Old/New Testament
1 শলোমনের অনন্য সাধারণ গীত।
ভালবাসার পুরুষটিকে নারীর উক্তি
2 চুম্বনে চুম্বনে আমায় ভরিয়ে দাও।
কারণ তোমার ভালোবাসা দ্রাক্ষারসের চেয়েও ভাল।
3 তোমার সুগন্ধি তেল দারুণ সৌরভময়।
তোমার নাম শ্রেষ্ঠতম সুগন্ধির মত।
তাই যুবতী নারীরা তোমাকে ভালোবাসে।
4 আমাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে চল!
চল, তোমাতে আমাতে কোথাও পালিয়ে যাই!
রাজা আমাকে তাঁর কক্ষে নিয়ে গেলেন।
পুরুষটির প্রতি জেরুশালেমের রমণীগণ
আমরা তোমাতে উল্লসিত এবং আনন্দিত।
আমরা তোমার প্রেমাচরণের প্রশংসা করব—যা দ্রাক্ষারসের চেয়েও ভাল।
যুবতী নারীরা যে তোমায় ভালোবাসে তা আর আশ্চর্য কি?
রমণীগণের সঙ্গে নারী কথা বলল
5 হে জেরুশালেমের কন্যারা,
আমি কৃষ্ণবর্ণা এবং সুন্দরী,
আমি কেদরের তাঁবুর মতো কালো এবং শলোমনের পর্দার মতো সুন্দর।
6 আমি কি কালো!
সে দিকে তোমরা দেখো না কারণ সূর্য আমাকে কালো করেই দেখায়।
আমার ভাইরা আমার প্রতি রাগে জ্বলছে।
তারা আমাকে তাদের দ্রাক্ষা ক্ষেতের দেখাশোনা করতে বাধ্য করেছে।
তাই আমি আমার নিজের দ্রাক্ষাক্ষেতের[a] যত্ন নিতে পারি নি।
পুরুষের প্রতি নারীর কথা
7 আমি আমার সকল অন্তঃকরণ দিয়ে তোমাকে ভালোবাসি!
আমায় বল, কোথায় তুমি তোমার মেষ চরাও?
দুপুরে কোথায় তুমি ওদের বিশ্রাম করাও?
যদি না হয়, তোমাকে খুঁজতে গিয়ে আমাকে তোমার সঙ্গী বন্ধুদের চার পাশে ভ্রাম্যময়ী বেশ্যার মত দেখাবে!
নারীর প্রতি পুরুষের উক্তি
8 আমাকে কোথায় খুঁজতে হবে যদি তুমি না জানো,
তবে হে সুন্দরী নারী,
তুমি মেষের পালগুলিকে অনুসরণ কর
এবং তোমার ছাগল ছানাগুলিকে মেষপালকদের তাঁবুর কাছে চরাও।
9 হে আমার প্রিয়তমা, আমার কাছে তুমি ফরৌণের রথ টেনে নিয়ে যাওয়া যৌনাঙ্গ ছেদ না করা যে কোন ঘোড়ীর চেয়ে বেশী উদ্দীপক।
ঐ ঘোড়াগুলোর মুখের পাশে এবং গলার চারপাশে অপূর্ব নক্শা করা আছে।
10 তোমার কপোল গহনার দ্বারা সুন্দরভাবে সজ্জিত।
তোমার কণ্ঠদেশ একটি কণ্ঠহার দ্বারা সজ্জিত।
11 চল আমরা তোমার জন্য
রৌপ্য খচিত সোনার গহনা তৈরী করি।
নারীর উক্তি
12 রাজা যখন আমার পাশে তাঁর কেদারায় শুয়েছিলেন
তখন আমার সুগন্ধির ঘ্রাণ তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছেছিল।
13 আমার প্রিয়তম আমার কাছে ভেষজ সুগন্ধির সৌরভের মত,
আমার স্তনযুগলের মধ্যে সারাটা রাত্রি ধরে বিরাজিত থাকে।
14 আমার প্রিয়তম আমার কাছে,
ঐন্-গদীয় দ্রাক্ষা ক্ষেতের মেহেন্দি ফুলের মত সুন্দর।
পুরুষের উক্তি
15 হে আমার প্রিয়তমা, তুমি সত্যিই সুন্দর!
আহা! কি সুন্দর!
তোমার চোখ দুটি পারাবতের মতই কোমল।
নারীর উক্তি
16 হে মম প্রিয়তম, তুমি অনুপম!
এবং তুমি প্রচণ্ড আকর্ষণীয়!
আমাদের শয্যা সবুজ ঘাসের বাগানের মতোই মনোরম!
17 আমাদের ঘরের কড়িকাঠগুলি এরস কাঠের
এবং বরগাগুলি দেবদারু কাঠে নির্মিত।
2 আমিই শারোণের গোলাপ
এবং উপত্যকার শাপলাফুল।
পুরুষের উক্তি
2 হে আমার প্রিয়তমা, সুন্দরী নারীদের মধ্যে
তুমি যেন কাঁটার মাঝখানে শাপলাফুল!
নারীর উক্তি
3 আমার প্রিয়তম, অন্যান্য পুরুষদের মধ্যে জংলী গাছের মধ্যে
তুমি একটি দুর্লভ আপেল গাছের মত!
রমণীগণের প্রতি নারীর উক্তি
আমার প্রিয়তমের ছায়ায় বসে
আমি তার সুমিষ্ট ফলের আস্বাদ গ্রহণ করি।
4 আমার প্রিয়তম আমাকে তার পান-শালায় নিয়ে গেল
এবং আমার প্রতি তার প্রেম প্রকটিত করলো।
5 শুকনো ফল দিয়ে আমায় উজ্জীবিত কর।
আপেল দিয়ে আমায় সঞ্জীবিত কর, কারণ আমি প্রেমে বিবশ হয়ে আছি।
6 আমার প্রেমিকের বাঁ হাত আমার মাথার নীচে রয়েছে
এবং তার ডান হাতে সে আমায় জড়িয়ে ধরেছে।
7 হে জেরুশালেমের কন্যাগণ, গজলা হরিণ এবং বন্য হরিণের নামে আমার কাছে প্রতিশ্রুতি কর
যতক্ষণ পর্যন্ত প্রস্তুত না হয়,
ভালবাসাকে জাগিও না।
নারীর পুনরুক্তি
8 শোন!
আমার প্রেমিক আসছে।
সে লাফ দিয়ে পর্বত পার হচ্ছে
এবং পাহাড় ডিঙিয়ে আসছে।
9 আমার প্রিয়তমটি একটি মৃগের মতো
বা হরিণ শাবকের মতো।
দেখ, সে আমাদের দেওয়ালের অন্য দিকে দাঁড়িয়ে আছে,
সে জানালার ভেতর দিয়ে বাইরে দেখছে।
সে জানালার খড়খড়ির ভেতর দিয়ে দেখছে।
10 আমার প্রিয়তম আমাকে বলে,
“ওঠো প্রিয়তম আমার, অদ্বিতীয় অনন্য আমার সঙ্গে চল!
আমরা চলে যাই!
11 দেখ, শীত গত হয়েছে,
বর্ষাকালও চলে গেছে।
12 মাঠে মাঠে ফুল ফুটছে,
পাখিদের গান গাইবার সময় এসে গেছে!
ঐ শোন, পারাবতের ডাক শোনা যাচ্ছে।
13 ডুমুরের ডালে ডালে কচি ডুমুর ধরেছে।
দ্রাক্ষার মুকুলের গন্ধে চারিদিক সুবাসিত।
ওঠো, প্রিয়তম আমার, অদ্বিতীয় অনন্য আমার, চল!
আমরা চলে যাই!”
পুরুষের উক্তি
14 হে আমার কপোত,
পর্বতের পেছনে
কেন লুকিয়ে আছো?
তোমাকে দেখতে দাও,
তোমার স্বর শুনতে দাও,
তোমার কণ্ঠস্বর অতীব মধুর,
এবং তুমি সত্যিই সুন্দর!
রমণীগণের প্রতি নারীর পুনরুক্তি
15 আমাদের জন্য শিয়ালগুলোকে ধর।
ঐ ছোট্ট শিয়ালগুলো দ্রাক্ষা ক্ষেত নষ্ট করে!
আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেত এখন ফুলে ফুলে ভরা।
16 আমার প্রিয়তম একমাত্র আমারই
এবং আমিও একমাত্র তারই!
তিনি শাপলা ফুলের মধ্যে চরান।
17 ছায়া বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে
দিগন্তের শেষ নিঃশ্বাস (বাতাস) যখন প্রবাহিত হয়
তখন, আমার প্রিয়তম,
নবীন হরিণের মত সুউচ্চ বেথর পর্বতে ফিরে এসো!
নারীর উক্তি
3 সারারাত ধরে আমি আমার প্রেমিককে কামনা করে
বিছানায় পড়েছিলাম।
যাকে আমি ভালোবাসি তাকে খুঁজেছি,
কিন্তু আমি তাকে পাই নি!
2 আমি শয্যা ত্যাগ করে এখুনি উঠে পড়বো!
আমি সারা শহরে ঘুরবো।
প্রত্যেকটি রাস্তার চৌমাথায় আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে খুঁজবো।
আমি তাকে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু আমি তাকে পাই নি!
3 নগরে যারা পাহারা দেয় সেই প্রহরীরা আমায় দেখেছে।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, “যাকে আমি ভালোবাসি তোমরা কি তাকে দেখেছো?”
4 প্রহরীদের অতিক্রম করার পরেই
আমি আমার ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেলাম!
আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম
এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার মায়ের বাড়ীতে
এবং যে ঘরে মা আমায় জন্ম দিয়েছিলেন সেখানে এলাম,
ততক্ষণ আমি তাকে যেতে দিই নি।
রমণীগণের প্রতি নারীর উক্তি
5 হে জেরুশালেমের রমণীগণ, গজলা হরিণ এবং বন্য হরিণের নামে আমার কাছে প্রতিশ্রুতি কর।
যতক্ষণ পর্যন্ত আমি বাসনা না করি,
ততক্ষণ প্রেমকে জাগিও না।
পুরুষটি ও তার বধূ
6 মরুভূমি থেকে
কে ঐ রমণী আসছে?
সে গুগ্গুল্, ধূনো ও বিদেশী মশলার গন্ধ নিয়ে
একটা ধোঁয়ার মেঘের মত আসছে।
7 ঐ দেখ, শলোমনের পাল্কী।
ইস্রায়েলের শক্তিশালী 60 জন সৈন্য
তাঁকে ঘিরে আছে!
8 ওরা প্রত্যেকেই সুদক্ষ যোদ্ধা;
রাতে যে কোন আক্রমণের মুখোমুখি হবার জন্য
ওদের তরবারি সবসময় প্রস্তুত আছে!
9 রাজা শলোমন তাঁর নিজের জন্য লিবানোনের এরস কাঠ দিয়ে
একটি ভ্রমণের সিংহাসন বানিয়েছেন।
10 এর স্তম্ভগুলি রূপোর তৈরী।
ভিত্তিটি সোনা দিয়ে তৈরী।
এর আসনখানি বেগুনী রঙের কাপড়ে ঢাকা।
ঐ আসনখানি জেরুশালেমের নারীদের ভালোবাসার দ্বারা খচিত ও অলংকৃত।
11 হে সিয়োনের রমণীরা,
তোমরা বেরিয়ে এসে রাজা শলোমনকে দেখ,
তাঁর আনন্দের দিনে, তাঁর বিয়ের দিনে,
তাঁর মা যে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন তাঁর মাথায়, তা দেখ!
অন্য প্রেরিতরা পৌলকে গ্রহণ করলেন
2 তারপর চৌদ্দ বছর পর আমি আবার জেরুশালেমে গেলাম। আমি বার্ণবার সঙ্গে গেলাম আর তীতকেও সঙ্গে নিলাম। 2 ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আদেশ অনুসারে আমি সেখানে গেলাম। সেখানকার বিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের কাছে এক গোপন সভায় অইহুদীদের কাছে যে সুসমাচার প্রচার করে থাকি তার ব্যাখ্যা করলাম। আমি চেয়েছিলাম যে তারা যেন বুঝতে পারে আমি কি কাজ করছি, যেন অতীতে যে কাজ করেছিলাম ও বর্তমানে আমি যা করছি তা বৃথা না হয়ে থাকে।
3 এর ফলস্বরূপ তীত, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি একজন গ্রীক হওয়া সত্ত্বেও এই নেতৃবর্গ তীতকে সুন্নত করার জন্য জোর করলেন না। 4 এইসব সমস্যা নিয়ে কথা বলার দরকার ছিল, কারণ কিছু ভণ্ড বিশ্বাসী গোপনে গুপ্তচরের মতো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছিল এবং খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের কতটা স্বাধীনতা আছে তা জানবার চেষ্টা করছিল, যাতে আমাদের তাদের দাস করতে পারে। 5 সেই ভণ্ড বিশ্বাসী ভাইরা যা চেয়েছিল তার কোন কিছুতেই আমরা মত দিই নি, যাতে সুসমাচার দ্বারা যে সত্য প্রকাশিত হয়েছিল তা তোমাদের সাথে থাকে।
6 মণ্ডলীতে যাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছিল তাদের কাছ থেকেও আমি নতুন কোন কিছু জানতে পারি নি। তাঁরা যেই হোন না কেন তাতে আমার কিছু এসে যায় না। ঈশ্বরের কাছে সবাই সমান আর তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। 7 কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দেখলেন যে ঈশ্বর আমাকে একটি বিশেষ কাজের ভার দিয়েছিলেন, যেমনটি পিতরকে দিয়েছিলেন। ঈশ্বর পিতরকে ইহুদীদের কাছে সুসমাচার প্রচারের ভার দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাকে অ-ইহুদীদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার ভার দিয়েছিলেন। 8 ইহুদীদের জন্য প্রেরিতের কাজ করতে ঈশ্বর পিতরকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন, তিনিই আবার আমাকেও প্রেরিতের কাজ করবার ক্ষমতা দিয়েছিলেন, কিন্তু যারা ইহুদী নয় তাদের জন্য। 9 যাকোব, পিতর এবং যোহন আপাতদৃষ্টিতে নেতা ছিলেন এবং তাঁরা যখন দেখলেন যে ঈশ্বর আমাকে প্রচারের একটি বিশেষ অনুগ্রহ দান করেছেন, তখন তাঁরা বার্ণবা এবং আমাকে তাদের সহভাগী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা আমাদের বললেন, “আমরা এই ব্যবস্থায় সম্মত যে, আমরা, অর্থাৎ পৌল এবং বার্ণবা অ-ইহুদীদের কাছে প্রচারে যাব; আর তাঁরা অর্থাৎ যাকোব, পিতর ও যোহন ইহুদীদের কাছে যাবেন।” 10 তাঁরা কেবলমাত্র একটি বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করলেন, যেন যারা দরিদ্র তাদের মনে রাখি। এ কাজটি করতে আমিও খুব উদগ্রীব ছিলাম।
পৌল পিতরের ভুল দেখিয়ে দেন
11 কিন্তু যখন পিতর আন্তিয়খিয়ায় এলেন, আমি সরাসরি তাঁর বিরোধিতা করলাম, কারণ তিনি স্পষ্টতই ভুল দিকে ছিলেন। 12 আন্তিয়খিয়ায় আসার পর প্রথমে তিনি অইহুদীদের সঙ্গে পানাহার ও মেলামেশা করতেন কিন্তু যাকোবের কাছে থেকে কিছু ইহুদী সেখানে এলে পিতর অইহুদীদের সঙ্গে পানাহার বন্ধ করে দিলেন। তিনি অইহুদীদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে নিজেকে পৃথক রাখলেন। তিনি সেই সমস্ত ইহুদীদের কথা মনে করে ভয় পাচ্ছিলেন, যারা মনে করত সব অইহুদী লোকদের সুন্নত হওয়া দরকার। 13 এরপর অন্যান্য অইহুদীরা পিতরের সঙ্গে এই ভণ্ডামিতে এমন মাত্রায় যোগ দিলেন যে বার্ণবাও এদের ভণ্ডামির দ্বারা প্রভাবিত হলেন। 14 আমি যখন দেখলাম যে তাঁরা সুসমাচারের সত্য অনুসারে সোজা পথে চলছেন না, তখন আমি পিতরকে সম্বোধন করে সবার সামনে বললাম: “আপনি একজন ইহুদী হয়ে যদি ইহুদীদের রীতিনীতি পালন না করেন, তবে যারা অইহুদী তাদের ইহুদীদের মতো সব কিছু পালন করতে জোর করছেন কেন?”
15 আমরা জন্মসূত্রে ইহুদী, অইহুদী পাপী নই। 16 তবু আমরা জানি যে মানুষ ঈশ্বরের সামনে বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয় বরং যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নির্দোষ গণিত হয়, তাই আমরা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করেছি, যাতে আমরা ঈশ্বরের সামনে বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয় বরং খ্রীষ্টে বিশ্বাসী বলেই নির্দোষ গণিত হই। কারণ কেউই বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা ঈশ্বরের সামনে নির্দোষ বলে বিবেচিত হয় না।
17 কিন্তু আমরা ইহুদীরা খ্রীষ্টে নির্দোষ বিবেচিত হতে গিয়ে যদি অইহুদীদের মত নিজেদের পাপী দেখাই, তবে তার অর্থ কি এই যে খ্রীষ্ট পাপকে উৎসাহিত করেন? কখনই না। 18 কারণ যা আমি ভেঙে ফেলেছি তা যদি আবার গঠন করি, তাহলে আমি নিজেকে নিয়ম ভঙ্গকারী হিসাবে প্রমাণ করি। 19 বিধি-ব্যবস্থার দিক থেকে আমি মৃত এবং বিধি-ব্যবস্থা হল আমার মৃত্যুর কারণ। এটা হয়েছে যাতে আমি ঈশ্বরের জন্য বাঁচি। আমি খ্রীষ্টের সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছি। 20 সুতরাং আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমার মধ্যে জীবিত আছেন; আমার দেহের মধ্যে যে জীবন আমি এখন যাপন করি, এ কেবল ঈশ্বরের পুত্রের ওপর বিশ্বাসের দ্বারাই করি, যিনি আমাকে ভালবেসেছেন এবং আমার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। 21 ঈশ্বরের অনুগ্রহ আমি প্রত্যাখান করি না, কারণ যদি বিধি-ব্যবস্থার দ্বারা ঈশ্বরের সামনে নির্দোষ গণিত হওয়া যায়, তবে খ্রীষ্ট মিথ্যাই প্রাণ দিয়েছিলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International