Revised Common Lectionary (Complementary)
17 কিছু দিন পরে মহিলার পুত্র খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষে এক সময় তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে 18 মহিলা এলিয়কে এসে বলল, “আপনি ঈশ্বরের লোক, আপনি কি আমায় সাহায্য করতে পারবেন? নাকি আপনি এখানে এসে কেবল আমাকে আমার পাপের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমার পুত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন?”
19 এলিয় তাকে বললেন, “তোমার পুত্রকে আমার কাছে এনে দাও।” তারপর এলিয় পুত্রটিকে ওপরে নিয়ে গিয়ে যে ঘরে তিনি থাকতেন তার নিজের খাটে শুইয়ে দিলেন। 20 তারপর এলিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু, আমার ঈশ্বর, এই বিধবা রমণী আমাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে। আপনি কি তার প্রতি এই অনাচার করবেন? আপনি কি তার পুত্রকে মারা যেতে দেবেন?” 21 তারপর এলিয় পর পর তিন বার সেই ছেলেটার ওপর শুয়ে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু, আমার ঈশ্বর, এই ছেলেটাকে পুনর্জীবিত করুন।”
22 প্রভু এলিয়র ডাকে সাড়া দিলেন। ছেলেটি বেঁচে উঠল এবং আবার স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করল। 23 এলিয় তখন ছেলেটিকে নীচের তলায় নিয়ে গিয়ে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “দেখো, তোমার পুত্র বেঁচেই আছে!”
24 সেই মহিলা তখন বলল, “এবার আমার সত্যি সত্যি বিশ্বাস হল যে আপনি ঈশ্বরের লোক! প্রভু সত্যিই আপনার মুখ দিয়ে কথা বলেন!”
দায়ূদের গানগুলির অন্যতম এই গানটি মন্দির উৎসর্গীকরণের উদ্দেশ্যে রচিত।
30 প্রভু, আপনি আমায় আমার সংকটগুলি থেকে টেনে তুলেছেন।
আপনি আমাকে আমার শত্রুদের হাতে পরাজিত হতে এবং বিদ্রূপ করতেও দেন নি।
তাই আপনার প্রতি আমি সম্মান দেখাবো।
2 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম।
এবং আমার প্রার্থনা শুনে আপনি আমায় আরোগ্য করে তুলেছেন।
3 আপনি আমায় কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
আপনি আমায় বাঁচতে দিয়েছেন।
মৃত্যু-লোকের মৃত মানুষদের সঙ্গে আমাকে থাকতে হয় নি।
4 ঈশ্বরের অনুগামীরা, প্রভুর প্রতি স্তবগান কর।
তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা কর!
5 যখন ঈশ্বর ক্রুদ্ধ ছিলেন তখন মৃত্যু ছিল তাঁর সিদ্ধান্ত।
কিন্তু তিনি আমার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আমাকে দিয়েছেন জীবন।
রাত্রে আমি লুটিয়ে পড়ে কাঁদি।
পরদিন সকালে আমি আনন্দে গান গাই!
6 যখন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে ছিলাম
আমি ভেবেছিলাম কিছুই আমাকে আঘাত করতে পারবে না!
7 হ্যাঁ, প্রভু যখন আপনি আমার প্রতি সদয় ছিলেন
আমি অনুভব করেছিলাম কোন কিছুই আমাকে হারাতে পারবে না!
কিন্তু যখন আপনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন
আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম।
8 তাই, হে ঈশ্বর আমি ফিরে এসে আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
আমি আপনার কাছে করুণা প্রার্থনা করেছি।
9 আমি বলেছিলাম, “হে ঈশ্বর, যদি আমি মরে কবরে যাই,
তাতে কি ভালো হবে?
মৃত লোকরা শুধুই ধূলোয় শুয়ে থাকে!
তারা আপনার প্রশংসা করে না।
আমরা যে আপনার ওপর কতখানি নির্ভর করতে পারি, তা তারা অন্যান্য লোকদের বলে না।
10 প্রভু আমার প্রার্থনা শুনুন এবং আমার প্রতি সদয় হোন!
প্রভু আমায় সাহায্য করুন!”
11 আমি প্রার্থনা করেছিলাম এবং আপনি আমায় সাহায্য করেছেন!
আপনি আমার কান্নাকে নৃত্যে পরিণত করেছেন।
আপনি আমায় চটের বস্ত্র সরিয়ে দিয়ে আনন্দ দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।
12 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমি চিরদিন আপনার প্রশংসা করবো, তাই কখনই নীরবতা থাকবে না।
সর্বদাই কোন একজন থাকবে, যে আপনার সম্মানের জন্য আপনার প্রশংসা গীত গাইবে।
পৌলের কর্ত্তৃত্ব ঈশ্বর হতে পাওয়া
11 ভাইরা, আমি চাই তোমরা জান যে, যে সুসমাচার আমি তোমাদের কাছে প্রচার করেছি তা কোন মানুষের মতানুযায়ী নয়। 12 কারণ সেই বার্তা আমি কোন মানুষের কাছ থেকে পাই নি; কোন মানুষ আমাকে তা শেখায় নি, বরং যীশু খ্রীষ্টই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছেন।
13 তোমরা তো শুনেছ আমি আগে কেমন জীবনযাপন করতাম। আমি ইহুদী ধর্মমতাবলম্বী ছিলাম। আমি নির্মমভাবে ঈশ্বরের মণ্ডলীকে নির্যাতন করে তা ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছিলাম। 14 ইহুদী ধর্মচর্চায় সমসাময়িক ও আমার সমবয়সী অন্যান্য ইহুদীদের থেকে আমি অনেক এগিয়েছিলাম, কারণ পূর্বপুরুষদের পরম্পরাগত রীতিনীতি পালনে আমার যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল।
15 আমার জন্মাবার আগে থেকেই ঈশ্বর আমাকে বেছে নেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাঁর সেবা করার জন্য আমাকে ডাকেন। 16 আমি যেন অইহুদীদের কাছে তাঁর পুত্রের বিষয় সুসমাচার প্রচার করি সেইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে আমার কাছে প্রকাশ করতে মনস্থ করলেন। ঈশ্বর যখন আমাকে ডাকলেন তখন আমি কোন মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করি নি, 17 এমন কি আমার আগে যাঁরা প্রেরিত হয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আমি জেরুশালেমে যাই নি; কিন্তু কাল বিলম্ব না করে আমি আরব দেশে চলে গেলাম। পরে দম্মেশক শহরে ফিরে গেলাম।
18 তারপর তিন বছর বাদে পিতরের সঙ্গে পরিচিত হতে জেরুশালেমে যাই ও পিতরের সঙ্গে আমি পনেরো দিন থাকি। 19 সেখানে আমি প্রভুর ভাই যাকোব ছাড়া আর কোন প্রেরিতকে দেখি নি। 20 ঈশ্বর জানেন যে যেসব কথা আমি লিখছি সেগুলি মিথ্যা নয়। 21 তারপর আমি সুরিয়ার ও কিলিকিয়ার অঞ্চলগুলিতে চলে যাই।
22 এর পূর্বে যিহূদার কোন খ্রীষ্ট মণ্ডলী আমায় ব্যক্তিগতভাবে চিনত না। 23 তারা শুধু আমার সম্বন্ধে শুনেছিল, “যে লোকটি আগে আমাদের নির্যাতন করত, সে এখন সেই বিশ্বাসের বাণী প্রচার করছে, যা সে পূর্বে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।” 24 আর তারা আমার কারণে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল।
যীশু একজনের জীবন দান করলেন
11 এর অল্প দিন পরেই যীশু নায়িন্ নামে একটি নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর শিষ্যরা এবং আরও অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল। 12 তিনি যখন সেই নগরের ফটকের কাছাকাছি এসেছেন, তখন একজন মৃত লোককে বয়ে নিয়ে যাওযা হচ্ছিল। সেই মৃত লোকটি ছিল তার বিধবা মায়ের একমাত্র পুত্র। সেই নগরের অনেক লোক সেই বিধবার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল। 13 সেই বিধবাকে দেখে তার জন্য প্রভুর খুবইদয়া হল। তিনি তাকে বললেন, “তুমি কেঁদো না।” 14 তারপর তিনি কাছে এসে শবের খাট ছুঁলেন, তখন যারা মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা দাঁড়িয়ে পড়ল। এমন সময় যীশু বললেন, “যুবক, আমি তোমায় বলছি তুমি ওঠো।” 15 তখন সেই লোকটি উঠে বসল, আর কথা বলতে শুরু করল। যীশু তখন তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
16 এই দেখে সকলের মন ভয় ও ভক্তিতে পূর্ণ হল। তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করে বলতে লাগল, “আমাদের মধ্যে একজন মহান ভাববাদীর আবির্ভাব হয়েছে।” তারা আরও বলতে লাগল, “ঈশ্বর তাঁর লোকদের সাহায্য করতে এসেছেন।”
17 যীশুর বিষয়ে এইসব কথা যিহূদিয়া ও তার আশপাশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International