Old/New Testament
ইষ্রাহীয় এথনের কাছ থেকে একটি মস্কীল।
89 প্রভুর প্রেম সম্পর্কে আমি সর্বদাই গান গাইবো।
তাঁর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে আমি চিরকাল এবং অনন্তকাল গাই গাইবো!
2 প্রভু, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনার ভালোবাসা চিরন্তন!
আপনার বিশ্বস্ততা আকাশের মত থেকে যায়!
3 ঈশ্বর বলেছেন, “আমার মনোনীত রাজার সঙ্গে আমি একটি চুক্তি করেছি।
আমার দাস দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
4 ‘দায়ূদ, তোমার পরিবারকে আমি চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবো।
তোমার রাজ্যকে আমি চিরকাল অব্যাহত রাখতে সাহায্য করব।’”
5 প্রভু, আপনি আশ্চর্য কার্য্য করেন। এই জন্য আকাশ আপনার প্রশংসা করে।
লোকেরা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে। পবিত্র লোকেদের মণ্ডলীতে শুধুমাত্র এই সম্পর্কেই গান করে।
6 স্বর্গে প্রভুর সমকক্ষ কেউ নেই।
অন্য কোন “দেবতার” সঙ্গে প্রভুকে তুলনা করা চলে না।
7 ঈশ্বর পবিত্র লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ওই পবিত্র দূতরা তাঁর চারপাশে জড়ো হয়।
ওরা ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
ওরা তাঁর ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
8 হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নয়।
আমরা সম্পূর্ণভাবে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
9 আপনি পরাক্রমশালী সমুদ্রকে শাসন করেন,
এর উত্তাল তরঙ্গমালাকে আপনি শান্ত করে দিতে পারেন।
10 হে ঈশ্বর, আপনি রহবকে পরাজিত করেছিলেন।
আপনার শক্তিশালী বাহু বলে আপনি আপনার শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করেছিলেন।
11 হে ঈশ্বর, স্বর্গ এবং মর্ত্য আপনার অধিকারভুক্ত।
এই পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
12 উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে সবই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
তাবোর ও হর্ম্মোণ পর্বত আপনার নামের প্রশংসা করছে।
13 আপনার বাহু পরাক্রমবিশিষ্ট!
আপনার হস্ত শক্তিমান!
বিজয়ী হয়ে আপনার ডানহাত উপরের দিকে ওঠে!
14 সত্য ও ন্যায় বিচারের ওপর আপনার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত।
প্রেম এবং বিশ্বাস আপনার রাজাসনের দাস।
15 ঈশ্বর, আপনার নিষ্ঠাবান অনুগামীরা সত্যিই সুখী।
তারা আপনার করুণার আলোকে বাস করে।
16 আপনার নাম সর্বদাই তাদের সুখী করে।
তারা আপনার ধার্ম্মিকতার প্রশংসা করে।
17 আপনি তাদের বিস্ময়কর শক্তি।
তাদের শক্তি আপনার কাছ থেকে আসে।
18 প্রভু, আপনিই আমাদের রক্ষাকর্তা।
ইস্রায়েলের পবিত্র একজনই আমাদের রাজা।
19 আপনার বিশ্বস্ত অনুগামীদের সঙ্গে আপনি এক স্বপ্নদর্শনের কথা বলেছিলেন,
“জনতার মধ্যে থেকে আমি একজন তরুণকে মনোনীত করেছি।
আমি সেই তরুণকে একজন গুরুত্বপূর্ণ লোক করে তুলেছি।
সেই তরুণ সৈন্যকে আমি শক্তিশালী করেছি।
20 আমার দাস দায়ূদকে আমি খুঁজে পেয়েছি।
বিশেষ তৈল দ্বারা আমি দায়ূদকে অভিষিক্ত করেছি।
21 আমার ডান হাত দিয়ে আমি দায়ূদকে সহায়তা দিয়েছি
এবং আমার শক্তি দিয়ে আমি তাকে শক্তিশালী করেছি।
22 এই মনোনীত রাজাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারে নি।
দুষ্ট লোকরা ওকে হারাতে পারে নি।
23 আমি ওর শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি।
যারা আমার মনোনীত রাজাকে ঘৃণা করেছে, তাদের আমি পরাজিত করেছি।
24 যে রাজাকে আমি পছন্দ করেছি, তাকে আমি সর্বদা ভালোবাসবো ও সমর্থন করবো।
সর্বদাই আমি তাকে শক্তিশালী করে তুলবো।
25 আমার মনোনীত রাজাকে আমি সমুদ্রের দায়িত্ব দিয়েছি।
নদীগুলোকে সে নিয়ন্ত্রণ করবে।
26 সে আমাকে বলবে, ‘আপনিই আমার পিতা।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার শিলা, আমার পরিত্রাতা।’
27 আমি তাকে আমার প্রথম জাত সন্তান করবো।
সে পৃথিবীর সব রাজাদের ওপরে মহারাজা হবে।
28 আমার প্রেম, ওই মনোনীত রাজাকে সব সময়েই রক্ষা করবে।
ওর সঙ্গে আমার চুক্তি কোনদিন শেষ হবে না।
29 আমি ওর পরিবারকে চিরকাল অব্যাহত রাখব।
ওর রাজ্য স্বর্গগুলির মতই চিরদিন বজায় থাকবে।
30 ওর উত্তরপুরুষরা যদি আমার বিধি ত্যাগ করে,
যদি ওরা আমায় মান্য করা থেকে বিরত হয়, আমি ওদের শাস্তি দেবো।
31 যদি আমার মনোনীত রাজার উত্তরপুরুষরা
আমার বিধি আজ্ঞা উপেক্ষা করে,
32 তাহলে আমি ওদের ভয়ানক শাস্তি দেবো।
33 কিন্তু ওদের ওপর থেকে কখনও আমার ভালোবাসা প্রত্যাহার করবো না।
সর্বদাই আমি ওদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবো।
34 দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনও আমার চুক্তি ভঙ্গ করবো না।
আমি আমাদের চুক্তির পরিবর্তনও করবো না।
35 আমার পবিত্রতা দিয়ে, আমি ওকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনই মিথ্যাচার করবো না!
36 দায়ূদের পরিবার চিরদিনের জন্য অব্যাহত থাকবে।
যতকাল সূর্য থাকবে ততকাল ওর রাজ্য বজায় থাকবে।
37 চাঁদের মতই ওর রাজত্ব চিরদিন বজায় থাকবে।
আকাশই আমার সেই চুক্তির প্রমাণ দেয়। এই চুক্তি বিশ্বাস যোগ্য।”
38 কিন্তু ঈশ্বর, আপনার মনোনীত রাজার প্রতি আপনি ক্রুদ্ধ হয়েছেন,
এবং আপনি তাকে বরাবরই ত্যাগ করেছেন।
39 আপনার চুক্তি আপনি বাতিল করে দিয়েছেন।
আপনি রাজার মুকুটকে ধূলোয় নিক্ষেপ করেছেন।
40 রাজার নগরীর প্রাচীর আপনি মাটিতে ফেলে দিয়েছেন।
তার সব দুর্গকে আপনি ধ্বংস করেছেন।
41 পথচারী মানুষ তার জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।
তার প্রতিবেশীরা তাকে বিদ্রূপ করে।
42 রাজার সব শত্রুকে আপনি খুশী করেছেন।
তার শত্রুদের আপনি যুদ্ধে জয়ী হতে দিয়েছেন।
43 ঈশ্বর, আপনি ওদের নিজেদের রক্ষা করতে সাহায্য করেছেন।
আপনার রাজাকে আপনি যুদ্ধে জয় করতে সাহায্য করেন নি।
44 আপনি তাকে জয়ী হতে দেন নি।
তার সিংহাসনকে আপনি ভূ-লুন্ঠিত করেছেন।
45 তার যৌবনেই আপনি তার জীবনকে ছোট করে দিয়েছেন।
তাকে আপনি লজ্জা দিয়েছেন।
46 প্রভু, আর কতদিন ওই সব চলবে?
আপনি কি চিরদিন আমাদের উপেক্ষা করবেন?
আপনার ক্রোধ কি চিরদিনই আগুনের মত জ্বলতে থাকবে?
47 স্মরণ করে দেখুন আমার জীবন কত নাতিদীর্ঘ।
আপনি আমাদের সকলকেই সামান্য সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন, এরপর আমরা মারা যাবো।
48 কেউ চিরদিন বাঁচবে না, এবং এমন কেউই নেই যে মরবে না।
কোন ব্যক্তিই কবর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।
49 হে ঈশ্বর, সেই প্রেম কোথায় যা অতীতে আপনি প্রদর্শন করেছিলেন?
আপনি দায়ূদকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার পরিবারের প্রতি আপনি বিশ্বাসভাজন থাকবেন।
50-51 হে প্রভু, স্মরণে রাখবেন, কেমন করে লোকরা আপনার দাসকে অপমান করেছিলো।
প্রভু, আপনার শত্রুদের কাছ থেকে সেই সব অপমান আমায় শুনতে হয়েছে।
ওই লোকরা আপনার মনোনীত রাজাকে অপমান করেছে।
52 ধন্য প্রভু চিরকালের জন্য!
আমেন! আমেন!
চতুর্থ খণ্ড
(গীতসংহিতা 90–106)
ঈশ্বরের লোক, মোশির প্রার্থনা।
90 হে প্রভু, আমাদের সমস্ত প্রজন্মের জন্য আপনি আমাদের গৃহ ছিলেন।
2 হে ঈশ্বর, পর্বতমালার জন্মের আগে,
এই পৃথিবীর এবং জগৎ সৃষ্টির আগে, আপনিই ঈশ্বর ছিলেন।
হে ঈশ্বর, আপনি চিরদিন ছিলেন এবং আপনি চিরদিন থাকবেন।
3 এই পৃথিবীতে আপনিই মানুষকে এনেছেন।
আপনি পুনরায় তাদের ধূলোয় পরিণত করেন।
4 আপনার কাছে হাজার বছর গতকালের মত,
যেন গত রাত্রি।
5 আপনি আমাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেন, আমাদের জীবন একটা স্বপ্নের মত, সকাল হলেই আমরা চলে যাই।
আমরা ঘাসের মত।
6 সকালে ঘাসগুলো জন্মায়
এবং বিকেলে তা শুকিয়ে মরে যায়।
7 ঈশ্বর, আপনার ক্রোধ আমাদের ধ্বংস করে দিতে পারে
এবং তা আমাদের ভীত করে!
8 আমাদের সব পাপ আপনি জানেন।
ঈশ্বর, আমাদের প্রত্যেকটি গোপন পাপ আপনি দেখতে পান।
9 আপনার ক্রোধ আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে।
ফিস্ফিসানি কথার মত আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়।
10 আমরা হয়তো বা 70 বছর বেঁচে থাকি।
যদি আমরা শক্তিশালী হই তাহলে হয়তো 80 বছর বেঁচে থাকতে পারি।
আমাদের জীবন কঠোর পরিশ্রম এবং যন্ত্রণায় ভরা।
তারপর হঠাৎ আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায় এবং আমরা উড়ে চলে যাই।
11 হে ঈশ্বর, আপনার ক্রোধের পূর্ণ শক্তি কতখানি তা কোন ব্যক্তিই জানে না।
কিন্তু ঈশ্বর, আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভয় আপনার ক্রোধের মতই বিরাট।
12 আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে যে কত ছোট তা আমাদের দেখান।
যাতে আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
অপরের সমালোচনা করো না
14 বিশ্বাসে যে দুর্বল, এমন কোন ভাইকে তোমাদের মধ্যে গ্রহণ করতে অস্বীকার করো না। তার ভিন্ন ধারণা নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক করো না। 2 এক একজন বিশ্বাস করে যে তার যা ইচ্ছা হয় এমন সব কিছুই সে খেতে পারে; কিন্তু যে বিশ্বাসে দুর্বল সে মনে করে যে সে কেবল শাকসব্জী খেতে পারে। 3 যে ব্যক্তি সব খাবারই খায় সে যেন যে কেবল সব্জীই খায়, তাকে হেয় জ্ঞান না করে। আর যে মানুষ কেবল সব্জী খায়, তারও উচিত সব খাবার খায় এমন লোককে ঘৃণা না করা, কারণ ঈশ্বর তাকেও গ্রহণ করেছেন। 4 তুমি অন্যের ভৃত্যের দোষ ধরবে না। সে ঠিক করছে না ভুল করছে তা তার মনিবই ঠিক করবেন; বরং প্রভুর দাস নির্দোষই হবে কারণ প্রভু তাকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করতে পারেন।
5 কেউ হয়তো মনে করে এই দিনটি ঐ দিনটির থেকে ভাল, আবার কেউ মনে করে সব দিনই সমান ভাল। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ মনে তার বিশ্বাস সম্বন্ধে স্থির নিশ্চয় হোক। 6 যে কোন দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকে সে প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে। তেমনি যে মানুষ সবরকম খাবারই খায়, সেও প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে কারণ সে ওই খাবারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। এদিকে যে ব্যক্তি কিছু খাদ্য গ্রহণে বিরত থাকে সেও তো প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে।
7 হ্যাঁ, আমরা সকলেই প্রভুর জন্য বেঁচে থাকি। আমরা কেউ নিজের জন্য বেঁচে থাকি না, কেউ নিজের জন্য মরেও যাই না। 8 আমাদের বেঁচে থাকা তো প্রভুরই উদ্দেশ্যে বেঁচে থাকা, আমরা যদি মরি তবে তো প্রভুর জন্যই মরি। তাই আমরা বাঁচি বা মরি, যে ভাবেই থাকি না কেন, আমরা প্রভুরই। 9 এইজন্যই খ্রীষ্ট মৃত্যু বরণ করলেন ও পুনরায় বেঁচে উঠলেন, যাতে তিনি মৃত ও জীবিত সকলেরই প্রভু হতে পারেন।
10 তাহলে তোমরা কেন খ্রীষ্টেতে তোমার এক ভাইয়ের দোষ ধর? তোমার ভাইয়ের থেকে তুমি ভাল, এমন কথাই বা ভাব কি করে? আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে। আর ঈশ্বর আমাদের বিচার করবেন। 11 হ্যাঁ, শাস্ত্রে লেখা আছে:
“‘প্রত্যেক ব্যক্তি আমার সামনে নতজানু হবে।
প্রত্যেক ওষ্ঠাধর স্বীকার করবে যে আমি ঈশ্বর,
প্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য, এসব হবেই।’”(A)
12 আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের কাছে আমাদের জীবনের হিসাব দিতে হবে।
অপরকে পাপে প্ররোচিত করো না
13 তাই এস, আমরা অন্যের বিচার করা থেকে বিরত হই, বরং আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা এমন কিছু করব না যাতে আমাদের কোন ভাই বা বোন হোঁচট খায় ও প্রলোভনে পড়ে পাপ করে। 14 আমি প্রভু যীশুতে নিশ্চিতভাবে বুঝেছি যে কোন খাবার আসলে অশুচি নয়, তা খাওয়া অন্যায় নয়। তবে কেউ যদি সেই খাবার অশুচি ভাবে, তাহলে তার কাছে তা অশুচি।
15 তোমার খাদ্যে যদি তোমার ভাই আত্মিকভাবে আহত হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তুমি আর ভালোবাসার পথে চলছ না। তুমি এমন কিছু খেও না যা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে তার বিশ্বাস আঘাত পেতে পারে, কারণ খ্রীষ্ট সেই ব্যক্তির জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। 16 তাহলে তোমার কাছে যা ভাল, তা যেন অপরের কাছে নিন্দিত না হয়। 17 ঈশ্বরের রাজ্য খাদ্য পানীয় নয়, কিন্তু তা ধার্মিকতা, শান্তি ও পবিত্র আত্মাতে আনন্দ। 18 যে এ বিষয়ে খ্রীষ্টের দাসত্ব করে, সে ঈশ্বরের প্রীতিপাত্র এবং মানুষের কাছেও পরীক্ষাসিদ্ধ।
19 তাই সেই সব কাজ যা শান্তির পথ প্রশস্ত করে এবং পরস্পরকে শক্তিশালী করে, এস, আমরা তাই করি। 20 নিছক খাদ্যবস্তু নিয়ে ঈশ্বরের কাজ পণ্ড করো না, কারণ সব খাদ্যই শুচি ও খাওয়া যায়, কিন্তু কারো কিছু খাওয়া নিয়ে যদি অন্যের পতন ঘটে তাহলে তেমন কিছু খাওয়া অবশ্যই অন্যায়। 21 তোমার ভাই যদি হোঁচট খায় ও পাপে পতিত হয়, তাহলে মাংস আহার বা দ্রাক্ষারস পান না করাই শ্রেয়। তেমন কোন কাজও না করা ভাল যার ফলে তোমার কোন ভাই বা বোনের পতন ঘটতে পারে ও সে পাপ করে।
22 তোমরা যা ভাল বলে বিশ্বাস কর তা তুমি ও তোমার ঈশ্বরের মধ্যেই রাখ; কারণ কেউ যখন ভাল মনে করে কোন কাজ করে এবং সে যা করছে সেই ব্যাপারে যদি তার বিবেক তাকে দোষী না করে, তবে সেই ব্যক্তি ধন্য। 23 কিন্তু কোন কিছু খাবার ব্যাপারে যার অন্তরে দ্বিধা থাকে সে যদি তবুও তা খায় তাহলে সে অবশ্যই দোষী, কারণ সে তো নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করল। কেউ যদি বিশ্বাস করতে না পারে যে এটা ঠিক তবে সেই কাজ করা পাপ।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International