Old/New Testament
শত্রু ঘিরে ধরল জেরুশালেমকে
6 “বিন্যামীনের লোক, প্রাণে বাঁচতে চাইলে
জেরুশালেম শহর ছেড়ে চলে যাও।
তকোয় শহরে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দাও।
সতর্কতা সূচক পতাকা ওড়াও বৈৎ-হক্কেরম শহরে।
কারণ উত্তর দিক থেকে অমঙ্গল ও ধ্বংস আসছে।
ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
2 সিয়োন কুমারী,
তুমি হলে সুন্দরী এবং কোমলা।
3 মেষপালকরা তাদের মেষপাল নিয়ে জেরুশালেমে এলো।
তারা সেই তৃণভূমির চারিদিকে তাঁবু গাড়লো।
প্রত্যেক মেষপালক তার নিজের
মেষপালকে দেখাশোনা করবে।
4 “জেরুশালেমকে আক্রমণ করার জন্য তৈরী হও।
উঠে পড়ো! আজ দুপুরেই আমরা এই শহরকে আক্রমণ করবো।
কিন্তু ইতিমধ্যেই খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
5 সুতরাং আজ রাতেই এই শহরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে প্রস্তুত হও!
জেরুশালেমের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দাও।”
6 প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বললেন:
“জেরুশালেমের চারপাশের সমস্ত গাছ কেটে ফেলো।
পাথর আর মাটি দিয়ে এমন স্তূপ তৈরী করো
যার সাহায্যে এ শহরের প্রাচীর অতি সহজেই অতিক্রম করতে পারবে।
এই শহরে শোষণ ছাড়া আর কিছু নেই।
তাই এই শহরকে শাস্তি পেতে হবে।
7 একটি কুয়ো যেমনভাবে জলকে তাজা রাখে,
ঠিক তেমনভাবেই জেরুশালেম তার পাপপূর্ণ কর্মগুলিকে তাজা করে রেখেছে।
আমি এই শহরের লুঠতরাজ ও হিংসার ঘটনার কথা সব সময় শুনে এসেছি।
এদের যন্ত্রণা আর অসুস্থতা দেখেছি।
8 জেরুশালেম এবার সতর্ক হও।
যদি তোমরা এখনও সাবধান না হও তাহলে আমি তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব।
তোমাদের দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করব।
কোন মানুষই আর ওখানে বাস করতে পারবে না।”
9 সর্বশক্তিমান প্রভু আরও বললেন:
“যে সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা এখনও তাদের দেশে পড়ে আছে
তাদের একত্রিত করো।
যেভাবে তোমরা দ্রাক্ষাক্ষেতের শেষ দ্রাক্ষাগুলিকে এক একটি করে তুলে নিয়ে একত্রিত করো
ঠিক সে ভাবে তাদের একত্রিত করো।
যেমনভাবে দ্রাক্ষা চয়ন করবার সময় একজন শ্রমিক প্রতিটি দ্রাক্ষালতা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখে
ঠিক সে ভাবে ইস্রায়েলীয়দের খুঁজে বার করো।”
10 আমি কাদের সঙ্গে কথা বলব?
আমি কাদের সতর্ক করব?
কারাই বা আমার কথা শুনবে?
ইস্রায়েলীয়রা আমার সতর্কবাণী শুনতে পাচ্ছে না
কারণ তাদের কান বন্ধ।
তারা প্রভুর কথা শুনতে অনিচ্ছুক।
তারা তাঁর বার্তা শুনতে পছন্দ করে না।
11 কিন্তু আমি (যিরমিয়)
প্রভুর ক্রোধ বহন করতে করতে ক্লান্ত।
“যে সমস্ত শিশুরা রাস্তায় খেলা করছে তাদের ওপর বর্ষিত হোক্ প্রভুর এই ক্রোধ।
যুবকদের সমাবেশের ওপরেও বর্ষিত হোক্ এই ক্রোধ।
একটি লোক ও তার স্ত্রী, দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হবে।
সমস্ত প্রাচীন লোকদের গ্রেপ্তার করা হবে।
12 তাদের ঘর-বাড়ি,
জমি-জমা এমন কি তাদের স্ত্রীদের পর্যন্ত বিলিয়ে দেওয়া হোক্ অন্য লোকদের কাছে।
আমি আমার হাত তুলে নেব এবং যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
13 “ইস্রায়েলের সমস্ত লোক অবৈধ উপায়ে আরো বেশী বেশী পয়সা চায়।
সব চেয়ে নিম্ন থেকে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, তারা সবাই ঐরকম লোভী।
ভাববাদী থেকে যাজক প্রত্যেকে শুধু মিথ্যাচার করে গিয়েছে।
14 আমার লোকেরা কঠিন আঘাত পেয়েছে।
ভাববাদী এবং যাজকদের উচিৎ ছিল তাদের সেই আঘাতের ক্ষতে মলম লাগিয়ে দেওয়া।
কিন্তু তারা এই ক্ষতকে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
তারা এই ক্ষতটিকে একটি ছোট আচঁড় বলে গণ্য করেছে।
ভাববাদীরা এবং যাজকরা বলে: ‘সব কিছু ঠিক আছে।’
কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, সব ঠিক নেই।
15 যাজক এবং ভাববাদীদের তাদের কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত হওয়া উচিৎ।
কিন্তু তারা বিন্দুমাত্র লজ্জিত নয়।
তারা জানে না পাপের জন্য তাদের কতখানি বিব্রত হওয়া উচিৎ।
তাই তারা অন্যদের সাথে একই শাস্তি পাবে।
যখন অন্যদের শাস্তি দেব, তখন তাদেরও মাটিতে আছড়ে ফেলা হবে।”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।
16 পাশাপাশি প্রভু জানালেন:
“রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে তাকাও।
জিজ্ঞাসা করো কোনটা পুরানো রাস্তা আর কোনটা নতুন।
সেই রাস্তায় পা বাড়াও যে রাস্তা ভাল।
ভালো রাস্তায় হাঁটলে নিজের জন্য শান্তি খুঁজে পাবে।
কিন্তু তোমরা বলেছিলে, ‘আমরা ভালো রাস্তায় হাঁটব না।’
17 আমি তোমাদের ওপর নজরদারি করার জন্য একজনকে বেছে নিয়েছি।
আমি তাদের বলেছিলাম, ‘যুদ্ধের দামামা শোন।’
কিন্তু তারা বলেছিল, ‘আমরা শুনব না!’
18 সুতরাং সমস্ত দেশগুলি শোন,
এই দেশগুলির লোকরা তোমরা মন দিয়ে শোন।
19 কান পেতে শোন এই পৃথিবীর মানুষ,
আমি যিহূদার লোকদের জন্য ধ্বংস আনতে যাচ্ছি।
কেন? কারণ তারা শুধু খারাপ কাজের ছক কষে গিয়েছে
এবং তারা আমার বার্তাকে অগ্রাহ্য করেছে।
অস্বীকার করেছে আমার বিধিকে।”
20 প্রভু বললেন, “তোমরা আমার কাছে শিবা দেশ থেকে কেন ধুপ নিয়ে আসো?
তোমরা কেন একটি দূর দেশ থেকে আমার কাছে মিষ্ট গন্ধী বচ নিয়ে আসো?
তোমাদের হোমবলি আমাকে সুখী করে নি।
তোমাদের এই উৎসর্গ আমাকে খুশি করতে পারেনি।”
21 তাই প্রভু যা বললেন তা হল এইরকম:
“আমি যিহূদার লোকদের সামনে প্রতিবন্ধক প্রস্তর পেতে দেব।
তারা পাথর হয়ে নীচে গড়িয়ে পড়বে।
পিতা এবং তার পুত্ররা হোঁচট খেয়ে পড়বে তাদের ওপর।
বন্ধু বান্ধব এবং প্রতিবেশীরা মারা যাবে।”
22 প্রভু যা বললেন তা হল:
“উত্তর দিক থেকে সৈন্যদল আসছে।
এই বিশাল দেশ উত্তরের বহুদূর থেকে এগিয়ে আসছে।
23 সৈন্যরা বয়ে আনছে তীরধনুক এবং বর্শা।
তারা প্রচণ্ড নিষ্ঠুর।
প্রবল শক্তিশালী।
তারা ঘোড়ায় ছুটে আসছে সমুদ্রের মতো গর্জন করতে করতে।
সিয়োন কন্যা, ঐ সেনারা
তোমাকেই আক্রমণ করতে আসছে।”
24 আমরা তাদের সম্পর্কিত খবর শুনেছি।
অসহায় বোধ করছি।
একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শিশুকে জন্ম দেবার সময়ের মত
আমরা অসহায় এবং ব্যথায় কাতর রয়েছি।
25 বাড়ির বাইরে বা রাস্তায় যেও না।
কেন না শত্রুদের হাতে উদ্ধত তরবারি
এবং সব জায়গায় বিপদ অপেক্ষা করছে।
26 আমার লোকরা, শোক পোশাকগুলি পরে নাও।
সদ্য একমাত্র সন্তান হারানো
জননীর মতো ভগ্ন হৃদয়ে চিৎকার করে কাঁদো,
কারণ আমাদের শীঘ্রই ধ্বংসকারীর মুখোমুখি হতে হবে
যে হঠাৎ আমাদের ওপর এসে পড়বে।
27 “যিরমিয়, আমি (প্রভু)
তোমাকে একজন ধাতু পরীক্ষক হিসেবে তৈরী করেছি।
তুমি আমার লোকদের পরীক্ষা করে দেখবে।
তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে লক্ষ্য রাখবে, তারা ভীষণ জেদী।
28 এবং প্রত্যেকেই আমার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।
তারা লোকদের সম্বন্ধে বাজে কথা বলে।
তারা হল মরচে পড়া লোহার মত
এবং কলঙ্কিত পিতলের মতো।
29 তারা হল আগুনের মাধ্যমে রূপাকে খাঁটি করবার চেষ্টায় রত শ্রমিকদের মত।
হাপর খুব জোরে বাতাস সৃষ্টি করল,
তাপ বৃদ্ধি পেল, কিন্তু আগুন থেকে কেবল সিসে বেরিয়ে এলো।
সমস্ত কাজটাই হল একটা পণ্ডশ্রম।
একই রকম ভাবে, আমার লোকদের কাছ থেকে শয়তানি সরানো হল না।
30 এদের ‘বাতিল রূপো’
বলে অভিহিত করা হবে।
কারণ প্রভু এদের গ্রহণ করেন নি।”
মন্দিরে যিরমিয়র ধর্মপোদেশ
7 এ হল যিরমিয়র প্রতি প্রভুর বার্তা: 2 “যাও যিরমিয়, প্রভুর গৃহের দরজায় দাঁড়িয়ে এই ধর্মোপদেশ দাও:
“‘যিহূদার লোকরা, এই সেই প্রভুর বার্তা। তোমরা সবাই যারা এই ফটকগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রভুকে উপাসনা করতে আসো, তারা এই বার্তা শোন। 3 ইস্রায়েলের লোকদের কাছে প্রভুই হলেন ঈশ্বর। প্রভু সর্বশক্তিমান বললেন: তোমরা তোমাদের জীবনযাত্রা বদলে ফেল। সৎ কাজ করো। যদি তোমরা তা করো তাহলে তোমাদের আমি এখানে বাস করতে দেব। 4 মিথ্যেবাদীদের বিশ্বাস করো না। তারা বলে, “এই হল প্রভুর মন্দির স্থান।” 5 তোমরা যদি সত্যিই তোমাদের জীবন ধারা বদলাও এবং ভালো কর্মসমূহ কর এবং তোমরা যদি পরস্পরের প্রতি সৎ ও পক্ষপাতহীন থাকো, আমি তোমাদের এখানে থাকতে দেব। 6 বিদেশী ব্যক্তিদের প্রতিও সৎ থেকো। বিধবা এবং অনাথ শিশুদের উপকার করো। তাদের প্রতি সুবিচার করো। নিরীহ মানুষদের হত্যা করো না। আর অন্য কোন দেবতাদের অনুসরণ কোরো না। কারণ তারা তোমাদের জীবন ধ্বংস করে দেবে। 7 যদি তোমরা আমাকে মেনে চলো তাহলে আমি তোমাদের এখানে বাস করতে দেব। আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের চিরকাল বসবাসের জন্য এই জমি দিয়েছিলাম।
8 “‘কিন্তু তোমরা মূল্যহীন মিথ্যায় তোমাদের আস্থা স্থাপন করো। 9 তোমরা কি খুনী অথবা চোর হতে চাও? তোমরা কি ব্যভিচারের পাপ গায়ে মাখতে চাও? তোমরা কি মিথ্যে অভিযোগে অন্যদের ফাঁসাতে চাও? তোমরা কি বালের মূর্ত্তি এবং অন্য দেবতাদের যাদের তোমরা জানো না তাদের পূজা করতে চাও? 10 তোমরা যদি এ সব পাপগুলো করো, তাহলে কি তোমরা এই গৃহের ভেতর, যেটি আমার নামে অভিহিত সেখানে আসতে পারবে এবং আমার সামনে এসে দাঁড়াতে পারবে? তোমরা কি মনে করো আমার সামনে দাঁড়িয়ে তোমরা বলবে, “আমরা সুরক্ষিত” তাই আমরা এই ধরণের ভয়ঙ্কর কাজ করব? 11 আরাধনার এই জায়গাটি আমার নামে নামাঙ্কিত। এই মন্দির কি তোমাদের কাছে ডাকাতদের গোপন ডেরা ছাড়া আর বেশী কিছু নয়? আমি তোমাদের লক্ষ্য করে যাচ্ছি।’” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
12 “‘যিহূদার লোকরা, তোমরা এখন শীলো শহরে চলে যাও। সেই স্থানে যাও যেখানে আমি আমার প্রথম নামাঙ্কিত বাড়িটি তৈরী করেছিলাম। যাও, গিয়ে দেখে এসো, আমার লোকদের, ইস্রায়েলের লোকদের মন্দ কাজের জন্য আমি ঐ জায়গার কি অবস্থা করেছি। 13 এবং আমি এগুলো করব কারণ তোমরা এগুলো সব করছিলে। এই হল প্রভুর বার্তা। আমি তোমাদের সঙ্গে বারে বারে কথা বলেছি। কিন্তু তোমরা আমার কথা শুনতে চাও নি। আমি তোমাদের ডেকেছিলাম কিন্তু তোমরা কোন উত্তর দাও নি। 14 তাই জেরুশালেমে অবস্থিত আমার নামাঙ্কিত গৃহ আমি নিজেই ধ্বংস করে দেব, ঠিক শীলো শহরের উপাসনালয়ের ক্ষেত্রে যেমন আমি করেছিলাম। জেরুশালেমের সেই মন্দিরকে, যেটি আমার নামে অভিহিত, সেটিকে তোমরা বিশ্বাস কর। আমি সেই জায়গা তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম। 15 ইফ্রয়িম থেকে তোমাদের সব ভাইদের যেমন ছুঁড়ে ফেলেছিলাম তেমনি তোমাদেরও আমার কাছ থেকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেব।’
16 “যিরমিয়, কখনও তুমি যিহূদার লোকের হয়ে প্রার্থনা করবে না। ওদের সাহায্যের জন্য আমার কাছে প্রার্থনা করো না। আমি তাহলে ইচ্ছে করে তোমার সেই প্রার্থনা শুনব না। 17 আমি জানি তুমি লক্ষ্য রাখছো যিহূদার শহরগুলিতে এবং জেরুশালেমের রাস্তায় তারা কি করে। 18 যিহূদার লোকরা যা করেছে তা হল এই রকম: ছেলেমেয়েরা কাঠ জড়ো করছে। আর পিতারা সেই কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে। মহিলারা ময়দা মাখছে, পিঠা, রুটি বানাচ্ছে স্বর্গের রানীকে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য। যিহূদার এইসব মানুষ অন্য মূর্ত্তিদের পূজার জন্য পেয় নৈবেদ্য ঢালছে। তারা এগুলি করছে আমাকে ক্রুদ্ধ করার জন্য। 19 কিন্তু আমি সত্যিই সে জন নই যাকে যিহূদার লোকরা দুঃখ দিচ্ছে।” এই হল প্রভুর বার্তা। “তারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদেরই আঘাত করছে এবং নিজেদের লজ্জায় ফেলছে।”
20 তাই প্রভু বললেন, “আমি আমার ক্রোধ এই জায়গার বিরুদ্ধে দেখাবো। এখানকার প্রত্যেক মানুষ এবং পশুকে শাস্তি দেব। শাস্তি দেব গাছ এবং ক্ষেতের শস্যকে। আমার ক্রোধ হবে তপ্ত আগুনের মতো, যা নেভাবার ক্ষমতা কারো নেই।”
বলি নয়, প্রভু আরো বেশী আজ্ঞানুবর্তীতা চান
21 ইস্রায়েলের ঈশ্বর, প্রভু সর্বশক্তিমান বললেন: “যাও তোমরা যতখুশী চাও হোমবলি উৎসর্গ কর। যত খুশী ঐ উৎসর্গগুলোর মাংস খাও। 22 আমিই মিশর থেকে তোমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে এসেছিলাম। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাদের হোমবলি বা উৎসর্গের আদেশ দিইনি। 23 আমি শুধু তাদের এই আদেশ দিয়েছিলাম যে, ‘আমাকে মান্য করো এবং আমিই তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা হবে আমার লোক। আমার আদেশ পালন করো এবং তোমাদের ভালো হবে।’
24 “কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমার কথা শোনেনি। তারা আমার প্রতি একেবারেই মনোযোগ দেয়নি। তারা ছিল একগুঁয়ে, জেদী। সুতরাং তারা যা খুশী তাই করেছিল। তারা কখনই ভাল হয়নি। তারা আরও শয়তান হয়ে সামনের দিকে না হেঁটে পিছনের দিকে হেঁটেছিল। 25 তোমাদের পূর্বপুরুষরা মিশর ছেড়ে যাবার দিন থেকে এখন পর্যন্ত আমি তোমাদের কাছে ভৃত্যদের পাঠিয়েছিলাম। আমার ভৃত্যরা হল ভাববাদী। আমি তাদের বার বার তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। 26 কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমার কথা শোনেনি। আমার কথায় মনোযোগ দেবার জন্য তাদের কান পাতেনি। জেদের বশে তারা তাদের পিতাদের চেয়েও আরও বেশী করে অসৎ কাজ করেছে।
27 “যিরমিয়, তুমি যিহূদার লোকদের এই কথাগুলি বলবে। কিন্তু তারা তোমার কথা শুনবে না। তুমি তাদের ডাকলে তারা উত্তর দেবে না। 28 সুতরাং তোমাকে বলতেই হবে: এই দেশ প্রভু ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলেনি। এই জাতির লোকরা ঈশ্বরের শিক্ষামালা শোনেনি। সত্যিকারের শিক্ষা কাকে বলে এরা জানে না।”
গণহত্যার উপত্যকা
29 “যিরমিয়, তুমি তোমার চুল কেটে ফেল এবং তা ছুঁড়ে ফেলে দাও। তারপর অনাবৃত পাহাড়ের চূড়ায় ওঠ এবং আর্ত্তনাদ করে কাঁদো। কারণ, প্রভু এই প্রজন্মের লোকদের প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি তাদের শাস্তি দেবেন। 30 তুমি এগুলো করো কারণ আমি দেখেছি যে যিহূদার লোকরা শয়তানি কাজ করে চলেছে।” এই হল প্রভুর বার্তা। “তারা তাদের মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। এবং আমি সেই সব মূর্ত্তিদের ঘৃণা করি। তারা আমার নামাঙ্কিত মন্দিরে এই মূর্ত্তিগুলি প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা আমার গৃহ ‘অপবিত্র’ করেছে। 31 তারা বেনহিন্নোম উপত্যকায় তোফত নামক সুউচ্চ স্থান নির্মাণ করেছে। এইসব জায়গার লোকেরা তাদের নিজেদের ছেলেমেয়েদের হত্যা করেছে। তারা তাদের হোমবলি হিসেবে উৎসর্গ করেছে। কিন্তু আমি তাদের এই দুষ্ট কাজ করতে আদেশ দিইনি। আমি এমন একটা জিনিষের কথা কখনও ভাবিইনি। 32 তাই আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। এমন দিন আসছে যেদিন লোকে এই জায়গাকে তোফৎ বা বেনহিন্নোমের উপত্যকা বলে আর ডাকবে না। তারা একে গণহত্যার উপত্যকা বলে ডাকবে। তারা এরকম একটি নামকরণ করবে কারণ তারা তোফতে মৃতদেহ কবর দেবে যতক্ষণ পর্যন্ত আর কোন মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা না থাকে। 33 মৃতদেহগুলি খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকবে। আর সেই মৃতদেহগুলি ছিঁড়ে খাবে আকাশের শকুন ও বনের পশুরা। ঐ শকুন ও পশুদের তাড়া করার মতো কেউ বেঁচে থাকবে না। 34 আমি জেরুশালেমের রাস্তা থেকে এবং যিহূদার শহরগুলি থেকে সমস্ত সুখ এবং আনন্দ কেড়ে নেব। ঐ জায়গাগুলিতে আর কখনও বর ও কনের গলা শোনা যাবে না। দেশটি মরুভূমিতে পরিণত হবে।”
8 এই হল প্রভুর বার্তা: “সেই সময় যিহূদার রাজা এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের অস্থিসমূহ, যাজকগণ ও ভাববাদীগণের অস্থিসমূহ এবং জেরুশালেমের লোকদের অস্থিসমূহ তাদের কবরগুলির থেকে বার করে আনা হবে। 2 তারপর তারা সংগ্রহ করা সমস্ত অস্থি ছড়িয়ে দেবে আকাশভরা সূর্য, চন্দ্র এবং তারাদের নীচে এই মাটিতে। জেরুশালেমের লোকরা সূর্য, চন্দ্র, তারাদের ভালোবাসতো। তারা ওদের সেবা করতো, অনুসরণ করতো, উপদেশ চাইতো এবং পূজা করতো। কিন্তু কেউ সেই অস্থি একত্রিত করে পুনরায় সমাধিস্থ করবে না। সুতরাং সেই অস্থিগুলো পশুদের বিষ্ঠার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকবে।
3 “আমি জোর করে যিহূদার লোকদের ভিটেমাটি ছাড়া করব। তাদের বিদেশের মাটিতে পাঠিয়ে দেব। যুদ্ধে যে সমস্ত যিহূদার মানুষ বেঁচে গিয়েছে তারাও মৃত্যু কামনা করবে।” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
পাপ এবং শাস্তি
4 “যিরমিয় এই কথাগুলি যিহূদার লোকদের বলে দাও: ‘প্রভু এই কথাগুলি বললেন:
“‘যদি কোন মানুষ পড়ে যায়,
সে আবার উঠে দাঁড়ায়
এবং যদি কেউ ভুল পথে যায় সে আবার সঠিক পথে ফিরে আসে।
যিহূদার লোকরা ভুল পথে গিয়েছিল।
5 কিন্তু জেরুশালেমের ঐসব লোকরা
কেন সেই একই ভুল পথে চলতে লাগল?
তারা ফিরে এল না,
বরং তারা নিজেদের তৈরী মিথ্যেকেই বিশ্বাস করল।
6 আমি তাদের কথা মন দিয়ে শুনেছি।
কিন্তু তারা সততার সঙ্গে কথা বলে না।
তাদের পাপের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করল না।
তারা চিন্তা করল না তারা কতখানি অসৎ।
তারা চিন্তা না করে কাজ করে।
তারা যুদ্ধক্ষেত্রে ছুটে বেড়ানো ঘোড়াদের মত।
7 এমন কি আকাশের পাখীরাও
কাজ করবার সঠিক সময়টি জানে।
সারস, পায়রা, বেগবান এবং গায়ক পাখীরাও জানে
নতুন বাসায় কখন উড়ে যেতে হয়।
কিন্তু আমার লোকরা জানেনা প্রভু তাদের কাছ থেকে কি চান।
8 “‘তোমরা বলে চলেছো, “আমরা প্রভুর শিক্ষায় জ্ঞানী হয়ে উঠেছি!”
কিন্তু তা সত্যি নয়। কারণ শাস্ত্রবিদরা মিথ্যা লিখেছিলেন।
9 ঐ “জ্ঞানী ব্যক্তিরা” প্রভুর শিক্ষামালা মেনে চলতে অস্বীকার করেছে।
সুতরাং তারা প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী ব্যক্তি নয়।
সেই “জ্ঞানী ব্যক্তিদের” ফাঁদে ফেলা হয়েছিল।
তারা বিহ্বল এবং লজ্জিত হয়েছে।
10 তাই আমি তাদের স্ত্রীদের অন্য পুরুষদের হাতে তুলে দেব।
আমি তাদের জমিসমূহ দান করে দেব অন্য মালিকদের।
ক্ষুদ্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ সবাই শুধু বেশী পয়সা চায়।
ভাববাদী থেকে যাজকদের প্রত্যেকেই মিথ্যা কথা বলে।
11 আমার লোকরা খুব বাজে ভাবে আহত হয়েছে।
কিন্তু ভাববাদী ও যাজকরা ক্ষতগুলিতে পট্টি বেঁধে দেবার বদলে ওগুলোকে সামান্য আঁচড় বলে গণ্য করেছে।
তারা বলে, “সব কিছু ঠিকঠাক আছে!”
আসলে কিছুই ঠিক নেই!
12 মন্দ কাজের জন্য তাদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ।
কিন্তু তারা এতটুকু লজ্জিত নয়।
তারা তাদের পাপের ব্যাপারে যথেষ্ট বিব্রত নয়।
তাই অন্যদের মতো তারাও শাস্তি পাবে।
যখন আমি অন্যদের শাস্তি দেব তখন তাদেরও ছুঁড়ে ফেলব মাটিতে।’”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।
13 “‘তোমাদের ফসল ঘরে তোলার উৎসব আর পালিত হবে না।
আমি তোমাদের সমস্ত ফল ও শস্যসমূহ কেড়ে নেব তাই আর ফসল তোলা হবে না।
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
দ্রাক্ষা-ক্ষেতে কোন দ্রাক্ষা থাকবে না এবং কোন ডুমুর গাছ থাকবে না।
এমন কি গাছের পাতা পর্যন্ত শুকিয়ে যাবে।
আমি তোমাদের যা দিয়েছিলাম সব কিছু নিয়ে নেব।’”
14 “কেন আমরা এখানে বসে আছি?
আশ্রয়ের জন্য আমাদের দুর্গবিশিষ্ট শহরগুলিতে যাওয়া যাক।
যদি আমাদের প্রভু ঈশ্বর মারতেই চান, তাহলে সেখানে মরাই আমাদের পক্ষে ভাল।
আমরা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
তাই ঈশ্বর আমাদের বিষাক্ত জল পান করতে দিয়েছেন।
15 আমরা শান্তি আশা করেছিলাম
কিন্তু কিছুই ভালো হল না।
আমরা আশা করেছিলাম তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন।
কিন্তু শুধুই বিপর্যয় আসছে।
16 দান পরিবারগোষ্ঠীর দেশ থেকে
শত্রুপক্ষের ঘোড়াদের হ্রেষা ধ্বনি আমরা শুনতে পাচ্ছি।
মাটি কেঁপে উঠেছে তাদের পায়ের ক্ষুরের শব্দে।
তারা এই দেশের সব কিছু ধ্বংস করতে আসছে।
তারা ধ্বংস করতে আসছে এই শহর এবং শহরের লোকেদের।”
17 “যিহূদার লোকরা, আমি তোমাদের আক্রমণ করার জন্য বিষধর সাপ পাঠাচ্ছি।
যিহূদার এই সাপেদের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
সাপরা তোমাদের ছোবল মারবে।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
18 ঈশ্বর, আমি ভীষণ দুঃখিত ও পরম বেদনায় আছি।
19 আমার লোকদের কথা শুনুন।
এদেশের সর্বত্র মানুষ সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার করছে।
তারা বলছে, “প্রভু কি সিয়োনে এখনও আছেন?
সিয়োনের রাজা এখনও কি সেখানে আছেন?”
কিন্তু ঈশ্বর বললেন, “যিহূদার লোকরা ভিনদেশের মূর্ত্তির পূজা করে এসেছে।
সেটা আমাকে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ করে তুলেছে।
কেন তারা এই কাজ করেছিল?”
20 এবং লোকরা বলল, “ফসল কাটার সময় পেরিয়ে গিয়েছে।
গ্রীষ্মও চলে গিয়েছে।
তবুও আমরা রক্ষা পেলাম না।”
21 আমার লোকরা কষ্ট পেয়েছে বলে আমিও ব্যথিত।
দুঃখে আমার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
22 গিলিয়দে নিশ্চয়ই ডাক্তার এবং ওষুধ আছে।
তাহলে আমার লোকদের আঘাত কেন সারে নি?
5 তোমার চেয়ে বয়োবৃদ্ধ কাউকে কখনও কঠোরভাবে তিরস্কার করবে না; তাকে পিতার মত মনে করে তার কাছে আবেদন কর। তোমার চেয়ে যারা কমবয়সী তাদের সাথে তোমার ভাইয়ের মত ব্যবহার করো। 2 বয়স্কা মহিলাদের মায়ের মতো দেখো। যুবতীদের সঙ্গে পূর্ণ বিশুদ্ধতার সাথে বোনের মত ব্যবহার করো।
বিধবাদের তত্ত্বাবধান সম্পর্কে
3 প্রকৃত বিধবারা যারা সত্যি একাকী ও বঞ্চিত তাদের সম্মান করো; 4 কিন্তু কোন বিধবার যদি ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনী থাকে তাহলে তারা আগে ঘরের মানুষেরই প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে শিখুক। তা করলে তারা তাদের পিতামাতা ও পিতামহ, মাতামহের স্নেহের ঋণ শোধ করতে পারবে। এই কাজ ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে। 5 প্রকৃত বিধবা যে পৃথিবীতে সহায়-সম্বলহীনা সে তো ঈশ্বরের ওপর ভরসা রেখে চলে। সে তো দিনরাত ঈশ্বরের কাছে সাহায্য লাভের জন্য প্রার্থনা জানায়। 6 যে বিধবা বিলাস ব্যসনেই দিন কাটায় তার কথা আলাদা, বলতে গেলে সে জীবিত থেকেও মৃত। 7 এইসব নির্দেশ তুমি বিশ্বাসীদের মনে করিয়ে দাও, যাতে কারো কোন বদনাম না হয়। 8 কোন লোক যদি তার আত্মীয় স্বজন আর বিশেষ করে তার পরিবারের লোকদের ভরণপোষন না করে, তার মানে সে বিশ্বাসীদের পথ থেকে সরে গেছে, সে তো অবিশ্বাসীর চেয়েও অধম।
9 বিধবাদের তালিকায় এমন বিধবাদের নাম লেখা চলে যাঁর বয়স কমপক্ষে ষাট বছর এবং যাঁর একটিমাত্র স্বামী ছিল এবং 10 যাঁর নানা সৎ কাজের জন্য সুনাম আছে অর্থাৎ যদি তিনি ছেলেমেয়েদের মানুষ করে থাকেন, যদি বিদেশীদের সেবা করে থাকেন, যদি ঈশ্বরের লোকদের পা ধুইয়ে থাকেন, যদি কষ্টে লোকদের সাহায্য করে থাকেন, যদি সমস্ত সৎ কাজের অনুসরণ করে থাকেন।
11 কোন তরুণী বিধবার নাম তুমি কিন্তু সেই তালিকায় তুলতে অস্বীকার করো। কারণ তাদের দৈহিক বাসনা খ্রীষ্ট ভক্তির চেয়ে প্রবল হয়ে উঠলে তারা আবার বিয়ে করতে চাইবে। 12 তা করলে তাদের প্রথম শপথ ভঙ্গের দায়ে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর শাস্তির কারণ হয়। 13 এ ছাড়া তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়ে অলস হতে শেখে, কেবল অলসই নয়, বরং বাচাল এবং অনধিকার চর্চা করতে ও যে কথা বলা উচিত নয় সেই কথা বলতে শেখে। 14 অতএব আমার ইচ্ছা আমাদের শত্রুদের তাদের নিন্দা করবার কোন সুযোগ না দিয়ে বরং যুবতী বিধবা আবার বিয়ে করুক, সন্তানের মা হোক্, ঘর সংসার করুক। 15 কারণ কয়েকজন বিধবা তো ইতিমধ্যেই ধর্মের পথ ছেড়ে শয়তানের পথে চলেছে।
16 যদি কোন বিশ্বাসী মহিলার পরিবারে বিধবারা থাকে, তবে মণ্ডলীকে বোঝাগ্রস্ত না করে তিনিই তাদের উপকার করুন, তাদের সাহায্য করুন, তার ফলে মণ্ডলী সেই সব বিধবাদের সাহায্য করতে পারবে যারা সত্যি নিরুপায়।
বয়স্ক এবং অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কে
17 যে সমস্ত প্রাচীনরা মণ্ডলী পরিচালনা করেন তাঁরা দ্বিগুণ সম্মানের যোগ্য, বিশেষ করে যাঁরা বাক্য প্রচার ও শিক্ষাদান করেন। 18 কারণ শাস্ত্র বলছে, “যে বলদ শস্য মাড়ে তার মুখ বন্ধ করো না।”(A) আর “যে কাজ করে সে তো তার পারিশ্রমিক লাভের যোগ্য।”(B)
19 কোন প্রাচীনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গ্রাহ্য করো না, যদি না দুই বা তিনজন সাক্ষী সেই অভিযোগ সমর্থন করে। 20 যে প্রাচীনরা পাপ করেই চলে তাদের মণ্ডলীতে সকলের সামনে তিরস্কার কর যাতে অন্যরা চেতনা লাভ করে।
21 আমি ঈশ্বরের, খ্রীষ্ট যীশুর মনোনীত স্বর্গদূতদের সামনে তোমাকে এই কাজ করতে দৃঢ় আদেশ দিচ্ছি। কিন্তু সত্য না জেনে তুমি কারো বিচার করো না এবং এটা সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।
22 মণ্ডলীর সেবার জন্য কাউকে নিযুক্ত করতে ও তার ওপর হস্তার্পন করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিও না। অপরের পাপের ভাগী হয়ো না। নিজেকে শুদ্ধভাবে রক্ষা কর।
23 তীমথিয়, তুমি শুধু জল খেও না, তার বদলে তুমি একটু দ্রাক্ষারস পান করো, কারণ তা তোমার পেটের জন্য ভাল হবে ও তোমার বার বার অসুখ হবে না।
24 কোন কোন লোকের পাপ সহজেই দেখা যায়, আর তাদের পাপ এই প্রমাণ করে যে তাদের বিচার হবে, আবার কোন কোন লোকের পাপ পরে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। 25 অনুরূপভাবে মানুষের সৎ কাজও সহজে প্রকাশ পায়। এমনকি তাদের স্পষ্টভাবে দেখা না গেলেও তাদের চিরদিন ঢেকে রাখা যায় না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International