ট শীষগুলোকে খেয়ে ফেলল।
“আমার যাদুকরদের আমি এই স্বপ্নগুলো বললাম বটে কিন্তু তারা তার অর্থ বলতে পারল না। স্বপ্নগুলোর অর্থ কি?”
যোষেফ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলেন
25 তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “এই দুই স্বপ্নের বিষয়টা এক। ঈশ্বর শীঘ্রই যা করতে চলেছেন তা আপনার কাছে প্রকাশ করেছেন। 26 উভয় স্বপ্নের প্রকৃত অর্থ এক। সাতটা ভাল গরু এবং সাতটা ভাল শীষ সাতটা ভাল বছরকে বোঝাচ্ছে। 27 আর সাতটা রোগা গরু, সাতটা অপুষ্ট শীষ বোঝায় সাতটা দুর্ভিক্ষের বছর। সাতটা ভাল বছরের পর দুর্ভিক্ষের সাত বছর আসবে। 28 শীঘ্র যা ঘটতে চলেছে ঈশ্বর তাই-ই আপনাকে দেখিয়েছেন। যে ভাবে আমি বললাম ঈশ্বর সেইভাবেই এসব ঘটাবেন। 29 সাত বছর মিশরে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হবে। 30 কিন্তু তারপর আসবে দুর্ভিক্ষের সাতটা বছর। মিশরের লোকরা ভুলে যাবে অতীতে কত শস্যই না হত। এই দুর্ভিক্ষে দেশ নষ্ট হবে। 31 লোকরা ভুলে যাবে শস্যের প্রাচুর্য্য বলতে কি বোঝায়।
32 “ফরৌণ, আপনি একটি বিষয় নিয়ে দুটি স্বপ্ন দেখেছন। কারণ ঈশ্বর যে সত্যিই তা ঘটাতে চলেছেন তা আপনাকে দেখাতে চাইলেন। আর তিনি শীঘ্রই তা ঘটাবেন। 33 তাই ফরৌণ, আপনার উচিৎ একজন সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান লোক খুঁজে তাকে মিশর দেশের জন্য নিযুক্ত করা। 34 তারপর আপনি অন্য লোকদের নিয়োগ করুন যেন তারা খাদ্য সংগ্রহ করে। সাতটি ভাল বছরের প্রত্যেকটি লোক তাদের উৎপন্ন শস্যের এক পঞ্চমাংশ সেই লোকদের দিক। 35 এইভাবে ঐ লোকরা ঐ সাতটি ভাল বছরে প্রচুর খাদ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজন না পড়া পর্যন্ত শহরে শহরে সংগ্রহ করে রাখবে। এইভাবে ফরৌণ, আপনার অধীনে ঐ খাদ্য আসবে। 36 তারপর দুর্ভিক্ষের সাত বছরে মিশর দেশের জন্য খাদ্য থাকবে। আর দুর্ভিক্ষে মিশর ধ্বংস হয়ে যাবে না।”
বিশ্বাস ও সৎ কর্ম
14 আমার ভাই ও বোনেরা, যদি কেউ বলে আমার বিশ্বাস আছে, অথচ সে সেই অনুসারে কোন কাজ না করে, তা হলে তার বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই। সেই বিশ্বাস কি তাকে রক্ষা করতে পারবে? কখনই না। 15 ধর, কোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ভাই বা বোনের অন্ন বস্ত্রের অভাব আছে, 16 এই অবস্থায় তাকে কোন সাহায্য না করে তোমরা যদি মুখে বল, “ঈশ্বর তোমার সহায় হোন, খেয়ে পরে থাক।” কিন্তু তার উপকার করতে ঐ প্রয়োজনীয় দ্রব্য না দাও তবে ঐসব কথার কি মূল্য আছে? 17 ঠিক সেইভাবে বিশ্বাস অনুযায়ী যদি কোন কাজ না হয় তবে সে বিশ্বাস মৃত বলেই গন্য হয়। সেই বিশ্বাস শুধু বিশ্বাসই, তার বেশী কিছু নয়।
18 কিন্তু কেউ হয়তো বলবে, “তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কাজ আছে। কাজ বাদ দিয়ে তোমার বিশ্বাস আমাকে দেখাও আর আমি আমার কাজের মধ্যে আমার বিশ্বাস তোমাকে দেখাব।” 19 তুমি কি বিশ্বাস কর যে এক ঈশ্বর রয়েছেন? এমনকি ভূতরাও তা বিশ্বাস করে ও ভয়ে কাঁপে।
20 ওহে মুর্খ মানুষ! কর্মবিহীন বিশ্বাস যে কোন কাজের নয়, তুমি কি চাও আমি তা প্রমাণ করি? 21 অব্রাহাম আমাদের পিতৃপুরুষ ছিলেন। যখন তিনি তাঁর পুত্র ইস্হাককে যজ্ঞ বেদীর ওপর উৎসর্গ করেন, তখন তাঁর কাজের জন্য তিনি ঈশ্বরের কাছে স্বীকৃতি পান। 22 কাজেই লক্ষ্য কর অব্রাহামের বিশ্বাস ও কর্ম একসাথে কাজ করেছিল এবং তাঁর বিশ্বাস কর্মের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছিল। 23 এইভাবে শাস্ত্রের সেই বাক্য পূর্ণ হল যেখানে বলা হয়েছে, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন। ঈশ্বরের কাছে সেই বিশ্বাস গ্রহণযোগ্য হল এবং সেই বিশ্বাসে অব্রাহাম ঈশ্বরের কাছে নির্দোষ গণিত হলেন,”(A) আর তাঁকে “ঈশ্বরের বন্ধু” বলা হল।(B) 24 তাহলে তোমরা দেখলে যে মানুষ তার কাজের মাধ্যমেই ঈশ্বরের কাছে নির্দোষ বলে গণিত হয়, কেবলমাত্র তার বিশ্বাসের দ্বারা নয়।
25 আর একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে রাহবের কথা বলা যেতে পারে। বেশ্যা রাহব কি তার কাজের মাধ্যমেই ঈশ্বরের চোখে নির্দোষ গণিত হয় নি? সে গুপ্তচরদের (ঈশ্বরের লোক) লুকিয়ে রেখে পরে তাদের অন্য পথ দিয়ে নিরাপদে চলে যেতে সাহায্য করেছিল।
26 দেহের মধ্যে প্রাণ যখন থাকে না, তখন সেই দেহ যেমন মৃত, তেমনি কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International