Old/New Testament
পরিচালকের প্রতি: সুর “ধ্বংস করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম, যখন তিনি শৌলের কাছ থেকে পালিয়ে গুহায় লুকিয়ে ছিলেন।
57 ঈশ্বর, আমার প্রতি ক্ষমাশীল হোন।
সদয় হোন কেননা আমার আত্মা আপনাতে বিশ্বাস রাখে।
যখন সমস্যা আসে,
তখন আমি সুরক্ষার জন্য আপনার কাছে আসি।
2 আমি পরাৎপর ঈশ্বরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
ঈশ্বর সম্পূর্ণভাবে আমার যত্ন নেন!
3 স্বর্গ থেকে তিনি আমায় সাহায্য দেন ও রক্ষা করেন।
যারা আমায় অবদমিত করে তাদের তিনি পরাজিত করেন।
আমার প্রতি ঈশ্বর
তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
4 আমার জীবন সঙ্কটাপন্ন।
শত্রুরা আমার চারদিকে ঘিরে রয়েছে।
ওরা মানুষখেকো সিংহদের মত;
ওদের দাঁতগুলো তীরের মত তীক্ষ্ণ;
ওদের জিভগুলো তরবারির মত ধারালো।
5 হে ঈশ্বর, আপনি স্বর্গের চেয়েও ওপরে।
আপনার মহিমা পৃথিবীকে আবৃত করে।
6 আমার শত্রুরা আমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছে।
ওরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
ওরা আমার পথে একটা গভীর গর্ত খুঁড়েছে যাতে আমি ওর মধ্যে পড়ে যাই,
কিন্তু ওরা নিজেরাই তার মধ্যে পড়ে গেছে!
7 কিন্তু ঈশ্বর আমায় নিরাপদে রাখবেন।
তিনি আমায় সাহস দেবেন এবং আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
8 হে আমার আত্মা, জেগে ওঠো!
হে সারেঙ্গী, হে বীণা, তোমাদের সঙ্গীত শুরু কর! এস আমরা উষাকালকে জাগিয়ে তুলি।
9 আমার প্রভু সকলের কাছে আমি আপনার প্রশংসা করি।
সব জাতির কাছেই আমি আপনার প্রশংসা করি।
10 আপনার প্রকৃত ভালোবাসা, আকাশের উচ্চতম মেঘের থেকেও উচ্চ!
11 হে ঈশ্বর, স্বর্গকেও অতিক্রম করে যাও।
আপনার মহিমা পৃথিবীকে আবৃত করুক।
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম।
58 ওহে বিচারকগণ, তোমরা তোমাদের বিচারে ন্যায় সঙ্গত নও।
তোমরা সৎভাবে লোকের বিচার করছো না।
2 না, তোমরা শুধুই খারাপ কাজ করার কথা ভাবো।
এই দেশে তোমরা হিংসাত্মক অপরাধসমূহ কর।
3 সেই সব মন্দ লোক যখনই জন্মায় তখন থেকেই ওরা ভুল কাজ করতে শুরু করে।
জন্ম থেকেই ওরা মিথ্যাবাদী।
4 ওদের ক্রোধ সাপের বিষের মতই ভয়ঙ্কর এবং বধির গোখুরে সাপের মত।
ওরা সত্য কথা শুনতে অস্বীকার করে।
5 গোখুরে সাপরা সাঁপুড়ের বীণের সুর বা গান শুনতে পায় না।
ঐসব মন্দ লোকরাও সেইসব সাপের মত, কারণ তারা কু-চক্রান্ত করে।
6 প্রভু, ঐ লোকগুলো সিংহের মত।
তাই হে প্রভু, ওদের দাঁতগুলো ভেঙে দিন।
7 নর্দমা দিয়ে যেমন জল গড়িয়ে যায়, ঐ লোকগুলোও যেন সেভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
পথের ধারে আগাছার মত ওরা যেন বিনষ্ট হয়।
8 ওরা শামুকের মত হোক্, নড়বার সময় যেন গলে গলে যায়।
ওরা যেন জন্ম-মৃত শিশুর মত কোনদিন দিনের আলো না দেখে।
9 যে কাঁটাঝোপকে জ্বালানী হিসেবে জ্বালিয়ে রান্নার পাত্র গরম করা হয়
ওরা যেন সেই কাঁটাঝোপের জ্বালানীর মত বিনষ্ট হয়।
10 একজন সৎ লোক তখন খুশী হবে যখন সে দেখবে
তার প্রতি করা অন্যায় কাজের জন্য মন্দ লোকরা শাস্তি পাচ্ছে।
সে সেই রকম সৈনিকের মত হবে যে
তার সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে।[a]
11 যখন এটা ঘটবে, তখন লোকে বলবে: “সৎ লোকেরা সত্যিই পুরস্কৃত।
সত্যই একজন ঈশ্বর আছেন যিনি পৃথিবীর বিচার করেন।”
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম যখন শৌল দায়ূদকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বাড়ীতে লোক পাঠিয়েছিলেন।
59 ঈশ্বর আমাকে আমার শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
যারা আমার সঙ্গে লড়াই করতে এসেছে তাদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করুন।
2 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ঐসব খুনীদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
3 দেখুন শক্তিশালী লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
যদিও আমি কোন পাপ বা অপরাধ করিনি
তবুও ওরা আমায় হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছে।
4 আমি কোন ভুল করি নি কিন্তু আমাকে আক্রমণ করার জন্য ওরা এখানে ছুটে এসেছে।
প্রভু, উঠুন এবং এসে আমায় সাহায্য করুন। দেখুন কি ঘটছে।
5 প্রভু, আপনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর!
উঠুন এবং ঐসব লোককে শাস্তি দিন।
ঐসব বদ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি এতটুকু দয়া দেখাবেন না।
6 ঐসব লোকরা কুকুরের মত
যারা সন্ধ্যা বেলায় ক্রুদ্ধ গর্জন করতে করতে
এবং রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে শহরে আসে।
7 ওদের হুমকি ও অপমান শুনুন।
ওরা ঐসব নির্মম কথাগুলো বলছে।
কিন্তু ওরা খেয়াল করে না কারা তা শুনছে।
8 প্রভু ওদের আপনি উপহাস করুন।
ওদের সকলকে বিদ্রূপ করুন।
9 আমি আপনার উদ্দেশ্যে আমার বন্দনা গান করবো।
ঈশ্বর, উঁচু পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ স্থান।
10 ঈশ্বর আমায় ভালোবাসেন এবং তিনি আমাকে জয়ী হতে সাহায্য করবেন।
তিনি আমায় শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করবেন।
11 হে ঈশ্বর, ওদের নিছক হত্যা করবেন না, নতুবা আমার লোকেরা তাদের ভুলে যেতে পারে। কে তাদের জয় এনে দিয়েছে?
হে আমার প্রভু এবং রক্ষাকারী, আপনার ক্ষমতা বলে ওদের আপনি পরাজিত করুন। ছত্রভঙ্গ করুন।
12 ঐসব মন্দ লোক মিথ্যা কথা বলে ও অভিশাপ দেয়।
ওরা যা বলেছে তার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
ওদেরই দম্ভের ফাঁদে ওদের পড়তে দিন।
13 আপনার ক্রোধে ওদের ধ্বংস করে দিন।
ওদের সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করুন!
সারা পৃথিবীকে বুঝতে দিন যে স্বয়ং ঈশ্বর ইস্রায়েলে শাসন করছেন!
14 ঐসব মন্দ লোক, ঘেউ ঘেউ করা ভ্রাম্যমান কুকুরের মত,
রাতের বেলায় শহরে এসেছে।
15 তারা কিছু খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোন খাবার পাবে না,
রাতে বিশ্রাম করবার জন্যও কোন জায়গা তারা খুঁজে পাবে না।
16 কিন্তু সকালে, আমি আপনার প্রশংসা গান গাইবো।
আমি আপনার প্রেমে আনন্দ উল্লাস করবো।
কেন? কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
সংকট এলে আমি আপনার কাছে ছুটে যেতে পারবো।
17 আপনার প্রশংসা করে আমি গান গাইবো। কেন?
কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি আমায় ভালোবাসেন!
অব্রাহামের দৃষ্টান্ত
4 তাহলে আমাদের পার্থিব পিতৃপুরুষ অব্রাহাম সম্বন্ধে আমরা কি বলব? বিশ্বাস সম্পর্কে তিনি কি শিখেছিলেন? 2 যদি নিজের কাজের জন্য তিনি ধার্মিক প্রতিপন্ন হতেন, তবে গর্ব করার মতো তার কিছু থাকত; কিন্তু ঈশ্বরের সাক্ষাতে তিনি গর্ব করতে পারেন নি। 3 শাস্ত্র এ ব্যাপারে বলে, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন, আর সেই বিশ্বাসের দ্বারাই তিনি ধার্মিক প্রতিপন্ন হলেন।”(A)
4 যে লোক কাজ করে তার মজুরি তো নিছক দান বলে নয় কিন্তু তার ন্যায্য পাওনা বলে গন্য হয়। 5 কিন্তু যে মানুষ কাজ করার বদলে ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করে সেক্ষেত্রে তার বিশ্বাসই তাকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করে। 6 দায়ূদও সেই একইভাবে বলেছেন ধন্য সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর তার কাজের দ্বারা নয় বরং তার বিশ্বাসের দরুন ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন।
7 “ধন্য তারা,
যাদের অন্যায় ক্ষমা করা হয়েছে,
যাদের পাপ ঢেকে রাখা হয়েছে।
8 ধন্য সেই ব্যক্তি,
প্রভু যার পাপ গন্য করেন না।”(B)
9 এখন এই সৌভাগ্য কি শুধু যারা সুন্নত হয়েছে তাদের জন্য? অসুন্নতদের জন্য কি নয়? কারণ আমরা বলি, “বিশ্বাস দ্বারাই অব্রাহাম ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছিলেন।” 10 কিন্তু অব্রাহামের কোন্ অবস্থায়, তাঁর সুন্নত হবার আগে, না পরে? আসলে অসুন্নত অবস্থাতেই তিনি ধার্মিক প্রতিপন্ন হন। 11 অসুন্নত অবস্থায় তিনি বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক প্রতিপন্ন হন এবং তার চিহ্ন হিসাবে তিনি সুন্নত হয়েছিলেন। তাই অসুন্নত হলেও যাঁরা বিশ্বাস করে, অব্রাহাম তাদেরও পিতা; তারাও ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। 12 যারা সুন্নত হয়েছে অব্রাহাম তাদেরও পিতা। তাদের সুন্নত হওয়ার সুবাদে যে তারা অব্রাহামের সন্তান হয়েছে তা নয়। কিন্তু সুন্নত হবার পূর্বে অব্রাহামের যে বিশ্বাস ছিল, ঐ লোকরা যদি অব্রাহামের সেই বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করে থাকে তবেই তারা অব্রাহামের সন্তান।
বিশ্বাসের দ্বারা প্রাপ্ত ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি
13 জগতের উত্তরাধিকারী হবার যে প্রতিজ্ঞা ঈশ্বর অব্রাহাম ও তার বংশধরদের কাছে করেছিলেন, তা বিধি-ব্যবস্থার মাধ্যমে আসেনি কিন্তু বিশ্বাসের দ্বারা যে ধার্মিকতা লাভ হয় তার মধ্য দিয়েই সেই প্রতিজ্ঞা করা হযেছিল। 14 কারণ যদি বিধি-ব্যবস্থায় নির্ভর কেউ জগতের উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসের কোন অর্থ হয় না এবং সেক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাও মূল্যহীন। 15 কারণ বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলা না হলে তা শুধুই ঈশ্বরের ক্রোধ বয়ে আনে। বিধি-ব্যবস্থা যেখানে নেই, সেখানে তার লঙ্ঘনও নেই।
16 তাই ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির পূর্ণতা বিশ্বাসের ফলেই লাভ হয়, যেন তা অনুগ্রহের দান হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এইভাবে অব্রাহামের সব বংশধরদের জন্য সেই প্রতিজ্ঞা দৃঢ়ভাবে রয়েছে। যাদের বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে কেবল তাদের জন্যই সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে তা নয়, কিন্তু তাদের জন্যও সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে যাদের অব্রাহামের মতো বিশ্বাস রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি তাদেরই জন্য যারা অব্রাহামের মত বিশ্বাসে চলে। অব্রাহাম আমাদের সকলেরই পিতা। 17 শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম।”(C) ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অব্রাহাম আমাদের পিতা। তিনি সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন, যিনি মৃতকে জীবন দেন ও যার অস্তিত্ব নেই তাকে অস্তিত্বে আনেন।
18 অব্রাহামের সন্তান হবার কোন আশা ছিল না। কিন্তু অব্রাহাম ঈশ্বর বিশ্বাসে স্থির ছিলেন। আশা না থাকলেও আশা করে যাচ্ছিলেন, আর এই জন্যই তিনি বহুজাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। ঠিক ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন, “তোমার বংশধররা আকাশের তারার মত অসংখ্য হবে।”(D) 19 অব্রাহামের বয়স তখন একশ বছর, কাজেই সন্তান লাভের জন্য তাঁর দৈহিক ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর স্ত্রী সারার সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা ছিল না। অব্রাহাম এসব কথা চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন নি। 20 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পূর্ণতার বিষয়ে অব্রাহামের কোন সন্দেহ ছিল না। অব্রাহাম অবিশ্বাস করলেন না বরং তিনি বিশ্বাসে বলবান হয়ে উঠলেন এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন। 21 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যে তিনি সফল করতে পারবেন সেই সম্বন্ধে অব্রাহাম সুনিশ্চিত ছিলেন। 22 আর তাই, “এই বিশ্বাস তাকে ঈশ্বরের সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছিল।” 23 শাস্ত্রে এই কথা শুধু যে তাঁর জন্যই লেখা হয়েছিল তা নয়, 24 ঐ কথাগুলি আমাদের জন্যও লেখা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাসকেও ঈশ্বর আমাদের পক্ষে ধার্মিকতা হিসাবে প্রতিপন্ন করলেন। কারণ যিনি প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, সেই ঈশ্বরে আমরা বিশ্বাস করি। 25 আমাদের পাপের জন্য সেই যীশুকে মৃত্যুর হাতে সমর্পণ করা হল এবং আমাদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্য যীশু মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International