Revised Common Lectionary (Complementary)
অয়িন
121 যা সঠিক এবং ভালো আমি তাই করেছি।
হে প্রভু, যারা আমায় উৎপীড়ন করে এমন লোকেদের হাতে আমায় সমর্পণ করবেন না।
122 আপনার দাস, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করবার প্রতিশ্রুতি করুন।
হে প্রভু, ঐ অহঙ্কারী লোকেদের আমাকে উৎপীড়ন করতে দেবেন না।
123 হে প্রভু, আপনার সাহায্যের আশায় থেকে
এবং আপনার সুন্দর বাক্যের প্রত্যাশায় আমার দু চোখ ক্লান্ত।
124 আমি আপনার দাস। আমার প্রতি আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
আমাকে আপনার বিধিগুলো শেখান।
125 আমি আপনার দাস।
আমি যাতে আপনার চুক্তি জানতে পারি, আমায় বুঝতে সাহায্য করুন।
126 প্রভু এখন আপনার কিছু করার সময় এসেছে।
লোকরা আপনার বিধি ভঙ্গ করেছে।
127 প্রভু আপনার বিধিগুলোকে
আমি সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও ভালোবাসি।
128 আপনার সব আজ্ঞা আমি খুব যত্ন করে পালন করি।
ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।
শলোমনের বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ
16 একদিন দুটি গণিকা শলোমনের কাছে এসে উপস্থিত হল। 17 তাদের মধ্যে একজন শলোমনকে বলল, “মহারাজ আমরা দুজনে একই ঘরে বাস করি। আমরা দুজনেই সন্তানসম্ভবা ছিলাম এবং সন্তান এর জন্ম দেওয়ার সময় উপস্থিত হয়। ঐ মেয়েটির উপস্থিতিতেই আমি আমার সন্তানের জন্ম দিই। 18 এর ঠিক তিনদিন পরে এই মেয়েটি তার শিশুর জন্ম দেয়। কিন্তু আমরা দুজন ছাড়া আমাদের বাড়ীতে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তি ছিল না। 19 এক দিন রাতে ওর শিশুটি মারা যায় কারণ ও শিশুর ওপর শুয়েছিল। সে সময় ওর শিশুটি মারা যায়। 20 রাতের অন্ধকারে তখন ও আমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমার শিশুটিকে ওর খাটে নিয়ে যায়। আর তারপর মৃত শিশুটিকে আমার পাশে শুইয়ে দেয়। 21 পরদিন সকালে আমি শিশুকে খাওয়াতে উঠে দেখি আমার পাশে একটি মৃত শিশু শোয়ানো আছে। তখন আমি খুঁটিয়ে লক্ষ্য করে দেখি যে সেটি মোটেই আমার শিশু নয়।”
22 অন্য মেয়েটি তৎক্ষনাৎ এর প্রতিবাদ করে বলে, “মোটেই না! জীবন্ত শিশুটিই আমার। মৃতটা তোর!”
প্রথম মেয়েটি এর উত্তরে বলল, “মিথ্যে কথা। মৃত শিশুটি তোর, এটা আমার!” এইভাবে দুজনে রাজার সামনে ঝগড়া করতে থাকে।
23 তখন রাজা শলোমন বলল, “তোমরা দুজনেই বলছো জীবিত শিশুটি তোমার আর মৃত শিশুটি অন্য জনের।” 24 তখন রাজা শলোমান প্রহরীকে একটা তরবারি নিয়ে আসতে আদেশ দিলেন। 25 রাজা শলোমন বললেন, “এবার ঐ শিশুটিকে কেটে দু-আধখানা করো এবং ওদের দুজনকে একটা করে আধখানা টুকরো দিয়ে দাও।”
26 একথা শুনে যে মহিলাটির শিশু মারা গিয়েছিল সে বলল, “ঠিক আছে তাই হোক্, তাহলে আমরা কেউই আর ওকে পাব না।” কিন্তু অন্য মহিলাটি, যে শিশুটির আসল মা, যার শিশুটির প্রতি পূর্ণ ভালবাসা ও সহানুভূতি ছিল, সে রাজাকে বলল, “মহারাজ দয়া করে শিশুটিকে মারবেন না। ওকেই শিশুটি দিয়ে দিন।”
27 তখন রাজা শলোমন বললেন, “থামো, শিশুটিকে কেটো না। প্রথম জনের হাতেই শিশুটিকে তুলে দাও, কারণ, ঐ হচ্ছে ওর আসল মা।”
28 ইস্রায়েলের সকলে শলোমনের এই বিচারের কথা শুনলো। তারা সকলেই শলোমনের অন্তর্দৃষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার জন্য তাঁকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করত। তারা বুঝতে পেরেছিল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ব্যাপারে রাজা শলোমনের অন্তর্দৃষ্টি প্রায় ঈশ্বরের মতোই কাজ করে।
প্রকৃত প্রজ্ঞা
13 তোমাদের মধ্যে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান কে? সে সৎ জীবনযাপন করে ও নম্রতার সাথে ভাল কাজ করে গর্বহীনভাবে তার বিজ্ঞতা প্রকাশ করুক। 14 তোমাদের মনে যদি তিক্ততা, ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা থাকে তাহলে তোমাদের জ্ঞানের বড়াই করো না; করলে তোমাদের গর্ব হবে আর এক মিথ্যা, যা সত্যকে ঢেকে রাখে। 15 এই ধরণের “জ্ঞান” যা ঈশ্বর থেকে লাভ হয় না তা পার্থিব, আত্মিক নয়, তা দিয়াবলের কাছ থেকে আসে। 16 যেখানে ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা রয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা ও সব রকমের নোংরামি থাকে। 17 কিন্তু যে জ্ঞান ঈশ্বর থেকে আসে তা প্রথমতঃ শুচিশুদ্ধ পরে শান্তিপ্রিয়, সুবিবেচক, বাধ্যতা, দয়া ও সৎ কাজে পূর্ণ, পক্ষপাতশূন্য ও আন্তরিক। 18 যারা শান্তির জন্য শান্তির পথে কাজ করে চলে, তারা উত্তম জিনিস লাভ করে যা যথার্থ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে আসে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International