Revised Common Lectionary (Complementary)
10 লোকে যে সব কাজ করেছে তা ঈশ্বর দেখেছিলেন। ঈশ্বর দেখলেন যে, লোকে খারাপ কাজ করা বন্ধ করেছে। কাজেই ঈশ্বর বদলে গিয়েছিলেন এবং যা ভেবেছিলেন তা করলেন না। লোককে ঈশ্বর শাস্তিও দিলেন না।
ঈশ্বরের কৃপা যোনাকে ক্রুদ্ধ করল
4 যোনা ভাবলেন এটা খুবই খারাপ যে ঈশ্বর শহরটি রক্ষা করেছেন। যোনা ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। 2 যোনা প্রভুকে অভিযোগ করে বললেন, “আমি জানি এইসব ঘটনাই ঘটবে! আমি আমার দেশে ছিলাম এবং আপনিই আমাকে এখানে আসতে বলেছিলেন। সেই সময়, আমি জানতাম যে আপনি এই মন্দ শহরের লোকদের ক্ষমা করবেন। সে জন্য আমি ঠিক করেছিলাম তর্শীশে পালিয়ে যাব। আমি জানি যে আপনি খুবই দয়ালু ঈশ্বর! আমি জানি যে আপনি লোকদের ক্ষমা করেন এবং কাউকে শাস্তি দেন না। আমি জানি যে আপনি করুণায় পরিপূর্ণ! আমি জানি যে যদি এই লোকরা তাদের মন্দ কাজকর্ম বন্ধ করে, তাহলে আপনি তাদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করবেন। 3 সেজন্য এখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রভু দয়া করে আমাকে হত্যা করুন। আমার পক্ষে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভালো হবে!”
4 তখন প্রভু বললেন, “তুমি কি মনে কর যে, আমি ওই লোকদের ধ্বংস করলাম না বলে তোমার রাগ করা ঠিক হচ্ছে?”
5 এইসব ব্যাপারের জন্য যোনা ক্রুদ্ধ হয়েই রইলেন। সে জন্য সে শহর থেকে চলে গেলেন। যোনা শহরের কাছেই পূর্বদিকে একটা জায়গায় গিয়ে হাজির হলেন। সেখানে যোনা তার নিজের জন্য একটা আশ্রয় তৈরী করলেন। তখন তিনি সেখানকার ছাউনির তলায় ছায়াতে বসলেন এবং শহরে কি ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
কুমড়ো গাছ ও কীট পতঙ্গ
6 তৎক্ষনাৎ প্রভু একটি কুমড়ো গাছ হওয়ার আদেশ দিলেন এবং সেটি যোনার ওপর খুব তাড়াতাড়ি যোনার মাথা ছাড়িয়ে বেড়ে উঠল। তাতে যোনার পক্ষে আরামে থাকবার জন্য একটি ঠাণ্ডা জায়গা তৈরী হল। এই গাছটির জন্য যোনা খুবই খুশি হল।
7 পরের দিন সকালে, ঈশ্বর একটি কীটকে ওই গাছটির অংশ খাবার জন্য পাঠালেন। কীটটি গাছটি খেতে আরম্ভ করল এবং গাছটি মরে গেল।
8 সূর্য যখন মধ্য আকশে এলো তখন ঈশ্বর পূর্ব দিক থেকে গরম হাওয়া বইয়ে দিলেন। যোনার মাথার ঠিক ওপরে সূর্য খুবই গরম হয়ে উঠলো এবং যোনা খুবই দুর্বল হয়ে পড়লেন। যোনা মরবার জন্য ঈশ্বরের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, “আমার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই বরং ভালো।”
9 কিন্তু ঈশ্বর যোনাকে বললেন, “তুমি কি মনে কর যে শুধু মাত্র গাছটি মরে যাবার জন্যই তোমার রাগ করা ঠিক হয়েছে?”
যোনা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমার রাগ করাই উচিত! আমি এতোই ক্রুদ্ধ যে মরতে চাই।”
10 এবং প্রভু বললেন, “তুমি ওই চারা গাছটার জন্য কিছুই করনি! তাকে তুমি বাড়িয়ে তোলনি! রাত্রিবেলায় চারাগাছটা বেড়ে উঠেছিলো এবং পরের দিন সকালেই মরে গেছে। আর এখন তুমি ওই গাছটার জন্য দুঃখিত! 11 তুমি যদি ওই চারাগাছটার জন্য এত মনঃক্ষুন্ন হতে পারো, তাহলে অবশ্যই আমি ঐ বড় শহর নীনবীর জন্য দুঃখ বোধ করতে পারি এবং তাকে ক্ষমা করতে পারি। ওই শহরে বহু লোক এবং জীবজন্তু আছে। সংখ্যায় 120,000 বেশী মানুষ ওই শহরে আছে, এবং তারা তাদের মন্দ কাজের সম্বন্ধে জানত না।”
দায়ূদের একটি ভজন।
145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
2 প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
যে সব মহৎ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
4 প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
আপনি যে মহৎ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
5 আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎকার।
আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
6 প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
7 আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।
8 প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
21 কারণ আমার কাছে আমার জীবন মানেই খ্রীষ্ট; আর মরণ হল লাভ। 22 এই দেহ নিয়ে যদি আমায় বেঁচে থাকতে হয় তবে আমি প্রভুর জন্য একাজ করার সুযোগ পাব। আমি কোনটা বেছে নেব, জীবন না মরণ? আমি জানি না। 23 আমি এই দোটানায় পড়েছি। আমি তো এখনই এ দেহ ত্যাগ করে খ্রীষ্টের সঙ্গে থাকতে চাই, কারণ এই তো শ্রেয়। 24 কিন্তু এই মরদেহে বেঁচে থাকা তোমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। 25 আমি জানি যে আমাকে তোমাদের প্রয়োজন আছে; তাই আমি জানি যে আমি বেঁচে থাকব, তোমাদের সকলের কাছেই থাকব। আমি তোমাদের বৃদ্ধি পেতে ও তোমাদের বিশ্বাসে আনন্দ পেতে সাহায্য করব; 26 এর ফলে যখন আমি আবার তোমাদের কাছে যাব তখন খ্রীষ্ট যীশুতে আমার সম্বন্ধে তোমাদের গর্ব করার আরো কারণ থাকবে।
27 কিন্তু যাইহোক্ না কেন, তোমরা খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে আচরণ কর। আমি এসে তোমাদের দেখি বা তোমাদের থেকে দূরে থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনতে পাই যে, তোমরা এক আত্মার সুসমাচারের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে তার পক্ষে কঠোর সংগ্রাম করছ, 28 আর যারা তোমাদের বিরোধিতা করছে তাদের ভয় পাচ্ছ না! এর দ্বারাই প্রমাণ হবে যে তাদের বিনাশ হচ্ছে; কিন্তু পরিত্রাণ দ্বারা তোমরা উদ্ধার লাভ করছ, আর এই উদ্ধার ঈশ্বরের কাছ থেকেই আসে। 29 তোমরা যে খ্রীষ্ট যীশুর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছ, এই সম্মান ও সুযোগ ঈশ্বর তোমাদের দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের জন্য দুঃখভোগ করার সম্মানও তোমাদের দিয়েছেন। 30 আমি যখন তোমাদের ওখানে ছিলাম তখন সুসমাচার বিরোধী লোকদের সঙ্গে আমাকে কি রকম সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা তোমরা জান এবং এখনও কঠোর সংগ্রাম চলছে আর তোমরাও সেই একই রকম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ।
যীশু মজুরদের বিষয় নিয়ে এক দৃষ্টান্তমূলক কাহিনী শোনালেন
20 “স্বর্গরাজ্য এমন একজন জমিদারের মতো, যিনি তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করার জন্য ভোরবেলাই মজুর আনতে বেরিয়ে পড়লেন। 2 তিনি মজুরদের দিনে একটি রৌপ্যমুদ্রা মজুরী দেবেন বলে ঠিক করে, তাদের তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে পাঠিয়ে দিলেন।
3 “প্রায় নটার সময় তিনি বাড়ির বাইরে গেলেন আর দেখলেন, কিছু লোক বাজারে তখনও কিছু না করে দাঁড়িয়ে আছে। 4 তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরাও আমার দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে যাও, আমি তোমাদের ন্যায় মজুরী দেব।’ 5 তখন তারাও দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে গেল।
“সেই ব্যক্তি আবার প্রায় বেলা বারোটা ও তিনটার সময় বাড়ির বাইরে গিয়ে ঐ একই রকম ভাবে মজুরদের কাজে পাঠালেন। 6 প্রায় পাঁচটার সময় তিনি আবার বাইরে গেলেন ও আরো কিছু লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের বললেন, ‘তোমরা সারাদিন কোন কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’
7 “তারা তাঁকে বলল, ‘কেউ আমাদের কাজে নেয় নি।’
“তখন ক্ষেতের মালিক তাদের বললেন, ‘তোমরাও গিয়ে আমার ক্ষেতে কাজে লাগো।’
8 “দিনের শেষে ক্ষেতের মালিক তাঁর নায়েবকে ডেকে বললেন, ‘মজুরদের সকলকে ডাক ও তাদের মজুরী মিটিয়ে দাও; শেষের জন থেকে শুরু করে প্রথম জন পর্যন্ত সকলকে দাও।’
9 “বিকেল পাঁচটায় যে মজুররা কাজে লেগেছিল, তারা এসে প্রত্যেকে একটা রূপোর টাকা নিয়ে গেল। 10 প্রথমে যাদের কাজে লাগানো হয়েছিল, তারা বেশী পাবে বলে আশা করেছিল, কিন্তু তারাও প্রত্যেকে একটা করে রূপোর টাকা পেল। 11 তারা তা নিল বটে কিন্তু ক্ষেতের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, 12 যারা শেষে কাজে লেগেছিল তারা মাত্র একঘন্টা কাজ করেছে, আর আপনি তাদের ও আমাদের সমান মজুরী দিলেন; অথচ আমরা কড়া রোদে সারা দিন ধরে কাজ করলাম।
13 “এর উত্তরে তিনি তাদের একজনকে বললেন, ‘বন্ধু, আমি তো তোমার সঙ্গে কোন অন্যায় ব্যবহার করিনি। তুমি কি এক টাকা মজুরীতে কাজ করতে রাজী হও নি? 14 তোমার যা পাওনা তা নিয়ে বাড়ি যাও। আমার ইচ্ছা, আমি তোমাকে যা দিয়েছি, এই শেষের জনকেও তাই দেব। 15 যা আমার নিজের, তা আমার খুশীমতো ব্যবহার করার অধিকার কি আমার নেই? আমি দয়ালু, এই জন্য কি তোমার ঈর্ষা হচ্ছে?’
16 “ঠিক এই রকম যারা শেষের তারা প্রথম হবে, আর যারা প্রথম, তারা শেষে পড়ে যাবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International