Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 116-118

116 প্রভু যখন আমার প্রার্থনা শোনেন,
    তখন আমার ভালো লাগে।
আমি যখন সাহায্যের জন্য ডাকি
    তখন তিনি আমার কথা শুনলে আমার ভালো লাগে।
আমি প্রায় মৃত হয়ে গিয়েছিলাম!
    আমার চার দিকে মৃত্যুর দড়িগুলো জড়ানো ছিল।
কবর আমার ওপর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসছে।
    আমি সংকটযুক্ত ও দুঃখিত হলাম।
তখন আমি প্রভুর নামকে আমন্ত্রণ করলাম।
    আমি বলেছিলাম: “প্রভু, আমায় রক্ষা করুন!”
প্রভু মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
    ঈশ্বর দয়াময়।
প্রভু অসহায় মানুষের যত্ন নেন।
    আমি সহায়হীন ছিলাম, প্রভু আমায় রক্ষা করেছেন।
হে আমার আত্মা, তোমার বিশ্রামের স্থানে ফিরে এস!
    প্রভু তোমার সম্পর্কে যত্ন নেবেন।
হে ঈশ্বর, আপনি আমার আত্মাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছেন
    এবং আপনি আমার অশ্রু নিবারণ করেছেন।
    আপনি আমায় পতন থেকে রক্ষা করেছেন।
জীবিতদের রাজ্যে, আমি প্রভুর সেবা অব্যাহত রাখব।

10 যখন আমি বলেছি, “আমি ধ্বংস হয়ে গেছি”
    তখনও আমি বিশ্বাস করে চলেছি।
11 হ্যাঁ, যখন আমি বিমর্ষ ছিলাম,
    তখন বলেছিলাম, “সব লোকই মিথ্যাবাদী।”

12 আমি প্রভুকে কি আর দিতে পারি?
    আমার যা কিছু আছে সবই প্রভু দিয়েছেন!
13 তিনি আমায় রক্ষা করেছেন,
    তাই আমি তাঁকে পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবো।
    আমি প্রভুর নাম আমন্ত্রণ করবো।
14 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রভুকে আমি তা দেবো।
    আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।

15 প্রভুর অনুগামীদের একজনের মৃত্যু প্রভুর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    প্রভু, আমি আপনার একজন দাস!
16 আমি আপনার দাস,
    আমি আপনারই এক দাসীর সন্তান।
    প্রভু, আপনিই আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন!
17 আমি আপনাকে ধন্যবাদ উৎসর্গ করবো।
    আমি প্রভুর নাম স্মরণ করবো।
18 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি প্রভুকে আমি তা দেবো।
    আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।
19 আমি জেরুশালেমের মন্দিরে যাবো।

    প্রভুর প্রশংসা কর।

117 তোমরা জাতিসকল, প্রভুর প্রশংসা কর।
    তোমরা সব লোকেরা, প্রভুর প্রশংসা কর।
প্রভু আমাদের খুব ভালোবাসেন!
    এবং প্রভু চিরদিনই আমাদের প্রতি সৎ‌ থাকবেন।

প্রভুর প্রশংসা কর!

118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
    তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
ইস্রায়েল এই কথা বল,
    “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
যাজকরা তোমরা বল,
    “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
তোমরা লোকেরা যারা প্রভুকে উপাসনা কর,
    তোমরা বলো, “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”

আমি সমস্যায় পড়েছিলাম তাই সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম।
    প্রভু আমায় উত্তর দিয়েছেন এবং আমায় মুক্ত করেছেন।
আমার সঙ্গে প্রভু আছেন, তাই আমি ভয় পাবো না।
    লোকেরা আমাকে আহত করার জন্য কিছু করতে পারে না।
প্রভুই আমার সহায়।
    আমি আমার শত্রুদের পরাজিত দেখবো।
মানুষকে বিশ্বাস করার থেকে
    প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
তোমাদের নেতাদের বিশ্বাস করা থেকে
    প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।

10 বহু শত্রু আমাকে ঘিরে ধরেছিল।
    কিন্তু প্রভুর শক্তির দ্বারা আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করেছি।
11 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় ঘিরেই যাচ্ছিল।
    প্রভুর শক্তির সাহায্যে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
12 ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছির মত শত্রুরা আমায় ঘিরে ধরেছিলো।
    কিন্তু দ্রুত জ্বলনশীল ঝোপের মত ওরা শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
প্রভুর শক্তি দিয়ে আমি ওদের পরাজিত করেছি।

13 আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিলো এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো।
    কিন্তু প্রভু আমায় সাহায্য করেছিলেন।
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
    প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
    প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
    তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।

17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
    এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
    কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
    আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
    একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
    এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
    এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
    আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।

25 লোকেরা বললো, “প্রভুর প্রশংসা কর!
    প্রভু আমাদের রক্ষা করেছেন!
26     সেই লোকটিকে স্বাগত জানাও, যে প্রভুর নাম নিয়ে আসছে।”
যাজকরা উত্তর দিয়েছিলো, “আমরা তোমাকে প্রভুর গৃহে স্বাগত জানাই!
27 প্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি আমাদের গ্রহণ করেন।
    বলির জন্য একটা মেষ বাঁধ এবং সেটাকে বেদীর কোণে নিয়ে চল।”

28 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
    আমি আপনার প্রশংসা করি!
29 প্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি মঙ্গলময়।
    তাঁর প্রকৃত প্রেম চিরন্তন।

1 করিন্থীয় 7:1-19

বিবাহ বিষয়ক কথা

তোমরা যে সব বিষয়ে লিখেছ সে সম্বন্ধে এখন আলোচনা করব। একজন পুরুষের বিয়ে না করাই ভাল। কোন পুরুষের কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক না থাকাই ভাল। কিন্তু যৌন পাপের বিপদ আছে, তাই প্রত্যেক পুরুষের নিজ স্ত্রী থাকাই উচিত, আবার প্রত্যেক স্ত্রীলোকের নিজ স্বামী থাকা উচিত। স্ত্রী হিসাবে তার যা যা বাসনা স্বামী যেন অবশ্যই তাকে তা দেয়; ঠিক তেমনি স্বামীর সব বাসনাও যেন স্ত্রী পূর্ণ করে। স্ত্রী নিজ দেহের ওপর দাবী করতে পারে না, কিন্তু তার স্বামী পারে। ঠিক সেই রকম স্বামীরও নিজ দেহের ওপর দাবী নেই, কিন্তু তার স্ত্রীর আছে। স্বামী, স্ত্রী তোমরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে আপত্তি করো না, কেবল প্রার্থনা করার জন্য উভয়ে পরামর্শ করে অল্প সময়ের জন্য আলাদা থাকতে পার, পরে আবার একসঙ্গে মিলিত হয়ো যেন তোমাদের অসংযমতার জন্য শয়তান তোমাদের প্রলোভনে ফেলতে না পারে। আমি এসব কথা হুকুম করার ভাব নিয়ে বলছি না, কিন্তু অনুমতি দিচ্ছি। আমার ইচ্ছা সবাই যেন আমার মতো হয়, কিন্তু প্রত্যেকে ঈশ্বরের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বরদান পেয়েছে, একজন এক রকম, আবার অন্যজন অন্য রকম।

অবিবাহিত আর বিধবাদের সম্পর্কে আমার বক্তব্য, “তারা যদি আমার মতো অবিবাহিত থাকতে পারে তবে তাদের পক্ষে তা মঙ্গল। কিন্তু যদি তারা নিজেদের সংযত রাখতে না পারে তবে বিয়ে করুক, কারণ কামের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরার চেয়ে বরং বিয়ে করা অনেক ভাল।”

10 এখন যারা বিবাহিত তাদের আমি এই আদেশ দিচ্ছি। অবশ্য আমি দিচ্ছি না, এ আদেশ প্রভুরই—কোন স্ত্রী যেন তার স্বামীকে পরিত্যাগ না করে। 11 যদি সে স্বামীকে ছেড়ে যায় তবে তার একা থাকা উচিত অথবা সে যেন তার স্বামীর কাছে ফিরে যায়। স্বামীর উচিত নয় স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা।

12 এখন আমি অন্য সমস্ত লোকদের বলি, আমি বলছি, প্রভু নয়। যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী ভাইয়ের অবিশ্বাসী স্ত্রী থাকে আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে, তবে সেই স্বামী যেন তাকে পরিত্যাগ না করে। 13 আবার যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী স্ত্রীলোকের অবিশ্বাসী স্বামী থাকে আর সেই স্বামী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে তবে সেই স্ত্রী যেন তার স্বামীকে ত্যাগ না করে। 14 কারণ বিশ্বাসী স্ত্রীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্বামী আর বিশ্বাসী স্বামীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্ত্রী পবিত্রতা লাভ করে। তা না হলে তোমাদের ছেলে মেয়েরা অশুচি হত, কিন্তু এখন তারা পবিত্র।

15 যাই হোক্ যদি অবিশ্বাসী বিশ্বাসীকে ছেড়ে যেতে চায় তবে তাকে তা করতে দাও। তখন ভাই বা বোন বাধ্যবাধকতার জন্য আটকে থাকবে না। ঈশ্বর আমাদের শান্তিময় জীবনযাপনের জন্যই আহ্বান করেছেন। 16 বিশ্বাসী স্ত্রী, তুমি হয়তো তোমার স্বামীকে উদ্ধারের পথ করে দেবে এবং বিশ্বাসী স্বামী তুমি এইভাবে হয়তো তোমার স্ত্রীর উদ্ধারের কারণ হয়ে উঠবে।

ঈশ্বরের আহ্বান অনুসারে জীবনযাপন কর

17 প্রভু যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আর ঈশ্বর যাকে যেমন আহ্বান করেছেন, সে সেইভাবে জীবনযাপন করুক। এই আদেশ আমি সব মণ্ডলীতে দিচ্ছি। 18 কাউকে কি সুন্নত হওয়া অবস্থায় আহ্বান করা হয়েছে? সে যেন সুন্নতকে বাতিল না করে। কাউকে কি অসুন্নত অবস্থায় আহ্বান করা হয়েছে? তার সুন্নত হওয়ার প্রয়োজন নেই। 19 সুন্নত হোক্ বা না হোক্, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঈশ্বরের আদেশ পালনই হল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International