Old/New Testament
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদুথূনের প্রতি আসফের একটি গীত।
77 আমি ঈশ্বরের কাছে কেঁদে পড়েছিলাম এবং সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছি।
হে ঈশ্বর, আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডেকেছি, আমার কথা শুনুন!
2 আমার প্রভু, যখনই আমি সমস্যায় পড়ি তখনই আমি আপনার কাছে আসি।
সারা রাত আমি আপনার দিকে আমার দুবাহু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আমার আত্মা আরাম পেতে অস্বীকার করেছিল।
3 আমি ঈশ্বর বিষয়ে চিন্তা করেছি এবং আমি যা অনুভব করেছি তা বলতে চেয়েছি।
কিন্তু আমি পারি নি।
4 আপনি আমাকে ঘুমাতে দেন নি।
আমি কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি এত বিচলিত ছিলাম যে কথা বলতে পারছিলাম না।
5 আমি অতীতের কথা চিন্তা করছিলাম।
বহু অতীতে যা ঘটে গেছে আমি সেই সব চিন্তা করেছিলাম।
6 রাত্রে আমি আমার গানগুলো সম্পর্কে ভাবি।
আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি এবং বুঝতে চেষ্টা করি।
7 আমি বিস্মিত হই, “আমাদের প্রভু কি চিরদিনের মত আমাদের ত্যাগ করে চলে গেলেন?
আবার কি তিনি আমাদের চাইবেন?
8 ঈশ্বরের প্রেম কি চিরদিনের জন্য চলে গেল?
আবার কি তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন?
9 ঈশ্বর কি কৃপা দেখাতে ভুলে গেলেন?
তাঁর সহানুভূতি কি ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছে?”
10 তারপর আমি ভাবলাম, “যে বিষয়টা আমায় সব থেকে বেশী বিব্রত করলো তা হল:
পরাৎপর কি তাঁর ক্ষমতা হারিয়েছেন?”
11 প্রভু কি করেছেন তা আমার স্মরণে আছে।
হে ঈশ্বর, অতীতে যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছিলেন, তা আমার স্মরণে আছে।
12 আপনি যা করেছেন, তা নিয়ে আমি ভেবেছি,
সে সম্পর্কে আমি চিন্তা করেছি।
13 ঈশ্বর, আপনার পথই পবিত্র পথ।
ঈশ্বর কেউই আপনার মত মহৎ নয়।
14 আপনিই সেই ঈশ্বর, যিনি আশ্চর্য কার্য করেছেন।
আপনি লোকদের আপনার পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন।
15 আপনার ক্ষমতাবলে আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করেছেন।
যাকোব এবং যোষেফের উত্তরপুরুষদের আপনি রক্ষা করেছেন।
16 ঈশ্বর, আপনাকে দেখে জলও ভীত হয়েছিলো।
গভীর জলরাশি আপনাকে দেখে ভয়ে কেঁপে গিয়েছিলো।
17 ঘন মেঘে জল সিঞ্চন করেছিলো।
লোকে উঁচু মেঘে দারুণ বজ্র নির্ঘোষ শুনেছিলো।
তারপর আপনার বিদ্যুতের তীর সারা মেঘে ঝলক দিয়ে উঠেছিলো।
18 গুরু গুরু গর্জনের বজ্রধ্বনিতে আকাশ ভরে উঠেছিলো।
বিদ্যুৎ ঝলকে সারা পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠেছিলো।
পৃথিবী শিহরিত ও কম্পিত হয়েছিলো।
19 ঈশ্বর, গভীর জলের মধ্যে দিয়ে আপনি হেঁটে গেলেন, গভীর সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেন।
কিন্তু সেখানে আপনি কোন চরণচিহ্ন রেখে যান নি।
20 মোশি এবং হারোণের মধ্যে দিয়ে
আপনি আপনার লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
আসফের একটি মস্কীল।
78 হে আমার লোকরা, আমার শিক্ষামালা শোন।
আমি যা বলছি তা শোন।
2 আমি তোমাদের এই গল্প বলবো।
আমি তোমাদের এই প্রাচীন গল্পটি বলবো।
3 এই গল্প আমরাও শুনেছি, এই গল্পটা আমরা খুব ভালোভাবে জানি।
আমাদের পিতা-পিতামহরা এই গল্প বলেছেন।
4 এই গল্প আমরাও ভুলে যাবো না।
আমাদের লোকরা শেষ প্রজন্মকে পর্যন্ত এই গল্প বলতে থাকবে।
আমরা সবাই প্রভুর প্রশংসা করবো
এবং প্রভু যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা বলবো।
5 প্রভু যাকোবের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন।
ইস্রায়েলকে ঈশ্বর একটা বিধি দিয়েছিলেন।
আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছেন।
তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের বলেছেন তারা যেন তাদের উত্তরপুরুষদের সেই বিধি সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।
6 নতুন শিশুরা জন্ম নেবে। তারা আস্তে আস্তে বড় হবে।
তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এই গল্পগুলো বলবে।
এইভাবে শেষ প্রজন্মের মানুষ পর্যন্ত এই বিধি জানতে পারবে।
7 তাই ঐসব লোকরাই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবে।
ঈশ্বর কি করেছেন তা তারা ভুলবে না।
ওরা খুব যত্ন করে তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করবে।
8 যদি লোকরা তাদের শিশুদের ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো সম্পর্কে শিক্ষা দেয়
তাহলে ওই শিশুরা ওদের পূর্বপুরুষদের মত হবে না, ওদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গিয়েছিলো।
তারা তাঁকে মানতে অস্বীকার করেছিলো, ঐসব লোক প্রচণ্ড একগুঁয়ে ছিলো।
ওরা ঈশ্বরের আত্মার প্রতি নিষ্ঠাবান ছিল না।
9 ইফ্রয়িমের লোকেরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ছিল
কিন্তু তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল।
10 তারা ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের চুক্তি রক্ষা করে নি।
তারা তাঁর শিক্ষামালা মান্য করতে অস্বীকার করেছিলো।
11 ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করেছিলেন, ইফ্রয়িমের লোকরা তা ভুলে গিয়েছিলো।
তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য ওদের দেখিয়েছিলেন, তা তারা ভুলে গিয়েছিলো।
12 ঈশ্বর ওদের পিতৃপুরুষদের মিশরের সোয়নে,
তাঁর পরাক্রম প্রদর্শন করে দেখিয়েছিলেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগ করেছিলেন এবং লোকদের সাগর পার করিয়েছিলেন।
সেই জল দুধারে একটি শক্তি দেওয়ালের মত দাঁড়িয়েছিলো।
14 প্রতিদিন প্রলম্বিত মেঘের দ্বারা ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়েছিলেন।
প্রতিটি রাত্রে আগুনের আলো দিয়ে ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়ে ছিলেন।
15 ঈশ্বর মরুভূমির পাথরকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন।
মাটির গভীর অতল থেকে ওই সব লোকদের তিনি জলও দিয়েছেন।
16 পাথর থেকে আগত ঝর্ণার জলকে
ঈশ্বরই নদীর প্রবাহ দিয়েছেন!
17 কিন্তু লোকরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ অব্যাহত রেখেছিল।
পরাৎপরের বিরুদ্ধে তারা মরুভূমিতে পর্যন্ত বিদ্রোহ করেছে।
18 তারা যখন তাদের ইচ্ছা পূর্ণ করবার জন্য খাবার চাইল
তখন তারা তাদের মনে মনে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করল।
19 ওরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলো,
“ঈশ্বর কি আমাদের এই মরুভূমিতে খাবার এনে দিতে পারবেন?
20 তিনি পাথরে আঘাত করলেন এবং বন্যার মতো জলধারা বেরিয়ে এলো।
কিন্তু তিনি কি আমাদের কিছু রুটি এবং মাংস দিতে পারেন?”
21 ওই লোকগুলো কি বলছে, প্রভু তা শুনলেন।
যাকোবের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
ইস্রায়েলের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
22 কেন? কারণ লোকরা তাঁকে বিশ্বাস করে নি।
ঈশ্বর যে ওদের রক্ষা করতে পারেন, তা ওরা বিশ্বাস করে নি।
23-24 এর পর ঈশ্বর মেঘকে উন্মুক্ত করে দিলেন
এবং খাদ্যের জন্য ওদের ওপরে মান্না বর্ষিত হল।
এ যেন আকাশের দ্বার খুলে গেল
এবং স্বর্গের ভাণ্ডার থেকে শস্যরাশি পড়তে লাগলো।
25 লোকরা দেবদূতদের[a] সেই খাবার খেয়েছিলো।
ওদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঈশ্বর প্রচুর খাবার পাঠিয়েছিলেন।
26 ঈশ্বর পূর্বদিক থেকে একটা ঝোড়ো বাতাস প্রবাহিত করলেন
এবং ওদের কাছে একধরণের পাখি বৃষ্টির মত পড়তে লাগলো।
27 ঈশ্বর তেমানের দিক থেকে সেই বায়ুকে প্রবাহিত করালেন
এবং যে নীল আকাশের দিকটায় প্রচুর পাখি ছিল সেই দিকটা অন্ধকারময় হয়ে গেল।
28 ওদের তাঁবুর ঠিক মাঝখানে,
ওদের তাঁবুর চারপাশে পাখিগুলো পড়ে গিয়েছিল।
29 তাদের কাছে বিরাট খাদ্যের ভাণ্ডার ছিল।
কিন্তু তাদের ক্ষুধা তাদের পাপকার্যে প্ররোচিত করেছিল।
30 তারা তাদের ভোজন নিয়ন্ত্রিত করে নি।
তাই পাখীগুলোর দেহ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসার আগেই তারা পাখীগুলোকে খেয়ে ফেলেছিল।
31 অতএব, খাবার যখন তাদের মুখের মধ্যে তখনও ছিল তখন ঈশ্বর ওইসব লোকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হলেন
এবং ওদের অনেককে মেরে ফেললেন। ঈশ্বর বহু স্বাস্থ্যবান তরুণের মৃত্যুর কারণ হলেন।
32 ওইসব লোকরা আবার পাপ করলো!
ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করলো না।
33 তাই ওদের মূল্যহীন জীবনগুলোতে
ঈশ্বর দুর্বিপাক এনে শেষ করে দিলেন।
34 যখনই ঈশ্বর ওদের কাউকে হত্যা করেছেন, অন্যরা তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন।
ওরা ছুটে ছুটে ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসেছে।
35 তখন এইসব লোকরা স্মরণ করবে যে ঈশ্বরই ছিলেন তাদের শিলা।
ওরা তখন মনে করবে যে পরাৎপরই একমাত্র ওদের মুক্তিদাতা।
36 ওরা বলেছিলো, ওরা তাঁকে ভালোবাসে কিন্তু ওরা মিথ্যা কথা বলেছিলো।
ওই সব লোক একেবারেই আন্তরিক ছিলো না।
37 প্রকৃতপক্ষে ওদের হৃদয় ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলো না।
চুক্তির প্রতি ওরা একেবারেই বিশ্বস্ত ছিলো না।
38 কিন্তু ঈশ্বর করুণাময় ছিলেন।
তিনি ওদের সব পাপ ক্ষমা করে দিলেন, তিনি কিন্তু ওদের ধ্বংস করেন নি।
বহুবার ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ সংবরণ করেছেন।
তিনি নিজেকে কখনই অতিরিক্ত ক্রুদ্ধ হতে দেন নি।
39 ঈশ্বর মনে রেখেছিলেন যে ওরা ন্যায়পরায়ণ মানুষ।
লোকরা বাতাসেরই মত, যারা বয়ে যায় এবং চলে যায়।
40 ওঃ, কতবার ঐ লোকগুলো মরুভূমিতে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে!
ওরা তাঁকে কত দুঃখই দিয়েছে!
41 ওই লোকগুলো বার বার ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেছে।
ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে ওরা সত্যই ক্রুদ্ধ করেছে।
42 ওই লোকরা ঈশ্বরের পরাক্রমের কথা ভুলে গিয়েছিলো।
ঈশ্বর যে বহুবার শত্রুদের হাত থেকে ওদের রক্ষা করেছিলেন, তা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
43 মিশরে ঈশ্বর যে সব চমৎকার কাজগুলি করেছিলেন তার কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো,
সোয়ন প্রান্তরের চমৎকার কাজের কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
44 ঈশ্বর নদীগুলিকে রক্তে পরিণত করেছিলেন!
মিশরবাসীরা সেই জল পান করতে পারলো না।
45 ঈশ্বর ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি পাঠালেন যারা মিশরবাসীদের কামড় দিলো,
তিনি অগনিত ব্যাঙ পাঠালেন যারা মিশরবাসীর জীবন ধ্বংস করে দিলো।
46 ওদের শস্যকে ঈশ্বর গঙ্গা ফড়িংয়ের কবলে
এবং ওদের বৃক্ষ লতাকে পঙ্গপালের কবলে করে দিলেন।
47 ঈশ্বর শিলাবৃষ্টির দ্বারা ওদের দ্রাক্ষাক্ষেত নষ্ট করলেন।
শিলাবৃষ্টির দ্বারা তিনি ওদের বৃক্ষরাজি ধ্বংস করলেন।
48 শিলাবৃষ্টি দিয়ে তিনি ওদের পশুদের মারলেন
এবং বজ্র-বিদ্যুৎ দিয়ে গবাদি পশুদের মারলেন।
49 ঈশ্বর মিশরের লোকদের তাঁর ক্রোধ দেখালেন।
ওদের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর বিধ্বংসকারী দূতদের পাঠালেন।
50 ক্রোধ প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর একটা রাস্তা পেয়েছিলেন।
ওদের একটা লোককেও তিনি বাঁচতে দিলেন না।
এক মহামড়কের মধ্যে দিয়ে তিনি ওদের মরতে দিলেন।
51 মিশরের প্রত্যেকটি প্রথমজাত সন্তানকে ঈশ্বর হত্যা করলেন।
হাম পরিবারের প্রত্যেকটি প্রথম জাতককে তিনি হত্যা করলেন।
52 তারপর একজন মেষপালকের মত তিনি ইস্রায়েলকে পথ দেখিয়েছিলেন।
একজন মেষপালকের মত তিনি তাঁর লোকেদের, মেষপালকের মত জনহীন প্রান্তরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
53 ঈশ্বর তাঁর লোকদের নিরাপদে চালনা করেছিলেন।
তাঁর লোকদের ভয় করার মত কিছু ছিল না।
তাদের শত্রুদের তিনি লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
54 তাঁর পবিত্র ভূখণ্ডে ঈশ্বর তাঁর লোকদের পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তিনি তাঁর লোকদের নিজ ক্ষমতা বলে পাওয়া সেই পর্বতে যেটা তিনি রূপ দিয়েছিলেন সেটাতে নিয়ে গেলেন।
55 ঈশ্বর অন্যান্য জাতিদের সেই ভূখণ্ডের থেকে বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে বাধ্য করিয়েছেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে ঈশ্বর সে ভূখণ্ডের অংশ দিয়েছেন।
এখান বাস করার জন্য ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীকে
ঈশ্বর সেই ভূখণ্ডে ঘর দিয়েছেন।
56 কিন্তু ওরা পরাৎপর ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলো এবং তাঁকে দুঃখী করেছিলো।
ওই সব লোক ঈশ্বরের আজ্ঞা মান্য করে নি।
57 ওরা ঠিক ওদের পূর্বপুরুষদের মতই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো।
ওরা একটি বঞ্চক ধনুকের মত[b] দিক পরিবর্তন করেছিলো।
58 ইস্রায়েলের লোকরা উচ্চস্থান তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করেছিলো।
তারা মূর্ত্তিসমূহ তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে অত্যন্ত ঈর্ষান্বিত করে তুলেছিল।
59 এইসব শুনে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন।
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন!
60 ঈশ্বর পবিত্র তাঁবুটি শীলোতে রেখেছিলেন।
সাধারণ লোকদের মধ্যে ঈশ্বর সেই তাঁবুতে থাকতেন।
61 ঈশ্বর অন্য জাতিকে তাঁর লোকদের অধিকার করতে দিয়েছেন।
শত্রুরা ঈশ্বরের সুন্দরতম রত্ন নিয়ে গিয়েছিলো।
62 ঈশ্বর তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করলেন।
তিনি তাদের যুদ্ধে নিহত হতে দিলেন।
63 তরুণরা সব পুড়ে মারা গেল
এবং যে মেয়েদের ওরা বিয়ে করবে ভেবেছিলো তারা কেউই বিয়ের গান গাইছিলো না।
64 যাজকরা মারা গেল
কিন্তু তাদের বিধবারা ওদের জন্য কাঁদে নি।
65 শেষ কালে, যেমন করে একজন লোক ঘুম থেকে ওঠে,
প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করে যেমন একজন সৈনিক ওঠে,
তেমন করে আমাদের প্রভু উঠলেন।
66 ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের জোর করে হঠিয়ে দিয়ে ওদের পরাজিত করালেন।
ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য ওদের অসম্মানিত করলেন।
67 তারপর ঈশ্বর যোষেফের তাঁবুটিকে[c] বাতিল করলেন
এবং ইফ্রয়িমের শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিলেন।
68 তারপর ঈশ্বর যিহূদা জাতিকে শাসক জাতি হিসেবে মনোনীত করলেন
এবং তাঁর প্রিয় জেরুশালেমকে মন্দির নির্মাণের স্থান হিসেবে বেছে নিলেন।
69 সেই পাহাড়ের উঁচু জায়গায় ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করলেন।
পৃথিবীর মত তিনি তাঁর মন্দির চিরকালের জন্য স্থাপন করলেন।
70 ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবকরূপে দায়ূদকে মনোনীত করলেন।
দায়ূদ মেষ চরাচ্ছিলো, কিন্তু ঈশ্বর সেই কাজ থেকে তাকে নিয়ে এলেন।
71 ঈশ্বর দায়ূদকে, তাঁর লোকদের মেষপালক হওয়ার দায়িত্ব,
যাকোবের লোকদের দায়িত্ব এবং ইস্রায়েলের লোকদের ও তাদের সম্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
72 দায়ূদ পবিত্র মনে তাদের নেতৃত্ব দিলেন।
তিনি খুব প্রজ্ঞার সঙ্গে তাদের পরিচালিত করলেন।
10 ভাই ও বোনেরা, আমার হৃদয়ের একান্ত কামনা এই, যেন সমস্ত ইহুদী উদ্ধার পায়। ঈশ্বরের কাছে এই আমার কাতর মিনতি। 2 আমি ইহুদীদের বিষয়ে একথা বলতে পারি যে ঈশ্বরের বিষয়ে তাদের উৎসাহ আছে; কিন্তু এটা তাদের জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নেই। 3 যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন তারা সেই পথ জানে না। তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চায়। তাই যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন, তা তারা গ্রহণ করে নি। 4 খ্রীষ্টের আগমনে বিধি-ব্যবস্থার যুগ শেষ হয়েছে। এখন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করে তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়।
5 বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া সম্পর্কে মোশি বলে গেছেন, “যে ব্যক্তি এইসব বিধি-ব্যবস্থা পালন করবে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”(A) 6 যে ধার্মিকতা ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে জন্মায় সে সম্বন্ধে শাস্ত্রে বলেছে: “মনে মনে কখনও বলো না, ‘ওপরে স্বর্গে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “খ্রীষ্টকে কে পৃথিবীতে নামিয়ে আনবে?”) 7 “বা ‘নীচে পাতালে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “মৃতদের মধ্য থেকে কে খ্রীষ্টকে উর্দ্ধে আনবে?”)
8 এ ব্যাপারে শাস্ত্র বলছে: “সেই শিক্ষা তোমার কাছেই তোমার মুখে ও হৃদয়ে আছে।”(B) সে শিক্ষা হল বিশ্বাসের শিক্ষা যা আমরা লোকদের কাছে বলি। 9 তুমি যদি নিজ মুখে যীশুকে প্রভু বলে স্বীকার কর, এবং অন্তরে বিশ্বাস কর যে ঈশ্বরই তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন তাহলে উদ্ধার পাবে। 10 কারণ মানুষ অন্তরে বিশ্বাস করে ধার্মিকতা লাভ করার জন্য আর মুখে বিশ্বাসের কথা স্বীকার করে উদ্ধার পাবার জন্য।
11 শাস্ত্র এই কথাই বলে যে: “যে খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে সে কখনও লজ্জায় পড়বে না।”(C) 12 এক্ষেত্রে ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, একই প্রভু সকলের প্রভু। যত লোক তাঁকে ডাকে সেই সকলের ওপর তিনি প্রচুর আশীর্বাদ ঢেলে দেন। 13 হ্যাঁ, শাস্ত্র বলে, “যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে ডাকবে সে উদ্ধার পাবে।”(D)
14 কিন্তু যাঁকে তারা বিশ্বাস করে না তাঁকে ডাকবে কি কবে? আর যারা তাঁর কথা শোনেনি তাঁকে বিশ্বাসই বা কি করে করবে? কেউ প্রচার না করলে তারা শুনবেই বা কি করে? 15 যারা প্রচার করতে যাবে তারা প্রেরিত না হলে কি করে প্রচার করবে? হ্যাঁ, শাস্ত্রে কিন্তু লেখা আছে: “সুসমাচার নিয়ে যাঁরা আসেন তাঁদের চরণযুগল কি সুন্দর।”(E)
16 কিন্তু ইহুদীদের মধ্যে সকলেই সেই সুসমাচার গ্রহণ করেনি। যিশাইয় ঠিকই বলেছেন, “প্রভু আমরা যা বলেছি তা ক’জনেই বিশ্বাস করেছে।”(F) 17 সুতরাং সুসমাচার শোনার ভেতর দিয়েই বিশ্বাস উৎপন্ন হয় আর কেউ খ্রীষ্টের সুসমাচার শোনালে তখনই লোকরা সুসমাচার শুনতে পায়।
18 তাহলে আমিই জিজ্ঞাসা করি, “লোকে কি তাঁর সুসমাচার শুনতে পায় নি?” হ্যাঁ, তারা নিশ্চয়ই শুনেছে। এবিষয়ে শাস্ত্র বলছে:
“তাদের রব পৃথিবীর কোণে কোণে পৌঁছেছে,
তাদের বাক্য পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে গেছে।”(G)
19 আবার আমি বলি, “ইস্রায়েলীয়রা কি বুঝতে পারে নি?” হ্যাঁ, তারা বুঝতে পেরেছিল। ঈশ্বরের হয়ে প্রথমে মোশি এই কথা বলেছেন:
“যারা জাতি বলেই গন্য নয়, এমন লোকদের মাধ্যমে আমি তোমাদের ঈর্ষান্বিত করব।
অজ্ঞ জাতির দ্বারা তোমাদের ক্রুদ্ধ করব।”(H)
20 এরপর ঈশ্বরের মুখপাত্র হয়ে যিশাইয় যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে বললেন:
“যারা আমায় খোঁজে নি
তারাই কিন্তু আমাকে পেয়েছে;
আর যারা আমাকে চায় নি তাদের কাছেই আমি নিজেকে প্রকাশ করেছি।”(I)
21 কিন্তু ইহুদীদের সম্বন্ধে ঈশ্বর বলেন,
“সমস্ত দিন ধরে দুহাত বাড়িয়ে আমি তাদের জন্য অপেক্ষা করছি।
কিন্তু তারা আমার অবাধ্য এবং তারা আমার বিরোধিতা করেই চলেছে।”(J)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International