Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
উপদেশক 1-3

এগুলি হল, উপদেশকের কথা যিনি ছিলেন দায়ূদের পুত্র এবং জেরুশালেমের রাজা।

সবই এত অর্থহীন! তাই উপদেশকের মতে সবই অসার, সবই সময়ের অপচয়! মানুষ সূর্যের নীচে যে কঠিন পরিশ্রম করে সে কি তার কোন ফল পায়? না!

কোন কিছুই বদলায় না

বংশপরম্পরা পর্যায়ক্রমে আসে এবং যায়। কিন্তু পৃথিবী চিরন্তণ। সূর্য ওঠে আবার অস্ত যায়। তারপর দ্রুত ফিরে যায় সেই একই জায়গায় যেখান থেকে আবার সূর্য ওঠে।

বাতাস দক্ষিণে বয় এবং উত্তরেও বয়। বাতাস চারিদিক ঘুরে ঘুরে আবার তার নিজের জায়গায় ফিরে যায়।

সব নদী বার বার একই দিকে বয়ে চলে। সমস্ত নদীই সমুদ্রে গিয়ে মেশে কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না।

সব কথাই ক্লান্তিকর। কিন্তু তবুও লোকে কথা বলে। আমরা সব সময়ই কথা শুনি কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট হই না। আবার সব সময় আমরা যে সব জিনিস দেখি তাতেও আমাদের মন ভরে না।

কোন কিছুই নতুন নয়

সব জিনিসই সৃষ্টির সময় যেমন ছিল সে রকমই থেকে যায়। যা আগে করা হয়েছে তাই আবার পরেও করা হবে। সূর্যের নীচে কোন কিছুই নতুন নয়।

10 এমন কোন কিছু নেই যাকে কোন ব্যক্তি নতুন বলতে পারে! যে জিনিসকে মানুষ নতুন বলবে তা আমাদের জন্মের আগে থেকেই বর্তমান।

11 যা অনেক আগে ঘটে গেছে সে ঘটনা লোকে মনে রাখে না। এখন যা ঘটছে ভবিষ্যতে তা লোকে ভুলে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম মনেও রাখবে না আগেকার লোক তাদের জন্য কি করে গেছে।

প্রজ্ঞা কি সুখের উৎস?

12 আমি উপদেশক, আমি ছিলাম জেরুশালেমের অন্তর্গত ইস্রায়েলের রাজা। 13 সূর্যের নীচে যা কিছু ঘটে তাকে আমি প্রজ্ঞা দ্বারা জানতে চেয়েছিলাম। আমি জানতে পেরেছিলাম যে ঈশ্বর লোকদের যা করতে দেন তা খুবই কঠিন ও কষ্টকর। 14 আমি দেখেছিলাম সূর্যের নীচে যা কিছু করা হয় তা সবই অসার, সময়ের অপচয় মাত্র। এ যেন অনেকটা হাওয়ার পেছনে ছোটা। 15 যা কিছু বাঁকা তাকে পাল্টে সোজা করা সম্ভব নয়। যা নেই তাকে সরবরাহ করা যায় না।

16 আমি নিজেকে বলেছিলাম, “জেরুশালেমে আমার পূর্বে যেসব ব্যক্তি ছিলেন, তাঁদের সকলের চেয়েও আমি বেশী প্রজ্ঞাবিশিষ্ট হয়েছি। আমি সত্যিই জানি প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের অর্থ কি!”

17 আমি জানতে চেয়েছিলাম জ্ঞান ও বিদ্যা কিভাবে অজ্ঞানতার চেয়ে ভালো। কিন্তু আমি জেনেছিলাম যে জ্ঞানলাভের চেষ্টা করা মানে শুধুই হাওয়ার পিছনে ছোটা। 18 জ্ঞানের সঙ্গে আসে হতাশা। যে মানুষ যত বেশী জ্ঞান লাভ করে সে তত বেশী দুঃখ পায়।

“লঘু আনন্দে” কি সুখ পাওয়া যায়?

আমি নিজেকে বলেছিলাম, “আমি যতটা সম্ভব সব কিছুকে উপভোগ করব।” কিন্তু আমি জানতে পেরেছিলাম যে এসবই অসার। হাসি জিনিষটা বোকামি; আনন্দ কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে না।

তাই আমি ঠিক করেছিলাম দ্রাক্ষারস পান করে শরীরকে ও জ্ঞানলাভ করে মনকে ভাল রাখব। আমি এরকম বোকামি করেছিলাম কারণ আমি সুখের সন্ধান পেতে চেয়েছিলাম। আমি বুঝতে চেয়েছিলাম এই অল্প দিনের জীবনে মানুষের কি করা উচিৎ‌।

কঠিন পরিশ্রম কি সুখের উৎস?

তারপর আমি নানা মহৎ‌‌ কাজ করতে শুরু করেছিলাম। আমি নিজের জন্য নানা জায়গায় বাড়ি তৈরী করেছিলাম। দ্রাক্ষার ক্ষেত তৈরী করেছিলাম। আমি বাগান করেছিলাম। উপবন করেছিলাম, আমি সব রকম ফলের গাছ লাগিয়েছিলাম। আমি নিজের জন্য পুকুর কাটিয়ে ছিলাম। আমি সেই পুকুরের জল আমার বাগানের গাছে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতাম। আমি পুরুষ ও স্ত্রী ক্রীতদাস কিনেছিলাম এবং আমি যখন তাদের মালিকানা পেলাম তখন তাদের ছেলেমেয়ে ছিল। আমার অনেক ঐশ্বর্য ছিল। আমার অনেক গরু ও মেষের পাল ছিল। আমি এত ধনী ছিলাম যে সে রকম ধনী জেরুশালেমে কেউ ইতিপূর্বে ছিল না।

আমি আমার নিজের জন্য সোনা ও রূপা সংগ্রহ করেছিলাম। আমি বিভিন্ন দেশের রাজাদের কাছ থেকে ধন সংগ্রহ করেছিলাম। আমাকে খুশী করার জন্য অনেক গায়ক ও গায়িকা ছিল। আমার কাছে সবই ছিল যা সকলের কাছে প্রয়োজনীয়। আমার কাছে সমস্ত রকমের বাদ্যযন্ত্র ছিল।

আমি বিরাট ঐশ্বর্য ও খ্যাতি লাভ করেছিলাম। জেরুশালেমে আমার আগে যে সমস্ত লোক ছিল আমি ছিলাম তাদের সবার চেয়ে মহৎ‌‌। আমার জ্ঞান ছিল সব সময় আমার সহায়। 10 আমার চোখে যা ভাল লাগত এবং আমাকে যা খুশী করত, আমি তা সবই পেতাম। আমি কঠিন পরিশ্রম করে যা কিছু করেছিলাম তা নিয়ে আনন্দিত ছিলাম এবং আমার এইসব জিনিস প্রাপ্য ছিল, কারণ আমি এর জন্য কাজ করেছিলাম।

11 কিন্তু আমি যখন আমার সমস্ত কাজের কথা, পরিশ্রমের কথা চিন্তা করলাম তখন দেখলাম সবই সময়ের অপচয়! এসবই ছিল হাওয়ার পিছনে ছোটা। সূর্যের নীচে আমরা যা করি তাতে কোন লাভ নেই।

হতে পারে জ্ঞানই এর একমাত্র উত্তর

12 একজন পুরাতন রাজা ইতিমধ্যেই যা করেছে, একজন নতুন রাজা তার চেয়ে বেশী কিছু করতে পারে না। তাই আমি আমার বিজ্ঞতার, ভুলভ্রান্তির ও পাগলামির কথা আবার ভাবতে শুরু করলাম। 13 অন্ধকারের থেকে আলো যেমন ভালো জ্ঞানও ঠিক তেমনি অজ্ঞানতার চেয়ে ভালো। 14 একজন জ্ঞানী মানুষ তার পথ দেখবার জন্য তার চোখ ব্যবহার করে। কিন্তু যে মূর্খ সে শুধুই অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়।

কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম যে একজন জ্ঞানী ও মূর্খ উভয়ের পরিসমাপ্তি একই। অবশেষে তারা উভয়েই মারা যায়। 15 আমি নিজে ভেবেছিলাম, “একজন মূর্খের যে পরিণতি হয় আমারও তাই হবে। তবে আমি কেন জ্ঞান লাভের জন্য এত কঠিন পরিশ্রম করব?” আমি নিজেকে বললাম, “জ্ঞানী হওয়াও অর্থহীন।” 16 জ্ঞানী ও মূর্খ উভয়েরই পরিণতি মৃত্যু এবং মানুষ জ্ঞানী বা মূর্খ কাউকেই চিরকাল মনে রাখবে না। তারা যা কিছু করেছিল ভবিষ্যতে তা মানুষ ভুলে যাবে। তাই জ্ঞানী ও মূর্খ প্রকৃত অর্থে একই।

জীবনে কি প্রকৃত সুখ বলে কিছু আছে?

17 এতে আমার জীবনের প্রতি ঘৃণা এসে গেল। আমার মনে হল যে পৃথিবীতে আমার কাছে যা কিছু আছে তা সবই অর্থহীন। সবই হাওয়াকে ধরবার চেষ্টা করবার মত।

18 সূর্যের নীচে আমার সমস্ত কঠিন পরিশ্রমের কাজে আমার ঘৃণা জন্মেছিল। যার জন্য আমি কঠিন পরিশ্রম করে গিয়েছি তা আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাব। আমার কঠিন পরিশ্রমের ফল আমি আমার সঙ্গে রাখতে পারব না। 19 আমি যা কিছু শিখেছি এবং যা কিছু কাজ করেছি তা অন্য কোন লোক নিয়ন্ত্রণ করবে। এমনকি আমি এটাও জানতে পারব না যে সে জ্ঞানী হবে কি মূর্খ। এটাও অসার।

20 আমি সূর্যের নীচে যা কিছু কাজ করেছি তার জন্য আমি দুঃখিত। 21 একজন ব্যক্তি তার সমস্ত প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও পারদর্শীতা দিয়ে কঠিন পরিশ্রম করতে পারে। কিন্তু তার পরিশ্রমের ফল তার মৃত্যুর পর অন্য লোক ভোগ করবে। সেই লোকরা বিনা আয়াসে সব কিছু পেয়ে যাবে। এটাও অসার এবং এ একটা ভীষণ পাপ।

22 একজন ব্যক্তি সূর্যের নীচে তার জীবনভর সংগ্রামের পর কতটুকু পায়? 23 সে সারা জীবন পায় শুধু যন্ত্রণা, হতাশা আর কঠিন পরিশ্রম। এমনকি রাতেও সে বিশ্রাম পায় না। এটাও অসার।

24-25 আমার থেকে বেশী আর কে জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছে? এবং সব শেষে আমি এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম। মানুষের পক্ষে সব চেয়ে ভালো কাজ হল খাওয়া-দাওয়া করা ও তার কাজকে উপভোগ করা। আমি দেখেছিলাম ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে জীবন উপভোগ করা সম্ভব নয়। 26 একজন মানুষ যদি ভাল কাজ করে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে, তাহলে ঈশ্বর তাকে জ্ঞান, বিদ্যা ও আনন্দ দেন। কিন্তু যে পাপী সে শুধুই সংগ্রহ আর বহনের কাজ পাবে। মন্দ লোকের কাছ থেকে নিয়ে ঈশ্বর ভালো লোককে পুরস্কার দেন। কিন্তু সমস্ত কাজই অর্থহীন। সবই হাওয়ার পিছনে ছোটা।

একটি সময় আছে

সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। এবং সূর্যের নীচে একটা নির্দিষ্ট সময় সব কিছুই ঘটবে।

জন্মেরও যেমন একটি সময় আছে,
    মৃত্যুরও তেমনি সময় আছে।
রোপণের সময় আছে
    এবং তুলে ফেলারও সময় আছে।
হত্যার এবং সারিয়ে তোলার
    একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।
ধ্বংসেরও যেমন নির্দিষ্ট সময় আছে
    তেমনি তৈরী করারও নির্দিষ্ট সময় আছে।
কান্নারও সময় আছে,
    হাসারও সময় আছে।
দুঃখ পাবার যেমন সময় আছে,
    তেমনি আনন্দে নাচ করারও সময় আছে।
অস্ত্র নামিয়ে রাখার,
    আবার তা তুলে নেবারও নির্দিষ্ট সময় আছে।[a]
কাউকে আলিঙ্গন করার যেমন সময় আছে
    আবার আলিঙ্গন না করে তাকে এড়িয়ে যাবারও সময় আছে।
কাউকে খোঁজার যেমন সময় আছে
    আবার তা ফেলে দেবারও সময় আছে।
কাউকে রেখে দেওয়া
    বা কাউকে ছুঁড়ে দেওয়ারও নির্দিষ্ট সময় আছে।
জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলার যেমন সময় আছে
    তেমনি তা সেলাই করারও সময় আছে।
নীরব থাকারও যেমন সময় আছে
    তেমনি সরব হওয়ারও সময় আছে।
ভালোবাসা
    এবং ঘৃণা করারও সময় আছে।
যুদ্ধেরও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে
    আবার শান্তি রক্ষা করারও সঠিক সময় আছে।

ঈশ্বর তাঁর পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করেন

একজন মানুষ কি তার কঠোর পরিশ্রমের কোন মূল্য পায় না? না! 10 আমি দেখেছি ঈশ্বর আমাদের সমস্ত কঠিন পরিশ্রমের কাজ করতে দেন। 11 ঈশ্বর আমাদের তাঁর পৃথিবী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা ঈশ্বরের কাজের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত হতে পারি না এবং এখন ঈশ্বর সব কিছু সঠিক সময়ই করেন।

12 আমি জানি যে মানুষ সারা জীবন সুখে ও আনন্দে বেঁচে থাকতে পারবে—এটাই সবচেয়ে মহৎ‌‌ কাজ। 13 ঈশ্বর চান প্রত্যেকে পানীয়, খাদ্য এবং তাদের কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাক। এই হল ঈশ্বরের উপহার।

14 আমি জানি ঈশ্বর যা করেন তা চিরস্থায়ী হয়। মানুষ ঈশ্বরের কর্মকাণ্ডকে বাড়াতেও পারে না এবং কমাতেও পারে না। আর ঈশ্বর তা করেছেন কারণ যাতে মানুষ তাঁকে সম্মান জানায়। 15 অতীতে যে ঘটনাগুলি ঘটেছিল সেগুলিকে আমরা বদলাতে পারব না। ভবিষ্যতে যা ঘটার তা ঘটবে এবং আমরা তাকেও বদলাতে পারব না। কিন্তু ঈশ্বর দেখেন কি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।[b]

16 আমি সূর্যের নীচে এই ঘটনাগুলির সাক্ষী। আদালতে সাধুতা ও নিষ্কলঙ্ক থাকা উচিৎ‌। কিন্তু আমি সেখানেও দুষ্টতা দেখেছি। 17 তাই আমি নিজেকে বলেছিলাম, “সব কিছুর পেছনেই ঈশ্বরের একটি সময়ানুযায়ী পরিকল্পনা আছে এবং ঈশ্বর নির্দিষ্ট সময়েই মানুষের কাজের বিচার করবেন। ঈশ্বর ভাল এবং খারাপ মানুষদের বিচার করবেন।”

মানুষ কি ঠিক পশুদেরই মতো?

18 মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যা যা করে সেই বিষয়ে আমি ভেবেছিলাম এবং আমি নিজেকে বলেছিলাম, “ঈশ্বর মানুষকে পশুর মতোই দেখতে চান।” 19 মানুষ কি পশুদের চেয়ে শ্রেয়? না! কেন? কারণ সব কিছুই অর্থহীন। পশু এবং মানুষদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে—উভয়েরই মৃত্যু আসে। মানুষ এবং পশুরা একই “নিঃশ্বাস” নেয়। একটি মৃত মানুষ ও মৃত পশুর মধ্যে কি কোনও পার্থক্য আছে? 20 মানুষ এবং পশুদের দেহ একই ভাবে বিলীন হয়। তারা মাটি থেকেই আসে এবং মাটিতেই ফিরে যায়। 21 কে জানে মানুষের আত্মার কি হয়? কে বলতে পারে পশুর কোন আত্মা যখন মাটির নীচে প্রবেশ করছে তখন হয়তো কোন মানুষের আত্মা ঈশ্বরের কাছে যাচ্ছে?

22 তাই আমি দেখে ছিলাম সব থেকে ভাল উপায় হল একজন মানুষ তার যা আছে এবং সে যা করেছে তাই নিয়ে আনন্দে মেতে থাকা। এবং একজন মানুষের তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিৎ‌ নয়। কেন? কারণ কেউ সেই ব্যক্তিকে তার ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা দর্শন করাতে পারবে না।

2 করিন্থীয় 11:16-33

পৌল নিজের দুঃখভোগের কথা বললেন

16 আমি আবার বলছি, কেউ আমাকে মূর্খ মনে না করুক, কিন্তু যদি তোমরা মনে কর, তবে আমাকে মূর্খ বলেই গ্রহণ কর; তাতে আমিও একটু গর্ব করতে পারব। 17 আমি নিজেকে জানি তাই আমি গর্ব করি। এখন আমি যা বলছি তা প্রভুর আদেশ মত বলছি না কিন্তু এক নির্বোধের মতোই এই গর্ব করছি। 18 যেহেতু অনেকেই জাগতিক বিষয়ে গর্ব করে, তাই আমিও গর্ব করব। 19 কারণ তোমরা যারা বুদ্ধিমান তারা নির্বোধ লোকদের প্রতি আনন্দের সাথে সহিষ্ণুতা দেখিয়ে থাক। 20 আমি জানি তোমরা সহিষ্ণু, এমন কি, তাদের প্রতিও যারা তোমাদের আদেশ করে, শোষণ করে, ফাঁদে ফেলে, নিজেদের তোমাদের থেকে ভাল বলে মনে করে অথবা তোমাদের গালে চড় মারে। 21 একথা বলতে আমার লজ্জা বোধ হয় যে আমরা তোমাদের প্রতি নিতান্ত “দুর্বল” বলেই দুরকম ব্যবহার করি নি!

কিন্তু গর্ব করার মতো যথেষ্ট সাহস যদি কারো থাকে, তবে আমি সাহসী হব ও গর্ব করব। আমি মূর্খের মতো কথা বলছি। 22 তারা কি ইব্রীয়? আমিও তাই। তারা কি ইস্রায়েলী? আমিও তাই। তারা কি অব্রাহামের বংশধর? আমিও তাই। 23 তারা কি খ্রীষ্টের সেবক? এমন গর্ব করা পাগলের মত শোনালেও আমি তাদের থেকে অনেক বেশী খ্রীষ্টের সেবা করছি। আমি তাদের থেকে অনেক বেশী কঠোর পরিশ্রম করেছি, তাদের থেকে বহুবার বেশী কারাদণ্ড ভোগ করেছি, অনেকবার চাবুকের মার সহ্য করেছি, অনেকবার মৃত্যুমুখে পড়েছি।

24 ইহুদীদের কাছ থেকে পাঁচবার উনচল্লিশটি করে চাবুকের মার খেতে হয়েছে। 25 তিনবার আমাকে লাঠিপেটা করেছে, একবার আমার ওপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে, তিনবার ঝড়ে জাহাজ ডুবিতে আমি কষ্ট পেয়েছি এবং সারা দিনরাত অগাধ জলের মধ্যে কাটিয়েছি। 26 স্থলপথে যাত্রাকালে বহুবার বিপদে পড়েছি, নদী থেকে বিপদ এসেছে, কতবার ডাকাতের হাতে, কতবার আমার আপনজন, ইহুদী ও অইহুদীদের দ্বারা বিপদগ্রস্ত হয়েছি। শহরের মধ্যে মহা বিপদে পড়তে হয়েছে, কখনও গ্রামাঞ্চলে, কখনও বিপদ সঙ্কুল সমুদ্রের মধ্যে এবং ভণ্ড খ্রীষ্টীয়ানদের কাছ থেকে।

27 অনেকবার অনাহারে দিন কাটিয়েছি, যথেষ্ট পোশাকের অভাবে প্রচণ্ড শীতে কষ্ট পেয়েছি। 28 আর সব সমস্যা যাক, একটি সমস্যা প্রতিদিন আমার ওপরে চেপে রয়েছে, তা হল সমস্ত মণ্ডলীর চিন্তা। 29 কেউ দুর্বল হলে আমি কি সেই দুর্বলতার সহভাগী হই না? কেউ বাধা পেয়ে পাপের পথে নেমে গেলে আমি কি রাগে জ্বলে উঠি না?

30 যদি গর্ব করতে হয়, তবে আমার নানা দুর্বলতার বিষয়ে গর্ব করব। 31 প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি যুগে যুগে প্রশংসিত তিনি জানেন যে আমি মিথ্যা বলছি না। 32 যখন আমি দম্মেশকে ছিলাম, তখন রাজা আরিতার অধীনস্থ রাজ্যপাল আমাকে বন্দী করার জন্য দম্মেশকীয়দের সেই শহরের চারপাশে পাহারা বসিয়েছিলেন। 33 কিন্তু আমার বন্ধুরা শহরের পাঁচিলের একটা ফাঁক দিয়ে একটা ঝুড়িতে করে আমাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এইভাবে সেই রাজ্যপালের হাত থেকে পালিয়েছিলাম।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International