Revised Common Lectionary (Complementary)
পরিচালকের প্রতি: মুৎ-লব্বেন স্বরে দায়ূদের একটি গীত।
9 আমি আমার সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে প্রভুর প্রশংসা করি।
প্রভু, আপনার সৃষ্টি করা প্রত্যেকটি আশ্চর্য কার্য সম্পর্কে আমি বলবো।
2 আপনি আমাকে অত্যন্ত সুখী করেছেন।
হে পরাৎপর ঈশ্বর, আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 আপনার কাছ থেকে আমার শত্রুরা দূরে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু তাদের পতন হবে ও তারা বিনষ্ট হবে।
4 আপনি একজন সুবিচারক। আপনার সিংহাসনে আপনি ধর্ম বিচারকের মতই বসেছিলেন।
হে প্রভু, আপনি আমার অবস্থার কথা শুনেছিলেন এবং আমার সম্বন্ধে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
5 আপনি সেসব লোকের সমালোচনা করেছেন।
প্রভু, সেই সব দুষ্ট লোককে আপনি বিনষ্ট করেছেন।
যারা বেঁচে রয়েছে, তাদের নামের তালিকা থেকে আপনি সেই সব দুষ্ট লোকের নাম চিরদিনের জন্য মুছে দিয়েছেন।
6 শত্রুরা নিশ্চিহ্ন হয়েছে!
প্রভু, আপনি তাদের নগরসমূহ ধ্বংস করেছেন!
এখন শুধুমাত্র ভাঙা বাড়ীগুলো পড়ে আছে।
সেই সব দুষ্ট লোকদের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবার মত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
7 কিন্তু প্রভু চিরদিনের জন্য শাসন করেন।
প্রভু তাঁর রাজ্যকে শক্তিশালী করেছেন।
পৃথিবীতে ন্যায় আনবার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন।
8 প্রভু পৃথিবীতে প্রত্যেককে ন্যায় বিচার দেন।
প্রভু সব জাতিদের সৎভাবে বিচার করেন।
9 বহু মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যার ফাঁদে আবদ্ধ এবং জর্জরিত।
তাদের সমস্যার ভারের নীচে তারা পিষ্ট হয়ে গেছে।
প্রভু, তাদের জন্য আপনি নিরাপদ স্থান হোন
যেন তারা আপনার কাছে যেতে পারে।
10 লোকেরা যারা আপনার নাম জানে
তারা আপনার ওপর বিশ্বাস রাখবে।
প্রভু, লোকজন যদি আপনার কাছে আসে,
আপনি তাদের সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেবেন না।
11 হে সিয়োন-বাসীরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
প্রভুর মহৎ কর্মের কথা অন্যান্য জাতিকে বল।
12 যারা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল
তিনি তাদের কথা মনে রেখেছেন।
সেই বঞ্চিত দরিদ্র লোকেরা সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
প্রভু তাদের ভুলে যান নি।
13 আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলাম: “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
দেখুন, আমার শত্রুরা আমায় আঘাত করেছে।
আমাকে ‘মৃত্যুর ফটকগুলি’ থেকে রক্ষা করুন।
14 তাহলে, হে প্রভু, জেরুশালেম শহরের ফটকে আমি আপনার প্রশংসাগীত করতে পারবো।
এতে আমি সুখী হবো। কারণ আপনি আমায় রক্ষা করেছিলেন।”
ইলীফসকে ইয়োবের উত্তর
16 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন,
2 “আমি এইসব কথা আগেই শুনেছি।
তোমরা তিন জন আমাকে কষ্টই দিলে, স্বস্তি নয়।
3 তোমাদের দীর্ঘ ভাষণ আর শেষ হয় না!
কিসে তোমাদের এত বিচলিত করেছে যে তোমরা কথা বলেই চলেছ?
4 যদি তোমরা আমার সমস্যায় পড়তে,
তোমরা যে কথাগুলি আমায় বললে, আমিও তোমাদের সেই কথাগুলি বলতে পারতাম।
আমিও তোমাদের প্রতি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে পারতাম
এবং তোমাদের প্রতি মাথা নাড়াতে পারতাম।
5 কিন্তু আমি তোমাদের উৎসাহ দিতাম এবং যে কথাগুলো বলছি, সেগুলো বলে তোমাদের আমি আশা দিতাম।
6 “কথা বললেও আমার যন্ত্রণা চলে যায় না,
নীরব থাকলেও আমার ব্যথা আমাকে ছেড়ে যায় না।
7 কিন্তু, হে ঈশ্বর, আপনি আমার শক্তি কেড়ে নিয়েছেন।
আপনি আমার সারা পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
8 আপনি আমায় শীর্ণ ও দুর্বল করে দিয়েছেন,
এর অর্থ, লোকে মনে করে যে আমি অপরাধী।
9 “ক্রোধে ঈশ্বর আমাকে আক্রমণ করেছেন
এবং আমার দেহকে ছিন্ন-ভিন্ন করেছেন।
ঈশ্বর আমার বিরুদ্ধে তাঁর দাঁত ঘর্ষন করেছেন।
আমার শত্রু ঘৃণাভরে আমার দিকে তাকায়।
10 আমার চার দিকে লোক জন জড়ো হয়েছে।
তারা আমাকে নিয়ে মজা করে এবং আমার গালে চড় মারে।
11 ঈশ্বর আমাকে মন্দ লোকদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি দুষ্ট লোকের হাতে আমাকে তুলে দিয়েছেন।
12 আমার সব কিছুই সুন্দর ছিলো
কিন্তু ঈশ্বর আমায় ধ্বংস করেছেন!
হ্যাঁ, তিনিই আমার ঘাড় ধরে
আমায় খণ্ড-বিখণ্ড করেছেন।
ঈশ্বর আমাকে লক্ষ্যভেদের বস্তুতে পরিণত করেছেন।
13 ঈশ্বরের তীরন্দাজ সৈন্যরা আমার চারদিকে ঘুরছে।
তিনি আমার বৃক্কে তীর ছুঁড়ছেন।
তিনি আমাকে কোন দয়া দেখান না।
তিনি আমার পিত্তকে মাটিতে ফেলে দেন।
14 বার বার ঈশ্বর আমায় আক্রমণ করেন।
যুদ্ধের সৈন্যরা যেমন তেড়ে আসে তেমন করে তিনি আমার দিকে ছুটে আসেন।
15 “আমি নিদারুণ ভাবে দুঃখী,
তাই আমি এই দুঃখের বস্ত্র পরেছি।
আমি এই ধূলো ও ছাইয়ের ওপর বসে অনুভব করি
যে আমি পরাজিত।
16 কেঁদে কেঁদে আমার মুখ লাল হয়ে গেছে।
আমার চোখে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে।
17 আমি কারো প্রতিই নৃশংস ছিলাম না।
কিন্তু এই মন্দ ঘটনাগুলি আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। আমার প্রার্থনা যথাযথ ও পবিত্র।
18 “আমার প্রতি যে অন্যায় ঘটেছে, হে পৃথিবী, তুমি তা গোপন করো না।
ন্যায়ের জন্য আমার আর্তিকে স্তব্ধ হতে দিও না।
19 এখনও পর্যন্ত স্বর্গে কেউ আছে যে আমার পক্ষে কথা বলবে।
এখনও পর্যন্ত ওপরে কেউ আছে যে আমার পক্ষে সাক্ষী দেবে।
20 আমার চোখ যখন ঈশ্বরের জন্য অশ্রু বিসর্জন করে,
আমার বন্ধুরা আমার হয়ে কথা বলে।
21 একজন যে ভাবে বন্ধুর জন্য তর্ক করে,
সেইভাবেই সে আমার জন্য ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলে।
উপযুক্ত দাস ও দুষ্ট দাস
(লূক 12:41-48)
45 “সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস তাহলে কে, যার ওপর তার প্রভু তাঁর বাড়ির অন্যান্য দাসদের ঠিক সময়ে খাবার দেবার দায়িত্ব দিয়েছেন? 46 সেই দাস ধন্য যার মনিব ফিরে এসে তাকে তার কর্তব্য করতে দেখবেন। 47 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি সেই দাসকেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দেখাশোনার ভার দেবেন।
48 “কিন্তু ধর, সেই দাস যদি দুষ্ট হয়, আর মনে মনে বলে, আমার মনিবের ফিরে আসতে অনেক দেরী আছে। 49 তাই সে তার সঙ্গী দাসদের মারধর করে এবং মাতালদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করে। 50 তাহলে যে দিন ও যে সময়ের কথা সেই দাস ভাবতেও পারবে না বা জানবেও না, সেই দিন ও সেই মুহূর্ত্তেই তার মনিব এসে হাজির হবেন। 51 তখন তার মনিব তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন, ভণ্ডদের মধ্যে তাকে স্থান দেবেন-যেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘসে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International