Revised Common Lectionary (Complementary)
7 প্রভুর শিক্ষামালা হচ্ছে নিখুঁত।
সেগুলি ঈশ্বরের লোকদের শক্তি দেয়।
প্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য।
তা অজ্ঞ মানুষকে জ্ঞানী হতে সাহায্য করে।
8 প্রভুর সকল বিধি যথাযথ।
সেগুলি মানুষকে সুখী করে।
প্রভুর আজ্ঞাগুলিও উত্তম।
সেগুলি মানুষকে বাঁচার যথার্থ পথ দেখায়।
9 প্রভুর উপাসনা সেই আলোর মত,
যার দীপ্তি চিরদিন ভাস্বর।
প্রভুর সিদ্ধান্তগুলি ভাল এবং ন্যায়সঙ্গত।
10 প্রভুর শিক্ষামালা সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও মূল্যবান।
তা শ্রেষ্ঠ মধু, যা মৌচাক থেকে সরাসরি পাওয়া যায় তার থেকেও মিষ্টি।
11 প্রভুর শিক্ষামালা তাঁর দাসকে সতর্ক করে।
সেগুলি পালন করলে মহাফল হয়।
12 প্রভু, কোন ব্যক্তিই তার নিজের সব দোষ দেখতে পায় না।
তাই হে প্রভু, গোপনে পাপ করা থেকে আমায় বিরত করুন।
13 আমার যে সব পাপ করতে ইচ্ছা হয়, সেগুলো আমায় করতে দেবেন না।
ঐ পাপগুলিকে আমার ওপর প্রভুত্ব করতে দেবেন না।
আপনি যদি আমায় সাহায্য করেন, তবে আমি পাপমুক্ত ও শুচি থাকবো।
14 আমার বাক্য এবং চিন্তাসমূহ আপনাকে প্রসন্ন করুক।
হে প্রভু, আপনিই আমার শিলা। আপনিই সেই জন যিনি আমার রক্ষা করেন।
13 পরদিন মোশি লোকদের বিচার করতে বসল। বিচার সভায় এত লোক হয়েছিল যে সবাইকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হল।
14 মোশিকে লোকদের বিচার করতে দেখে যিথ্রো তাকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কেন একা বিচারকের দায়িত্ব পালন করছো? এবং সবাই সারাদিন ধরে কেনই বা শুধু তোমার কাছেই আসছে?”
15 তখন মোশি তার শ্বশুরকে বলল, “লোকরা আমার কাছে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত জানতে আসে। 16 যখন মানুষদের মধ্যে কোন বিবাদ তৈরী হয় তখন তারা আমার কাছে আসে। আমিই ঠিক করে দিই কে সঠিক আর কে বেঠিক। এই উপায়ে আমি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের বিধি ও শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিই।”
17 কিন্তু মোশির শ্বশুর তাকে বলল, “এটা ঐ কাজের সঠিক উপায় নয়। 18 এটা তোমার একার কাজ নয়। তুমি একা এই কাজ করতে পারবে না। এভাবে তুমিও উদ্যম হারাবে এবং লোকরাও ক্লান্ত হয়ে পড়বে! 19 এখন মন দিয়ে আমার কথা শোন। আমার কিছু উপদেশ গ্রহণ করো। এবং আমি প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকেন। তুমি সর্বদা লোকদের সমস্যা শুনে যাবে এবং সেগুলো নিয়ে তুমি সর্বদা ঈশ্বরের কাছে বলবে। 20 তুমি ঈশ্বরের বিধি ও শিক্ষামালাকে লোকদের মধ্যে জাগিয়ে তুলবে। তাদের বলবে তারা যেন ঈশ্বর প্রদত্ত বিধিকে না ভাঙ্গে। তাদের বলবে সঠিক পথে চলতে। তাদের কি করা উচিৎ তাও বলে দেবে। 21 কিন্তু তোমাকে কিছু মানুষকে বিচারক হিসাবে এবং নেতা হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
“কিছু ভাল মানুষ যাদের তুমি বিশ্বাস করতে পারো তাদের নির্বাচন করো—তারা ঈশ্বরকে সম্মান করবে। তাদেরই নির্বাচন করবে যারা অর্থের জন্য নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করবে না এবং এদের মানুষদের শাসক হিসাবে তৈরি করো। 1000 জন প্রতি, 100 জন প্রতি, 50 জন প্রতি এবং 10 জন প্রতি শাসক মনোনীত করো। 22 এবার ঐ লোকেদের শাসনের ভার এই শাসকদের হাতে ছেড়ে দাও। যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকে তাহলে সেই শাসকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তোমার কাছে আসবে। কিন্তু সাধারণ মামলার সিদ্ধান্তগুলি অবশ্য তারা নিজেরাই করে নেবে। এইভাবে তোমার বেশ কিছু কাজের ভার তারা বহন করবে এবং তার ফলে লোকদের নেতৃত্ব দিতে তোমারও সুবিধা হবে। 23 যদি তুমি এভাবে এগোতে পারো, আর ঈশ্বর যদি চান তাহলে তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে এবং একইভাবে লোকরাও তাদের সমস্যার সমাধান করে ঘরে ফিরে যেতে পারবে।”
24 যিথ্রো যা বলল মোশি তাই করল। 25 ইস্রায়েলের লোকদের থেকে কিছু ভাল লোককে সে মনোনীত করল। তারপর সে তাদের নেতা হিসেবে তুলে ধরল। মোশি প্রতি 1000 জনের জন্য, প্রতি 100 জনের জন্য, প্রতি 50 জনের জন্য, এবং প্রতি 10 জনের জন্য শাসক নিযুক্ত করল। 26 এরপর থেকে সেই প্রধানরাই সাধারণ লোকদের শাসন করতে শুরু করল। লোকদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে তারা নিজের নিজের অঞ্চলের নির্দিষ্ট প্রধানের কাছে যেতে লাগল সমস্যা সমাধানের জন্য। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কোন সমস্যা বা মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হত মোশিকে।
27 কিছুদিন পর মোশি তার শ্বশুর যিথ্রোকে বিদায় জানাল এবং যিথ্রো তার দেশে ফিরে গেল।
13 পিতর ও যোহনের নির্ভীকতা দেখে ও তাঁরা যে লেখাপড়া না জানা সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পেরে পর্ষদ আশ্চর্য হয়ে গেল। তখন তারা বুঝতে পারল যে পিতর ও যোহন যীশুর সঙ্গে ছিলেন। 14 যে লোকটি সুস্থ হয়েছিল, সে পিতর ও যোহনের সঙ্গে আছে দেখে পর্ষদ কিছুই বলতে পারল না।
15 তারা পিতর ও যোহনকে সভাকক্ষ থেকে বাইরে যেতে বলল। তাঁরা বাইরে গেলে নেতৃবর্গ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, 16 “এই লোকদের নিয়ে কি করা যায়? কারণ এটা ঠিক যে ওরা যে উল্লেখযোগ্য অলৌকিক কাজ করেছে তা জেরুশালেমের সকল লোক জেনে গেছে; আর আমরাও একথা অস্বীকার করতে পারি না। 17 কিন্তু একথা যেন লোকদের মধ্যে আর না ছড়ায়়, তাই এস আমরা এদের ভয় দেখিয়ে সাবধান করে দিই, যেন এই লোকের নামের বিষয় উল্লেখ করে তারা কোন কথা না বলে।”
18 তাই তারা পিতর ও যোহনকে আবার ভেতরে ডাকল; আর যীশুর নামে কোন কিছু বলতে বা শিক্ষা দিতে নিষেধ করল। 19 কিন্তু পিতর ও যোহন এর উত্তরে তাদের বললেন, “আপনারাই বিচার করুন, ঈশ্বরের বাক্যকে অমান্য করা বা আপনাদের বাধ্য থাকা কোনটি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সঠিক হবে? 20 কারণ আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি তা না বলে থাকতে পারব না।”
21-22 এরপর তারা পিতর ও যোহনকে আরো কিছুক্ষণ শাসিয়ে ছেড়ে দিল। তারা ওঁদের শাস্তি দেবার মতো কোন কিছুই পেল না, কারণ যা ঘটেছিল তা দেখে সব লোক ঈশ্বরের প্রশংসা করছিল। আর যে লোকটির ওপর আরোগ্যদানের এই অলৌকিক কাজ হয়েছিল, তার বয়স চল্লিশের ওপর ছিল।
বিশ্বাসীদের কাছে পিতর ও যোহনের প্রত্যাবর্তন
23 পিতর ও যোহন ছাড়া পেয়ে নিজের লোকদের কাছে ফিরে গেলেন, আর প্রধান যাজকগণ ও ইহুদী নেতারা তাঁদের যা যা বলেছিলেন, সে সব কথা তাঁদের বললেন। 24 একথা শুনে বিশ্বাসীরা সকলে সমবেত কণ্ঠে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এই প্রার্থনা জানাল, “প্রভু, আকাশমণ্ডল, পৃথিবী, সমুদ্র আর এসবের মধ্যে যা কিছু আছে সে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা তুমিই। 25 তুমি তোমার দাস, আমাদের পিতৃপুরুষ দায়ূদের মুখ দিয়ে পবিত্র আত্মার দ্বারা বলেছ:
‘জাতিবৃন্দ কেন ক্রুদ্ধ হল?
কেনই বা লোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অসার পরিকল্পনা করল?
26 ‘জগতের রাজারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল,
আর শাসকরা প্রভু ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তাঁর খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে এক হল।’(A)
27 হ্যাঁ, এই শহরেই তোমার পবিত্র দাস যীশুর বিরুদ্ধে, যাকে তুমি অভিষিক্ত করেছ তাঁর বিরুদ্ধে হেরোদ, পন্তীয়, পীলাত, ইহুদীরা ও অইহুদীরা এক হয়েছিল। 28 তোমার শক্তিতে ও তোমার ইচ্ছায় পূর্বেই যা ঘটবে বলে তুমি ঠিক করেছিলে, সেই কাজ করতেই তারা একত্র হয়েছিল। 29 আর এখন, হে প্রভু, তাদের এই শাসানি তুমি শোন। প্রভু, আমরা তোমার দাস; তোমার এই দাসদের সাহসের সঙ্গে তোমার কথা বলবার ক্ষমতা দাও। 30 লোককে সুস্থ করে দেবার জন্য তোমার হাত তুমি বাড়িয়ে দাও; তোমার পবিত্র দাস যীশুর নামে যেন অলৌকিক ও আশ্চর্য সব কাজ সম্পন্ন হয়।”
31 সেই বিশ্বাসীরা প্রার্থনা শেষ করলে, তাঁরা যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন সেই জায়গা কেঁপে উঠল। তাঁরা সকলে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন আর অসীম সাহসে ঈশ্বরের কথা বলতে লাগলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International