Old/New Testament
19 বোকা, মিথ্যেবাদী এবং ঠগ হওয়ার চেয়ে গরীব এবং সৎ হওয়া শ্রেয়।
2 জ্ঞান ব্যতিরেকে উদ্যম কোন কাজের নয়। যে ব্যক্তি তাড়াহুড়ো করে কাজ করে, সে ভুল করে।
3 একজন ব্যক্তির নিবুর্দ্ধিতা তার ধ্বংসের কারণ। কিন্তু সে তার দুরবস্থার জন্য প্রভুকে দোষী করে।
4 ধনী ব্যক্তির ধন-সম্পদই অসংখ্য বন্ধু জোগাড় করে দেয় কিন্তু দরিদ্রকে সবাই ছেড়ে চলে যায়।
5 অন্য লোকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার করে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। তার রক্ষা পাওয়া উচিৎ নয়।
6 উদার ব্যক্তির বন্ধু সবাই হতে চায়। যে উপহার প্রদান করে তার বন্ধুত্ব লাভে সবাই আগ্রহী।
7 যদি কেউ গরীব হয় তাহলে তার পরিবারের লোকরাও তার বিরোধিতা করে এবং সমস্ত বন্ধুরাও তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সে সাহায্য ভিক্ষা করলে সাহায্য প্রদানের জন্য কেউ তার দিকে এগিয়ে যাবে না।
8 কোন ব্যক্তি যদি তার স্বাচ্ছন্দের জন্য আগ্রহী হয়, সে জ্ঞানী হয়ে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে। যে বোধকে রক্ষা করে, সে সাফল্য হাতে পায়।
9 মিথ্যেসাক্ষীর শাস্তি হবেই! মিথ্যেবাদীর বিনাশ হবে।
10 একজন নির্বোধ ব্যক্তির পক্ষে বিলাসিতার মধ্যে জীবনযাপন করা ঠিক নয়। তাহলে তা হবে ক্রীতদাস কর্ত্তৃক রাজপুত্রদের শাসন করা।
11 যদি একজন ব্যক্তি জ্ঞানী হয়, সেই জ্ঞানই তাকে ধৈর্য্যের অধিকারী করে। সে যদি তার বিরুদ্ধে যারা অন্যায় করে সেই সব লোকদের ক্ষমা করে সেটা তার মহত্ত্ব।
12 রাজার ক্রোধ হবে সিংহের মতো। কিন্তু তাঁর দয়া হল ঘাসের ওপর বৃষ্টির ফোঁটার মত।
13 একজন নির্বোধ তার পিতার জন্য বয়ে আনে সমস্যার বন্যা। একজন খুঁতখুঁতে বউ হল সমানে চুঁইয়ে পড়া জলের মত।
14 লোকে তাদের মাতা-পিতার কাছ থেকে অর্থ এবং ঘরবাড়ি পায়। কিন্তু একজন ভালো স্ত্রী হল প্রভুর দান।
15 একজন কুঁড়ে, অলস ব্যক্তি হয়ত দীর্ঘক্ষণ ঘুমোতে পারে কিন্তু সে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত বোধ করবে।
16 কেউ যদি আইনকে মান্য করে তাহলে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। যে নিজের আচরণ সম্পর্কে অসতর্ক সে মারা যাবে।
17 দরিদ্রকে টাকা দেওয়া মানে তা প্রভুকে ঋণ দেওয়া। তোমার এই দয়ালু মনের জন্য প্রভু তোমাকে তা ফিরিয়ে দেবেন।
18 তোমার পুত্র বদলাবে এ আশা যতক্ষণ আছে, তাকে শাসন কর। তাকে শাসন না করে তার মৃত্যু এনো না। সে নিজেই তার ধ্বংসের কারণ হবে এবং তুমিই তাতে ইন্ধন যোগাবে।
19 রগচটা লোক তার ক্রোধের মূল্য দেবে। তুমি যদি তাকে সংকট থেকে বার করেও আনো, সে একই কাজ করা অব্যাহত রাখবে।
20 উপদেশ শোন এবং শৃঙ্খলা পরায়ণ হও। তাহলে জ্ঞানী হয়ে উঠবে।
21 মানুষ অসংখ্য পরিকল্পনা করে কিন্তু একমাত্র প্রভুর পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়।
22 লোক একটি বিশ্বাসী লোক চায়। একজন লোক যার কথা কেউ বিশ্বাস করে না সেই ধরণের একজন মানুষ হওয়ার চেয়ে বরং গরীব হওয়া শ্রেয়।
23 যে ব্যক্তি প্রভুকে সম্মান করে তার জীবন ভালো হয়। সে ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে। সে তার নিজের জীবনে তৃপ্তি খুঁজে পায়।
24 কিছু মানুষ এতো অলস হয় যে তারা নিজেদের দিকে প্রায় নজরই দেয় না। তারা এতই অলস যে তারা তাদের থালা থেকে খাবারটুকু পর্যন্ত তুলে মুখে দেবে না।
25 একজন অলস ব্যক্তিকে শাস্তি দাও এবং সেই বোকাটা কৌশলী হয়ে উঠবে। কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে তিরস্কার কর, সে আরো বিচক্ষণ হয়ে উঠবে।
26 যে ব্যক্তি তার পিতার পকেট থেকে চুরি করে এবং তার মাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়, সে একজন জঘন্য কুলাঙ্গার।
27 যদি তুমি নির্দেশ মেনে চলা বন্ধ করো তাহলে তুমি তোমার বোকামিগুলো চালিয়ে যাবে। চির দিন ভুলগুলো করে যাবে।
28 যে মিথ্যে সাক্ষী দেয় সে ন্যায়কে উপহাস করে। দুষ্ট লোকদের কথাবার্তা আরো বেশী পাপ আনে।
29 উদ্ধত লোকদের জন্য চাবুকই যথেষ্ট, কিন্তু বোকাদের জন্য প্রহার যথার্থ।
20 দ্রাক্ষারস খেলে মানুষ তার নিয়ন্ত্রণ হারায়। মাতালরা চিৎকার করে এবং ঘ্যান ঘ্যান করতে শুরু করে। মদনোন্মত্ত অবস্থায় তারা মূর্খের মত আচরণ করে।
2 সিংহের গর্জনের মত রাজার ক্রোধ। তুমি যদি রাজাকে ক্রুদ্ধ করো তাহলে তোমার জীবন সংশয় হতে পারে।
3 মূঢ়রা তর্ক শুরু করবার ব্যাপারে খুব তত্পর। সুতরাং তোমাকে এমন একজনকে সম্মান করতে হবে যে তর্ককে এড়িয়ে চলতে পারে।
4 একজন অলস ব্যক্তি কর্ষনের সময় বীজ বপন করে না। সুতরাং ফসল ঘরে তোলার উৎসবের সময় যখন সে খাবারের জন্য চারিদিকে তাকায় তখন সে কিছুই খুঁজে পায় না।
5 ভাল উপদেশ হল গভীর কুয়ো থেকে তুলে আনা স্বচ্ছ জলের মত। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি অন্য আর একজনের কাছ থেকে শেখবার জন্য কঠিন পরিশ্রম করে।
6 অনেকেই বলে তারা বিশ্বস্ত এবং অনুগত। কিন্তু প্রকৃত বিশ্বস্ত লোক খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।
7 একজন সজ্জন ব্যক্তি সৎপথে জীবন কাটায়। এবং তার সন্তানরা আশীর্বাদ ধন্য হবে।
8 রাজা যখন বিচারে বসে তখন সে নিজের চোখে দুর্জন ব্যক্তিদের চিনতে পারে।
9 কেউ কি একথা বলতে পারে যে তার একটি স্বচ্ছ বিবেক আছে? এবং সে কোন পাপ করেনি? না!
10 অন্যায় ভাবে যারা ব্যবসায় ওজন নিয়ে কারচুপি করে লোক ঠকায়, প্রভু তাদের ঘৃণা করেন।
11 এমনকি একটি শিশুর কাজকর্মেও বোঝা যায় যে সে ভাল না মন্দ। তুমি যদি একটি শিশুর আচরণ লক্ষ্য কর, সে সৎ ও ভাল কিনা তা তুমি বুঝতে পারবে।
12 আমাদের শরীরের চোখ এবং কান এই ইন্দ্রিয় দুটি প্রভুই আমাদের দিয়েছেন যাতে আমরা দেখতে ও শুনতে পাই।
13 তুমি যদি ঘুমোনোর পিছনে সময় ব্যয় কর তাহলে তুমি দারিদ্রে কষ্ট পাবে। কিন্তু যদি তুমি তোমার সময় কঠোর পরিশ্রমে ব্যয় কর তাহলে তোমার খাদ্যের অভাব হবে না।
14 তোমার কাছ থেকে কেউ যখন কিছু কিনতে যায় তখন সে বলে: “দাম বড্ড বেশী! এ জিনিস ভাল নয়।” তারপর সে অন্যদের কাছে গিয়ে নিজের বাজার করার কথা বড়াই করে বলে।
15 সোনা এবং অলঙ্কার একজন মানুষকে ধনী করে তুলতে পারে। কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যা উচ্চারণ করেন তা অনেক বেশী দামী।
16 অন্য লোকের বিবাদে জড়িয়ে পড়লে তুমি তোমার জামা হারাতে পারো।
17 প্রতারণা করে জিনিস পাওয়া হয়তো ভালো মনে হতে পারে কিন্তু অবশেষে দেখবে যে তার কোন দাম নেই।
18 পরিকল্পনা করার আগে সৎ উপদেশ গ্রহণ করো। যদি তুমি যুদ্ধে যাওয়া স্থির কর, তাহলে তোমাকে চালনা করার জন্য যুদ্ধে দক্ষ এমন লোক খুঁজে বার কর।
19 যে অন্যের সম্বন্ধে গুজব রটায় সে বিশ্বাসযোগ্য নয়। সুতরাং, বেশী কথা বলে এমন কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না।
20 যে নিজের পিতামাতার বিরুদ্ধে কথা বলে সে হল সেই ধরণের আলো যা শীঘ্রই অন্ধকারে পরিণত হবে।
21 সহজে অর্জিত ধন অবশেষে তার মূল্য হারাবে।
22 কেউ যদি তোমার বিরুদ্ধে কিছু করে থাকে তাহলে তুমি তাকে শাস্তি দিতে যেও না। বরং ধৈর্য্য ধরো, প্রভু শেষে তোমাকেই জয়ী করবেন।
23 কিছু ব্যবসায়ী ওজনের দাঁড়িপাল্লায় কিছু কৌশল করে লোক ঠকায়। প্রভু সেটা ঘৃণা করেন। যে সব দাঁড়িপাল্লা নিখুঁত নয় সেগুলো ব্যবহার করা অন্যায়।
24 প্রতিটি লোকের কি হবে তা প্রভু ঠিক করেন। তাহলে কোন ব্যক্তি কি করে বুঝবে তার জীবনে কি কি ঘটবে?
25 ঈশ্বরকে কিছু দেবার প্রতিজ্ঞা করার আগে চিন্তা করে দেখো। নাহলে পরে হয়তো তুমি ভাবতে পারো যে এমন প্রতিজ্ঞা না করলেই হত।
26 জ্ঞানী রাজাই ঠিক করবেন কারা দুর্জন ব্যক্তি। সেই রাজাই তাদের শাস্তি প্রদান করবেন।
27 মানুষের আত্মা হল প্রভুর কাছে থাকা প্রদীপ। প্রভু হলেন অন্তর্যামী। কার মনে কি আছে তিনি সব জানেন।
28 যদি একজন রাজা সৎ ও সত্যবাদী হয় তাহলে সে তার ক্ষমতায় থাকতে পারবে। বিশ্বস্ততা তার রাজ্যকে শক্তিশালী করে তুলবে।
29 একজন যুবকের শক্তির শোভাকে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু একজন বৃদ্ধের পাকা চুলকে আমরা সম্মান জানাই। কারণ তার মাথা ভর্ত্তি পাকা চুল প্রমাণ করে যে সে একটি পূর্ণ জীবন পেয়েছে।
30 যদি আমরা শাস্তি পাই তাহলে আমরা অন্যায় কাজ করা বন্ধ করব। যন্ত্রণা মানুষকে বদলে দিতে পারে।
21 জমিতে চাষের জলের জন্য চাষীরা পরিখা খনন করে। সেচ ব্যবস্থার জন্য তারা পরিখা দিয়ে বয়ে যাওয়া জলের গতিপথ পরিবর্তন করে। তেমনি করে প্রভুও রাজার মনের নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রভু রাজাকে তাঁর ইচ্ছেমতো পরিচালনা করেন।
2 মানুষ ভাবে সে যা করে তাই সঠিক। কিন্তু প্রভুই মানুষের কাজের সঠিক কারণের বিচার করেন।
3 সঠিক কাজ করবে ও ন্যায়ের পথে চলবে। বলিদানের চেয়ে প্রভু সেগুলিকেই বেশী ভালোভাবে গ্রহণ করেন।
4 অহঙ্কার হল একটি পাপপূর্ণ জিনিস। এতে মানুষের অসততা বোঝায়।
5 বুদ্ধিপূর্ণ পরিকল্পনা লাভের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তুমি যদি সতর্ক না হও এবং কাজের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করো তাহলে তুমি গরীব হয়ে যাবে।
6 লোক ঠকিয়ে বড়লোক হলে শীঘ্রই তোমার সমস্ত ধনসম্পদ নষ্ট হবে এবং তোমার অসততা তোমার মৃত্যুর কারণ হবে।
7 দুষ্ট লোকরা যে কুকর্ম করে তা তাদের ধ্বংস করবে। তারা ঠিক কাজ করতে অস্বীকার করে।
8 দুষ্ট ব্যক্তিরা সব সময় অন্যদের ঠকাতে চেষ্টা করে। কিন্তু ভালো লোকরা সর্বদা সৎ ও ন্যায়সঙ্গত কাজ করে।
9 ঝগড়াটে বউয়ের সাথে ঘর করার চেয়ে ছাদের ওপর একলা থাকা শ্রেয়।
10 অসৎ ব্যক্তি মন্দ কাজ করতে ইচ্ছা করে এবং তারা কারো প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না।
11 ঈশ্বরকে নিয়ে যারা মজা করে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য এবং বোকারা তার থেকে শিক্ষা পাবে। তারা জ্ঞানী হয়ে উঠবে এবং তারা আরো বেশী জ্ঞান প্রাপ্ত হবে।
12 ঈশ্বর মঙ্গলময়। ঈশ্বর জানেন দুর্জনরা কি করে বেড়াচ্ছে। তিনিই তাদের শাস্তি দেবেন।
13 যদি কেউ দরিদ্রকে সাহায্য করতে অস্বীকার করে তাহলে তার প্রয়োজনের সময়ও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না।
14 কেউ যদি তোমার ওপর রেগে থাকে তাহলে তাকে গোপন একটা উপহার পাঠাও। গোপনে দেওয়া উপহার প্রকট ক্রোধকে প্রশমিত করে।
15 ন্যায়-বিচার সজ্জন ব্যক্তিদের সুখী করে তোলে। কিন্তু দুর্জন ব্যক্তিদের ভীত করে।
16 জ্ঞানের পথ কেউ ত্যাগ করলে বুঝতে হবে সে ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে।
17 যদি কোন ব্যক্তি সুখ সম্পত্তি ভালোবাসে, সে দরিদ্রে পরিণত হবে। একজন ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র দ্রাক্ষারস পান করতে এবং খুব মশলাদার রান্না খেতে চায় তাহলে সে কোনদিনই ধনী হতে পারবে না।
18 ভালো লোকদের প্রতি দুষ্ট লোকরা যে সব খারাপ কাজগুলি করে তার জন্য তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। সৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসৎ ব্যক্তিরা যা সব করে তার জন্য দুষ্ট লোকদের দাম দিতেই হবে।
19 রগচটা ও বিবাদী স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করার চেয়ে মরুভূমিতে বাস করা ভাল।
20 একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ভবিষ্যতে তার কাজে লাগবে এমন জিনিসপত্র সঞ্চয় করে রাখে। কিন্তু একজন নির্বোধ যা কিছু অর্জন করে তার সবটাই তাড়াতাড়ি খরচ করে ফেলে।
21 যে ব্যক্তি সর্বদা দয়া ও ভালবাসা প্রদর্শন করে সে সুস্থ জীবন লাভ করে। সে অর্থ ও সম্মান পায়।
22 একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যা চায় তাই করতে পারে। এমন কি, সে শক্তিশালী লোকদের দ্বারা প্রতিরক্ষা করা শহরকেও আক্রমণ করতে পারে। বাঁচবার জন্য যে প্রাচীরের ওপর তাদের আস্থা ছিল, সেই প্রাচীরও সে ধ্বংস করতে পারে।
23 সে কি বলছে এই বিষয়ে যদি কোন ব্যক্তি সতর্ক থাকে তাহলে সে সংকট থেকে দূরে থাকতে পারবে।
24 একজন অহঙ্কারী মানুষ নিজেকে অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে। সে তার কাজের ধারা দিয়েই দেখিয়ে দেয় সে কতখানি দুষ্ট।
25 একজন অলস ব্যক্তির অতিরিক্ত দাবী তার ধ্বংসের কারণ হয়। তার যা করা দরকার তা করতে অস্বীকার করায় অলস ব্যক্তি নিজেকে ধ্বংস করে।
26 কিন্তু একজন ভালো লোক অনেক কিছু দিয়ে দেয় কারণ তার প্রচুর আছে।
27 দুর্জনরা প্রভুকে কিছু উৎসর্গ করলে প্রভু খুশী হন না। বিশেষ করে তারা যখন তাদের উৎসর্গের পরিবর্তে তাঁর কাছ থেকে কিছু পেতে চেষ্টা করে তখন।
28 মিথ্যেবাদীর বিনাশ হবে। যারা মিথ্যেবাদীদের কথা শুনে চলবে তাদেরও বিনাশ হবে।
29 একজন সজ্জন ব্যক্তি জানে যে সে সঠিক। কিন্তু একজন দুষ্ট লোককে ভান করতে হয়।
30 কোন ব্যক্তিই একটি পরিকল্পনাকে সফল করতে যথেষ্ট জ্ঞানী নয় যদি ঈশ্বর তার বিরুদ্ধে থাকেন।
31 মানুষ যতই যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি নিক প্রভু না চাইলে কিছুতেই তারা যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না।
7 প্রিয় বন্ধুগণ, এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি যখন আমাদের রয়েছে তখন এস, যা কিছু আমাদের দেহ বা আত্মাকে অশুচি করে তার থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের শুচি করি। ঈশ্বরের সম্মান করে নিজেদের পূর্ণরূপে পবিত্র করি।
পৌলের আনন্দ
2 তোমাদের হৃদয়ে আমাদের স্থান দিও। আমরা কারও ক্ষতি করি নি, কাউকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যাই নি, কাউকে ঠকাই নি। 3 আমি তোমাদের দোষী করতে একথা বলছি তা নয়; আমরা তোমাদের এত ভালবাসি যে আমরা মরি তো একসঙ্গে মরব, বাঁচি তো একসঙ্গেই বাঁচব। 4 তোমাদের ওপর আমার বড় আস্থা আছে আর তোমাদের নিয়ে আমার খুবই গর্ব। আমাদের সমস্ত কষ্টের মধ্যে তোমাদের কাছ থেকে আমি যথেষ্ট উৎসাহ পেয়েছি, তাই আমার মনে বড় আনন্দ।
5 যখন আমরা মাকিদনিয়াতে এসেছিলাম, তখনও আমাদের দৈহিকভাবে বিন্দুমাত্র বিশ্রাম হয় নি। কারণ আমরা সব দিক থেকে কষ্ট পেয়েছিলাম, বাইরে ছিল ঝগড়াঝাটি ও মনে ছিল ভয়। 6 তবুও ঈশ্বর যিনি নিরাশ প্রাণে সান্ত্বনা দেন, তিনি তীতকে নিয়ে এসে আমাদের সান্ত্বনা দিলেন। 7 কেবল তীতের আসার জন্য নয়, তোমরা তাকে যে সান্ত্বনা দিয়েছ তার জন্যও। তিনি আমাদের জানিয়েছেন আমাদের দেখার জন্য তোমাদের কত গভীর আগ্রহ রয়েছে। তোমরা যা করেছ তার জন্য তোমরা কি পরিমাণ দুঃখিত এবং আমার জন্য তোমাদের আগ্রহের কথাও তীত আমাদের জানিয়েছেন। এর ফলে আমি আরও আনন্দিত হয়েছি।
8 যদিও আমার চিঠি তোমাদের কিছু সময়ের জন্য দুঃখ দিয়েছে তবু অনুশোচনা করি না, কারণ প্রথমে অনুশোচনা করলেও আমি দেখছি যে সেই চিঠি তোমাদের মনে মাত্র কিছুকালের জন্য ব্যথা দিয়েছে। 9 এখন আমি আনন্দ করছি, তোমরা মনে ব্যথা পেয়েছিলে বলে নয়, কিন্তু তোমাদের সেই দুঃখ ও ব্যথা তোমাদের জীবনকে পরিবর্তিত করেছে বলে। ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারেই তোমরা দুঃখ পেয়েছিলে, তাই আমাদের দ্বারা তোমাদের কোনরকম ক্ষতি হয় নি; 10 কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে দুঃখ মানুষের হৃদয়ে ও জীবনে অনুতাপ আনে আর তা মুক্তির দিকে নিয়ে যায় এবং তাতে আমাদের দুঃখ করার কিছু নেই। কিন্তু এই জগতের দেওয়া দুঃখ মানুষকে অনন্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। 11 দেখ, ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে যে দুঃখ তোমাদের হয়েছে, তা তোমাদের কত মঙ্গল করেছে, তোমাদের কত আন্তরিক করে তুলেছে। নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করার জন্য তোমাদের কত ইচ্ছা হয়েছিল, তোমাদের মনে কত ক্রোধ ও ভয় জেগেছিল, আমাদের দেখার জন্য তোমাদের কত আগ্রহ হয়েছিল, তোমাদের মনে কত দরদ এসেছিল, অন্যায়ের শাস্তি দেবার জন্য তোমাদের কত ইচ্ছা হয়েছিল। সবকিছুতেই তোমরা প্রমাণ করেছ যে সে বিষয়ে তোমরা নির্দোষ। 12 আমি তোমাদের কাছে চিঠি লিখেছিলাম বটে, কিন্তু যে অন্যায় করেছে বা যার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তাদের জন্য নয়, বরং তোমাদের লিখেছিলাম যাতে ঈশ্বরের সামনে আমাদের প্রতি তোমাদের যে এই আনুগত্য আছে তা উপলদ্ধি করতে পার। 13 এইসবের জন্য আমরা উৎসাহিত হয়েছি।
আমাদের সেই উৎসাহের ওপরে তীতের আনন্দ আমাদের আরও আনন্দিত করেছে। তোমাদের সকলের কাছ থেকে তিনি অন্তরে নতুন শক্তি লাভ করেছেন। 14 তাঁর কাছে আমি কোন বিষয়ে যদি তোমাদের জন্য গর্ব করে থাকি, তাতে লজ্জিত হই নি; কিন্তু আমরা যেমন তোমাদের কাছে সবকিছুই সত্যভাবে ব্যক্ত করেছি, তেমনি তীতের কাছে আমাদের সেই গর্বও সত্য বলে প্রমাণ হল। 15 তোমরা সকলে তাঁকে কেমন মান্য করেছিলে, কেমন ভয় ও সম্মানের সঙ্গে তাঁকে গ্রহণ করেছিলে, সে সব স্মরণ করে তোমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা আরও বেড়ে গেছে। 16 এই জন্য আমি খুশী কারণ আমি তোমাদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে পারি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International