Revised Common Lectionary (Complementary)
4 লোকরা ভীত ও বিভ্রান্ত। সেই সব লোকদের বল, “শক্ত হও! ভীত হয়ো না!” দেখ, তোমাদের ঈশ্বর আসবেন এবং তোমাদের শত্রুদের শাস্তি দেবেন। তিনি আসবেন এবং তোমাদের পুরস্কৃত করবেন। প্রভু আসবেন এবং তোমাদের রক্ষা করবেন। 5 তখন অন্ধ মানুষরা চোখে দেখতে পারবে। তাদের চোখ খুলে যাবে। তখন বধিররা শুনতে পাবে। তাদের কান খুলে যাবে। 6 পঙ্গু মানুষরা হরিণের মতো নেচে উঠবে এবং যারা এখন কথা বলতে পারে না তারা গেয়ে উঠবে সুখের সঙ্গীত। বসন্তের জল যখন মরুভূমিতে প্রবাহিত হবে তখনই এসব ঘটবে। বসন্ত নেমে আসবে শুষ্ক জমিতে। 7 এখন লোকরা মরীচিকাকে দেখছে জলের মতো কিন্তু সেই সময় আসবে প্রকৃত জলপ্রবাহ। শুষ্ক জমিতে কুয়ো থাকবে। মাটির তলা থেকে জল নিঃসৃত হবে। এক সময় যেখানে বন্য জন্তুরা রাজত্ব করত সেখানে লম্বা জলজ উদ্ভিদ জন্মাবে।
146 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
2 আমার সারাজীবন ধরে আমি প্রভুর প্রশংসা করবো।
সারা জীবন আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
3 সাহায্যের জন্য তোমরা নেতাদের ওপর নির্ভর কর না।
লোকেদের বিশ্বাস কর না। কেন? কারণ লোকে তোমাকে বাঁচাতে পারে না।
4 মানুষ মরে কবরে চলে যায়।
তখন তাদের সাহায্যের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায়।
5 কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সাহায্য চায় তারা ভীষণ সুখী হয়।
ওরা ওদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 প্রভুই স্বর্গ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু তাদের চিরদিন রক্ষা করবেন।
7 নিস্পেষিত লোকদের জন্য প্রভু ঠিক কাজ করেন।
ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার দেন।
কারাগারে বদ্ধ মানুষকে প্রভুই মুক্ত করেন।
8 প্রভু অন্ধকে পুনরায় দৃষ্টি দেন।
যারা সমস্যায় পড়েছে, প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
যে সব লোকরা ভাল তাদের প্রভু ভালোবাসেন।
9 আমাদের দেশে যে সব বিদেশীরা বাস করে তাদের প্রভু রক্ষা করেন।
প্রভুই বিধবা ও অনাথদের দেখাশোনা করেন
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
10 প্রভু চিরদিনই শাসন করবেন!
সিয়োন, তোমার ঈশ্বর চিরদিনই রাজত্ব করবেন!
প্রভুর প্রশংসা কর!
সবাইকে ভালবাসো
2 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা আমাদের মহিমাময় প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না। 2 মনে কর কোন ব্যক্তি হাতে সোনার আংটি ও পরনে দামী পোশাক পরে তোমাদের সভায় এল। সেই সময় একজন গরীব লোকও ময়লা পোশাক পরে সেখানে এল। 3 যদি তোমরা সেই দামী পোশাক পরা মানুষটির দিকে বিশেষ নজর দিয়ে বল, “এই ভাল চেয়ারে বসুন,” আর সেই গবীর লোকটিকে বল, “তুমি ওখানে দাঁড়াও,” কিংবা “তুমি আমার এই পায়ের কাছে মাটিতে বস,” 4 তাহলে তোমরা কি করছ? এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনকে কি বেশী সম্মানের পাত্র বলে বিচার করছ না? তোমরা কি মন্দ মাপকাঠিতে লোকের বিচার করছ না?
5 আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা শোন, সংসারে যারা গরীব, ঈশ্বর কি তাদের বিশ্বাসে ধনী হবার জন্য মনোনীত করেন নি? যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে তাদের যে রাজ্য দেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই রাজ্যের অধিকারী হবার জন্য এই গরীব লোকদের কি তিনি বেছে নেন নি? 6 কিন্তু তোমরা সেই গরীব লোকটিকে কোন সম্মান দিলে না। ধনীরাই কি তোমাদের দাবিয়ে রাখে না? তারাই কি তোমাদের আদালতে টেনে নিয়ে যায় না? 7 যে উত্তম নাম (যীশু) তোমাদের কাছে কীর্ত্তিত হয়েছে, তোমরা যাঁর আপনজন, ধনীরাই কি সেই সম্মানিত নামের নিন্দা করে না?
8 সমস্ত বিধি-ব্যবস্থার উর্দ্ধে একটি বিধি আছে। এই রাজকীয় ব্যবস্থাটি শাস্ত্রে রয়েছে: “তোমরা প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালবাসবে।”(A) তোমরা যদি সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর তবে ভালই করছ। 9 কিন্তু তোমরা যদি কারোর প্রতি পক্ষপাতিত্ব কর তবে তোমরা পাপ করছ, আর এই রাজকীয় ব্যবস্থা তোমাদের ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা ভঙ্গকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করবে।
10 কেউ যদি সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে ও তার মধ্যে কেবল যদি একটি ব্যবস্থা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে সে সমস্ত ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়।
11 ঈশ্বর বলেছেন, “ব্যভিচার করো না।”(A) আবার তিনিই বলেছেন, “নরহত্যা করো না।”(B) এবার তুমি যদি ব্যভিচার না করে নরহত্যা কর, তাহলেও তুমি একজন ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা ভঙ্গকারী।
12 যে ব্যবস্থা তোমাদের স্বাধীন করেছে তারই দ্বারা তোমাদের বিচার হবে, সুতরাং তোমরা যে কোন কাজ করার আগে ও কথা বলার পূর্বে এইসব স্মরণ কর। 13 তোমাদের উচিত অপরের প্রতি দয়া করা। যে কারও প্রতি দয়া করে নি, ঈশ্বরের কাছ থেকে সে বিচারের সময় দয়া পাবে না। কিন্তু যে দয়া করেছে সে বিচারের সময় নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারবে।
বিশ্বাস ও সৎ কর্ম
14 আমার ভাই ও বোনেরা, যদি কেউ বলে আমার বিশ্বাস আছে, অথচ সে সেই অনুসারে কোন কাজ না করে, তা হলে তার বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই। সেই বিশ্বাস কি তাকে রক্ষা করতে পারবে? কখনই না। 15 ধর, কোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ভাই বা বোনের অন্ন বস্ত্রের অভাব আছে, 16 এই অবস্থায় তাকে কোন সাহায্য না করে তোমরা যদি মুখে বল, “ঈশ্বর তোমার সহায় হোন, খেয়ে পরে থাক।” কিন্তু তার উপকার করতে ঐ প্রয়োজনীয় দ্রব্য না দাও তবে ঐসব কথার কি মূল্য আছে? 17 ঠিক সেইভাবে বিশ্বাস অনুযায়ী যদি কোন কাজ না হয় তবে সে বিশ্বাস মৃত বলেই গন্য হয়। সেই বিশ্বাস শুধু বিশ্বাসই, তার বেশী কিছু নয়।
যীশু একটি অইহুদী স্ত্রীলোককে সাহায্য করলেন
(মথি 15:21-28)
24 পরে তিনি সেই স্থান ছেড়ে সোর অঞ্চলে গিয়ে সেখানে একটা বাড়িতে ঢুকলেন, আর তিনি যে সেখানে এসেছেন সেটা গোপন রাখতে চাইলেন: কিন্তু পারলেন না। 25 যীশুর আসার কথা শুনে একটি স্ত্রীলোক, যার মেয়ের ওপর অশুচি আত্মা ভর করেছিল, সে সঙ্গে সঙ্গে এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। 26 স্ত্রীলোকটি ছিল জাতিতে গ্রীক, সুরফৈনীকী। সে মিনতি করে যীশুকে বলল যেন তিনি তার মেয়ের ভেতর থেকে ভূতকে তাড়িয়ে দেন।
27 তিনি স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “প্রথমে ছেলেমেয়েরা তৃপ্ত হোক্, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরকে খাওয়ানো ঠিক নয়।”
28 তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “প্রভু এটা সত্য; কিন্তু কুকুররাও তো খাবার টেবিলের নীচে ছেলেমেয়েদের ফেলে দেওয়া খাবারের টুকরোগুলো খেতে পায়।”
29 তখন তিনি তাকে বললেন, “তুমি ভালোই বলেছ, বাড়ি যাও, গিয়ে দেখ ভূত তোমার মেয়েকে ছেড়ে চলে গেছে।”
30 তখন সে বাড়ি গিয়ে দেখতে পেল, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে আছে এবং ভূত তার মধ্য থেকে বেরিয়ে গেছে।
এক বধিরের আরোগ্যলাভ
31 পরে তিনি সোর থেকে সীদোন হয়ে দিকাপলি অঞ্চলের ভেতর দিয়ে গালীল হ্রদের কাছে ফিরে এলেন। 32 তখন কিছু লোক একটা বোবা কালাকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে তার ওপর হাত রাখতে মিনতি করল।
33 তিনি তাকে ভীড়ের মধ্যে থেকে এক পাশে এনে তার দুই কানে নিজের আঙ্গুল দিলেন। তারপর থুথু ফেলে তার জিভ ছুঁলেন। 34 আর স্বর্গের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “ইপফাথা!” যার অর্থ “খুলে যাক!” 35 সঙ্গে সঙ্গে লোকটি কানে শুনতে পেল, তার জিভের জড়তা কেটে গেল আর সে ভালভাবেই কথা বলতে লাগল।
36 পরে তিনি তাদের একথা আর কাউকে বলতে নিষেধ করলেন; কিন্তু তিনি যতই বারণ করলেন ততই তারা আরো বেশী করে বলতে লাগল। 37 যীশুর এই কাজ দেখে তারা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে গিয়ে বলল, “তিনি যা কিছু করেন তা অপূর্ব। তিনি কালাকে শোনার শক্তি, বোবাকে কথা বলার শক্তি দেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International