Old/New Testament
3 “একজন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে যাওয়ার পর, সেই স্ত্রী যদি অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পুনরায় ঘর বাঁধে,
তাহলে কি সেই স্বামী আবার তার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে ফিরে যায়?
না। কিন্তু সে যদি ঐ মহিলাটির কাছে আবার ফিরে যায় তাহলে সেই দেশ অপবিত্র হয়ে যাবে।
যিহূদা তুমিও পতিতার মতো, তুমি এত জন প্রেমিকদের (মূর্ত্তির) সঙ্গে ছিলে,
তুমি কি এখন আমার কাছে ফিরে আসবে?”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
2 “যিহূদা বৃক্ষ শূন্য পর্বতশৃঙ্গগুলোর দিকে তাকাও।
সেখানে এমন কোন শৃঙ্গ আছে কি যেখানে তুমি তোমার
প্রেমিকদের (মূর্ত্তির) সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হও নি?
তোমার সতীত্ব লঙ্ঘিত হয়নি?
আরববাসী যেমন মরুভূমিতে অপেক্ষায় বসে থাকে
তেমন তুমিও প্রত্যেকটি রাস্তায় অপেক্ষা করেছো।
তোমার এইসব প্রিয় প্রেমিকদের জন্য।
তুমিই অসংখ্য খারাপ কাজ আর ব্যভিচারের মাধ্যমে দেশের মাটিকে ‘অপবিত্র’ করেছ।
তুমি আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছো।
3 তোমার পাপের কারণে দেশ জুড়ে খরা দেখা দিয়েছে
এবং বসন্তকালীন বৃষ্টি আসেনি।
তবুও তোমার লজ্জাহীন মুখে পতিতার কামুক দৃষ্টি।
কৃতকার্যের জন্য তোমার কোনও লজ্জা নেই, অনুশোচনা নেই।
4 কিন্তু তুমি আমাকে ‘পিতা’ বলে ডাকছো।
তুমি বলছ, ‘ছোটবেলা থেকেই তুমি আমার বন্ধু।’
5 তুমি এও বলেছিলে যে,
‘ঈশ্বর আমার প্রতি সব সময় ক্রুদ্ধ হয়ে থাকবেন না।
ঈশ্বরের ক্রোধ চিরকাল থাকে না।’
“যিহূদা, তুমি একথা বললেও
যত রকম শয়তানি কাজ করা সম্ভব তুমি করেছ।”
দুই কুটিল বোন: ইস্রায়েল এবং যিহূদা
6 যিহূদার রাজা যোশিয়ের সময়ে প্রভু আমার সঙ্গে কথা বললেন। প্রভু বললেন, “যিরমিয়, ইস্রায়েল যে সব খারাপ কাজ করেছে তা কি তুমি দেখেছ? তুমি কি দেখেছ সে আমার প্রতি কতটা অবিশ্বাসী ছিল? প্রত্যেকটি মূর্ত্তির সঙ্গে সে ব্যভিচারে মেতে উঠেছিল। ব্যভিচারের সাক্ষী রয়েছে প্রতিটি পর্বতশৃঙ্গ, প্রতিটি গাছের ছায়া। 7 আমি নিজের মনে ভেবেছিলাম, ‘এইবারে নিশ্চয়ই ইস্রায়েল তার সমস্ত খারাপ কাজ করে আমার কাছে ফিরে আসবে।’ কিন্তু সে ফিরে আসেনি। 8 ইস্রায়েলের মতোই বিশ্বাসঘাতক তার বোন যিহূদাও স্বচক্ষে দেখেছিল তার দিদির ব্যভিচার। ইস্রায়েলের এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য আমি তাকে ত্যাগ করেছিলাম। ইস্রায়েলের এই দশা দেখে তার বিশ্বাসঘাতক বোন যিহূদা কিন্তু এতটুকু শঙ্কিত হয়নি। আমার বিধানে যিহূদা ভীত হবার পরিবর্তে সে দিদির প্রদর্শিত পথেই চলতে শুরু করেছিল। সেও অবশেষে পতিতার মতো আচরণ শুরু করল। 9 ব্যভিচারিতায় লিপ্ত হয়ে যিহূদাও তার দেশকে কলঙ্কিত করল। সে কাঠের এবং পাথরের মূর্ত্তিসমূহ পূজো করে ব্যভিচার করেছিল। 10 যিহূদা, ইস্রায়েলের বিশ্বাসঘাতক বোন আমার কাছে কখনোই সর্বান্তঃকরণে ফিরে আসেনি। শুধু বারবার ফিরে আসার ছল করেছিল।” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
11 প্রভু আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল আমার প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার প্রশ্নে যিহূদার চেয়ে তার অজুহাত অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট ছিল। 12 যিরমিয় উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখ এবং এই বার্তা বল:
“‘ওহে বিশ্বাসহীন ইস্রায়েলবাসী, তোমরা ফিরে এসো।’
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
‘আমি তোমাদের প্রতি আর কঠোর হবো না।
আমি দয়ার সাগর।’
‘আমি চিরকাল তোমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ থাকব না।
এই ছিল প্রভুর বার্তা।’
13 তোমাদের পাপকে তোমাদের উপলব্ধি করা এবং স্বীকার করা উচিৎ।
তোমরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গিয়েছিলে—
সেটাই হল তোমাদের পাপ।
তোমরা প্রতিটি গাছের নীচে অন্য জাতিসমূহের মূর্ত্তিদের পূজো করেছিলে।
তোমরা আমাকে মান্য করোনি।
তাদের প্রতিষ্ঠা করেছিলে প্রতিটি গাছের তলায়।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
14 “হে লোকরা, তোমরা বিশ্বস্ত নও। কিন্তু ফিরে এসো আমার কাছে!” এই ছিল প্রভুর বার্তা। “আমি হলাম তোমাদের প্রভু। এদেশের প্রত্যেকটি শহর থেকে একজন এবং প্রত্যেকটি পরিবার থেকে দুজনকে আমি সিয়োনে নিয়ে আসব। 15 তারপর আমি তোমাদের নতুন শাসকগোষ্ঠী নির্বাচন করে দেব। সেই শাসকবৃন্দ আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে। তারা জ্ঞান এবং বিবেচনার সঙ্গে তোমাদের নেতৃত্ব দেবে। 16 সে সময় তোমরা সংখ্যায় বাড়বে। অনেকেই তখন সে দেশে বাস করবে।” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
“কেউ সেই সময় আর বলতে পারবে না যে আমার মনে পড়ে সেইসব দিনের কথা যখন আমাদের কাছে প্রভুর সাক্ষ্যসিন্দুক ছিল। এমন কি তারা আর সেই পবিত্র সিন্দুক নিয়ে ভাববেও না। তারা সেই সিন্দুককে মনেও রাখতে পারবে না। তারা সেটা হারিয়েও ফেলবে না। তারা আর কখনও অন্য একটি পবিত্র সিন্দুক তৈরী করবে না। 17 সেই সময় এই জেরুশালেম শহর ‘প্রভুর সিংহাসন’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে। এবং প্রভুর নামকে সম্মান জানাতে সমস্ত জাতি একত্রে জেরুশালেমে এগিয়ে আসবে। তারা আর তাদের উদ্ধত, জেদী এবং শয়তান হৃদয়কে অনুসরণ করবে না। 18 সেই দিনগুলিতে যিহূদা এবং ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ একসঙ্গে মিলিত হবে। এবং তারা একসঙ্গে উত্তর দিকের দেশ থেকে, যে দেশ আমি অধিকারের জন্য তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম সে দেশে আসবে।”
19-20 আমি, প্রভু মনে মনে বললাম,
“আমি তোমাদের সঙ্গে নিজের সন্তানের মতো ব্যবহার করতে চাই।
আমি তোমাদের একটা মনোরম দেশ উপহার দিতে চাই,
যেটা অন্য সকল দেশের চেয়ে সেরা।
আমি ভেবেছিলাম তোমরা আমাকে ‘পিতা’ বলে ডাকবে।
আমাকেই অনুসরণ করবে।
কিন্তু তোমরা একটি নারীর মতো যে তার স্বামীর প্রতি অবিশ্বস্ত।
ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ, তোমরা আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকলে না।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
21 তোমরা বন্ধ্যা পাহাড়গুলি থেকে কান্না শুনতে পাবে।
ইস্রায়েলীয়রা কাঁদছে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
তারা শয়তান হয়ে উঠেছিল।
তারা ভুলে গিয়েছিল তাদের প্রভু ঈশ্বরকে।
22 প্রভু আরও বললেন, “হে ইস্রায়েলীয়রা, তোমরা আমার প্রতি বিশ্বস্ত নও।
তবু তোমরা আমার কাছে ফিরে এসো
আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।”
ইস্রায়েলীয়দের বলা উচিৎ, “তুমিই প্রভু আমাদের ঈশ্বর।
আমাদের তোমার কাছেই ফিরে আসা উচিৎ।
23 পাহাড়ের উপর মূর্ত্তিপূজো
এবং উচ্ছৃঙ্খল অনুষ্ঠান করে আমরা ভুল করেছিলাম।
ইস্রায়েলের মুক্তি প্রভু,
আমাদের ঈশ্বরের কাছ থেকে অবশ্যই আসে।
24 ঐ বাল মূর্ত্তি আমাদের পূর্বপুরুষদের
সমস্ত ধনসম্পদ খেয়ে ফেলেছে।
সে তাঁদের মেষ, গবাদিপশু,
পুত্র ও কন্যাদের খেয়ে ফেলেছে।
25 লজ্জায় আমাদের মরে যেতে ইচ্ছে করছে।
আমাদের লজ্জা আমাদের কম্বলের মত ঢেকে ফেলুক।
আমরা আমাদের সর্বশক্তিমান প্রভুর বিরুদ্ধাচরণ করেছি।
আমাদের পিতৃপুরুষদের মতো আমরাও পাপ করেছি।
ছোটবেলা থেকেই আমরা আমাদের
প্রভু ঈশ্বরকে অমান্য করে এসেছি।”
4 এই বার্তা প্রভুর কাছ থেকে এলো।
“ইস্রায়েল, যদি তুমি ফিরতে চাও
তাহলে আমার কাছে ফিরে এসো।
ভ্রান্ত দেবতাদের মূর্ত্তিগুলো ছুঁড়ে ফেলে দাও।
আমার কাছ থেকে চ্যুত হয়ে বিপথগামী হয়ো না।
2 যদি কেবলমাত্র এগুলি কর
তাহলেই কোন প্রতিজ্ঞা করবার সময় তোমরা আমার নাম ব্যবহার করতে পারবে।
প্রতিশ্রুতি গ্রহণের সময় বলতে পারবে,
‘প্রভুর নিশ্চিত অস্তিত্বের দিব্য।’
এই কথাগুলো তোমরা সত্য, উচিৎ
এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
তাহলে জাতিসমূহ তাঁর আশীর্বাদ পাবে।
তারপর তারা তাঁকে প্রশংসা করতে পারবে।
তোমার দেশবাসী প্রভুর কার্যকলাপ ঘিরে
গর্ব অনুভব করবে।”
3 যিহূদা এবং জেরুশালেমের মানুষকে এই কথাগুলি প্রভু বলেছিলেন:
“তোমাদের জমিগুলি চষা হয়নি।
জমিতে লাঙল দাও, নিজেদের পতিত জমি চাষ করো।
বীজ বোনো সেই জমিতে, কাঁটাবনে বীজ বপন করো না।
4 প্রভুর লোক হয়ে যাও!
তোমাদের হৃদয়গুলোকে পরিবর্তন করো, আত্মাকে শুদ্ধ করো।
হে যিহূদা ও জেরুশালেমের মানুষ, তোমরা যদি নিজেদের না শোধরাও
তাহলে আমি ক্রুদ্ধ হয়ে যাবো।
আমার ক্রোধ আগুনের মতো দ্রুত গতিতে
তোমাদের সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে।
সেই আগুন নেভানোর ক্ষমতা কারো হবে না।
তোমাদের অসৎ কার্যকলাপের জন্যই এইগুলো হবে।”
উত্তর দিক থেকে বিপর্যয়
5 “যিহূদার লোকদের এই খবর বল:
জেরুশালেম শহরের প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে বল,
‘দেশের সর্বত্র শিঙা বাজাও।’
জোরে চিৎকার কর:
‘এস, আমরা একত্র হই
এবং প্রতিরক্ষার জন্য দূর্গবিশিষ্ট শহরগুলিতে যাই।’
6 সিয়োনের দিকে নিশান পতাকা ওড়াও।
বাঁচতে চাও তো তাড়াতাড়ি করো, অপেক্ষা কোরো না।
যা বলছি তাই কর কারণ আমি উত্তর দিক থেকে বিপর্যয় বয়ে আনছি।
আমি এক ভয়ঙ্কর ধ্বংস ঘটাবো।”
7 এক “সিংহ” তার গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
দেশসমূহের এক বিনাশকর্তা তার যাত্রা শুরু করেছে।
তোমাদের দেশকে ধ্বংস করতে সে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে।
ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে এই দেশের ওপর,
কোন মানুষ জীবিত থাকবে না, সব কটি শহর ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাবে।
8 সুতরাং শোকের পোশাক পরে তোমরা চিৎকার করে কাঁদো!
কারণ প্রভু আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
9 প্রভু বললেন, “যখন এগুলি ঘটবে,
তখন রাজা এবং তাঁর পারিষদরা তাদের সাহস হারিয়ে ফেলবে,
যাজকরা দারুণ ভয় পেয়ে যাবেন
এবং ভাববাদীরা যৎপরোনাস্তি বিহ্বল হবেন।”
10 তখন আমি, যিরমিয় বললাম, “হে প্রভু আমার মনিব, আপনি অবশ্যই যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকদের এই বলে প্রতারণা করেছেন: ‘তোমরা শান্তি পাবে।’ কিন্তু এখন তরবারিটি তাদের গলার দিকে লক্ষ্য করে রয়েছে।”
11 একই সঙ্গে সেই সময় যিহূদা এবং জেরুশালেমবাসীদের জন্য
এই বার্তা প্রেরিত হবে:
“হে আমার লোক, অনাবৃত পর্বতশৃঙ্গ থেকে তপ্ত বাতাস বয়ে আসবে।
এই ঝড় ছুটে আসবে মরুভূমি থেকে।
এ ঝড় কোন মৃদু বাতাস নয়
যার দ্বারা কৃষকরা তাদের শস্যকণা ভূমি থেকে ঝেড়ে আলাদা করে নেয়।
12 এই ঝড় অনেক বেশী শক্তিশালী
এবং এটা আমার কাছ থেকেই আসে।
এখন আমি আমার বিচারের রায় ঘোষণা করব যিহূদাবাসীদের বিরুদ্ধে।”
13 দেখো। মেঘের মতো শত্রু নড়ে উঠছে।
তার রথসমূহকে দেখাচ্ছে যেন ভয়াবহ ঝড়।
তার ঘোড়াগুলো ঈগলদের চাইতেও দ্রুতগামী।
এটি আমাদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো।
14 হে জেরুশালেমবাসী, কু-মতলব ত্যাগ করো।
হৃদয় থেকে সমস্ত শয়তানি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দাও।
আত্মাকে শুদ্ধ করলে তবেই তোমরা রক্ষা পাবে।
15 ডান দেশের[a] সম্প্রদায়ের বার্তাবাহকের কথা শোন।
ইফ্রয়িমের পর্বতমালা থেকে কেউ দুর্ঘটনার খবর নিয়ে আসছে।
16 “সারা জেরুশালেমবাসীকে
সেই খবর জানিয়ে দাও।
বহুদূরের দেশ থেকে শত্রুরা যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছে।
ঐ শত্রুরা চিৎকার করে যিহূদার শহরগুলির বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ধ্বনি দিচ্ছে।
17 জেরুশালেমকে তারা সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ফেলেছে।
যেমন একটি মাঠে লোকরা লক্ষ্য রাখে।
যিহূদা তুমি আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিলে
তাই শত্রু পক্ষ তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
18 “তোমার জীবনযাত্রা এবং কার্যকলাপই
এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
তোমার শয়তানি তোমার জীবনকে খুব কঠোর করেছে।
এই মূহুর্তে তোমার শয়তানিই তোমার যন্ত্রণার কারণ।
যেটা তোমার হৃদয়ের গভীরে আঘাত করছে।”
যিরমিয়ের কান্না
19 হায়! দুঃখ, যন্ত্রণা এবং চিন্তায়
আমি কুঁকড়ে যাচ্ছি, হায়! কি দুশ্চিন্তা!
কি ভয়। আমি অন্তরে ব্যথিত।
আমার হৃদয় ধুক্ ধুক্ করছে।
না, আমি আর চুপ করে থাকতে পারছি না কারণ আমি শত্রু পক্ষের শিঙা শুনেছি।
ঐ শিঙা ধ্বনি যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছে।
20 বিপর্যয় বিপর্যয়কে অনুসরণ করে।
এই পুরো দেশটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।
হঠাৎই আমার তাঁবু ধ্বংস হয়ে গেল।
আমার পর্দাগুলো ছিঁড়ে গেছে।
21 প্রভু, আর কতদিন এই যুদ্ধের পতাকা আমাকে দেখতে হবে?
কতদিন আমি আর এই যুদ্ধের দামামা শুনব?
22 ঈশ্বর বললেন, “আমার লোকরা হল মূর্খ।
তারা আমাকে জানে না।
তারা হল নির্বোধ বালক।
তারা বুঝতে পারছে না।
তাদের বিবেচনা শক্তি নেই।
তারা শয়তানিতে পটু কিন্তু তারা জানে না কি করে ভাল কিছু করতে হয়।”
প্রলয় আসছে
23 আমি পৃথিবীর দিকে তাকালাম।
কিন্তু দেখলাম পৃথিবী শূন্য।
পৃথিবীতে কিছুই ছিল না।
আমি আকাশের দিকে তাকালাম।
দেখলাম সমস্ত আলো নিভে গিয়েছে।
24 আমি পর্বতের দিকে তাকালাম।
দেখলাম পর্বত কাঁপছে।
সমস্ত পাহাড়গুলি ভয়ে কাঁপছে।
25 আমি দেখলাম কিন্তু কোন মানুষ খুঁজে পেলাম না।
আকাশের সমস্ত পাখি মূহুর্তে উধাও হয়ে গিয়েছে।
26 আমি ভালো দেশের দিকে তাকালাম এবং দেখলাম তা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ঐ দেশে সমস্ত শহরগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রভুর ভয়ঙ্কর ক্রোধেই এই দশা।
27 প্রভু এইগুলি বললেন:
“এই পুরো দেশটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
কিন্তু আমি সম্পূর্ণভাবে তা ধ্বংস করব না।
28 জীবিত লোকরা আর্তনাদ করে মৃত লোকেদের জন্য কাঁদবে।
আকাশ এমশঃ কালো হয়ে উঠবে।
আমি যা বলব তার নড়চড় হবে না।
আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলাবো না।”
29 যিহূদার লোকরা শুনতে পাবে
অশ্বারোহী ও তীরন্দাজ সৈন্যবাহিনীর হুঙ্কার
এবং ভয়ে তারা দৌড়ে পালাবে।
কেউ লুকোবে গুহার ভেতরে,
কেউ ঝোপঝাড়ে,
কেউ বা পাথরের আড়ালে।
যিহূদার সমস্ত শহরগুলি জনমানবহীন হয়ে যাবে।
সেখানে কেউ বাঁচবে না।
30 যিহূদা তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছ।
তাহলে, এখন তুমি কি করছ?
ঐ সমস্ত প্রেমিকদের জন্য তুমি তোমার সব চেয়ে ভালো পোশাক পরেছো,
নিজেকে অলঙ্কারে সাজিয়েছো,
চোখে দিয়েছ কাজল,
সুন্দর দেখাবার জন্য নিজেকে সাজিয়েছো।
কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই
কারণ তোমার প্রেমিকরা এখন তোমাকে ঘৃণা করে।
তারাই তোমাকে মারতে চেষ্টা করছে।
31 একজন মহিলা প্রসব বেদনায় যেমন করে
তেমনি একটি কান্না আমি শুনতে পাচ্ছি।
এই কান্না একজন মহিলার তার প্রথম সন্তান প্রসব করবার কান্নার মত।
এই মহিলা হল সিয়োন কন্যা।
সে হাত জড়ো করে প্রার্থনার ভঙ্গিতে বলছে,
“ওঃ, আমি অজ্ঞান হয়ে যাব!
ঘাতকরা আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে!”
যিহূদাবাসীদের শয়তানি
5 প্রভু বললেন, “জেরুশালেমের রাস্তায় হাঁটো। শহরের সার্বজনীন প্রাঙ্গণগুলিতে খুঁজে দেখো। যদি একজনও সৎ ও ভাল মানুষের সন্ধান পাও যে অন্তত সত্যের খোঁজ করছে, যদি এরকম একজনও মানুষ থাকে তাহলে জেরুশালেমকে আমি ক্ষমা করে দেব। 2 লোকে শুধু এই বলে প্রতিশ্রুতি নেয়: ‘প্রভুর অস্তিত্ব যেমন নিশ্চিত তার দিব্য,’ কিন্তু তারা আসলে তা বলে না।”
3 প্রভু, আমি জানি আপনি চান
মানুষ আপনার অনুগত থাকুক।
আপনি যিহূদাবাসীকে আঘাত করলেন।
কিন্তু তারা কোন বেদনা অনুভব করে নি।
আপনি তাদের ধ্বংস করলেন।
কিন্তু তা থেকে তারা কোন শিক্ষা নেয়নি।
তারা ভীষণ একগুঁয়ে, জেদী।
খারাপ কাজ করেছিল বলে তারা কোন রকম দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করে নি।
4 কিন্তু আমি (যিরমিয়) আমাকে মনে মনে বললাম,
“তারা এত দরিদ্র এবং নির্বোধ যে
তারা প্রভুর জীবনযাত্রা শেখে নি।
ঈশ্বরের শিক্ষা বিষয়েও তারা কিছু জানে না।
5 সুতরাং আমি যিহূদার নেতৃবৃন্দের কাছে যাব
এবং তাদের সঙ্গে কথা বলব।
নেতারা নিশ্চয়ই প্রভুর আচার বিধি জানবে।
আমি নিশ্চিত যে তারা তাদের ঈশ্বরের বিধিসমূহ জানে।”
কিন্তু নেতারা সব একত্র হল
এবং প্রভুর সেবার কাজ থেকে দূরে সরে গেল।
6 তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।
তাই বন থেকে এক সিংহ এসে তাদের আক্রমণ করবে।
মরুভূমি থেকে এক নেকড়ে বাঘ এসে সবাইকে মেরে ফেলবে।
তাদের শহরের কাছে এক চিতা লুকিয়ে আছে।
শহরের বাইরে কেউ বেরলেই তাকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে খাবে।
যিহূদার লোকরা বার বার পাপ করার ফলেই এগুলি ঘটবে।
প্রভু বার বার সতর্ক করে কোন ফল পান নি।
প্রভুর কাছ থেকে তারা বার বারই দূরে থেকেছে।
7 ঈশ্বর বললেন, “হে যিহূদা, আমাকে একটি সঠিক কারণ দেখাও
যার জন্য আমি তোমাদের ক্ষমা করব।
তোমার ছেলেমেয়েরা আমাকে ত্যাগ করে মূর্ত্তির কাছে প্রতিশ্রুতি নিয়েছে।
অথচ তোমার সন্তানদের আমি চাহিদা মতো সব কিছুই দিয়েছিলাম।
তবু ওরা আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেনি।
ওরা ব্যভিচারিনীদের সঙ্গে অনেক বেশী সময় নষ্ট করেছে।
8 তারা ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করা ঘোড়ার মতো, যারা কামাবেশের জন্য তৈরী।
ওরা সেই সমস্ত ঘোড়ার মতো যারা প্রতিবেশীদের স্ত্রীকে ঘরে ডেকে আনে।
9 তাহলে আমি কি ঐ সব কাজের জন্য যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব না?”
এই হল প্রভুর বার্তা।
“হ্যাঁ, তুমি জানো যে দেশ এইভাবে বেঁচে থাকে তাকে আমার শাস্তি দিতে হবে।
আমি তাদের যোগ্য শাস্তিই দেব।
10 “যাও যিহূদার সমস্ত দ্রাক্ষা গাছ কেটে দাও।
(কিন্তু তাদের কখনও পুরোপুরি ধ্বংস করো না।)
কেটে দাও দ্রাক্ষা গাছগুলির শাখাপ্রশাখা, কারণ এই শাখাপ্রশাখা প্রভুর নয়।
11 যিহূদা এবং ইস্রায়েলের পরিবারগুলি
আমার সঙ্গে সবরকমভাবেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
12 “ঐ দেশবাসীরা প্রভুর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার করেছে।
তারা বলেছে, ‘প্রভু আমাদের কিছুই করতে পারবে না।
আমাদের আক্রমণ করতে আসছে
এমন কোন সৈন্য আমরা কখনও দেখব না।
কোনদিন অনাহারে মারাও যাব না।’
13 ভ্রান্ত ভাববাদীরা হল একটি ফাঁকা বাতাস।
ঈশ্বরের বাক্য তাদের মধ্যে নেই।
তাদেরও কপালে দুর্ভোগ ঘটবে।”
14 প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেছেন:
“ওই লোকরা বলেছিল যে আমি তাদের শাস্তি দেব না।
সুতরাং যিরমিয়, আমি তোমাকে যে শাস্তি দেব তা আগুনের মতো হবে।
ঐ লোকগুলি হবে কাঠের মতো।
সেই আগুন ওদের পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।”
15 ইস্রায়েলের পরিবার, এই বার্তা হল প্রভুর,
“আমি শীঘ্রই তোমাদের আক্রমণ করবার জন্য
বহু দূর থেকে একটি প্রাচীন দেশকে নিয়ে আসব।
বহু প্রাচীন সেই দেশ।
সেই দেশের মানুষের ভাষা
তোমরা বুঝতে পারবে না।
16 তাদের তীরের থলিগুলি খোলা কবরের মতো।
তারা সবাই বলবান সৈন্য।
17 ঐ সব সৈন্যরা তোমাদের মজুত করা
সমস্ত খাদ্য খেয়ে ফেলবে।
ধ্বংস করবে তোমাদের সন্তানদের।
তোমাদের মেষ ও রাখাল বালকদের তারা খেয়ে ফেলবে।
দ্রাক্ষা আর ডুমুর ফল খাবে।
তারা তোমাদের সমস্ত বিশ্বস্ত
দুর্ভেদ্য শহরগুলিকে ধ্বংস করবে।”
18 এই হল প্রভুর বার্তা,
“কিন্তু যিহূদা, যখন এই ভয়ঙ্কর দিনগুলো তোমাদের জীবনে আসবে
তখন কিন্তু আমি পুরোপুরি তোমাকে ধ্বংস করব না।
19 যিরমিয়, তোমাকে যিহূদার লোকরা জিজ্ঞাসা করবে,
‘কেন প্রভু তোমার ঈশ্বর আমাদের প্রতি এমন খারাপ ব্যবহার করলেন?’
তখন তুমি (যিরমিয়) তাদের উত্তর দেবে:
‘তোমরা প্রভুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ,
তোমাদের দেশে বিদেশী মূর্ত্তিসমূহ বানিয়েছ এবং তাদের সেবা করেছ।
সুতরাং তোমরা এখন বিদেশে বিদেশীদের সেবা করবে।’”
20 প্রভু বলেছেন, “এই বার্তা জানিয়ে দাও
যিহূদা এবং যাকোবের পরিবারগোষ্ঠীকে:
21 এই হল বার্তা:
হে নির্বোধ মানুষ তোমাদের কোন বুদ্ধি নেই।
তোমাদের চোখ আছে অথচ দেখতে পাও না!
কান আছে কিন্তু শুনতে পাও না।
22 নিশ্চয়ই তোমরা আমাকে ভয় পাও।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
“আমার সামনে তোমাদের ভয়ে শিউরে উঠতে হবে।
আমিই সেই একজন যে তটভূমি দিয়ে সমুদ্রকে সীমায়িত করেছে, যাতে জল তার বাইরে না বইতে পারে।
জলের ঢেউ হয়তো বালুতটে আছড়ে পড়বে কিন্তু কোন কিছুকে ধ্বংস করতে পারবে না।
ঢেউ গর্জন করে বালুতটে আছড়ে পড়তে পারে কিন্তু কখনও বালুতটের সীমানা পেরোতে পারবে না।
23 কিন্তু যিহূদার লোকরা ভীষণ একগুঁয়ে এবং জেদী।
তারা সর্বদা আমার বিরুদ্ধে যাবার ছক কষে গিয়েছিল
এবং অবশেষে আমাকে ছেড়েও গিয়েছিল।
24 যিহূদার লোকরা কখনও বলেনি,
‘প্রভু আমাদের ঈশ্বরকে ভয় পাওয়া এবং সম্মান জানানো উচিৎ।
তিনিই আমাদের শরৎ এবং বসন্তকালে সঠিক সময় বৃষ্টি এনে দিয়েছেন।
তিনিই আমাদের ফসল তোলার সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।’
25 যিহূদার লোকরা, তোমরা অনেক ভুল কাজ করেছ।
তাই সময় মতো বৃষ্টির দেখা পাচ্ছো না।
তোমরা যথেষ্ট ফসল ফলাওনি।
তোমাদের পাপসমূহ প্রভুর কাছ থেকে ভালো জিনিষ পাওয়া থেকে তোমাদের বিরত করেছে।
26 আমার দেশবাসীর মধ্যে কিছু শয়তান লুকিয়ে আছে।
যারা পাখী ধরবার জন্য খাঁচা তৈরী করে, তারা তাদের মত।
পাখী ধরবার পরিবর্তে
তারা মানুষ ধরবার ফাঁদ পাতে।
27 এইসব দুষ্ট লোকদের, যারা মিথ্যায় ভরা,
তাদের বাড়ীগুলো হল পাখীতে ভরা খাঁচাসমূহের মতো।
তাদের মিথ্যাগুলি তাদের ধনী ও শক্তিশালী করেছে।
28 তারা তাদের অসৎ কর্ম দিয়ে মোটা এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে।
অশুভ উপায়ে তারা হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্যবান।
তাদের শয়তানির কোন শেষ নেই।
তারা অনাথ শিশুদের ব্যাপারে কোন মিনতি করে নি।
তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নি।
তারা গরীব লোকদের প্রতি কখনও সুবিচার করেনি।
29 ঐসব কাজের জন্য আমি কি যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব না?”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
“তুমি জানো এই ধরণের দেশগুলোকে আমি উচিৎ শাস্তি দিয়ে থাকি।
আমাকে তাদের যোগ্য শাস্তিই দিতে হবে।”
30 প্রভু বললেন, “যিহূদা দেশে একটা সাংঘাতিক
এবং রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
31 ভাববাদীরা মিথ্যে কথা বলে
এবং যাজকদের যা করার কথা তা তারা করে না।
আমার লোকরা, ভাববাদীরা এবং যাজকরা যা করে তাই ভালোবাসে।
কিন্তু হে আমার লোকসমূহ, তোমাদের যখন শাস্তি পাবার সময় আসবে
তখন তোমরা কি করবে?
ভ্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী
4 পবিত্র আত্মা স্পষ্টই বলছেন, শেষের দিকে কিছু লোক বিশ্বাস থেকে সরে পড়বে। যে মন্দ আত্মা মিথ্যা বলে, তারা সেই মন্দ আত্মাকে আনুগত্য দেখাবে এবং ভূতদের শিক্ষায় মন দেবে। 2 যারা মিথ্যা বলে ও লোকদের প্রতারণা করে, এসব ভ্রান্ত শিক্ষা তাদের কাছ থেকেই আসে। তারা ভাল ও মন্দের মধ্যে বিচার করতে পারে না। 3 এরাই মানুষকে বিবাহ করতে নিষেধ করে ও কোন কোন খাদ্য খেতে নিষেধ করে। কিন্তু সেই খাদ্য সামগ্রী ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন এবং যারা বিশ্বাসী ও যারা সত্যকে জানে তারা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে এই খাবার খায়। 4 বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল, ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করলে কিছুই অগ্রাহ্য নয়। 5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে ও প্রার্থনা দ্বারা তা শুচিশুদ্ধ হয়।
খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম সেবক হও
6 এইসব কথা ওখানকার ভাই ও বোনেদের মনে করিয়ে দিলে তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম সেবকরূপে গন্য হবে। বিশ্বাসের বাক্য ও উত্তম শিক্ষা অনুসরণ করে তুমি যে শক্তিশালী হয়েছ তার প্রমাণ দেখাতে পারবে। 7 ঈশ্বরবিহীন অর্থহীন গল্পের সাথে তোমাদের কোন সম্পর্ক রেখো না। ঈশ্বরের এক ভক্তিমান সেবক হয়ে নিজেকে শিক্ষিত কর। 8 শরীর চর্চায় কিছু উপকার হয় বটে, কিন্তু ঈশ্বরের সেবা সব দিক দিয়েই কল্যাণ করে, কারণ তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনে লাভের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। 9 যা আমি বলি তা সত্য ও সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য। 10 এই জন্য আমরা প্রাণপন পরিশ্রম ও সংগ্রাম করছি, কারণ আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের ওপর প্রত্যাশা রেখেছি, যিনি সমস্ত মানুষের ত্রাণকর্তা, বিশেষ করে তাদের যারা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখে।
11 তুমি এইসব বিষয় পালনের জন্য আদেশ কর ও শিক্ষা দাও। 12 তুমি যুবক বলে কেউ যেন তোমায় তুচ্ছ না করে। কিন্তু তোমার কথা, স্বভাব, ভালোবাসা, বিশ্বাস ও পবিত্রতার দ্বারা বিশ্বাসীদের সামনে দৃষ্টান্ত রাখ।
13 লোকদের কাছে শাস্ত্র পাঠ করে যাও, তাদের শক্তিশালী কর ও শিক্ষা দাও। আমি যতদিন না আসি তুমি এইসব কাজ করবে। 14 তোমার মধ্যে যে আত্মিক বরদান রয়েছে তা ব্যবহার করতে ভুলো না। এক সময় মণ্ডলীর প্রাচীনরা তোমার ওপর হস্তার্পণ করেছিলেন, সেই সময় ভাববাদীর দ্বারা সেই দান তোমাতে অর্পিত হয়েছিল। 15 ঐসব কাজ করে যাও। ঐ কাজের উদ্দেশ্যে তোমার জীবন উৎসর্গ কর। তাতে সব লোক দেখতে পাবে তোমার কাজ কেমন এগোচ্ছে। 16 নিজের জীবন ও তুমি যা শিক্ষা দাও সে সম্বন্ধে সাবধান থেকো। তোমার ঐ সব দায়িত্ব তুমি পালন করেই চল; কারণ তা করলে তুমি নিজেকে ও যারা তোমার কথা শোনে, তাদেরও উদ্ধার করতে পারবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International