Old/New Testament
সুশিক্ষামালা সংকলন
7 ভাল সুগন্ধের চেয়ে সুনাম শ্রেয়।
একজন মানুষের যে দিন জন্ম হয় সেই দিনের থেকে তার মৃত্যুদিন ভাল।
2 উৎসবের গৃহে যাওয়ার চেয়ে শোকের গৃহে যাওয়া ভাল। কেন?
কারণ শোকের গৃহে লোকরা সত্যিই জানবে যে
সব মানুষই মরণশীল।
3 আনন্দের চেয়ে দুঃখ শ্রেয়।
কারণ যখন আমরা দুঃখ পাই তখন আমাদের হৃদয় শুদ্ধ হয়।
4 যে জ্ঞানী সে মৃত্যুর কথাও ভাবে
কিন্তু মূর্খ শুধুই আমোদ-প্রমোদের কথা চিন্তা করে।
5 একজন মূর্খের দ্বারা প্রশংসিত হওয়ার চেয়ে
জ্ঞানী ব্যক্তির দ্বারা সমালোচিত হওয়াও শ্রেয়।
6 মূর্খের অট্টহাসি হল পাত্রের নীচে জ্বলন্ত কাঁটার মতো
যা এতই তাড়াতাড়ি পুড়ে যায় যে পাত্রটি উত্তপ্ত পর্যন্ত হয় না। এটাও অসার।
7 একজন জ্ঞানী যদি কারো কাছ থেকে যথেষ্ট অর্থ পায়
তবে সে তার জ্ঞানও ভুলে যায়।
অর্থ তার বোধশক্তি নষ্ট করে দেয়।
8 কোন কিছু নতুন করে আরম্ভ করবার চেয়ে
তাকে শেষ করা ভাল।
অধৈর্য্য ও অহঙ্কারী হওয়ার চেয়ে
শান্ত ও ধৈর্য্যশীল হওয়া ভাল।
9 হঠাৎ রেগে ওঠা উচিৎ নয়।
কারণ রাগ করা মূর্খামি।
10 একথা বলা উচিৎ নয়, “এখনকার থেকে আগের সময় কেন বেশী ভাল ছিল।”
কারণ জ্ঞান আমাদের এই প্রশ্নের দিকে চালিত করে না।
11 সম্পত্তি থাকার চেয়ে জ্ঞান থাকা ভাল। যথেষ্ট সম্পদ ছাড়াও জ্ঞানী ব্যক্তিরা প্রকৃতপক্ষে বেশী লাভবান হন। 12 প্রজ্ঞা ও সম্পদ উভয়েই তোমাকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু যে জ্ঞান প্রজ্ঞার মাধ্যমে লাভ করা যায় তা তোমার জীবনকে দীর্ঘ করতে পারে!
13 ঈশ্বর যা করেছেন সে দিকে তাকিয়ে দেখ। যদি কোন কিছু তোমার ভুলও মনে হয় তবুও তুমি তা পাল্টাতে পারবে না! 14 জীবন সুন্দর, তাকে উপভোগ কর। কিন্তু জীবন যখন কষ্টকর হবে তখন মনে রেখো ঈশ্বর আমাদের সুসময় ও দুঃসময় দুইই দেন এবং কেউই জানে না ভবিষ্যতে কি হতে পারে।
মানুষ সত্যিকারের ভাল হতে পারে না
15 আমার এই অযোগ্য জীবনে আমি অনেক কিছু দেখেছি এবং আমি আরো দেখেছি কিভাবে দুষ্ট লোক দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। অথচ ধার্মিক লোক অল্প বয়সে মারা যায়। 16-17 কেন আত্মহনন করবে? কখনও খুব ভালও হবে না বা খুব খারাপও হবে না। বেশী জ্ঞানী বা বেশী মূর্খ কোনটাই হবে না। কেন তুমি তোমার অন্তিম সময়ের আগে মারা যাবে?
18 তুমি এদিক ওদিক দুদিকে থাকার চেষ্টা কর। এমনকি ঈশ্বরের অনুসরণকারীরাও কিছু ভাল ও কিছু মন্দ কাজ করে থাকে। 19 প্রজ্ঞা মানুষকে শক্তি জোগায়়। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি শহরের দশ জন শাসকের চেয়ে বেশী শক্তিশালী। 20 নিশ্চিতভাবে, এই ভূমণ্ডলে এমন একজনও ধার্মিক ব্যক্তি নেই যে কোন অন্যায় করে নি।
21 মানুষের সব কথায় কান দিও না। তুমি হয়তো শুনবে তোমার ভৃত্য তোমার নিন্দা করছে। 22 এবং তুমি জান যে তুমি নিজেও অনেক সময় অন্যদের বদনাম করেছ।
23 আমি আমার জ্ঞান দিয়ে এই সমস্ত কিছু ভেবে দেখেছি। আমি সত্যিকারের জ্ঞানলাভ করতে চেয়েছি। কিন্তু তা অসম্ভব। 24 আমি সমস্ত জিনিসের অস্তিত্বের ধরণ বুঝতে পারি না। এটা কারো পক্ষে বুঝে ওঠা খুবই কঠিন। 25 আমি অধ্যয়ন করেছি ও অনেক চেষ্টা করেছি সত্যিকারের জ্ঞান খুঁজে পেতে। আমি সব কিছুর ভেতরকার ব্যাখ্যা খুঁজে পেতে চেয়েছি। আমি কি শিখলাম?
আমি জানলাম অসৎ হওয়া বোকামো, মূর্খের মতো কাজ করা পাগলামো। 26 আমি আরো দেখেছিলাম যে কিছু নারী হল ভয়ঙ্কর এক ফাঁদের মতো, তাদের হৃদয় জালের মতো ও বাহু শিকলের মতো। এই রকম নারীর ফাঁদে পড়ার চেয়ে মৃত্যুও শ্রেয়। যে ঈশ্বরকে অনুসরণ করে সে এদের থেকে দূরে থাকবে। কিন্তু একজন পাপী এদের হাতে ধরা পড়বে।
27-28 উপদেশক বলল, “আমি এই সমস্ত কিছু যোগ করে দেখতে চেয়েছিলাম কোন উত্তর পাওয়া যায় কিনা। আমি এখনও উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। আমি কেবল মাত্র একটি জিনিষ খুঁজে পেলাম। হাজার জনের মধ্যে একজন ভাল মানুষ আছে। কিন্তু আমি একজনও ভাল মহিলাকে খুঁজে পাই নি।
29 “আমি আরো একটা জিনিস শিখেছিলাম: ঈশ্বরই সব ভালো মানুষ তৈরী করেন। কিন্তু মানুষ খারাপ পথে চালিত হয়।”
জ্ঞান ও শক্তি
8 কেউই একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মতো করে কোন জিনিসকে বুঝতে বা ব্যাখ্যা করতে পারবে না। তার জ্ঞানই তাকে সুখী করবে। একমাত্র জ্ঞানই দুঃখকে সুখে পরিণত করতে পারে।
2 আমি সর্বদা রাজার আদেশ মান্য করি। আমি এটা করি কারণ আমি ঈশ্বরের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি করেছি। 3 রাজাকে তোমার পরামর্শ জানাতে ভয় পেয়ো না। এবং কখনও অন্যায়কে সমর্থন কোরো না। কিন্তু মনে রেখো যে রাজা তাঁর ইচ্ছানুযায়ী আদেশ দেন। 4 রাজার আদেশ দেওয়ার অধিকার আছে এবং কেউই তাঁকে বলে দিতে পারে না তাঁর কি করা উচিৎ। 5 যে ব্যক্তি রাজার আদেশ মেনে চলে সরকারের সঙ্গে তার কোন সমস্যা হবে না। এবং একজন জ্ঞানী লোক জানে ঠিক কোন সময় এবং কিভাবে রাজার কাছে যেতে হবে।
6 এমনকি লোকের বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটি কাজের একটা সঠিক সময় ও সঠিক পদ্ধতি আছে। 7 আর সে নিশ্চিত ভাবে জানে না কি হতে পারে। কেন? কারণ কেউই তাকে বলতে পারবে না ভবিষ্যতে কি হবে।
8 কোন মানুষেরই তার আত্মাকে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। কেউই মৃত্যুকে আটকাতে পারবে না। যুদ্ধের সময় কোন সৈন্যেরই যেখানে খুশী যাওয়ার স্বাধীনতা নেই। একই ভাবে যদি কোন ব্যক্তি অন্যায় করে তবে সেই অন্যায় তাকে মুক্তি দেয় না।
9 আমি প্রত্যেকটি জিনিষ পর্যবেক্ষণ করেছি আর ভেবেছি কেন সূর্যের নীচে এরকম হয়। আমি এও দেখেছি যে একজন ব্যক্তি কিভাবে আর একজন ব্যক্তির ওপর আধিপত্যের জন্য ক্ষমতার পেছনে ছোটে। এটা তার পক্ষে খারাপ।
10 আমি দেখেছি কিভাবে মন্দ লোকদের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঐসব মন্দ লোক যথেচ্ছভাবে পবিত্র স্থানে যেত এবং তারা শহরে প্রকৃতপক্ষে কি করেছিল তা লোকে ভুলে যায়।
বিচার, পুরস্কার ও শাস্তি
11 কখনও কখনও মন্দ লোকরা তাদের খারাপ কাজের জন্য সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি পায় না। এজন্য তারা আরো খারাপ কাজে নিজেদের লিপ্ত করে।
12 একজন পাপী একশোটি খারাপ কাজ করতে পারে। সে দীর্ঘদিন বেঁচেও থাকতে পারে। কিন্তু আমি এও জানি যে ঈশ্বরকে মান্য করা ও শ্রদ্ধা করা অনেক ভাল। 13 মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করে না, তাই তারা কখনও ভাল কিছু পায় না। তারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে না। তাদের জীবন সেই ছায়ার মত হয় না যা সূর্যাস্তের পর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
14 আরো অনেক কিছু এই পৃথিবীতেই ঘটে থাকে যা অর্থহীন। কত সময়ে ভালো লোকের খারাপ হয় আবার খারাপ লোকের ভালো হয়। এর কোন মানে হয় না। 15 তাই আমি স্থির করেছিলাম যে জীবনকে উপভোগ করব। কেন? কারণ মানুষের পক্ষে সূর্যের নীচে প্রেয় হল খাদ্য, পানীয় ও আনন্দের মধ্যে জীবন উপভোগ করা। যাতে তারা প্রতিদিন কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে পারে, যা ঈশ্বর তাদের সূর্যের নীচে দিয়েছেন।
ঈশ্বর যা কিছু করেন তা আমরা বুঝতে পারি না
16 আমি নিজেকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করার দায়িত্ব নিলাম। লোকরা এই জীবনে যা করে থাকে তা আমি ভাল করে লক্ষ্য করেছিলাম। আমি দেখেছিলাম অনেক লোক ব্যস্ত। তারা দিন রাত কাজ করে এবং প্রায় ঘুমোয় না বললেই চলে। 17 আমি আরো অনেক কিছু দেখে ছিলাম যা ঈশ্বর করেন। আমি এও দেখে ছিলাম সূর্যের নীচে ঈশ্বর যা করেন লোকরা তা অবশ্যই বোঝে। একজন ব্যক্তি চেষ্টা করতে পারে কিন্তু সে সফল হবে না। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলতে পারেন যে তিনি ঈশ্বর যা করেন তা বোঝেন, কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়।
মৃত্যু কি ন্যায্য?
9 আমি এ সব কিছু গভীর ভাবে চিন্তা করেছিলাম। আমি দেখে ছিলাম ধার্মিক ও জ্ঞানী লোকরা যা করেন বা তাদের যা হয় সে সবই ঈশ্বরই নিয়ন্ত্রণ করেন। লোকরা জানে না তাদের ঘৃণা করা হবে, না ভালোবাসা হবে। লোকরা এও জানে না ভবিষ্যতে কি হবে।
2 কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একই জিনিস ঘটে। ভাল ও মন্দ উভয় ধরণের লোকরাই মারা যান। শুচি ও অশুচি দুধরণের লোকের কাছেই মৃত্যু আসে। যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় না তাদের মতো যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় তারাও মারা যায়। একজন ভাল লোকও একজন পাপীর মত মারা যায়। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দেয় সেও সেই ব্যক্তির মতো মারা যায়, যে ঈশ্বরের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে ভয় পায়।
3 সূর্যের নীচে যা কিছু খারাপ ঘটনা ঘটে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই পরিণতি হয়। এটাও খুবই খারাপ যে লোকেরা সবসময় মন্দ ও মূর্খের মতো চিন্তা করবে এবং সেই চিন্তা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে। 4 যে এখনও বেঁচে আছে সে যেই হোক্ না কেন তার জন্য আশা আছে। এই প্রবাদটি সত্যি যে:
জীবিত কুকুর মৃত সিংহের চেয়ে শ্রেয়।
5 জীবিত মানুষ জানে যে সে মারা যাবে। কিন্তু মৃত মানুষ কিছু জানে না। মৃত মানুষের আর কোন কিছু পাওয়ার নেই। মানুষ খুব তাড়াতাড়ি তাকে ভুলে যাবে। 6 একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর ভালবাসা, ঘৃণা, ঈর্ষা কোন কিছু অবশিষ্ট থাকে না। একজন মৃত ব্যক্তি সূর্যের নীচে যা কিছু হবে তাতে আর ভাগ নেবে না।
যতক্ষণ পারো জীবনকে উপভোগ কর
7 তুমি তোমার খাদ্য ও পানীয়কে উপভোগ কর। যদি তুমি এসব করো ঈশ্বর আনন্দিত হবেন। 8 তোমার পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখো এবং মাথায় তেল ব্যবহার করো। 9 সূর্যের নীচে তোমার অযোগ্য জীবন যতদিন থাকে ততদিন তোমার স্ত্রী, যাকে তুমি ভালবাস তার সঙ্গে তুমি জীবন উপভোগ কর এবং তোমার কাছে যা কিছু আছে তা হল এই। তোমার জীবনে যে সব কাজ তোমায় করতে হবে তা উপভোগ করো। 10 তোমাকে যে কাজই দেওয়া হোক্ না কেন সব সময় সেটা উদ্যমসহ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। মৃত্যুর পর আমরা সবাই একই জায়গায় যাব। সেখানে কোন কাজ, কোন চিন্তা, কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা থাকে না।
সৌভাগ্য? দুর্ভাগ্য? আমরা কি করতে পারি?
11 আমি পৃথিবীতে আরো কিছু জিনিস লক্ষ্য করলাম। যে জোরে দৌড়ায় সে সবসময় প্রতিযোগীতায় জেতে না; একটি শক্তিশালী সৈন্যদল সব সময় যুদ্ধে জেতে না। জ্ঞানী ব্যক্তি সব সময় তার কষ্টোপার্জিত আহার পায় না, যে চালাক সে সব সময় সম্পদ পায় না। একজন বিদ্বান ব্যক্তি সব সময় তার প্রাপ্য যশ পায় না। এমন সময় আসে যখন প্রত্যেকের কাছে আশাতীত প্রতিকুলতা ঘটে।
12 একজন মানুষ হল সেই জালে পড়া মাছের মত যে জানে না তা পরবর্তীকালে কি হবে, সেই ফাঁদে পড়া পাখির মতো যে তার ভবিষ্যত জানে না। কিন্তু আমি জানি একজন মানুষ হঠাৎই দুর্ভাগ্যের ফাঁদে পড়ে যায়।
জ্ঞানের শক্তি
13 যখনই আমি কোন মানুষকে প্রজ্ঞার মতো কাজ করতে দেখেছি তা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। 14 একটি ছোট শহরে খুব অল্প সংখ্যক লোক বাস করত। একজন রাজা শহরটি জয় করতে এলেন এবং তার সেনাবাহিনী দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললেন এবং শহরের চারপাশে অবরোধ গঠন করলেন। 15 কিন্তু সেই শহরে একজন জ্ঞানী মানুষ বাস করতেন যিনি দরিদ্র ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর জ্ঞান ব্যবহার করে সেই শহরকে রক্ষা করেন। সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ সেই দরিদ্র লোকটির কথা ভুলে যায়। 16 কিন্তু আমি এখনও বলব যে দৈহিক শক্তির চেয়ে জ্ঞান শ্রেয়। সেই লোকরা দরিদ্র লোকটির জ্ঞানের কথা ভুলে যায়, তার কথা শুনতে ভুলে যায়। কিন্তু তবুও আমি জ্ঞানকে শ্রেয় বলে মনে করি।
17 একজন জ্ঞানী ব্যক্তির শান্ত, সৌম্য কথা বলা
মূর্খদের মধ্যে একজন শাসকের গর্জনের চেয়ে ঢের ভাল।
18 যুদ্ধে ব্যবহৃত তরবারি ও তীরের চেয়ে জ্ঞান শ্রেয়।
কিন্তু একজন পাপী ভাল জিনিসকে নষ্ট করে ফেলতে পারে।
শেষ সতর্ক বার্তা ও শুভেচ্ছা
13 এই তৃতীয়বার আমি তোমাদের কাছে যাচ্ছি। “দুই বা তিন জন সাক্ষীর প্রমাণ দ্বারা প্রত্যেক মামলার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।”(A) 2 দ্বিতীয় বার আমি যখন তোমাদের ওখানে গিয়েছিলাম, তখন যারা পাপ জীবনযাপন করছিল তাদের আমি তখনই সতর্ক করে দিয়েছিলাম। এখন যখন আমি দূরে তখন আবার তোমাদের সাবধান করছি। যখন আমি পুনরায় তোমাদের দেখতে আসব, তখন সেইসব পাপীদের অথবা অন্য যে কেউ পাপ করে তাকে রেহাই দেব না। 3 কারণ খ্রীষ্ট, যিনি আমার মাধ্যমে কথা বলেন, তোমরা তো তাঁরই প্রমাণ চাও। তিনি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে দুর্বল নন, বরং তিনি তোমাদের মধ্যে শক্তিমান। 4 কারণ এটা সত্য যে তিনি তাঁর দুর্বলতার জন্য ক্রুশের ওপর পেরেক বিদ্ধ হয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বরের পরাক্রমে তিনি এখন জীবিত। এও সত্য যে আমরাও তাঁতে (খ্রীষ্টে) দুর্বল, কিন্তু তোমাদের জন্য আমরা ঈশ্বরের পরাক্রম দ্বারা তাঁর সাথে বাস করব।
5 নিজেদের পরীক্ষা করে দেখ, তোমাদের বিশ্বাস আছে কি না; প্রমাণের জন্য নিজেদের যাচাই কর। তোমরা কি জান না যে খ্রীষ্ট যীশু তোমাদের মধ্যে আছেন? কিন্তু এ বিষয়ে যদি তোমাদের অন্তরে সেই প্রমাণ না পাও, তবে খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে নেই। 6 আশা করি তোমরা একথা স্বীকার করবে যে আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। 7 আমরা ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি, যেন তোমরা কোন অন্যায় না কর। এর অর্থ এই নয় যে আমরা যে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি সেটা স্পষ্ট হোক্ বরং আমরা ব্যর্থ হয়েছি মনে হলেও যেন যা ন্যায় তোমরা তাই কর। 8 কারণ আমরা সত্যের বিপক্ষে কিছুই করতে পারি না, কেবল সত্যের সপক্ষে করতে পারি। 9 তোমরা শক্তিশালী হলে আমরা দুর্বল হলেও আনন্দ করি। আমরা প্রার্থনাও করি, যেন তোমাদের খ্রীষ্টীয় জীবন উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে ওঠে। 10 এই কারণে যখন আমি তোমাদের থেকে দূরে তখন আমি এই সমস্ত লিখছি; যাতে আমি যখন তোমাদের সাথে থাকব, তখন আমাকে যেন তোমাদের শাস্তি দিতে বা তিরস্কার করতে না হয়। সেই ক্ষমতা তোমাদের ভেঙে ফেলবার জন্য নয়, কিন্তু তোমাদের আত্মিক জীবন গড়ে তোলবার জন্যই প্রভু আমাকে দিয়েছেন।
11 আমার ভাই ও বোনেরা, সব শেষে বলি, বিদায়। সিদ্ধি লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা কর, আমি যা বলেছি সেই অনুসারে কাজ কর, একমনা হও, মিলে মিশে শান্তিতে থাক, তাতে প্রেমের ও শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
12 পবিত্র চুম্বন দিয়ে পরস্পরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিও। ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা তোমাদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
13 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, ঈশ্বরের প্রেম এবং পবিত্র আত্মার সহভাগীতা তোমাদের সকলের সহবর্তী হোক্।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International