Revised Common Lectionary (Complementary)
9 তোমরা প্রভুর পবিত্র অনুগামীরা, প্রভুকে শ্রদ্ধা কর।
কারণ অনুগামীদের কাছে প্রত্যেকটি জিনিস আছে যা তাদের প্রয়োজন।
10 বলবান লোকরাও ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য যাবে, তারা সব ভালো জিনিসই পাবে।
11 শিশুরা, আমার কথা শোন,
আমি তোমাদের শিখিয়ে দেবো কেমন করে প্রভুকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
12 যদি কেউ জীবনকে ভালোবাসে
এবং দীর্ঘ ও ভালো জীবনযাপন করতে চায়,
13 তাহলে, সেই ব্যক্তি যেন মন্দ কথা না বলে,
সে যেন মিথ্যা কথা না বলে।
14 খারাপ কাজ করা বন্ধ করে দাও! ভালো কাজ কর।
শান্তির জন্য কাজ কর। যতক্ষণ না শান্তি পাও, ততক্ষণ তার পেছনে ছুটে বেড়াও।
13 ইয়োব বললেন, “আগেও আমি এসব দেখেছি।
তুমি যা বলছো, আমি তার সবই আগে শুনেছি।
আমি ঐ সব কিছুই বুঝেছি।
2 তুমি যা জানো আমিও তাই জানি।
আমিও তোমার মতই জানি।
3 কিন্তু আমি তোমার সঙ্গে তর্ক করতে চাই না।
আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
আমি আমার সমস্যার বিষয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে চাই।
4 কিন্তু তোমরা তিন জন মিথ্যা দিয়ে তোমাদের অজ্ঞতাকে ঢাকতে চাইছো।
তোমরা সেই অপদার্থ ডাক্তারের মত যারা কারো রোগই সারাতে পারে না।
5 তোমরা যদি একটু চুপ করে থাকতে পারতে!
সেটাই হত বিজ্ঞের মতো কাজ যা তোমরা করতে পারতে।
6 “এখন আমার যুক্তিগুলো শোন।
আমার যা বলার আছে তা শোন।
7 তোমরা কি ঈশ্বরের জন্য মিথ্যা কথা বলবে?
তোমরা কি ঈশ্বরের জন্য কপটভাবে কথা বলবে?
8 তোমরা কি ঈশ্বরের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাবে?
তোমরা কি তাঁর পক্ষ নিয়ে
অন্যায় ভাবে তর্ক করবে?
9 যদি ঈশ্বর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তোমাদের বিচার করেন
তিনি কি তোমাদেরও সঠিক দেখবেন?
তোমরা কি মনে কর, যে ভাবে তোমরা মানুষকে বোকা বানাও,
সেই ভাবে তোমরা ঈশ্বরকে বোকা বানাতে পারবে?
10 তোমরা তো জানো, যে তোমরা যদি গোপনে পক্ষপাতিত্ব দেখাও,
ঈশ্বর তোমাদের তিরস্কার করবেন।
11 ঈশ্বরের মহিমা তোমাদের ভীত করে।
তোমরা তাঁকে ভয় পাও।
12 তোমাদের পরমপরাগত জ্ঞান ছাইয়ের মতই অকেজো।
তোমাদের উত্তরগুলিও কাদামাটির মতো নিরর্থক।
13 “চুপ করে থাক এবং আমাকে কথা বলতে দাও!
তাহলে আমার প্রতি যা কিছুই হোক্ আমি তা গ্রহণ করব।
14 আমি নিজেকে বিপদের মধ্যে নিয়ে যাবো
এবং নিজের জীবন নিজের হাতেই তুলে নেব।
15 ঈশ্বর যদি আমাকে মেরেও ফেলেন আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে যাবো।
কিন্তু আমি ঈশ্বরের সামনে প্রমাণ করে দেবো যে আমার পথও প্রকৃত ন্যায্য পথ ছিল।
16 নিশ্চিত ভাবে, এটা হবে আমার জয়।
কোন দুষ্ট লোকই ঈশ্বরের মুখোমুখি হতে চায় না।
17 আমি যা বলছি তা মন দিয়ে শোন।
আমাকে বুঝিয়ে বলতে দাও।
18 এখন আমি আমার যুক্তিগুলো উপস্থাপিত করতে প্রস্তুত।
আমি খুব সতর্কভাবে আমার যুক্তি উত্থাপন করবো।
আমি জানি আমিই সঠিক বলে চিহ্নিত হবো।
19 যদি কেউ প্রমাণ করে দেয় যে আমি ঠিক নই,
আমি চুপ করে থাকব এবং মরে যাব।
7 একজন শমরীয়া স্ত্রীলোক সেখানে জল তুলতে এল। যীশু তাকে বললেন, “আমায় একটু জল খেতে দাও তো।” 8 সেই সময় শিষ্যরা শহরে কিছু খাবার কিনতে গিয়েছিল।
9 সেই শমরীয় স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “একি আপনি একজন ইহুদী হয়ে আমার কাছ থেকে খাবার জন্য জল চাইছেন? আমি একজন শমরীয় স্ত্রীলোক!” (ইহুদীরা শমরীয়দের সঙ্গে কোনরকম মেলামেশা করত না।)
10 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “তুমি যদি জানতে যে ঈশ্বরের দান কি আর কে তোমার কাছ থেকে খাবার জন্য জল চাইছেন তাহলে তুমিই আমার কাছে জল চাইতে আর আমি তোমাকে জীবন্ত জল দিতাম।”
11 স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “মহাশয়, আপনি কোথা থেকে সেই জীবন্ত জল পাবেন? এই কুয়াটি যথেষ্ট গভীর। জল তোলার কোন পাত্রও আপনার কাছে নেই। 12 আপনি কি আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোবের চেয়ে মহান? তিনি আমাদের এই কুয়াটি দিয়ে গেছেন। তিনি নিজেই এই কুয়ার জল খেতেন এবং তাঁর সন্তানরা ও তাঁর পশুপালও এর থেকেই জল পান করত।”
13 যীশু তাকে বললেন, “যে কেউ এই জল পান করবে তার আবার তেষ্টা পাবে। 14 কিন্তু আমি যে জল দিই তা যে পান করবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না। সেই জল তার অন্তরে এক প্রস্রবনে পরিণত হয়ে বইতে থাকবে, যা সেই ব্যক্তিকে অনন্ত জীবন দেবে।”
15 স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “মশায়, আমাকে সেই জল দিন, যেন আমার আর কখনও পিপাসা না পায় আর জল তুলতে আমায় এখানে আসতে না হয়।”
16 তিনি তাকে বললেন, “যাও, তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে নিয়ে এস।”
17 তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “আমার স্বামী নেই।”
যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিকই বলেছ যে তোমার স্বামী নেই। 18 তোমার পাঁচ জন স্বামী হয়ে গেছে; আর এখন যে লোকের সঙ্গে তুমি আছ সে তোমার স্বামী নয়, তাই তুমি যা বললে তা সত্যি।”
19 সেই স্ত্রীলোকটি তখন তাঁকে বলল, “মহাশয়, আমি দেখতে পাচ্ছি যে আপনি একজন ভাববাদী। 20 আমাদের পিতৃপুরুষরা এই পর্বতের ওপর উপাসনা করতেন। কিন্তু আপনারা ইহুদীরা বলেন যে জেরুশালেমই সেই জায়গা যেখানে লোকেদের উপাসনা করতে হবে।”
21 যীশু তাকে বললেন, “হে নারী, আমার কথায় বিশ্বাস কর! সময় আসছে যখন তোমরা পিতা ঈশ্বরের উপাসনা এই পাহাড়ে করবে না, জেরুশালেমেও নয়। 22 তোমরা শমরীয়রা কি উপাসনা কর তোমরা তা জানো না। আমরা ইহুদীরা কি উপাসনা করি আমরা তা জানি, কারণ ইহুদীদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ আসছে। 23 সময় আসছে, বলতে কি, তা এসে গেছে, যখন প্রকৃত উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতা ঈশ্বরের উপাসনা করবে। পিতা ঈশ্বরও এইরকম উপাসনাকারীদেরই চান। 24 ঈশ্বর আত্মা, যাঁরা তাঁর উপাসনা করে তাদের আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।”
25 তখন সেই স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “আমি জানি, মশীহ আসছেন। মশীহকে তারা খ্রীষ্ট বলে। যখন তিনি আসবেন, তখন আমাদের সব কিছু জানাবেন।”
26 যীশু তাকে বললেন, “তোমার সঙ্গে যে কথা বলছে আমিই সেই মশীহ।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International