Revised Common Lectionary (Complementary)
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
65 সিয়োনে বিরাজমান হে ঈশ্বর, আমি আপনার প্রশংসা করি।
আপনাকে যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা আমি দিয়েছি।
2 আপনি যে সব কাজ করেছেন সে সম্পর্কে আমরা বলে থাকি।
আপনিও আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন।
যারা আপনার কাছে আসে, তাদের প্রত্যেকের প্রার্থনা আপনি শোনেন।
3 যখন আমাদের পাপের ভার অতিরিক্ত বেড়ে যায়,
তখন আপনি সেই পাপ ভার লাঘব করেন।
4 ঈশ্বর, আপনিই আপনার লোকদের মনোনীত করেন।
আপনার মন্দিরে এসে আপনার উপাসনা করার জন্য আপনিই আমাদের মনোনীত করেছেন।
আপনার মন্দিরে, আপনার পবিত্র প্রাসাদে,
যে সব মনোরম জিনিস আছে, তাই দিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হব!
5 ঈশ্বর আপনি আমাদের রক্ষা করেন।
ভালো লোকরা আপনার কাছে প্রার্থনা করে এবং আপনি তাদের প্রার্থনার উত্তর দেন।
তাদের জন্য আপনি আশ্চর্য কার্য করেন।
সারা পৃথিবীতে লোকরা আপনাতে আস্থা রাখে।
6 ঈশ্বর তাঁর শক্তি দিয়ে পর্বত সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের চারপাশে আমরা তাঁর শক্তিকে দেখতে পাই।
7 উত্তাল সমুদ্রকে ঈশ্বর শান্ত করেছেন।
ঈশ্বরই পৃথিবীতে “জনসমুদ্রসমূহ” সৃষ্টি করেছেন।
8 আপনি যেসব বিস্ময়কর জিনিস করেন, তাতে সারা পৃথিবীর লোক বিস্ময়-বিহ্বল হয়েছে।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আমাদের প্রচণ্ড সুখী করে!
9 আপনিই জমির যত্ন নেন।
আপনিই জমিতে সেচ দেন এবং তাতে ফসল ফলান।
হে ঈশ্বর, আপনিই সেই জন, যিনি নদী ও খালগুলি জলে ভরে দিয়েছেন
এবং ফসল ফলাতে সাহায্য করেছেন।
10 হাল দেওয়া জমিতে আপনিই বৃষ্টি ঝরান।
আপনিই জমিকে জল দিয়ে সিক্ত করেন।
আপনিই বৃষ্টির জল দিয়ে জমিকে নরম করেন
এবং আপনিই কচি চারা জন্মাতে দেন।
11 আপনি ভালো ফসল দিয়ে নতুন বছর শুরু করেন।
আপনি বিভিন্ন ফসল দিয়ে গাড়ীগুলি ভরে দেন।
12 পাহাড় ও মরুভূমি ঘাসে আচ্ছাদিত হয়ে আছে।
13 চারণ ভূমিগুলো মেষে ভরে রয়েছে।
উপত্যকাগুলো ফসলে পরিপূর্ণ হয়েছে।
প্রত্যেকটি মানুষ আনন্দে ধ্বনি দিচ্ছে এবং গান গাইছে।
শিলাবৃষ্টি
13 এরপর প্রভু, ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “সকালে উঠে ফরৌণের কাছে গিয়ে বলবে, প্রভু ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমার লোকদের আমার উপাসনা করতে যেতে দাও। 14 যদি তুমি তা না কর, তবে তোমাকে, তোমার সমস্ত রাজকর্মচারীদের এবং লোকদের সমস্ত রকমের দুর্ভোগ ভুগতে হবে। তখন তুমি জানবে যে এই পৃথিবীতে আমার মতো ঈশ্বর আর নেই, 15 আমি আমার ক্ষমতা দিয়ে তোমাদের এমন রোগ দিতে পারি যা তোমাদের পৃথিবী থেকে মুছে দেবে। 16 কিন্তু আমি তোমাদের একটা কারণে এখানে রেখেছি। আমি তোমাদের আমার ক্ষমতা দেখানোর জন্য রেখেছি, যাতে সারা পৃথিবীর লোক আমার কথা শুনতে পারে। 17 তুমি এখনও আমার লোকদের সঙ্গে বিরোধিতা করছ এবং তাদের যেতে দিচ্ছ না। 18 তাই আগামীকাল এই সময় আমি এক ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি ঘটাবো। মিশরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই রকম ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি আর কখনও হয় নি। 19 এখন তুমি তোমার পশুদের একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাও। তোমার ক্ষেতে যা কিছু আছে সব একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাও। কেন? কারণ কোন লোক যদি ক্ষেতে পড়ে থাকে, তবে সে মারা যাবে; যদি কোন পশু মাঠে পড়ে থাকে সে মারা যাবে। তোমার বাড়ীর বাইরে যা কিছু পড়ে থাকবে সে সব কিছুর ওপরেই শিলাবৃষ্টি হবে।’”
20 ফরৌণের সেই কর্মচারীরা যারা প্রভুর বার্তাকে গুরুত্ব দিয়েছিল তারা তাদের পশু ও ক্রীতদাসদের ক্ষেত থেকে নিয়ে এলো এবং ঘরে রেখে দিল। 21 কিন্তু যে সব কর্মচারীরা প্রভুর বার্তা অগ্রাহ্য করেছিল তারা তাদের ক্রীতদাসদের ও পশুদের মাঠে রেখে দিল।
22 প্রভু মোশিকে বললেন, “তোমার হাত আকাশের দিকে তুলে ধরো, তাহলে মিশরের ওপর শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। মিশরের সমস্ত ক্ষেতের মানুষ, পশু ও গাছপালার ওপর এই শিলাবৃষ্টি হবে।”
23 তাই মোশি তার হাতের ছড়ি আকাশের দিকে তুলল, তারপর প্রভু ভূমির ওপর বজ্রনির্ঘোষ, শিলাবৃষ্টি ও অশনি ঘটালেন। সারা মিশরে শিলাবৃষ্টি হল। 24 শিলাবৃষ্টি হচ্ছিল এবং চারিদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। এই ধরণের ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি মিশরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আগে কখনও হয়নি। 25 এই শিলাবৃষ্টি মিশরের ক্ষেতের সমস্ত কিছু, লোকজন ও পশুসহ গাছপালা ধ্বংস করে দিল। এই শিলাবৃষ্টিতে মাটির সমস্ত গাছ ভেঙ্গে পড়েছিল। 26 একমাত্র ইস্রায়েলের লোকদের বাসস্থান গোশন প্রদেশে শিলাবৃষ্টি হল না।
27 ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে বললেন, “এইবার বুঝেছি যে আমি পাপ করেছি। প্রভুই ঠিক ছিলেন। আমি ও আমার লোকরা ভুল করেছি। 28 প্রভুর দেওয়া শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত আর সহ্য হচ্ছে না। ঈশ্বরকে গিয়ে এই ঝড় থামাতে বল। তাহলে আমি তোমাদের যেতে দেব, তোমাদের আর এখানে থাকতে হবে না।”
29 মোশি ফরৌণকে বললেন, “আমি যখন শহর ত্যাগ করে যাবো তখন আমি প্রভুকে প্রার্থনার ভঙ্গীতে আমার হাতগুলো ওপরে তুলব। এবং তারপর বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থামবে। তখন তুমি জানবে যে এই পৃথিবী প্রভুর অধিকারে। 30 কিন্তু আমি জানি যে তুমি এবং তোমার কর্মচারীরা এখনও প্রভুকে শ্রদ্ধা করো না।”
31 য়ব ও শন গাছে ফুল এসে গিয়েছিল। তাই এই সমস্ত শস্য নষ্ট হয়ে গেল। 32 কিন্তু যেহেতু গম ও জনার বড় হল না তাই সেগুলো নষ্ট হল না।
33 মোশি ফরৌণের কাছে থেকে শহরের বাইরে গেল, প্রভুকে প্রার্থনা করার ভঙ্গীতে তার হাতগুলো ওপরে তুলল এবং তৎক্ষণাৎ বজ্র, শিলাবৃষ্টি এমনকি বৃষ্টিও থেমে গেল।
34 যখন ফরৌণ দেখলেন বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থেমে গিয়েছে তখন তিনি আবার ভুল করলেন। তিনি ও তার কর্মচারীরা জেদী হয়ে গেল। 35 ফরৌণ উদ্ধত হলেন এবং ইস্রায়েলের লোকদের যেতে দিতে অস্বীকার করলেন। এসবই হয়েছিল ঠিক প্রভু যেমন মোশিকে বলেছিলেন সেইরকম ভাবেই।
জাহাজ ধ্বংস হল
39 দিন হলে পর তারা সেই জায়গাটা চিনতে পারল না; কিন্তু এমন এক খাড়ি দেখতে পেল যার বড় বালুতট ছিল। তারা ঠিক করল যদি সম্ভব হয় তবে ঐ বালুতটের ওপরে জাহাজটা তুলে দেবে। 40 এই আশায় তারা নোঙ্গর কেটে দিল আর তা সমুদ্রেই পড়ে রইল। এরপর হালের বাঁধন খুলে দিয়ে বাতাসের সামনে পাল তুলে সেই বেলাভূমি লক্ষ্য করে এগিয়ে চলল। 41 কিন্তু একটু এগোতেই তারা বালিয়াড়িতে ধাক্কা পেল, জাহাজের সামনের দিকটা বালিতে বসে গিয়ে অচল হয়ে পড়ল, ফলে ঢেউয়ের আঘাতে পিছনের দিকটা ভেঙে যেতে লাগল।
42 তখন সৈন্যরা বন্দীদের হত্যা করবে বলে ঠিক করল, পাছে তাদের কেউ সাঁতার কেটে পালায়। 43 কিন্তু সেনাপতি পৌলকে বাঁচাবার আশায় তাদের এই কাজ করতে নিষেধ করলেন, হুকুম দিলেন যেন যারা সাঁতার জানে তারা ঝাঁপ দিয়ে আগে ডাঙ্গায় ওঠে। 44 বাকী সকলে যেন জাহাজের ভাঙ্গা তক্তা বা কোন কিছু ধরে কিনারে যেতে চেষ্টা করে। এইভাবে সকলেই নিরাপদে তীরে এসে পৌঁছলো।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International