Revised Common Lectionary (Complementary)
18 প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন: 2 “তোমরা কেন ইস্রায়েল দেশটি সম্বন্ধে এই প্রবাদ বাক্য বল? তোমরা বলে থাক:
‘পিতামাতারা টক দ্রাক্ষা ফল খেয়েছিল,
কিন্তু তার ফলে সন্তানদের দাঁত টকেছে।’”
3 কিন্তু প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “আমার জীবনের দিব্য যে ইস্রায়েলের লোকরা আর এই প্রবাদ বাক্যকে সত্য বলে মানবে না। 4 প্রত্যেক জনের সঙ্গে আমি একই রকম ব্যবহার করব। সে ব্যক্তি পিতা হোক্ অথবা পুত্রই হোক্ না কেন। যে ব্যক্তি পাপ করে সে মারা যাবে।
25 ঈশ্বর বলেন, “তোমরা যে বলে থাক, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু ন্যায়বান নন!’ কিন্তু হে ইস্রায়েল পরিবার শোন: আমিই ন্যায়বান, তোমরাই তারা যারা ন্যায়বান নও। 26 যদি কোন ভাল লোক পরিবর্তিত হয়ে দুষ্ট হয়ে ওঠে, তবে সে তার মন্দ কাজের জন্য অবশ্যই মারা যাবে। 27 আর যদি কোন দুষ্ট ব্যক্তি পরিবর্তিত হয়ে ভাল ও ন্যায়বান হয় তবে সে তার জীবন বাঁচাবে। সে বাঁচবে! 28 সেই ব্যক্তি নিজের মন্দতা দেখে বুঝে আমার কাছে ফিরে এসেছিল। সে অতীতে যে সব মন্দ কাজ করত তা আর করে না, তাই সে বাঁচবে, মরবে না।”
29 ইস্রায়েলের লোকরা বলে, “এটা ঠিক নয়! প্রভু আমাদের সদাপ্রভু ন্যায়বিচার করছেন না।”
ঈশ্বর বলেন, “আমিই ন্যায়বান! তোমরাই ন্যায়বিচার করছ না! 30 কারণ ইস্রায়েল পরিবার, আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মানুসারে বিচার করব।” প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “তাই আমার কাছে ফিরে এস, মন্দ কাজ আর করো না! ঐসব ভয়ঙ্কর মূর্ত্তি যেন তোমাদের পাপে না ফেলে। 31 তোমরা যে সব মন্দ জিনিষ করেছ তা ছুঁড়ে ফেলে দাও। তোমাদের হৃদয় ও আত্মার পরিবর্তন কর। হে ইস্রায়েলবাসীরা, কেন তোমরা নিজেদের মৃত্যু ডেকে আনবে? 32 আমি তোমাদের হত্যা করতে চাইনা। তোমরা ফিরে এসো, বাঁচো।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
দায়ূদের একটি গীত।
25 প্রভু, আমি নিজেকে আপনার হাতে সমর্পণ করেছি।
2 হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
তাই আমাকে লজ্জিত করবেন না।
আমার শত্রুরা যেন আমার ওপর জয়লাভ না করে।
3 যদি কোন ব্যক্তি আপনার ওপর নির্ভর করে, সে কখনও হতাশাগ্রস্থ হবে না।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা হতাশ হবে।
তারা কিছুই পাবে না।
4 হে প্রভু, আপনার পথগুলি আমাকে দেখান।
আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
5 আমায় পরিচালিত করুন এবং আপনার সত্য সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার পরিত্রাতা।
প্রতিদিন আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
6 হে প্রভু, আমার প্রতি দয়া করে আমায় স্মরণ করবেন।
যে কোমল ভালোবাসা আপনি আমায় চিরদিন দিয়ে এসেছেন সেই ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদর্শন করুন।
7 আমার তরুণ বয়সের কৃত কুকর্ম ও পাপ আপনি স্মরণে রাখবেন না।
হে প্রভু, আপনার সুনামের জন্য, আমায় ভালোবেসে স্মরণ করবেন।
8 প্রভু প্রকৃতপক্ষেই ভাল এবং সৎ।
তিনি পাপীদের ঠিক পথে জীবনযাপন করবার শিক্ষা দেন।
9 যারা বিনীত, তাদেরই তিনি তাঁর পথগুলি শেখান।
তিনি ন্যায়পথে তাদের পরিচালিত করেন।
একসাথে থেকে একে অপরের প্রতি যত্নবান হও
2 তোমাদের মধ্যে কি খ্রীষ্টে উৎসাহ আছে? তোমাদের মধ্যে কি ভালবাসা থেকে উদ্ভুত সান্ত্বনা পাওয়া যায়? তোমাদের মধ্যে কি কোন করুণা ও দয়া আছে? 2 যদি এগুলি তোমাদের মধ্যে সত্যিই থাকে তবে তা আমায় অতিশয় আনন্দিত করবে, আমি চাই তোমরা একই বিশ্বাসে একমনা হও, পরস্পরের প্রতি ভালবাসায় সংযুক্ত থাকো, একই বিষয়ে বিশ্বাসী হয়ে সকলে একই আত্মায় সংযুক্ত থাকো এবং একই লক্ষ্য রেখে জীবনযাপন কর। 3 তোমাদের মধ্যে যেন স্বার্থপরতা না থাকে বরং নম্রভাবে প্রত্যেকে নিজের থেকে অপরকে শ্রেষ্ঠ ভাবো। 4 প্রত্যেকে কেবল নিজের বিষয়ে নয়, কিন্তু অপরের মঙ্গল কিসে হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখুক।
খ্রীষ্টের মত নিঃস্বার্থ হও
5 খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে যে ভাব ছিল, তোমাদের মধ্যেও সেই মনোভাব থাকুক।
6 যদিও তিনি সমস্ত দিক দিয়ে ঈশ্বরের মতো ছিলেন,
কিন্তু ঈশ্বরের সঙ্গে সমান থাকাটা তিনি আঁকড়ে ধরে থাকার মত এমন কিছু বলে মনে করেন নি।
7 তিনি ঈশ্বরের স্তর থেকে নামলেন, নিজের উচ্চস্থান ছেড়ে দিলেন,
তিনি মানুষের মত হয়ে জন্ম নিলেন ও একজন দাসের মতো হলেন।
তিনি যখন মানব জীবনযাপন করলেন,
8 তখন তিনি সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের বাধ্যতা স্বীকার করলেন।
সেই বাধ্যতার দরুণ তাঁর মৃত্যু হল, আর ক্রুশের ওপর তাঁকে প্রাণ দিতে হল।
9 খ্রীষ্ট ঈশ্বরের বাধ্য হলেন তাই ঈশ্বর তাঁকে পুনরুত্থিত করে সব কিছুর ওপরে স্থান দিলেন,
এবং সেই ঈশ্বর খ্রীষ্টের নামকে সবথেকে শ্রেষ্ঠ করলেন।
10 যেন যারা স্বর্গে আছে, যারা মর্ত্যের লোক আর যারা পাতালের
তারা সকলেই সেই যীশু নামের কাছে নতজানু হয়,
11 আর প্রত্যেকে যেন মুখে স্বীকার করে, “যীশু খ্রীষ্টই প্রভু।”
এতেই পিতা ঈশ্বর মহিমান্বিত হবেন।
ঈশ্বরের মনোমতো লোক হও
12 হে আমার প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা সবসময় বাধ্য হয়ে চলেছ। আমি যখন তোমাদের মধ্যে ছিলাম তখন তোমরা ঈশ্বরের বাধ্য ছিলে, এখন আরো বেশী প্রয়োজন যে তোমরা বাধ্য হও কারণ এখন আমি তোমাদের সবার থেকে দূরে। তোমাদের পরিত্রাণ সম্পূর্ণ করার জন্য ঈশ্বরে পরম শ্রদ্ধা ও ভীতির সাথে কাজ করে যাও। 13 হ্যাঁ, ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে কাজ করছেন; ঈশ্বরের শক্তির সাহায্যে তোমরা সেইসব কাজ কর, যা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে।
যীশুর ক্ষমতার বিষয়ে ইহুদী নেতাদের সন্দেহ
(মার্ক 11:27-33; লূক 20:1-8)
23 যীশু যখন আবার মন্দির চত্বরে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন, সেই সময় প্রধান যাজকরা ও সমাজপতিরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “তুমি কোন অধিকারে এসব করছ? এই অধিকার তোমায় কে দিয়েছে?”
24 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই, আর তোমরা যদি তার উত্তর দাও তাহলে আমিও তোমাদের বলব আমি কোন অধিকারে এসব করছি। 25 আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাপ্তিস্ম দেবার অধিকার যোহন কোথা থেকে পেয়েছিলেন? তা কি ঈশ্বরের কাছ থেকে, না মানুষের কাছ থেকে এসেছিল?”
তখন তারা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করে বলল, “আমরা যদি বলি, ঈশ্বরের কাছ থেকে, তাহলে ও আমাদের বলবে, ‘তবে তোমরা কেন তাকে বিশ্বাস কর নি?’ 26 কিন্তু আমরা যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে জনসাধারণের কাছ থেকে ভয় আছে, কারণ লোকেরা যোহনকে ভাববাদী বলে মানে।”
27 তাই এর উত্তরে তারা যীশুকে বললেন, “আমরা জানি না।”
তখন যীশু তাদের বললেন, “তবে আমিও তোমাদের বলব না, কোন্ অধিকারে আমি এসব করছি।”
দুই পুত্রের বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক কাহিনী
28 তারপর যীশু বললেন, “আচ্ছা, এ বিষয়ে তোমরা কি বলবে? একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। সে তার বড় ছেলের কাছে গিয়ে বলল, ‘বাছা, আজ তুমি আমার দ্রাক্ষা ক্ষেতে গিয়ে কাজ কর।’
29 “কিন্তু তার ছেলে বলল, ‘আমি যেতে চাই না।’ কিন্তু পরে সে তার মত বদলিয়ে কাজে গেল।
30 “এরপর লোকটি তার অপর ছেলের কাছে গিয়ে তাকেও সেই একই কথা বলল। এর উত্তরে অন্য ছেলেটি বলল, ‘হ্যাঁ, মহাশয় যাচ্ছি।’ কিন্তু সে গেল না।
31 “এই দুজনের মধ্যে কে তার বাবার ইচ্ছা পালন করল?”
তারা বললেন, “বড় ছেলে।”
যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কর-আদায়কারীরা ও বেশ্যারা, তোমাদের আগে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করছে। 32 আমি একথা বলছি কারণ জীবনের সঠিক পথ দেখাবার জন্য যোহন তোমাদের কাছে এসেছিলেন আর তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করনি। কিন্তু কর-আদায়কারী ও বেশ্যারা তাকে বিশ্বাস করেছে। এসব দেখেও তোমরা মন পরিবর্তন করনি ও তাঁর প্রতি বিশ্বাস করনি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International