Revised Common Lectionary (Complementary)
প্রভুর উদ্দেশ্যে দায়ূদের একটি গীত। এই গানটি বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর কূশের পুত্র শৌল সম্পর্কিত।
7 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি আপনার ওপর নির্ভর করি। যারা আমায় তাড়া করছে তাদের হাত থেকে আপনি আমায় রক্ষা করুন। আমায় উদ্ধার করুন!
2 যদি আপনি আমায় সাহায্য না করেন, আমি সিংহের হাতে ধরা পড়া পশুর মত অসহায় হয়ে পড়ব।
তারা আমাকে টেনে নিয়ে যাবে।
আমাকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না!
3 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমি কোন অন্যায় করি নি।
আমি শপথ করে বলছি আমি কোন অন্যায় করিনি!
4-6 প্রভু আমার ঈশ্বর, যদি আমার বাক্য কোন মন্দ কাজ করে থাকে
এবং যদি আমি আমার বন্ধুর প্রতি কোন অন্যায় কাজ করে থাকি
এবং যদি কোন কারণ ছাড়াই শত্রুর কাছ থেকে কোন জিনিস নিয়ে থাকি বা আক্রমণ করে থাকি
তাহলে আমার শত্রুরা যেন আমাকে খুঁজে ধরে ফেলে
এবং আমাকে হত্যা করে আমার জীবন ধূলোয় মিশিয়ে দেয়
এবং আমার আত্মাকে পাতালে পাঠিয়ে দেয়।
7 প্রভু, লোকদের বিচার করুন।
সকল জাতিদের আপনার সঙ্গে সঙ্ঘবদ্ধ করুন।
8 এবং লোকদের বিচার করুন।
হে প্রভু, আমারও বিচার করুন।
প্রমাণ করুন আমি সত্য পথে আছি।
প্রমাণ করুন আমি নিষ্পাপ।
9 মন্দ লোকদের শাস্তি দিন,
সৎ লোকদের সাহায্য করুন।
হে ঈশ্বর, আপনিই মঙ্গলময়।
আপনি লোকের হৃদয়ের ভেতরে কি আছে তা দেখতে পান।
10 যাদের হৃদয় সৎ তাদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
তাই ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন।
11 ঈশ্বর একজন সুবিচারক।
সব সময় তিনি মন্দের বিরুদ্ধে বলেন।
12 ঈশ্বর তাঁর আক্রমণ থামাবেন না।
তিনি তাঁর আক্রমণ থেকে পিছু হঠবেন না।[a]
তিনি তাঁর ধনুকে টান দিয়েছেন
এবং শত্রুদের প্রতি তাঁর লক্ষ্য স্থির রেখেছেন।
13 তিনি মারণাস্ত্র তৈরী করে রেখেছেন এবং তাঁর তীরগুলো ধারালো করেছেন।
14 কিছু লোক সর্বদাই মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা গোপনে ফন্দি করে
এবং মিথ্যা কথা বলে।
15 তারা অন্য লোকদের ফাঁদে ফেলতে চায় এবং আঘাত করতে চায়।
কিন্তু নিজেদের ফাঁদে পড়েই ওরা আহত হবে।
16 যা শাস্তি ওদের প্রাপ্য ওরা সেই শাস্তিই পাবে।
অপরের প্রতি ওরা নির্দয় ছিল।
ওদের যা প্রাপ্য ওরা তাই পাবে।
17 আমি প্রভুর প্রশংসা করি, কারণ তিনি ভালো।
আমি পরাৎপর প্রভুর নামের প্রশংসা করি।
7 “এখন হে মনুষ্যসন্তান, ইস্রায়েল পরিবারের জন্য প্রহরী হিসাবে আমি তোমাকেই মনোনীত করছি। তুমি যদি আমার মুখ থেকে কোন বার্তা শোন, তবে আমার হয়ে লোকদের সতর্ক করো। 8 আমি হয়ত তোমায় বলব, ‘এই মন্দ লোকরা মরবে।’ তখন তুমি অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে সাবধান করবে। যদি তুমি সেই দুষ্ট ব্যক্তিকে সাবধান না কর ও তার জীবনধারার পরিবর্ত্তন করতে না বল তবে সেই দুষ্ট লোক তার পাপেই মারা যাবে; কিন্তু আমি তোমাকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করব। 9 কিন্তু তুমি যদি সেই দুষ্ট লোককে সাবধান করে এবং জীবনধারা পরিবর্ত্তন করতে ও পাপ হতে বিরত হতে বললেও যদি সেই দুষ্ট লোক পাপ করতে থাকে, তবে সে তার পাপেই মরবে কিন্তু তুমি তোমার প্রাণ রক্ষা করবে।
ঈশ্বর ধ্বংস করতে চান না
10 “সুতরাং হে মনুষ্যসন্তান, আমার হয়ে ইস্রায়েলের পরিবারের কাছে কথা বল। ঐ লোকেরা হয়তো বলবে, ‘আমরা পাপ করেছি ও বিধি অমান্য করেছি। আমাদের পাপ বহনের পক্ষে অত্যন্ত ভারী। ঐ পাপের জন্য আমরা ক্ষয় পাচ্ছি। বাঁচতে হলে আমরা কি করব?’
11 “তুমি তাদের বলবে, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন: আমার জীবনের দিব্য, কোন লোকের মৃত্যুতে আমি কোন আনন্দ অনুভব করি না; এমনকি একজন দুষ্ট লোকের মৃত্যুতেও নয়। আমি চাই না যে তারা মারা যাক্। আমি চাই যেন ঐ দুষ্ট লোকেরা ফিরে আসে। আমি চাই যে তারা তাদের জীবন ধারার পরিবর্ত্তন করুক এবং একটি সত্যিকারের জীবনযাপন করুক! তাই আমার কাছে ফিরে এস! মন্দ কাজ করা থেকে বিরত হও! ওহে ইস্রায়েলের পরিবার, তোমরা কেন মরবে?’
12 “মনুষ্যসন্তান, তোমার লোকদের বল: ‘অতীতে কোন মানুষ যদি ভাল কাজ করে থাকে তবে পরে সে মন্দ হলেও পাপ করতে শুরু করলেও অতীতের সেই ভাল কাজ তাকে রক্ষা করবে না। কিন্তু যদি কোন মানুষ মন্দ হতে ফেরে তবে অতীতের করা মন্দ কাজ তাকে ধ্বংস করবে না। সুতরাং মনে রেখো পাপ করতে শুরু করলে অতীতের কৃত ভাল কাজ কাউকে রক্ষা করবে না।’
13 “আমি যদি কোন ধার্মিক লোককে বলি যে সে বাঁচবে কিন্তু যদি সেই ব্যক্তি মনে করে অতীতের কৃত ভাল কাজ তাকে রক্ষা করবে আর মন্দ কাজ করতে শুরু করে তবে আমি তার অতীতে করা ভাল কাজ স্মরণ করব না। সে মন্দ কাজ করতে শুরু করেছে বলে মরবে!
14 “অথবা আমি এক মন্দ লোককে বলতে পারি যে সে মরবে কিন্তু সে তার জীবন পরিবর্ত্তন করতে পারে। সে পাপ করা থেকে বিরত হয়ে সঠিকভাবে জীবনযাপন করতে পারে এবং ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ হতে পারে। 15 টাকা ধার করার সময় যে জিনিস বন্ধক রেখেছিল তা ফিরিয়ে দিতে পারে। সে চুরি করা জিনিসের মূল্য ফেরৎ দিতে পারে। যে আজ্ঞা জীবন দেয়, তা পালন করতে পারে। এইসব মন্দ কাজ থেকে বিরত হতে পারে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি অবশ্যই বাঁচবে, সে মরবে না। 16 অতীতে সে যে মন্দ কাজ করেছিল তা আমি মনে রাখব না। সে বেঁচে থাকবে কারণ সে এখন সঠিক পথে চলছে ও ন্যায্য কাজ করছে!
17 “কিন্তু তোমার লোকরা বলে, ‘ওটা করা ঠিক হয়নি। আমাদের প্রভু কখনই এমন হতে পারেন না!’
“কিন্তু ঐ লোকরা ন্যায্য আচরণ করছে না। 18 যদি একজন ধার্মিক লোক ভাল কাজ করা বন্ধ করে পাপ করতে শুরু করে তবে সে নিজের পাপেই মরবে। 19 আর যদি এক মন্দ লোক মন্দ কাজ করা থেকে বিরত হয়ে সৎ ও ন্যায়পরায়ণভাবে জীবনযাপন করে, তবে সে বাঁচবে! 20 কিন্তু তোমরা তবু বল যে আমার পথ ন্যায্য নয় কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, হে ইস্রায়েল পরিবার প্রত্যেক লোক তার কৃত কর্মের দ্বারা বিচারিত হবে!”
ঈশ্বরের ক্ষমতা যীশুর আছে
19 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি পুত্র নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তাই করতে পারেন। পিতা যা কিছু করেন পুত্রও তাই করেন। 20 পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, আর পিতা যা কিছু করেন তা পুত্রকে দেখান আর এর থেকে আরো মহান মহান কাজ পুত্রকে তিনি দেখাবেন, তখন তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাবে। 21 পিতা মৃতদের জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।
22 “পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন, 23 যাতে পিতাকে যেমন সমস্ত লোক সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। যে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকেও সম্মান করে না, কারণ পিতাই সেইজন যিনি পুত্রকে পাঠিয়েছেন।
24 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে না। সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। 25 আমি তোমাদের সত্যি বলছি সময় আসছে; বলতে কি এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনবে, আর যারা শুনবে তারা বাঁচবে। 26 পিতার নিজের যেমন জীবন দান করার ক্ষমতা রয়েছে ঠিক তেমনই তিনি তাঁর পুত্রকেও জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন। 27 এবং পিতা সেই পুত্রের হাতেই সমস্ত বিচারের অধিকার দিয়েছেন, কারণ এই পুত্রই মানবপুত্র।
28 “এই কথা শুনে তোমরা অবাক হয়ো না, কারণ সময় আসছে, যারা কবরের মধ্যে আছে তারা সবাই মানবপুত্রের রব শুনবে। 29 তারপর তারা তাদের কবর থেকে বাইরে আসবে। যারা সৎ কর্ম করেছে তারা উত্থিত হবে ও অনন্ত জীবন লাভ করবে। আর যারা মন্দ কাজ করেছিল তারা পুনরুত্থিত হবে এবং দোষী বলে বিবেচিত হবে।
30 “আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না। আমি (ঈশ্বরের কাছ থেকে) যেমন শুনি তেমনি বিচার করি; আর আমি যা বিচার করি তা ন্যায়, কারণ আমি আমার ইচ্ছামতো কাজ করি না, বরং যিনি (ঈশ্বর) আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই ইচ্ছাপূরণ করার চেষ্টা করি।
যীশু ইহুদীদের সাথে কথা বলতে থাকলেন
31 “আমি যদি আমার নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিই তবে আমার সেই সাক্ষ্য সত্য বলে গৃহীত হবে না। 32 অন্য একজন আছেন যিনি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেন এবং আমি জানি, যে সাক্ষ্যই তিনি দেন না কেন তা সত্য।
33 “তোমরা সকলেই যোহনের কাছে লোক পাঠিয়েছ আর তিনি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 34 কিন্তু আমি কোন মানুষের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি না। তবু আমি এসব কথা বলছি, যাতে তোমরা উদ্ধার পেতে পার। 35 যোহন ছিলেন সেই প্রদীপের মতো যা জ্বলে এবং আলো দেয়; আর তোমরা কিছু সময়ের জন্য তার সেই আলো উপভোগ করে আনন্দিত হয়েছিলে।
36 “কিন্তু যোহনের সাক্ষ্য থেকে আরো বড় সাক্ষ্য আমার আছে; কারণ পিতা যে সব কাজ আমায় করতে দিয়েছেন, সে সব কাজ আমিই করছি, আর সেই সব কাজই প্রমাণ করছে যে পিতা আমায় পাঠিয়েছেন। 37 পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, এমনকি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন, তোমরা কেউই কখনও তাঁর রব শোননি, তাঁর আকারও দেখনি। 38 আর তাঁর শিক্ষাও তোমাদের অন্তরে নেই, কারণ ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করো না। 39 তোমরা সকলেই খুব মনোযোগ সহকারে শাস্ত্রগুলি পড়, কারণ তোমরা মনে করো সেগুলির মধ্য দিয়েই তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করবে আর সেই শাস্ত্রগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে। 40 তবু তোমরা সেই জীবন লাভ করতে আমার কাছে আসতে চাও না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International