Old/New Testament
পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্রসহ দায়ূদের একটি মস্কীল যখন সীফীয়রা এসে শৌলকে বলেছিল, “আমাদের মনে হয় দায়ূদ আমাদের লোকদের মধ্যে লুকিয়ে আছে।”
54 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমায় রক্ষা করুন।
আমাকে মুক্তি দিতে আপনার পরাক্রম কাজে লাগান।
2 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি যা বলি তা শুনুন।
3 বিদেশী লোকরা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে না তারা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
ঐসব শক্তিশালী লোকরা আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
4 দেখ, আমার ঈশ্বর আমায় সাহায্য করবেন।
আমার প্রভু আমায় সহায়তা দেবেন।
5 যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে, আমার ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
ঈশ্বর আমার প্রতি বিশ্বস্ত হবেন এবং ঐসব লোকের বিনাশ করবেন।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে স্বেচ্ছাবলি উৎসর্গ করব।
প্রভু, আমি আপনার নামের প্রশংসা করবো কারণ সেটি এত ভালো!
7 আমি আপনার নামের প্রশংসা করব কারণ আমার সব সঙ্কট থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত হতে দেখেছি।
পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্র সহ দায়ূদের একটি মস্কীল।
55 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনুন।
করুণার জন্য আমার যে প্রার্থনা তাকে উপেক্ষা করবেন না।
2 ঈশ্বর, দয়া করে আমার প্রার্থনা শুনুন এবং উত্তর দিন।
আমাকে কোন্ জিনিস মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেয় তা আপনার কাছে বলতে দিন।
3 আমি যে সব জিনিষে ভয় পাই আমার শত্রু সেইগুলো বলছে।
ঐ দুষ্ট লোকটি আমাকে বলছে, আমার শত্রুরা যারা ক্রোধে উন্মত্ত তারা আমায় আক্রমণ করছে।
ওরা আমার মাথার ওপর হুড়মুড় করে সংকটসমূহ এনে ফেলেছে।
4 আমার হৃদয়ের ভিতরে ঘাত-প্রতিঘাত হয়ে যাচ্ছে।
মৃত্যু ভয়ে আমি ভীত হয়ে রয়েছি।
5 আতঙ্কে আমি কাঁপছি।
আমি সন্ত্রস্ত।
6 আহা, আমার যদি ঘুঘু পাখীর মত ডানা থাকত!
তাহলে আমি উড়ে গিয়ে একটা বিশ্রামের জায়গা খুঁজে নিতাম।
7 আমি মরুভূমির অনেক দূরের কোন জায়গায় চলে যেতাম।
8 আমি ছুট দিতাম। আমি পালিয়ে যেতাম।
এই সমস্যার ঝড় থেকে আমি পালিয়ে যেতাম।
9 প্রভু আমার, ওদের মিথ্যা বলা আপনি বন্ধ করুন।
আমি এই শহরে হিংসাত্মক ব্যাপার এবং লড়াই দেখছি।
10 এই শহরের প্রতিটি জায়গায় দিনরাত্রি জুড়ে
অপরাধ ও ধ্বংসাত্মক কাজ লেগেই রয়েছে।
11 রাস্তাগুলোতে অপরাধ বেড়ে গেছে।
লোকজন সর্বত্র মিথ্যা কথা বলছে এবং ঠকাচ্ছে।
12 এটা যদি আমার শত্রুরা আমাকে অপমান করতো,
আমি সহ্য করতে পারতাম।
এটা যদি আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করতো
আমি লুকোতে পারতাম।
13 কিন্তু হে আমার সখা, বন্ধু,
আপনি স্বয়ং আমায় আক্রমণ করেছেন।
14 যখন আমরা একসঙ্গে ভীড়ের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের মন্দিরে হেঁটে যেতাম,
তখন নিজেদের গোপন কথা একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করে কত নিকটভাবে কথা বলেছি।
15 যেন অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে মৃত্যু এসে আমার শত্রুদের গ্রাস করে!
পৃথিবী ফাঁক হয়ে যাক্ এবং ওদের জীবন্ত গিলে ফেলুক! কেন?
কারণ ওরা সবাই মিলে ভয়ঙ্কর সব কু-পরিকল্পনা করে।
16 সাহায্যের জন্য আমি ঈশ্বরকে ডাকবো,
প্রভু অবশ্যই আমাকে উদ্ধার করবেন।
17 সন্ধ্যায়, সকালে, দুপুরে আমি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলি।
আমি তাঁকে বলব, কোন্ বিষয় আমাকে ক্লেশগ্রস্ত করে এবং তিনি আমার কথা শোনেন।
18 আমি অনেক যুদ্ধ করেছি।
সর্বদাই ঈশ্বর আমায় উদ্ধার করেছেন এবং নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছেন।
19 ঈশ্বর, আমার কথা শোনেন।
সেই অনন্ত রাজা অবশ্যই আমায় সাহায্য করবেন।
কিন্তু আমার শত্রুরা ঈশ্বরকে ভয় করে না বা তাঁকে শ্রদ্ধাও করে না।
তারা তাদের হৃদয় এবং জীবন বদলাবে না।
20 ওরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে
এবং নিজের বন্ধুদের আক্রমণ করে।
21 আমার শত্রুরা খুব মসৃণভাবে কথা বলে,
শান্তির কথা বললেও ওরা যুদ্ধের পরিকল্পনা করে।
ওদের কথা মাখনের মত মসৃণ,
কিন্তু ঐসব কথা ছুরির মতই কাটে।
22 তোমার যোদ্ধাদের প্রভুর কাছে সমর্পণ কর
তিনি তোমাদের যত্ন নেবেন।
ঈশ্বর ভালো লোকদের পরাজিত হতে দেবেন না।
23 তোমার চুক্তির অঙ্গ অনুসারে, ঐসব খুনী ও মিথ্যাবাদীদের অর্ধেক জীবন শেষ হওয়ার আগেই
হে ঈশ্বর আপনি ওদের কবরে পাঠান
এবং আমার চুক্তির একটি অংশ হিসেবে আমি আপনাতে আস্থা রাখব।
পরিচালকের প্রতি: “সুদূর ওক গাছের পারাবত।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিক্তাম যখন পলেষ্টীয়রা তাঁকে গাতে বন্দী করেছিল।
56 ঈশ্বর, লোকে আমায় আক্রমণ করেছে তাই আমার প্রতি কৃপা করুন।
ওরা সর্বক্ষণ ধরে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে, আমায় তাড়া করে চলেছে।
2 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় আক্রমণ করে চলেছে।
ওখানে অসংখ্য যোদ্ধা আছে।
3 যখন আমি ভীত হয়ে পড়ি তখন আপনাতে আমার বিশ্বাস স্থাপন করি।
4 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাই আমি ভয় পাই না। মানুষ আমার কী করবে!
আমার প্রতি ঈশ্বরের শপথের জন্য আমি তাঁর প্রশংসা করি।
5 শত্রুরা সব সময় আমার কথাকে বিকৃত করে।
সর্বদাই ওরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
6 আমাকে হত্যা করবার একটা পথ খুঁজে পাবার আশায়
ওরা একসঙ্গে লুকিয়ে থেকে আমার গতিবিধি লক্ষ্য করে।
7 ঈশ্বর, ওদের অন্য দেশে বিদায় করে দিন।
হে ঈশ্বর, ওদের দুষ্ট কাজের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
আপনার ক্রোধ দেখান এবং ঐসব জাতিদের পরাজিত করুন।
8 আপনি জানেন যে আমি মানসিকভাবে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত।
আমি যে কত কেঁদেছি তাও আপনি জানেন।
আপনি নিশ্চয় আমার চোখের জলের হিসেব রেখেছেন।
9 তাই যখন আমি আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি তখন আমার শত্রুদের পরাজিত করুন।
আমি জানি আপনি তা করতে পারবেন।
কারণ আপনিই আমার ঈশ্বর!
10 তাঁর প্রতিশ্রুতির জন্য আমি ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
আমার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির জন্য আমি প্রভুর প্রশংসা করি।
11 আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাই আমি ভয় পাই না।
মানুষ আমার কী করবে!
12 ঈশ্বর, আমি আপনার কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা আমি পালন করবো।
আমি আপনাকে আমার ধন্যবাদ উৎসর্গ নিবেদন করবো।
13 কেন? কারণ আপনি আমাকে মৃত্যু থেকে উদ্ধার করেছেন।
পরাজয় থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
তাই আমি প্রকাশ্য দিবালোকে ঈশ্বরের উপাসনা করবো
যাতে কেবলমাত্র জীবিত লোকেরা দেখতে পায়।
3 তাহলে ইহুদীদের এমন কি সুবিধা আছে যা অন্য লোকদের নেই? সুন্নতেরই বা মূল্য কি? 2 হ্যাঁ, সব দিক দিয়েই ইহুদীদের অনেক সুবিধা আছে। তাদের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই: ঈশ্বর তাঁর শিক্ষা প্রথমে ইহুদীদেরই দিয়েছিলেন। 3 একথা ঠিক যে কিছু কিছু ইহুদী ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না, কিন্তু তাতে কি? তারা অবিশ্বস্ত হয়েছে বলে কি ঈশ্বরও অবিশ্বস্ত হবেন? 4 না, নিশ্চয়ই নয়! সব মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও, ঈশ্বর সবসময়ই সত্য। শাস্ত্রে যেমন বলে:
“তুমি তোমার বাক্যেই ন্যায়পরায়ণ প্রতিপন্ন হবে
আর বিচারের সময় তোমার জয় হবেই।”(A)
5 আমরা যখন অন্যায় করি তখন আরো স্পষ্টভাবে জানা যায় যে ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ। তবে কি আমরা বলব যে ঈশ্বর যখন আমাদের শাস্তি দেন তখন অন্যায় করেন? কারো কারো মনে যেমন চিন্তা থাকে আমি সেই রকম বলছি। 6 ঈশ্বর যদি ন্যায়পরায়ণ না হতেন, তবে জগতের বিচার করা তাঁর দ্বারা সম্ভব হত না।
7 কেউ আবার বলতে পারেন, “যদি আমার মিথ্যার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ পায় তবে পাপী হিসেবে আমার বিচার কেন হয়?” 8 তাহলে একথা দাঁড়ায় যে, “এস আমরা মন্দ কিছু করি যাতে তার থেকে ভাল কিছু পাওয়া যায়।” অনেকে আমাদের সমালোচনা করে বলে যে আমরা নাকি এমনি শিক্ষা দিই। যাঁরা এমন কথা বলে তারা ভুল করছে এবং তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবেই।
সমস্ত লোকই দোষী
9 তাহলে কি আমরা ইহুদীরা অন্যদের থেকে ভাল? না কখনই না, কারণ আমরা এর আগেই বলেছি যে ইহুদী বা অইহুদী সকলেই সমান। তারা সকলেই পাপের শক্তির অধীন। 10 শাস্ত্রে যেমন বলে:
“এমন কেউ নেই যে ধার্মিক; এমনকি একজনও নেই।
11 এমন কেউ নেই যে বোঝে।
এমন কেউ নেই যে ঈশ্বরকে পাবার চেষ্টা করে।
12 সকলেই ঈশ্বর হতে দূরে সরে গেছে,
সকলেই অপদার্থ,
কেউই ভাল কাজ করে না, একজনও না!”(B)
13 “তাদের মুখ এক উন্মুক্ত কবর;
জিভ দিয়ে তারা ছলনার কথা বলে।”(C)
“তাদের বাক্যে সাপের বিষ ঢালা।”(D)
14 “সবসময়ই তাদের মুখে শুধু অভিশাপ ও কটু কথা।”(E)
15 “রক্ত ঝরানোর কাজে তারা ব্যগ্র;
16 তাদের চরণ যে পথেই যায়, সে পথেই রেখে যায় বিনাশ ও বিষাদ।
17 শান্তির পথ তারা কখনও চেনে নি।”(F)
18 “ঈশ্বরের জন্যে তাদের শ্রদ্ধা নেই।”(G)
19 তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিধি-ব্যবস্থা যা কিছু বলে তা বিধি-ব্যবস্থার অধীন লোকদেরই বলে। তাই মানুষের আর অজুহাত দেখাবার কিছু নেই, তাদের মুখ বন্ধ। সমস্ত জগত, ইহুদী কি অইহুদী, ঈশ্বরের সামনে দোষী। 20 কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালন করলেই যে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় তা নয়, বিধি-ব্যবস্থা কেবল পাপকে চিহ্নিত করে।
ঈশ্বর কি করে মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন
21 কিন্তু এখন বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই ঈশ্বর লোকদের তাঁর সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার যে কাজ করেছেন তা প্রকাশিত হয়েছে। বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীরা এই নতুন পথের কথাই বলে গেছেন। 22 যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস দ্বারাই মানুষ ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। যারাই খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের সবার জন্যই এই কাজ ঈশ্বর করেন, কারণ তাদের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই। 23 সকলেই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের মহিমা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 24 কিন্তু তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহে বিনামূল্যে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তিলাভ করে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন হযেছে। 25 ঈশ্বর যীশুকে উৎসর্গীকৃত বলিরূপে আমাদের কাছে দিলেন যেন যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাদের পাপ সকল ক্ষমা হয়। ঈশ্বর এই কাজের মাধ্যমে দেখান যে তিনি সর্বদাই যা ন্যায় তাই করেন। অতীতেও তিনি সহিষ্ণুতা দেখিয়েছিলেন এবং লোকদের পাপ অনুযায়ী শাস্তি দেন নি; 26 তাঁর পুত্র যীশুকে দান করে আজও তিনি দেখান যে তিনি ন্যায়বান। ঈশ্বর এই কাজ করেছেন যাতে তিনি বিচারে ন্যায়পরায়ণ থাকেন ও যে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে সেও ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়।
27 সেজন্য গর্ব করার মত আমাদের কিছুই রইল না, কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয়, বিশ্বাসের ব্যবস্থা দ্বারা গর্ব করার পথ রুদ্ধ হল। 28 সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি মানুষ বিধি-ব্যবস্থা পালনের জন্য যা করে তার দ্বারা নয়, কিন্তু বিশ্বাসেই সে ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। 29 ঈশ্বর কেবল ইহুদীদের ঈশ্বর নন, তিনি অইহুদীদেরও ঈশ্বর। 30 ঈশ্বর এক এবং একই উপায়ে সকলকে উদ্ধার করেন। তিনি ইহুদীদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন। আবার তিনি অইহুদীদের তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন। 31 তবে বিশ্বাসের পথে চলে কি আমরা বিধি-ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিচ্ছি? কখনই না। বরং বিশ্বাসের পথে চলে আমরা বিধি-ব্যবস্থার যথার্থ উদ্দেশ্য তুলে ধরি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International