Revised Common Lectionary (Complementary)
12 যারা প্রভুকে তাদের ঈশ্বররূপে পেয়েছে তারা সত্যিই ধন্য।
কেন? কারণ ঈশ্বরই তাদের তাঁর নিজের লোক হিসেবে মনোনীত করেছেন।
13 প্রভু স্বর্গ থেকে নীচের দিকে তাকিয়েছিলেন
এবং সমস্ত লোকদের দেখেছেন।
14 পৃথিবীতে যারা বসবাস করছে,
তাঁর উচ্চ সিংহাসন থেকে তিনি সকলকে দেখেন।
15 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোকের মন সৃষ্টি করেছেন।
প্রত্যেকটি লোক কি ভাবছে ঈশ্বর তাও জানেন।
16 একজন রাজা তার বৃহৎ শক্তিতে উদ্ধার পায় না।
একজন বলবান সৈনিক, তার নিজের শক্তিতে রক্ষা পায় না।
17 ঘোড়াগুলো যুদ্ধের বিজয় এনে দেয় না।
এমনকি তাদের শক্তিও সৈন্যদের পালাতে সাহায্য করতে পারে না।
18 তাঁর প্রকৃত ভালবাসায় আস্থা রেখে, যারা প্রভুকে অনুসরণ করে,
প্রভু তাদের ওপর লক্ষ্য রাখেন এবং তাদের প্রতি যত্ন নেন।
19 সেই সব লোককে ঈশ্বর মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি তাদের শক্তি দেন।
20 তাই আমরা প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করবো।
তিনি আমাদের সাহায্য করেন, রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর আমাদের সুখী করেন,
আমরা তাঁর পবিত্র নামে প্রকৃতই আস্থা রাখি।
22 প্রভু, প্রকৃতই আমরা আপনার উপাসনা করি!
তাই আমাদের প্রতি আপনার মহান ভালোবাসা দেখান।
ঐশ্বর্য সুখ বয়ে আনে না
6 আমি সূর্যের নীচে আরো কিছু দেখেছি যা ন্যায্য নয়। এটা লোকদের পক্ষে খুবই খারাপ। 2 ঈশ্বর কাউকে প্রচুর ধনসম্পদ, মানসম্মান দেন। সেই ব্যক্তির যা প্রয়োজন বা চাহিদা হতে পারে সে সবই তার আছে। কিন্তু ঈশ্বর তাকে সে সব ভোগ করতে দেন না। কোন এক অপরিচিত এসে তার সমস্ত কিছু অধিকার করে নেয়। এটা খুবই খারাপ ও অর্থহীন।
3 একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে। তার 100টি সন্তান থাকতে পারে। কিন্তু সে যদি এসব নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকে ও তার মৃত্যুর পর যদি তাকে কেউ মনে না রাখে, তবে আমার মনে হয় যে শিশু জন্ম মাত্র মারা গিয়েছে সেও এই ব্যক্তির চেয়ে ভাল। 4 একটা মৃত শিশুর জন্ম প্রকৃতপক্ষে অর্থহীন। সেই শিশুটিকে কোন নাম দেওয়ার আগেই তাকে এক অন্ধকার কবরে সমাধিস্থ করা হয়। 5 সেই শিশুটি কখনও কিছুই জানতে পারে না। সে কখনও সূর্যেরও মুখ দেখে না। কিন্তু সেই শিশুটিও অনেক বেশী বিশ্রাম পায় সেই ব্যক্তির চেয়ে যে ঈশ্বরের দেওয়া উপহার ভোগ করতে পারে না। 6 সেই ব্যক্তি 2000 বছর বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু যদি সে জীবনকে উপভোগ করতে না পারে তবে যে শিশুটির জন্মমাত্র মৃত্যু হয়েছে সে আর এই ব্যক্তি কি একই স্থানে যাবে?
স্তিফানের বক্তব্য
7 এরপর যাজক স্তিফানকে বললেন, “এসব কথা কি সত্যি?” 2 এর উত্তরে স্তিফান বললেন, “ভাইরা ও এই জাতির পিতাগণ, আমার কথা শুনুন। আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম হারণে বসবাস করার আগে যে সময় মিসপতামিয়াতে ছিলেন, সেই সময় মহিমাময় ঈশ্বর তাঁর সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। 3 আর তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার স্বদেশ ও স্বজনের মধ্য থেকে চলে এস, আর আমি যে দেশ দেখাব সেই দেশে যাও।’(A)
4 “অব্রাহাম তখন কলদীয়ের দেশ ছেড়ে হারণে এসে বসবাস করেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাঁকে সেখান থেকে এই দেশে আনলেন, যে দেশে এখন আপনারা বাস করছেন। 5 এখানে ঈশ্বর তাঁকে কোন ভূসম্পত্তি দিলেন না, এমন কি এক ছটাক জমিও না; কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেন যে শেষ পর্যন্ত এই দেশটা তাঁকে ও তাঁর বংশধরদের দেবেন। যদিও অব্রাহামের তখনও কোন সন্তান ছিল না।
6 “ঈশ্বর তাঁকে এই কথা বললেন, ‘তোমার বংশধররা বিদেশে প্রবাসী জীবন কাটাবে, তারা দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ হবে, আর সে দেশের লোকরা তাদের প্রতি চারশো বছর ধরে অত্যাচার করবে। 7 তারা যে জাতির দাসত্ব করবে, আমি তাদের দণ্ড দেব।’(B) ঈশ্বর আরো বললেন, ‘এরপর তারা সেই দেশ থেকে বেরিয়ে এসে এখানে আমার উপাসনা করবে।’(C)
8 “এরপর অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর এক চুক্তি করলেন। এই চুক্তির চিহ্ন হল সুন্নত সংস্কার। এরপর অব্রাহামের একটি পুত্র সন্তান হল। আট দিনের দিন তিনি তার সুন্নত করালেন; সেই পুত্রের নাম ইস্হাক। তাঁরা ইস্হাকের পুত্র যাকোবেরও সুন্নত করলেন। যাকোবের পুত্ররা বারোজন গোষ্ঠীর পিতা হলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International