Old/New Testament
অরামকে নিয়ে সঙ্কট
7 আহস ছিলেন যোথমের পুত্র। যোথম ছিলেন ঊষিয়ের পুত্র। রৎসীন ছিলেন অরামের রাজা। আহসের রাজত্ব কালে সিরিয়ার রাজা রৎসীন এবং ইস্রায়েলের রাজা, রমলিয়ের পুত্র পেকহ জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারেন নি।
2 যিহূদার রাজবাড়ি দায়ূদের পরিবারকে জানানো হল যে, “অরাম এবং ইফ্রয়িমের (ইস্রায়েলের) সেনাদল জোটবদ্ধ হয়েছে। তারা একসঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে।” এই খবর শুনে রাজা আহস এবং তাঁর প্রজারা খুব ভয় পেয়ে গেলো। বনের গাছপালা যেমন বাতাসে নড়ে তেমনি তারাও ভয়ে কাঁপতে লাগল।
3 তখন প্রভু যিশাইয়কে বললেন, “তুমি এবং তোমার পুত্র শার-যাশূব যাবে এবং আহসের সঙ্গে কথা বলবার জন্য ধোপাদের মাঠের রাস্তার পাশে যেখানে জল উচ্চতর জলাশয়ের মধ্যে দিয়ে বইছে, সেখানে দেখা করবে।
4 “আহসকে বল, ‘সাবধানে থেকো, কিন্তু শান্ত থেকো! রৎসীন ও রমলিয়ের পুত্রকে ভয় পেয়ো না, কারণ তারা দুটি পোড়া কাঠির মত। অতীতে তারা খুব গরম ছিল। কিন্তু এখন তারা শুধুই ধোঁয়া। রৎসীন, অরাম এবং রমলিয়ের পুত্র ক্রুদ্ধ হয়ে রয়েছে। 5 তারা তোমার বিরুদ্ধে নানা ফন্দি এঁটেছে। তারা বলছে: 6 আমরা যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আমরা নিজেদের স্বার্থে যিহূদাকে ভাগ করে টাবেলের পুত্রকে যিহূদার নতুন রাজা বানাব।’”
7 প্রভু, আমার গুরু বললেন, “কিন্তু তাদের পরিকল্পনা সফল হবে না। 8 রৎসীন যতদিন দম্মেশকের শাসক থাকবে, ততদিন তাদের অভিসন্ধি খাটবে না। এখন ইফ্রয়িম (ইস্রায়েল) একটি দেশ, কিন্তু ভবিষ্যতে আজ থেকে 65 বছর পরে সেটি আর একটি দেশ থাকবে না। 9 যতদিন শমরিয়া ইফ্রয়িমের (ইস্রায়েল) রাজধানী থাকবে এবং যতদিন রমলিয়ের পুত্র শমরিয়ার শাসক থাকবে ততদিন তাদের ফন্দি সফল হবে না। তুমি যদি একথা বিশ্বাস না কর তাহলে লোকরা তোমাকে বিশ্বাস করবে না।”
ইম্মানূয়েল—ঈশ্বর আমাদের সহায়
10 তারপর প্রভু যিহূদার রাজা আহসকে আরও বললেন, 11 “প্রভু, তোমার ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি সংকেত চিহ্ন চেয়ে নাও যাতে তুমি নিজের কাছে প্রমাণ করতে পারো যে এগুলি সব সত্য। তুমি তোমার ইচ্ছেমতো যে কোন সংকেত চিহ্ন চাইতে পারো। চিহ্নটি মৃতের আলযের মতো গভীর থেকে অথবা আকাশের মত উঁচু থেকে আসতে পারে।”
12 কিন্তু আহস বললেন, “আমি প্রমাণ স্বরূপ কোন নিদর্শন চাই না। আমি প্রভুকে পরীক্ষাও করতে চাই না।”
13 যিশাইয় বললেন, “দায়ূদের পুত্র, আহস মন দিয়ে শোন। লোকের ধৈর্য্যের পরীক্ষা কি তোমাদের কাছে যথেষ্ট নয়? তোমরা কি আমার ঈশ্বরেরও ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিতে চাও? 14 ঈশ্বর, আমার প্রভু, তোমাদের একটা চিহ্ন দেখাবেন:
ঐ যুবতী মহিলাটি গর্ভবতী হবে
এবং দেখ সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে।
তার নাম রাখা হবে ইম্মানূয়েল।
15 যতদিন না পর্যন্ত ইম্মানূয়েল খারাপ কাজ প্রত্যাখান করে ভালো কাজ বেছে নিতে শিখবে
ততদিন পর্যন্ত সে দই ও মধু খাবে।
16 কিন্তু ছেলেটি ভালো কাজ করবার মত এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখান করবার মতো বোঝবার বয়সে এসে পৌঁছবার আগেই
ইফ্রয়িম এবং অরাম দেশ জনমানব বর্জিত হয়ে যাবে।
17 “তোমাদের প্রভুকে ভয় পাওয়া উচিৎ। কারণ তিনি তোমাদের জন্য দুঃসময় আনবেন। এই দুঃসময় তোমাদের কাছে, তোমাদের লোকদের কাছে এবং তোমাদের পিতৃকুলেও আসবে। ঈশ্বর কি করবেন? তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তিনি অশূরের রাজাকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
18 “সে সময় প্রভু ‘মাছি’ (এখন ‘মাছিটি’ মিশরের নদীর কাছে আছে।) এবং ‘মৌমাছিকে’ (‘মৌমাছিটি’ এখন অশূর দেশে আছে।) ডাক দেবেন। তারা তোমার দেশে এসে পৌঁছবে। 19 তারা মরুভূমির জলস্রোতের পাশে, পাথুরে গভীর খাদে, ঝোপঝাড়ে এবং জলময় গর্তের কাছে চাক বাঁধবে। 20 প্রভু যিহূদাকে শাস্তি দেবার জন্য অশূরকে ব্যবহার করবেন। প্রভু অশূরকে ভাড়া করবেন এবং সেটিকে একটি খুরের মতো ব্যবহার করা হবে। মনে হবে যেন প্রভু যিহূদার পা, মাথা এমনকি দাড়ি থেকেও চুল কামিয়ে নিচ্ছেন।
21 “এই সময় একজন লোক একটি যুবতী গাভী ও দুটি মেষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। 22 এরা সেই লোকটিকে যে দুধ দেবে তা মাখন খাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট হবে। দেশে যারা রয়ে গেছে তারা দই এবং মধু খাবে। 23 দেশের মাঠে মাঠে যে 1000 দ্রাক্ষা গাছ আছে তার প্রত্যেকটির মূল্য হবে 1000 রূপোর টুকরোর সমান। কিন্তু এই দ্রাক্ষা ক্ষেতগুলি আগাছা এবং কাঁটায় ভরে যাবে। 24 দেশ বন্য হয়ে উঠবে এবং শিকার ক্ষেত্রে পরিণত হবে। 25 যেখানে এক সময় লোকে পরিশ্রম করে খাদ্য উৎপন্ন করত, সেই পাহাড়গুলি আগাছা এবং কাঁটায় ভরে যাবে এবং সেখানে আর কেউ কখনও যাবে না। শুধুমাত্র মেষ এবং ষাঁড় সেখানে অবাধে বিচরণ করতে পারবে।”
অশূর শীঘ্র আসবে
8 প্রভু আমাকে বললেন, “বড় একটি পাকানো কাগজ নিয়ে এসো এবং তাতে একটি বিশেষ কলম দিয়ে লেখ: ‘এটা মহের-শালল-হাশ-বসের[a] উদ্দেশ্যে।’”
2 আমি কিছু লোককে একত্রিত করলাম যাদের সাক্ষী হিসেবে বিশ্বাস করা যায়। (এরা হল ঊরিয় যাজক ও যিবেরিখিয়ের পুত্র সখরিয়।) আমি ঐ কথা লেখার সময় এরা লক্ষ্য রাখল। 3 পরে আমি ভাববাদিনীর কাছে গেলাম। সে গর্ভবতী হয়ে পুত্র সন্তানের জন্ম দিল। তখন প্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম মহের-শালল-হাশ-বস রাখ।” 4 কারণ ছেলেটি “বাবা”, “মা” বলতে শেখার আগেই ঈশ্বর দম্মেশক ও শমরিয়ার সব ধনসম্পদ নিয়ে নেবেন এবং তা অশূর রাজার হাতে তুলে দেবেন।
5 প্রভু আবার আমাকে বললেন, 6 “এই লোকরা শীলোহের মৃদু স্রোতকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। তারা রৎসীন ও রমলিয়ের পুত্র পেকহকে নিয়ে খুশী হয়েছে। 7 কিন্তু আমি, প্রভু অশূর রাজাকে আনব এবং তার সমস্ত ক্ষমতা তোমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করব। তারা ফরাৎ নদীর শক্তিশালী বন্যার জলের মতো আসবে। জল ফুলে ফেঁপে যেমন নদীর দুকূল ছাপিয়ে তেড়ে আসে সে ভাবে তারা আসবে। 8 এই জল ঐ নদী উপচে যিহূদা দেশকে প্লাবিত করবে। এই জলে যিহূদা আকণ্ঠ নিমজ্জিত হবে এবং প্রায় গোটা দেশ ভেসে যাবে।
“হে ইম্মানূয়েল তোমার গোটা দেশকে গ্রাস না করা পর্যন্ত, এই বন্যা তার তাণ্ডব চালিয়ে যাবে।”
9 সমস্ত দেশসমূহ, তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।
তোমরা পরাজিত হবে।
সকল দূরবর্তী দেশের লোকরা শোন!
তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।
তোমরাও পরাজিত হবে।
10 তোমরা যুদ্ধের পরিকল্পনা তৈরী কর!
তোমাদের পরিকল্পনা পর্যুদস্ত হবে।
তোমাদের সেনাবাহিনীকে আদেশ দাও,
কিন্তু তোমাদের আদেশ নিস্ফল হবে।
কেননা ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন!
যিশাইয়ের প্রতি সাবধান বাণী
11 প্রভু শক্ত হাতে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। প্রভু আমাকে সতর্ক করে দিলেন এই লোকদের পথে না যেতে। প্রভু বললেন, 12 “প্রত্যেক লোকই বলছে যে অন্য লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তুমি এইসব জিনিস বিশ্বাস কোরো না। এইসব লোকরা যেসব বিষয়কে ভয় পায় তুমি তাতে ভয় পেও না!”
13 একমাত্র প্রভু সর্বশক্তিমানকেই তোমাদের ভয় পাওয়া উচিৎ। তাঁকেই তোমাদের সম্মান জানানো উচিৎ। 14 যদি তোমরা প্রভুকে সম্মান কর, তাঁকে পবিত্র বলে মান্য কর, তাহলেই তিনি তোমাদের পক্ষে এক নিরাপদ আশ্রয় হবেন। কিন্তু তোমরা তাঁকে সম্মান কর না। তাই ঈশ্বর একটা পাথরের মতো হবেন এবং তোমরা সেই পাথরের ওপর আছড়ে পড়বে। ইস্রায়েলের দুটি পরিবার এই পাথরের ওপর হোঁচট খাবে এবং তারা আঘাত পাবে। জেরুশালেমের সমস্ত লোককে আটক করতে প্রভু একটা ফাঁদ স্বরূপ হবেন। 15 অনেক লোক এই পাথরের ওপর হোঁচট খাবে, তারা পড়ে যাবে এবং আহত হবে। অনেকে ফাঁদে পড়ে ধরা পড়বে।
16 প্রভু বললেন: “একটা চুক্তি কর এবং তাতে সীলমোহর দিয়ে রাখো। ভবিষ্যতের জন্য আমার শিক্ষামালাকে সঞ্চয় করে রাখো। আমার অনুগামীদের সামনে এই কাজটি কর।” চুক্তিটি হল:
17 আমি আমাদের রক্ষা করতে প্রভুর জন্য অপেক্ষা করব।
তিনি যাকোবের পরিবারের থেকে মুখ লুকোচ্ছেন।
কিন্তু আমি প্রভুর জন্য অপেক্ষা করব।
তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
18 আমি এবং আমার ছেলেমেয়েরা ইস্রায়েলের লোকের চিহ্ন এবং প্রমাণ স্বরূপ। সিয়োন পর্বতনিবাসী প্রভু সর্বশক্তিমান আমাদের পাঠিয়েছেন।
19 এবং তারা যদি তোমাকে বলে, “মাধ্যমদের, জ্যোতিষীদের, গণৎকার এবং বাজীকরদের প্রশ্ন কর, লোকদের কি তাদের (নিজেদের) ঈশ্বরকে খোঁজা উচিৎ নয়? মৃতদের কাছে কি তারা জীবিতদের সম্পর্কে প্রশ্ন করবে?” 20 শিক্ষামালা এবং চুক্তি তোমাদের মেনে চলা উচিৎ। তোমরা এই আদেশগুলো না মানলে তোমাদের হয়তো ভুল আদেশ অনুসরণ করতে হবে। গুণীন এবং গণৎকারদের কাছ থেকে যে আদেশ ও উপদেশ আসে সেগুলো ভুল। এর কোন মূল্য নেই। এই আদেশ মেনে চললে তোমাদের কিছু লাভ হবে না।
21 তোমরা যদি ভুল, মিথ্যা আদেশ মেনে চল তাহলে দেশে বিপদ এবং দুর্ভির্ক্ষ দেখা দেবে। ক্ষুধার্ত লোক ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের রাজা ও তাঁর দেবতাদের শাপ দেবে। তারপর তারা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের খোঁজ করবে। 22 দেশের চারদিকে তাকিয়ে দেখলে তারা দেখতে পাবে শুধুই দুঃখ-দারিদ্র্য, হতাশাজনক অন্ধকার। তাদের জোর করে অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে।
মৃত্যু থেকে জীবন
2 অতীতে পাপের দরুন ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধের দরুন তোমাদের আত্মিক জীবন মৃত ছিল। 2 হ্যাঁ, অতীতে ঐসব পাপ নিয়ে তোমরা জীবনযাপন করতে। জগৎ যেভাবে চলে তোমরা সেভাবেই চলতে। তোমরা আকাশের মন্দ শক্তির অধিপতির অনুসরণকারী ছিলে। সেই একই আত্মা, এখনও যারা ঈশ্বরের অবাধ্য তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল। 3 অতীতে আমরা সকলে ঐ লোকদের মত চলতাম। আমাদের কুপ্রকৃতির লালসাকে চরিতার্থ করতে চেষ্টা করতাম। আমরা আমাদের দেহ ও মনের অভিলাষ অনুযায়ী চলতাম। আমাদের যে অবস্থা ছিল তার দরুন ঐশ্বরিক ক্রোধ আমাদের ওপর নেমে আসতে পারত, কারণ আমরা অন্য আর পাঁচজনের মতোই ছিলাম।
4 কিন্তু ঈশ্বরের করুণা অসীম। তিনি তাঁর মহান ভালবাসায় আমাদের কতো ভালবাসেন। 5 ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যেসব অন্যায় কাজ করেছিলাম তার ফলেই আমরা আত্মিকভাবে মৃত ছিলাম; কিন্তু ঈশ্বর খ্রীষ্ট যীশুর সাথে আমাদের নতুন জীবন দিলেন। আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহেই উদ্ধার পেয়েছি। 6 ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে আমাদের জীবিত করে স্বর্গীয়স্থানে তাঁর পাশে বসতে আসন দিয়েছেন। 7 ঈশ্বর এই কাজ করলেন যেন আগামী যুগপর্যায়ে তাঁর অতুলনীয় মহানুগ্রহ সকলের প্রতি দেখাতে পারেন। খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে এই অনুগ্রহ তিনি প্রকাশ করেছেন।
8 কারণ ঈশ্বরের অনুগ্রহের দ্বারা বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমরা উদ্ধার পেয়েছ। বিশ্বাস করাতেই তোমরা সেই অনুগ্রহ পেয়েছ। তোমরা নিজেরা নিজেদের উদ্ধার কর নি। কিন্তু তা ঈশ্বরের দানরূপে পেয়েছ। 9 তোমাদের নিজেদের কর্মের ফল হিসেবে তোমরা উদ্ধার পাও নি, তাই কেউই গর্ব করে বলতে পারে না যে সে তার নিজের দ্বারা উদ্ধার পেয়েছে। 10 কারণ ঈশ্বরই আমাদের নির্মাণ করেছেন। খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বর আমাদের নতুন সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা সর্বপ্রকার সৎ কাজ করি। এইসব সৎ কর্ম ঈশ্বর পূর্বেই আমাদের জন্য তৈরী করে রেখেছিলেন যাতে আমরা সেই সৎ কাজ করে জীবন কাটাতে পারি।
খ্রীষ্টেতে এক
11 তোমরা অইহুদী, পরজাতিরূপে জন্মেছিলে। তোমরাই সেই লোক যাদের সুন্নত ইহুদীরা বলে “অসুন্নত”। (তাদের সুন্নত হওয়া কেবল এক প্রক্রিয়া, যা দেহের ওপর মানুষের হাত দ্বারা করা হয়।) 12 মনে রেখো অতীতে সেই সময় তোমরা খ্রীষ্ট থেকে দূরে ছিলে। তোমরা ইস্রায়েলের নাগরিক ছিলে না। ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি করেছিলেন, তোমরা সেইসব প্রতিশ্রুতিযুক্ত চুক্তিগুলির বাইরে ছিলে। তোমাদের প্রত্যাশা ছিল না আর তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না। 13 এক সময় তোমরা ঈশ্বর থেকে বহুদূরে ছিলে, কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা নিকটবর্তী হয়েছ।
14 খ্রীষ্টই আমাদের শান্তির উৎস। ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে যে শত্রুভাব প্রাচীরের মত ব্যবধান সৃষ্টি করেছিল, খ্রীষ্ট নিজ দেহ উৎসর্গ করে ঘৃণা ও ব্যবধানের সেই প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছেন। 15 ইহুদীদের বিধি-ব্যবস্থায় অনেক আদেশ ও নিয়মকানুন ছিল; কিন্তু খ্রীষ্ট সেই বিধি-ব্যবস্থা লোপ করেছেন। খ্রীষ্টের উদ্দেশ্য ছিল ঐ দুই দলের মধ্যে শান্তি স্থাপন করা এবং নিজের মধ্যে দিয়ে ঐ দুই দল থেকে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি করা, 16 এবং ক্রুশের ওপর তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে দুই জনগোষ্ঠীকে ঈশ্বরের সাথে একই দেহে পুনর্মিলিত করা। এর ফলে দুই দলের মধ্যে যে শত্রুভাব ছিল, তার অবসান ঘটল। 17 তাই খ্রীষ্ট এসে, তোমরা যারা ঈশ্বর থেকে দূরে ছিলে, তোমাদের কাছে শান্তির বাণী প্রচার করলেন; আর যারা ঈশ্বরের কাছের লোক তাদের কাছে শান্তি নিয়ে এলেন। 18 হ্যাঁ, খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমরা সকলে একই আত্মার দ্বারা পিতার কাছে আসতে পারি।
19 তাই, হে অ-ইহুদীরা, এখন তোমরা আর আগন্তুক বা বিদেশী নও। এখন ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের সঙ্গে তোমরাও নাগরিক। তোমরা ঈশ্বরের পরিবারের সদস্য। 20 প্রেরিতরা ও ভাববাদীরা যে ভিত গেঁথেছিলেন তার ওপর তোমাদের গেঁথে তোলা হচ্ছে। খ্রীষ্ট স্বয়ং হচ্ছেন সেই দালানের গাঁথনীর প্রধান পাথর, 21 যা গোটা দালানটিকে ধরে রেখেছে। খ্রীষ্ট এই দালানটি গড়ে তোলেন যেন তা প্রভুতে এক পবিত্র মন্দিরে পরিণত হতে পারে। 22 খ্রীষ্টে তোমাদের অন্য মানুষদের সঙ্গে একই সাথে গেঁথে তোলা হচ্ছে। তোমাদের এমন এক স্থান হিসেবে গঠন করা হয়েছে যেখানে ঈশ্বর আত্মার মাধ্যমে বাস করেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International