Old/New Testament
53 কে সত্যিই বিশ্বাস করেছিল, আমাদের ঘোষণার কথা? কে সত্যি সত্যিই গ্রহণ করেছিল প্রভুর শাস্তি?
2 সে প্রভুর সামনে, ছোট গাছের মত বড় হতে লাগল। সে ছিল শুকনো জমিতে গাছের শিকড়ের বড় হওয়ার মতো। তাকে দেখতে বিশেষ কিছু লাগত না। তার কোন বিশেষ মহিমা ছিল না। যদি আমরা তার দিকে তাকাতাম তবে তাকে ভালো লাগার মত বিশেষ কিছুই চোখে পড়ত না। 3 লোকে তাকে ঘৃণা করেছিল, তার বন্ধুরা তাকে ত্যাগ করেছিল। তার প্রচুর দুঃখ ছিল। অসুস্থতার বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ছিল। লোকরা তার কাছ থেকে লুকিয়ে থাকত। আমরা তাকে ঘৃণা করতাম। আমরা তার কথা চিন্তাও করিনি।
4 কিন্তু সে আমাদের অসুখগুলোকে বয়ে বেড়িয়েছিল। সে আমাদের যন্ত্রণা ভোগ করেছিল। এবং আমরা মনে করেছিলাম ঈশ্বর তাকে শাস্তি দিচ্ছেন। তার কোন কৃতকর্মের জন্য ঈশ্বর তাকে শাস্তি দিচ্ছেন বলে আমরা মনে করেছিলাম।
5 কিন্তু আমাদেরই ভুল কাজের জন্য তাকে আহত হতে হয়েছিল। আমাদের পাপের জন্য সে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল। আমাদের প্রাপ্য শাস্তি সে পেয়েছিল। তার আঘাতের জন্য আমাদের আঘাত সেরে উঠেছিল। 6 আমরা সবাই হারিয়ে যাওয়া মেষের মত ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। আমরা সবাই আমাদের নিজেদের পথে গিয়েছিলাম যখন প্রভু আমাদের সব শাস্তি তাকে দিয়ে ভোগ করাচ্ছিলেন।
7 তার সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সে আত্মসমর্পণ করেছিল। সে কখনও প্রতিবাদ করেনি। মেষকে যেমন হত্যার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সে নালিশ করে না তেমনি সেও চুপচাপ ছিল। মেষ যেমন তার পশম কাটার সময় কোন শব্দ করে না, সেও তেমনি তার মুখ খোলে নি। 8 মানুষ শক্তি প্রয়োগ করে তাকে নিয়েছিল এবং তার প্রতি ন্যায্য বিচার করেনি। তার ভবিষ্যৎ পরিবার সম্পর্কে কেউ কিছু বলেনি। কারণ সে জীবিতদের দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। আমার লোকদের পাপের জন্য সে শাস্তি পেয়েছিল। 9 তার মৃত্যু হয়েছিল এবং ধনীদের সঙ্গে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল। তাকে দুষ্ট লোকদের সঙ্গে সমাহিত করা হয়েছিল যদিও সে কোন হিংস্র কাজ করেনি। সে কখনও কাউকে প্রতারণা করেনি।
10 প্রভু তাকে মেরে পিষে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। যদি সে দোষমোচনের বলি হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করে, সে তার সন্তানের মুখ দেখবে এবং দীর্ঘ দিন বাঁচবে। ঈশ্বরের অভিপ্রায় তার হাতে সফল হবে। 11 তার আত্মা বহু কষ্ট পেলেও সে অনেক ভালো জিনিস ঘটা দেখতে পাবে। সে যেসব জিনিস শিখেছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট হবে।
প্রভু বলেন, “আমার ভালো দাসটি অনেক মানুষকে ধার্মিক করবে। সে তাদের অপরাধের দরুণ শাস্তি ভোগ করবে। 12 এই কারণে আমি তাকে অনেক লোকের মধ্যে পুরস্কৃত করব। যে সব লোকরা শক্তিশালী তাদের সঙ্গে সমস্ত জিনিসে তার অংশ থাকবে। আমি এটা তার জন্য করব কারণ সে লোকের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে মারা গিয়েছিল। তাকে একজন অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হত। কিন্তু সত্যটা হল সে অনেক লোকের পাপ বহন করে ছিল। এবং এখন সে পাপী লোকদের সপক্ষে কথা বলছে।”
ঈশ্বর তাঁর লোকদের ঘরে ফিরিয়ে আনলেন
54 “মহিলারা সুখী হও!
তোমাদের কোন সন্তান নেই
কিন্তু তোমাদের সুখী হওয়া উচিৎ।”
প্রভু বলেন,
“যে মহিলা একা আছে
সে বিবাহিত মহিলার চেয়েও বেশী সন্তান পাবে।”
2 “তোমাদের তাঁবু বড় কর।
দরজা বড় করে খুলে রাখো।
নিজেদের ঘর বড় করবার কাজ বন্ধ রেখো না।
তোমাদের তাঁবু শক্ত কর।
3 কেন? কারণ তোমাদের দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
তোমাদের শিশুরা অন্যান্য জাতিদের থেকেও মানুষ পাবে।
তোমাদের শিশুরা ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরেও বসবাস করবে।
4 ভীত হয়ো না!
তোমরা হতাশ হবে না।
তোমাদের বিরুদ্ধে লোকে বাজে কথা বলবে না।
তোমরা কখনও বিব্রত হবে না।
যখন ছোট ছিলে তোমরা লজ্জা পেতে।
কিন্তু এখন তোমরা সেই লজ্জা ভুলে যাবে।
স্বামী হারিয়ে তোমরা যে লজ্জা পেয়েছিলে
সেই লজ্জার কথা তোমরা আর স্মরণ করবে না।
5 কেন? কারণ তোমাদের স্বামী সেই একজন (ঈশ্বর) যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর নাম সর্বশক্তিমান প্রভু।
তিনি ইস্রায়েলের পরিত্রাতা, তিনি ইস্রায়েলের পবিত্রতম।
তাঁকেই গোটা পৃথিবীর ঈশ্বর বলে ডাকা হবে।
6 “তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার মত!
তোমরা মনে প্রাণে খুব দুঃখী থাকলেও
প্রভু তোমাদের তাঁর মানুষ হবার ডাক দেন।
তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা যুবতী স্ত্রীদের মতো।
কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের ডাক দিয়েছেন।”
7 ঈশ্বর বলেন, “আমি তোমাদের অল্প সময়ের জন্য ত্যাগ করেছিলাম।
আমি তোমাদের নিজের আসনে আবার একত্রিত করব।
আমি তোমাদের মহৎ উদারতা দেখাবো।
8 আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম, তাই অল্প কালের জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে আমাকে লুকিয়ে রেখেছিলাম।
তবে এখন সদয় হয়ে চিরকালের জন্য তোমাদের আরাম দেব।”
তোমাদের পরিত্রাতা প্রভু এইসব বলেছেন।
9 ঈশ্বর বলেন, “নোহর সময়ের কথা স্মরণ কর, আমি পৃথিবীকে বন্যা দিয়ে শাস্তি দিই।
কিন্তু আমি নোহকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম পুনরায় বন্যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করব না।
ঠিক সে রকম তোমাদের কথা দিচ্ছি, তোমাদের ওপর আর ক্রুদ্ধ হব না এবং তোমাদের আর কখনও বাজে কথা বলব না।”
10 প্রভু বলেন, “পর্বত অদৃশ্য হতে পারে।
পাহাড় চূর্ণ হতে পারে।
কিন্তু আমার দয়া তোমাদের থেকে দূরে যাবে না।
তোমাদের শান্তি দেবো
এবং এই শান্তি কখনও শেষ হবে না।”
প্রভু তোমাদের ক্ষমা প্রদর্শন করে এই কথাগুলি বলেছিলেন।
11 “তুমি গরীব শহর!
শত্রুরা ঝড়ের মত তোমার ওপর আছড়ে পড়েছিল।
কোন ব্যক্তি তোমাদের আরাম দেয় নি।
তোমাদের দেওয়ালে পাথর গাঁথবার জন্য
আমি একটি সুন্দর মূল্যবান অলঙ্কার মিশ্রিত হামান ব্যবহার করব।
এবং শিলান্যাসের সময় ব্যবহার করব নীলকান্তমণি পাথর।
12 প্রাচীরের মাথায় যে পাথর থাকবে তা বানানো হবে পান্না দিয়ে।
ফটকে ব্যবহার করব উজ্জ্বল রত্ন।
তোমার চারি দিকের প্রাচীরে ব্যবহার করব মূল্যবান রত্ন।
13 তোমার শিশুরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করবে এবং তিনি তাদের শিক্ষা দেবেন।
শিশুদের জন্য থাকবে প্রকৃত শান্তি।
14 তোমাদের ধার্মিকতা দিয়ে গড়া ও প্রতিষ্ঠা করা হবে।
হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে তুমি থাকবে নিরুপদ্রব।
ভয়ের কিছু থাকবে না।
কিছুই তোমাকে আঘাত করতে আসবে না।
15 আমার কোন সেনাদল তোমাকে আক্রমণ করবে না।
যদিও বা করে তবে তুমি তাদের পরাস্ত করবে।
16 “দেখো, আমি কামারকে সৃষ্টি করেছি। সে আগুনে ফুঁ দিয়ে তাকে উত্তপ্ত করে। তারপর সে আগুন ব্যবহার করে গরম লোহার সাহায্যে নিজের ইচ্ছেমত যন্ত্র বানায়। ঠিক সে ভাবেই আমি সৃষ্টি করেছি ‘ধ্বংসকারকদের’ জিনিস ধ্বংস করার জন্য।
17 “মানুষ তোমাকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র বানাবে। কিন্তু সেই অস্ত্রগুলি তোমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ কেউ তোমার বিরুদ্ধে কথা বলবে। তবে যে যে লোক তোমার বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের ভুল বলে প্রমাণ করা হবে।”
প্রভু বলেন, “প্রভুর দাসরা কি পায়? আমার কাছ থেকে আসা ভালো জিনিস তারা পায়!
সত্যিকারের সন্তোষজনক “খাদ্য” দেন ঈশ্বর
55 “আমার তৃষ্ণার্ত মানুষরা এসে জল পান করো।
নিজেদের অর্থ না থাকলেও বিষন্ন হয়ো না।
যতক্ষণ না ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটে ততক্ষণ খাও এবং পান কর।
খাদ্য ও দ্রাক্ষারসের জন্য কোন অর্থ লাগবে না।
2 সত্যি খাদ্য নয় এমন জিনিষের জন্য তোমরা কেন অর্থ নষ্ট করবে?
তোমাদের সন্তষ্ট করে না এমন জিনিষের জন্য কেন কাজ করবে?
আমার খুব কাছে এসে শোন, তোমরা খুব ভালো খাবার খাবে।
তোমাদের আত্মা সন্তুষ্ট হবার মতো খাদ্য তোমরা ভোগ করবে।
3 আমার কাছে এসে শোন আমি কি বলছি,
তাহলে তোমাদের আত্মা বাঁচবে।
আমি তোমাদের সঙ্গে চিরকালের মত একটা চুক্তি করব।
দায়ূদের মত তোমাদের সঙ্গেও আমি চুক্তি করব।
দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি করেছি চিরকাল আমি ওকে ভালবাসব।
চিরকাল আমি তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকব।
তোমরা এই চুক্তির ওপর আস্থাশীল থাকতে পারো।
4 দায়ূদকে আমি অন্যান্য জাতির জন্য সাক্ষী বানিয়েছি।
আমি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি বহু জাতির শাসক ও সেনাপতি বানিয়ে দেব।”
5 তোমাদের অচেনা স্থানেও অনেক জাতি আছে।
তোমরা সেই সব জাতিদের ডাকবে।
তারা তোমাদের না চিনলেও
তোমাদের কাছে ছুটে যাবে।
এসব ঘটবে কারণ তোমাদের প্রভু এইসব চান।
এসব ঘটবে কারণ ইস্রায়েলের পবিত্র একজন তোমাদের সম্মান করেন।
6 তাই তোমাদের উচিৎ বেশী দেরি না করে
প্রভুর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা।
তিনি এখন কাছে আছেন
তোমাদের উচিৎ এখনই তাঁকে ডাকা।
7 দুষ্ট লোকদের দুষ্ট কাজ পরিত্যাগ করতে হবে।
তাদের কু-চিন্তা ছেড়ে দিতে হবে।
তাদের প্রভুর কাছে ফিরে আসতে হবে।
ঈশ্বর তাদের ওপর করুণা করবেন।
সেই লোকদের প্রভুর কাছে ফিরে আসা উচিৎ;
কারণ আমার ঈশ্বর ক্ষমা করেন।
লোকে ঈশ্বরকে বুঝতে পারে না
8 প্রভু বলেন, “তোমাদের চিন্তা আর আমার চিন্তা এক নয়।
তোমাদের রাস্তা আমার রাস্তার মত নয়।
9 পৃথিবীর থেকে স্বর্গ অনেক উঁচুতে।
ঠিক সে রকমই তোমাদের থেকে আমার পথও অনেক উঁচু এবং চিন্তাও অনেক উঁচুতে বিচরণ করে।”
প্রভু নিজে নিজেই একথা বলেন।
10 “বৃষ্টি ও বরফ কণা আকাশ থেকে পড়ে
এবং তা আর আকাশে ফিরে যায় না, যতক্ষণ না তারা মাটি স্পর্শ করে মাটিকে ভেজায়।
তখন মাটি গাছকে অঙ্কুরিত করে বড় করে তোলে।
এই গাছগুলি কৃষকদের জন্য বীজ বানায় আর লোকে এই বীজ ব্যবহার করে খাবার রুটি বানায়।
11 ঠিক সে ভাবেই আমার মুখ নিঃসৃত বাণী
নিজেকে বাস্তবায়িত না করে ফিরে আসে না।
আমি যা করতে চাই আমার কথা তাই করে।
আমি যা করতে পাঠাই আমার কথা সফল ভাবে তাই করে ফিরে আসে।
12 “তোমরা আনন্দের সঙ্গে চলে যাবে
এবং শান্তিতে ফিরে আসবে।
পাহাড়-পর্বত তোমাদের সামনে আনন্দে গান গেয়ে উঠতে শুরু করবে।
মাঠের সব গাছ হাততালি দিয়ে উঠবে।
13 যেখানে যেখানে ঝোপঝাড় ছিল সেখানে সেখানে বেড়ে উঠবে বিশাল বিশাল দেবদারু গাছ।
আগাছার স্থানে গজিয়ে উঠবে গুলমেঁদি গাছ।
এইসব ঘটনা প্রভুকে বিখ্যাত করে তুলবে।
এইসব ঘটনা প্রমাণ করবে যে প্রভু শক্তিশালী এবং এই প্রমাণ কখনই নষ্ট হবে না।”
1 থিষলনীকীয় মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে আমি পৌল, সীল ও তীমথিয় এই চিঠি লিখছি। তোমরা আমাদের ঈশ্বর পিতা ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে যুক্ত।
2 পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক্।
3 ভাই ও বোনেরা, তোমাদের জন্য আমরা সব সময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে থাকি আর আমাদের তাই-ই করা উচিত। কারণ তোমাদের বিশ্বাস আশ্চর্যজনক ভাবে বৃদ্ধিলাভ করেছে ও পরস্পরের প্রতি তোমাদের যে ভালবাসা তা দ্রুত বৃদ্ধিলাভ করছে। 4 বিভিন্ন ঈশ্বরের মণ্ডলীতে তোমাদের বিষয়ে আমরা গর্ব প্রকাশ করি; কিভাবে তোমরা বিশ্বাসে বলিষ্ঠ হয়ে উঠেছ ও বিশ্বাসে স্থির আছ এসব কথা আমরা তাদের বলি। তোমরা অনেক নির্যাতন সয়ে যাচ্ছো ও কষ্ট ভোগ করছ, তবুও তোমরা ধৈর্য্য্যে ও বিশ্বাসে স্থির আছ।
ঈশ্বরের বিচারের বিষয়ে পৌল বললেন
5 এইসব বিষয় ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের স্পষ্ট প্রমাণ। ঈশ্বর চান তোমরা তাঁর রাজ্যের যোগ্য বলে গন্য হবে; আর সেই জন্যই তোমরা এত কষ্টভোগ করছ। 6 বাস্তবে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এটাই ন্যায়। যারা তোমাদের কষ্ট দেয়, তিনি তাদেরও প্রতিফলস্বরূপ কষ্ট দেবেন। 7 তোমরা যারা এখন কষ্ট পাচ্ছ, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে তোমাদেরও বিশ্রাম দেবেন। যখন যীশু প্রকাশিত হবেন ও পরাক্রমশালী স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন, তখন এইসব ঘটবে। 8 যারা ঈশ্বরকে জানে না এমন লোকদের শাস্তি দিতে তিনি স্বর্গ থেকে জ্বলন্ত অগ্নিসহ নেমে আসবেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের নির্দেশ যারা পালন করে না, তিনি তাদেরও শাস্তি দেবেন। 9 তারা অনন্তকাল বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে। তারা প্রভুর সঙ্গে থাকতে পারবে না এবং তাঁর মহাপরাক্রমের মহিমা থেকে তাদের দূরে রাখা হবে। 10 সেইদিন যীশু তাঁর পবিত্র লোকদের দ্বারা মহিমান্বিত হতে আসবেন, আর যারা যীশুতে বিশ্বাস করেছে তারা সবাই যীশুতে চমৎকৃত হবে। বিশ্বাসী ভাই ও বোনেরা, তোমরাও সেই বিশ্বাসীবর্গের মধ্যে থাকবে, কারণ আমরা যে বাণী তোমাদের বলছি তাতে তোমরা বিশ্বাস করেছ।
11 আর এই কারণেই আমরা তোমাদের জন্য সর্বদা প্রার্থনা করে চলেছি, যেন ঈশ্বর যে পবিত্র জীবনযাপন করার উদ্দেশ্যে তোমাদের আহ্বান করেছেন তোমরা তার যোগ্য বলে বিবেচিত হও। আরো প্রার্থনা করি যেন তাঁর শক্তি দ্বারা তিনি তোমাদের সদিচ্ছায় পূর্ণ সমস্ত বাসনা পূর্ণ করেন ও তোমাদের বিশ্বাস হতে উৎপন্ন প্রত্যেক কাজকে আশীর্বাদ করেন; 12 যেন আমাদের ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ অনুসারে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নাম তোমাদের মাধ্যমে মহিমান্বিত হয় আর তোমরাও তাতে মহিমান্বিত হও। সেই মহিমা আমাদের ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ থেকে লাভ হয়।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International