Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
উপদেশক 4-6

তবে কি মৃত্যুই শ্রেয়?

আমি দেখেছিলাম সূর্যের নীচে কিভাবে লোকের ওপর উৎপীড়ন করা হয়ে থাকে। আমি তাদের কান্না শুনেছিলাম। আমি এও দেখেছিলাম যে তাদের এই দুর্দশায় সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কেউই নেই। আমি দেখে ছিলাম কিভাবে নিষ্ঠুর লোকরা সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বসে আছে। তারা যাদের আঘাত করছে তাদের সাহায্যের জন্য কেউ পাশে নেই। আমি ভেবে দেখলাম যে যারা বেঁচে আছে তাদের চেয়ে মৃত মানুষদের অবস্থা অনেক ভাল। যে সমস্ত লোকরা জন্মের অব্যবহিত পরে মারা গেছে অথবা যারা এখনও জন্মায় নি, তাদের মধ্যে কোন একদল ভালো অবস্থায় আছে! কেন? কেননা এই সূর্যের নীচে যে সমস্ত মন্দ কাজ হয়ে থাকে তারা তা কখনই দেখেনি।

কঠিন শ্রম কেন করবে?

তারপর আমি ভেবেছিলাম, “লোকে কেন এত কঠিন পরিশ্রম করে?” আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে লোকে সব সময় সফল হতে ও অন্য লোকদের থেকে ভালো হতে চেষ্টা করে। কেন? কারণ তারা ঈর্ষাপরায়ণ। তারা চায় না তার চেয়ে বেশী অন্য লোকে কিছু ভোগ করুক। এসবই অসার, হাওয়ার পেছনে ছোটা মাত্র।

কিছু লোক বলে, “হাত গুটিয়ে কিছু না করে বসে থাকাটা বোকামো। কাজ না করলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।” এটা হয়তো সত্যি। কিন্তু সব সময় বেশী জিনিস পাওয়ার জন্য হাওয়ার পেছনে ছোটার থেকে অল্পে সন্তুষ্ট থাকা ভাল।

আমি সূর্যের নীচে আরো কিছু অর্থহীন জিনিস দেখলাম। একজন ব্যক্তির পরিবার না থাকতে পারে। তার ভাই বা সন্তান না থাকতে পারে। কিন্তু তবুও সে কঠিন পরিশ্রম করে যাবে। তার যা আছে তা নিয়ে সে কখনও সন্তুষ্ট থাকবে না। সে ভাবতে পারে, “তবে কেন আমি আমার জীবন উপভোগ না করে কঠিন পরিশ্রম করব?” এটাও খুব খারাপ ও অর্থহীন।

বন্ধু ও পরিবার শক্তি জোগায়

একজনের চেয়ে দুজন লোক ভাল। দুজন লোক এক সঙ্গে কাজ করলে তার ফল ভাল হয়।

10 যদি কোন ব্যক্তি পড়ে যায়, অপর ব্যক্তি তাকে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু যে একা কাজ করে, সে যদি পড়ে তবে তাকে উঠতে সাহায্য করার মতো কেউই থাকে না।

11 যদি দুজন লোক এক সঙ্গে ঘুমোয় তারা উত্তাপ পাবে। কিন্তু যে একা শোয় সে উত্তাপ থেকে বঞ্চিত হবে।

12 যে একা তাকে সহজেই শত্রুরা হারিয়ে দেবে কিন্তু দুজন লোক এক সঙ্গে থাকলে তাদের হারানো সম্ভব নয়। তিন জন মানুষ একত্র হলে তাদের শক্তি আরো বেশী হবে। তারা হল এক সঙ্গে জড়ানো দড়ির তিনটি অংশের মতো। তাদের শক্তিকে ভাঙ্গা খুবই কঠিন।

মানুষ, রাজনীতি ও জনপ্রিয়তা

13 একজন দরিদ্র তরুণ নেতা যদি জ্ঞানী হয় তবে সে একজন বৃদ্ধ বোকা রাজা অপেক্ষা শ্রেয়। সেই বৃদ্ধ রাজা সতর্কবাণীতে কান দেন না। 14 সেই তরুণ শাসক রাজ্যের একজন গরীব নাগরিক হয়ে জন্মাতে পারেন। তিনি দেশের শাসন ভার নিতে কারাগার থেকে উঠে আসতে পারেন। 15 কিন্তু এ জীবনে আমি মানুষকে দেখে জেনেছি যে মানুষ সেই তরুণ নেতাকে অনুসরণ করবে। সেই হবে নতুন রাজা। 16 অনেক মানুষ এই তরুণকে অনুসরণ করবে। কিন্তু পরে এরাই আবার তাঁকে সহ্য করতে পারবে না। এটাও অর্থহীন, হাওয়ার পিছনে ছোটা।

প্রতিশ্রুতি সম্বন্ধে সাবধান থেকো

যখন ঈশ্বরের উপাসনা করবে তখন সতর্ক থাকবে। ঈশ্বরকে বোকার মত নৈবেদ্য দেওয়ার থেকে তার কথা শোনা অনেক ভালো। যে মূর্খ সে নিজের অজ্ঞাতেই অন্যায় কাজ করে ফেলে। ঈশ্বরকে প্রতিশ্রুতি দিলে সে সম্বন্ধে সতর্ক থেকো। ঈশ্বরকে কিছু বললে সাবধানে বলো। আবেগ চালিত হয়ে হঠাৎ‌‌ কোন কথা দিয়ে ফেলো না। ঈশ্বর বাস করেন স্বর্গে আর তুমি পৃথিবীতে। তাই ঈশ্বরকে তোমার সামান্য কিছু কথাই বলা উচিৎ‌। এই প্রবাদটি সত্য যে:

দুঃস্বপ্ন যেমন অনেক দুঃশ্চিন্তা সঙ্গে নিয়ে আসে,
    মূর্খ তেমনই একরাশ শব্দ নিয়ে আসে।

তুমি ঈশ্বরকে কোন প্রতিশ্রুতি দিলে তা অবশ্যই রক্ষা করবে। তোমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে দেরী কোরো না। ঈশ্বর মূর্খদের প্রতি প্রসন্ন নন। তুমি ঈশ্বরকে যা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ তা দাও। প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালন না করতে পারার থেকে প্রতিশ্রুতি না দেওয়া ভাল। তাই তোমার কথা যেন তোমার পাপের কারণ না হয়। যাজককে এটা বলো না, “আমি যা বলেছি তার অর্থ এই নয়!” তুমি যদি এরকম কর তাহলে ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হয়ে তুমি যার জন্য কাজ করেছ তা ধ্বংস করে ফেলবেন। তোমার অর্থহীন স্বপ্ন ও অহঙ্কার যেন তোমার বিপদ না ডেকে আনে। তুমি অবশ্যই ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করবে।

প্রতিটি শাসকের ওপর একজন শাসক আছেন

কিছু দেশে দেখা যায় যে দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কঠিন পরিশ্রম করছে। এটা দরিদ্র মানুষদের প্রতি সুবিচার নয়। এটা তাদের স্বার্থবিরোধী। কিন্তু বিস্মিত হয়ো না। যে শাসক এই মানুষদের ওপর জোর খাটাচ্ছে, তার ওপরে জোর খাটানোর জন্য রয়েছে আরো একজন শাসক। রাজাও তার লাভের ভাগ পায়। দেশের ধনসম্পদ তাদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়।[a]

ঐশ্বর্য দিয়ে সুখ কেনা যায় না

10 যে ব্যক্তি টাকা ভালোবাসে সে কখনও তার কাছে যা টাকা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারবে না। যে ঐশ্বর্য ভালোবাসে সে যতই পাক না কেন সন্তুষ্ট হতে পারবে না। এসবই অর্থহীন।

11 যে ব্যক্তির যত সম্পদ আছে, সেই সম্পদ ব্যয়ের জন্য তত “বন্ধুও” আছে। তাই ধনী ব্যক্তির প্রকৃত অর্থে কোন লাভই হয় না। সে শুধুই তার সম্পদের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে।

12 যে ব্যক্তি সারাদিন কঠিন পরিশ্রম করে সে ঘরে ফিরে শান্তিতে ঘুমোয়। সে সামান্য কিছু খেলো বা না খেয়ে থাকল সেটা বিষয় নয়। কিন্তু যে ধনী ব্যক্তি সে সম্পদ রক্ষার দুশ্চিন্তায় রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারে না।

13 আমি সূর্যের নীচে এক দুঃখজনক ঘটনা লক্ষ্য করেছি। একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে। কিন্তু এর পরিণাম হয় সমস্যামূলক। 14 এরপর কোন এক অঘটনে সে সব কিছু হারায়, এর ফলে সন্তানকে দেওয়ার মতো তার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

15 একজন মানুষ খালি হাতে মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয়। আর সে যখন মারা যায়, সে একই ভাবে রিক্ত অবস্থায় বিদায় নেয়। সে ফল লাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করে কিন্তু মারা গেলে কোন কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না। 16 এটা দুঃখজনক যে একজন মানুষ যে ভাবে পৃথিবীতে আসে সে ভাবেই সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। এভাবে “হাওয়ার পেছনে ছুটে” সে কি পায়? 17 সে কেবল মাত্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ পায়। শেষ পর্যন্ত সে হয়ে পড়ে হতাশ, বিরক্ত ও ক্ষিপ্ত!

তোমার কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নাও

18 একজন ব্যক্তির পক্ষে সব চেয়ে ভাল সূর্যের নীচে খাদ্য, পানীয় ও তার কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া। ঈশ্বর তাকে জীবন দিয়েছেন এবং এটাই তার সর্বস্ব।

19 যদি ঈশ্বর একজন ব্যক্তিকে ধনসম্পদ ও সেটা ভোগ করার ক্ষমতা দেন তবে তার তা অবশ্যই ভোগ করা উচিৎ‌, কারণ তা হল ঈশ্বরের উপহার। সেই ব্যক্তি অবশ্যই তার প্রাপ্ত জিনিসগুলি স্বীকার করবে এবং তার কাজ উপভোগ করবে, এ হল ঈশ্বরের উপহার। 20 একজন ব্যক্তি বেশী বছর বাঁচে না। তাই তাকে সারা জীবন এগুলি মনে রাখতে হবে। ঈশ্বর যা করতে চাইবেন তাই তিনি করবেন।

ঐশ্বর্য সুখ বয়ে আনে না

আমি সূর্যের নীচে আরো কিছু দেখেছি যা ন্যায্য নয়। এটা লোকদের পক্ষে খুবই খারাপ। ঈশ্বর কাউকে প্রচুর ধনসম্পদ, মানসম্মান দেন। সেই ব্যক্তির যা প্রয়োজন বা চাহিদা হতে পারে সে সবই তার আছে। কিন্তু ঈশ্বর তাকে সে সব ভোগ করতে দেন না। কোন এক অপরিচিত এসে তার সমস্ত কিছু অধিকার করে নেয়। এটা খুবই খারাপ ও অর্থহীন।

একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে। তার 100টি সন্তান থাকতে পারে। কিন্তু সে যদি এসব নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকে ও তার মৃত্যুর পর যদি তাকে কেউ মনে না রাখে, তবে আমার মনে হয় যে শিশু জন্ম মাত্র মারা গিয়েছে সেও এই ব্যক্তির চেয়ে ভাল। একটা মৃত শিশুর জন্ম প্রকৃতপক্ষে অর্থহীন। সেই শিশুটিকে কোন নাম দেওয়ার আগেই তাকে এক অন্ধকার কবরে সমাধিস্থ করা হয়। সেই শিশুটি কখনও কিছুই জানতে পারে না। সে কখনও সূর্যেরও মুখ দেখে না। কিন্তু সেই শিশুটিও অনেক বেশী বিশ্রাম পায় সেই ব্যক্তির চেয়ে যে ঈশ্বরের দেওয়া উপহার ভোগ করতে পারে না। সেই ব্যক্তি 2000 বছর বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু যদি সে জীবনকে উপভোগ করতে না পারে তবে যে শিশুটির জন্মমাত্র মৃত্যু হয়েছে সে আর এই ব্যক্তি কি একই স্থানে যাবে?

একজন লোক কাজ করে চলে। কেন? নিজের অন্ন সংস্থানের জন্য। কিন্তু সে কখনই সন্তুষ্ট থাকে না। এই বিষয়ে একজন জ্ঞানী ও মূর্খের মধ্যে কোন তফাৎ‌‌ নেই। এর চেয়ে একজন গরীব মানুষ হওয়াও ভাল যে জানে কিভাবে জীবনকে মেনে নিতে হয়। লাভ করবার চেয়ে নিজের যা আছে তা নিয়ে খুশী থাকা ভাল। বেশী লাভের প্রত্যাশা করা হাওয়ার পিছনে ছোটার মতোই অর্থহীন।

10-11 যা ঘটেছে তা বহু পূর্বেই স্থির হয়ে ছিল। লোকরা কে বেশী শক্তিশালী এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্কের কোন অর্থ হয় না। দীর্ঘ বিতর্ক কোন কাজে লাগে না এবং এটা কি ভালো কাজ করে?

12 একজন ব্যক্তির অযোগ্য জীবনের ব্যাপ্তিতে তার পক্ষে সবচেয়ে ভালো কি তা কে জানে? তার জীবন এক ছায়ার মতো অতিবাহিত হয়। কেউ বলতে পারে না এই পৃথিবীতে পর মূহুর্ত্তে কি হবে।

2 করিন্থীয় 12

পৌলের জীবনে এক বিশেষ আশীর্বাদ

12 গর্ব করা আমার প্রয়োজন, যদিও এর দ্বারা কোন লাভই হয় না। কিন্তু প্রভুর দেওয়া নানা দর্শন ও প্রকাশের সম্পর্কে আমাকে বলতে হবে। আমি খ্রীষ্টে আশ্রিত একটি লোককে জানি, চোদ্দ বছর আগে যাকে তৃতীয় স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সশরীরে না অশরীরে তা জানি না, ঈশ্বর জানেন। 3-4 এই লোকটির ব্যাপার আমি জানি, সশরীরে কি অশরীরে, তা আমি জানি না, ঈশ্বর জানেন। সে স্বর্গোদ্যানে থাকায় এমন সব বিস্ময়কর কথা শুনেছিল, যা নিয়ে মানুষের কথা বলা উচিত নয়। এমন লোকের জন্য গর্ব করব; কিন্তু নিজের জন্য গর্ব করব না। কেবল নানা দুর্বলতার জন্য গর্ব করব।

যদি আমি নিজের বিষয়ে গর্ব করি তাতেও মূর্খতার পরিচয় দেব না, কারণ আমি সত্যি কথাই বলব। তবুও নিজের বিষয়ে বড়াই করব না কারণ আমাকে তারা যেমন দেখছে এবং আমার কথা যেমন শুনছে, আমাকে যেন তার থেকে মহান বলে মনে না করে।

ঐসব অসাধারণ প্রকাশের অভিজ্ঞতার জন্য আমি যেন গর্ব না করি, সেইজন্য আমার দেহে একটা কাঁটা (কষ্টদায়ক সমস্যা) দেওয়া হল। যেন শয়তানের এক দূত আমাকে আঘাত করে, যাতে আমি অতি মাত্রায় গর্ব না করি। এই ব্যাপারে আমি প্রভুর কাছে তিনবার প্রার্থনা করেছিলাম, যাতে ওর থেকে আমি মুক্তি পাই। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, “আমার অনুগ্রহ তোমার জন্য যথেষ্ট; কারণ দুর্বলতার মধ্যে আমার শক্তি সম্পূর্ণতা লাভ করে।” এজন্য আমি বরং অত্যধিক আনন্দের সঙ্গে নানা দুর্বলতার গর্ব করব, যাতে খ্রীষ্টের পরাক্রম আমার ওপরে অবস্থান করে। 10 যখন কোন সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাই তখনও আমি আনন্দ পাই। যখন অন্যরা আমায় নির্যাতন করে তাতে আমি আনন্দ পাই; যখন আমার সমস্যা থাকে তখনও আমি আনন্দ পাই। এইসব আমি খ্রীষ্টের জন্য সহ্য করি, কারণ যখন আমি দুর্বল, তখনই আমি বলবান।

করিন্থীয় খ্রীষ্টীয়ানদের জন্য পৌলের ভালবাসা

11 আমি বোকার মতো কথা বলছি; তোমরাই আমাকে জোর করে বোকা বানালে। কারণ আমার প্রশংসা করা তোমাদের উচিত ছিল, যদিও আমি কিছু নই, তবু সেই “মহান প্রেরিতদের” থেকে কোন অংশে ছোট নই। 12 আমি যে একজন প্রেরিত তার সমস্ত প্রমাণ আমি তোমাদের দিয়েছি এবং প্রকৃত প্রেরিতদের মত ধৈর্য্যের সঙ্গে নানা অলৌকিক চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ সম্পন্ন করেছি। 13 অন্য সমস্ত মণ্ডলী যা পেয়েছে তোমরাও সেই একই জিনিস পেয়েছ। তবে তোমরা কোন্ বিষয়ে অন্য মণ্ডলীর থেকে ছোট হলে? কেবল একটি বিষয়ে তোমরা ভিন্ন। আমি তোমাদের গলগ্রহ হই নি, এ যদি অন্যায় হয়ে থাকে তবে আমাকে সেই ভুলের জন্য ক্ষমা করো।

14 দেখ, এই তৃতীয়বার আমি তোমাদের কাছে যেতে প্রস্তুত হয়েছি। আমি তোমাদের বোঝা হব না, কারণ আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন কিছু চাই না, আমি কেবল তোমাদেরই চাই। কারণ বাবা-মায়ের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা ছেলেমেয়েদের কর্তব্য নয়, বরং ছেলেমেয়েদের জন্য বাবা-মায়েরই সঞ্চয় করা কর্তব্য। 15 আমার যা কিছু আছে সে সবই তোমাদের অতি আনন্দের সঙ্গে দেব, এমন কি তোমাদের জন্য আমি নিজেকেও ব্যয় করব। তোমাদের জন্য আমার ভালবাসা যখন বেড়েই চলেছে, তখন আমার প্রতি তোমাদের ভালবাসা কি কমে যাবে?

16 যাই হোক্, একথা ঠিক যে আমি তোমাদের ওপর খরচের বোঝা হয়ে দাঁড়াই নি; কিন্তু তোমরা বলো আমি চালাক বলে নাকি ছলেবলে তোমাদের ধরেছি। 17 আমি যাদের তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম, তাদের মধ্য দিয়ে আমি কি তোমাদের ঠকিয়েছি? তোমরা জান যে আমি তা করি নি। 18 আমি তীতকে অনুরোধ করেছিলাম এবং তাঁর সাথে অপর এক ভাইকে পাঠিয়েছিলাম। তীত কি তোমাদের ঠকিয়েছেন? তোমরা জান যে তীত ও আমি, আমরা একই মনোভাব নিয়ে কাজ করি, এবং একই রকম আচরণ করি।

19 তোমরা কি মনে কর যে, আমরা নিজেদের রক্ষা করতে তোমাদের কাছে এতদিন ধরে এইসব কথা বলেছি? না, খ্রীষ্টের অনুগামী হিসেবে আমরা এইসব কথা ঈশ্বরের সামনে থেকেই বলেছি। প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের আত্মিকভাবে সবল করার জন্য আমরা এইসব কাজ করেছি। 20 কারণ আমার ভয় হয়, পরে আমি তোমাদের যেরকম দেখতে চাই, গিয়ে সেরকম দেখতে না পাই, এবং তোমরা আমাকে যেরকম দেখতে চাও না পাছে সেরকম দেখ। আমার ভয় হয় যে আমি গিয়ে হয়তো তোমাদের মধ্যে ঝগড়া, হিংসা, ক্রোধ, শত্রুতা, গালাগালি, জল্পনা, অহংকার ও বিশৃঙ্খলা দেখতে পাব। 21 আমার ভয় হচ্ছে পাছে আমি আবার তোমাদের ওখানে গেলে আমার ঈশ্বর তোমাদের সামনে আমার মাথা নীচু করে দেন। যারা আগে পাপ করেছিল, এবং নিজেদের দুষ্টতা, অশুচিতা, যৌন পাপ ও অশোভন কাজের বিষয়ে যাদের মনে কোন অনুতাপ নেই, এদের সকলের জন্য আমাকে হয়তো অনেক দুঃখ ও ব্যথা বহন করতে হবে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International