Old/New Testament
ইলীহূ তর্কে যোগ দিল
32 তখন ইয়োবের তিনজন বন্ধু তাকে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত হলেন। তাঁরা বিরত হলেন কারণ তাঁরা দেখালেন যে ইয়োব যে নির্দোষ সে বিষয়ে তাঁরা একেবারে দৃঢ় প্রত্যয় ছিলেন। 2 কিন্তু বারখেলের পুত্র ইলীহূ সেখানে উপস্থিত ছিল। বারখেল ছিল বূষীয় বংশধর। (বূষ ছিল রাম পরিবারের একজন।) ইলীহূ ইয়োবের ওপর ভীষণ রেগে গেল। কারণ ইয়োব ভেবেছিল যে সে ঈশ্বরের চেয়েও ধার্মিক। 3 ইলীহূ ইয়োবের তিনজন বন্ধুর ওপরেও রেগে ছিল। কেন? কারণ ইয়োবের তিনজন বন্ধু ইয়োবের প্রশ্নর উত্তর দিতে পারছিল না। তবু তারা ইয়োবকে দোষী বলে অভিযুক্ত করেছিল। 4 ইলীহূই সেখানে সব থেকে কনিষ্ঠ ছিল, তাই সবার কথা শেষ হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করছিল। তখন তার মনে হল সে কথা বলা শুরু করতে পারে। 5 কিন্তু সেই সময় সে দেখলো, ইয়োবের তিন বন্ধুর আর কিছুই বলার নেই। তাই সে রেগে গেল। 6 তখন ইলীহূ (বূষ পরিবার উদ্ভূত বারখেলের পুত্র) কথা বলতে শুরু করলো। সে বলল:
“আমি একজন যুবক, আপনারা বয়স্ক ব্যক্তি।
সেই জন্য আমি যা ভাবছি তা বলতে আমি ভয় পাচ্ছি।
7 আমি নিজের মনে ভেবেছি, ‘বয়স্ক লোকরা আগে কথা বলবে।
বয়স্ক লোকরা বহুদিন জীবিত আছেন, তাই তাঁরা বহু বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন।’
8 কিন্তু ঈশ্বরের আত্মাই একজনকে জ্ঞানী করে।
ঈশ্বর সর্বশক্তিমানের সেই নিঃশ্বাস মানুষের বোধশক্তিকে সব কিছু বুঝতে সাহায্য করে।
9 শুধুমাত্র বৃদ্ধ লোকরাই জ্ঞানী মানুষ নয়।
কোনটা প্রকৃত ঠিক তা শুধুমাত্র বৃদ্ধ লোকরাই বোঝে এমনও নয়।
10 “তাই, আমার কথা শুনুন!
আমি কি ভাবছি তা আপনাদের বলবো।
11 আপনারা যখন কথা বলছিলেন আমি তখন অপেক্ষা করছিলাম।
আমি আপনাদের যুক্তিসমূহ শুনেছি এবং যথাযোগ্য উত্তর দেবার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা দেখেছি।
ইয়োবকে আপনারা যে উত্তর দিয়েছেন তা আমি শুনেছি।
12 আপনারা যা বলেছেন আমি তা যত্ন করে শুনেছি।
আপনাদের মধ্যে কেউই ইয়োবকে তিরস্কার করেননি।
আপনাদের মধ্যে কেউই ওঁর যুক্তির উত্তর দেননি।
13 আপনাদের প্রজ্ঞা আছে এ কথা আপনাদের তিন জনের বলা উচিৎ হয়নি।
মনুষ্য জাতি নয়, শুধুমাত্র ঈশ্বর যেন তাঁকে তর্কযুদ্ধে পরাজিত করেন।
আপনারা অবশ্যই যুক্তির উত্তর দেবেন, সাধারণকে নয়।
14 ইয়োব তাঁর যুক্তিগুলো আমার কাছে বলেন নি।
তাই, আপনারা তিন জন যে যুক্তিগুলি উত্থাপন করেছিলেন, আমি তা বলবো না।
15 “ইয়োব, এই তিন জন যুক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
ওঁদের আর বেশী কিছু বলার নেই।
ওঁদের আর বেশী কিছু উত্তরও নেই।
16 ইয়োব, এই তিন ব্যক্তি আপনাকে উত্তর দেবে—আমি এমন আশায় প্রতীক্ষা করছিলাম।
কিন্তু ওঁরা চুপ করে গেলেন।
ওঁরা আপনার সঙ্গে তর্ক বন্ধ করে দিলেন।
17 তাই, এখন আমি আপনাকে আমার উত্তর দেবো।
হ্যাঁ, আমি যা জানি তা আপনাকে বলব।
18 আমার এত কিছু বলার আছে যে
আমার প্রায় বিস্তারিত হওয়ার উপক্রম।
19 আমি একটি দ্রাক্ষারসের থলির মত যা এখনও খোলা হয় নি।
আমি একটি নতুন দ্রাক্ষারসের আধারের মতো যেটি প্রায় ফেটে গিয়ে খোলবার উপক্রম হয়েছে।
20 আমাকে কথা বলতেই হবে এবং আমার ভেতরের বাষ্প বার করে দিতে হবে।
আমাকে অবশ্যই ইয়োবের যুক্তির উত্তর দিতে হবে।
21 আমি কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাব না।
আমি কারো স্তাবকতা করব না।
22 আমি একজনের সঙ্গে অন্য একজন লোকের চেয়ে ভালো আচরণ করতে পারি না।
আমি যদি তা করি আমার সৃষ্টিকর্তা আমায় শাস্তি দেবেন।
33 “ইয়োব, এখন আমার কথা শুনুন।
আমি যা বলি তা মন দিয়ে শুনুন।
2 আমি বলবার জন্য প্রস্তুত।
3 আমার অন্তর সৎ তাই আমি সৎ বাক্যই বলবো।
আমি যা জানি সে বিষয়ে আমি সত্যই বলবো।
4 ঈশ্বরের আত্মা আমায় সৃষ্টি করেছে।
ঈশ্বর সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস আমাকে জীবন দিয়েছে।
5 ইয়োব, আমার কথা শুনুন এবং যদি পারেন আমার প্রশ্নর উত্তর দিন।
আপনার উত্তর তৈরী করে রাখুন যাতে আপনি তর্ক করতে পারেন।
6 ঈশ্বরের সামনে আপনি এবং আমি উভয়েই সমান।
আমাদের দুজনকে ঈশ্বর মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
7 ইয়োব, আমাকে ভয় পাবেন না।
আমি আপনার প্রতি কঠোর হব না।
8 “কিন্তু ইয়োব, আমি শুনেছি,
আপনি কি বলেছেন,
9 আপনি বলেছেন: ‘আমি শুচিশুদ্ধ; আমি নিষ্পাপ।
আমি কোন ভুল করি নি; আমি অপরাধী নই!
10 আমি কোন ভুল করি নি, কিন্তু ঈশ্বর আমার বিরুদ্ধে।
ঈশ্বর আমার সঙ্গে শত্রুর মত ব্যবহার করেছেন।
11 ঈশ্বর আমার পায়ে শিকল পরিয়েছেন।
আমার সব পথগুলি ঈশ্বর লক্ষ্য করেন।’
12 “কিন্তু ইয়োব, এ ক্ষেত্রে আপনি ভুল করেছেন।
আমি প্রমাণ করবো যে আপনি ভুল করেছেন।
কেন? কারণ, যে কোন লোকের চেয়ে ঈশ্বর মহান।
13 আপনি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনেন?
কেন আপনি দাবী করেন, ঈশ্বর কোন লোকের অভিযোগের উত্তর দেন না?
আপনি ভেবেছেন ঈশ্বর সবকিছুই আপনার কাছে ব্যাখ্যা করে দেবেন?
14 হতে পারে ঈশ্বর যা করেন তিনি তার ব্যাখ্যা দেন।
কিন্তু ঈশ্বর যে ভাবে কথা বলেন লোকে তা বোঝে না।
15 রাত্রে যখন লোকরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন
ঈশ্বর হয়তো তখন স্বপ্নে কথা বলেন।
16 তখন তারা ভীষণ ভয় পায়।
তখন তারা ঈশ্বরের সাবধান বাণী শোনে।
17 ভুল কাজ করার থেকে বিরত হতে ঈশ্বর তাদের সতর্ক করে দেন
এবং তাদের অহঙ্কারী হওয়া থেকে বিরত রাখেন।
18 মৃত্যুলোক থেকে উদ্ধার করবার জন্য ঈশ্বর মানুষকে সতর্ক করে দেন।
ধ্বংসোন্মুখ লোকদের পরিত্রাণ করার জন্য ঈশ্বর তা করেন।
19 “ঈশ্বর হয়ত একজন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দিয়ে শুধরে দেন,
তাদের হাড়েও ক্রমাগত ব্যথা হতে পারে।
20 তখন সে লোকটি খেতে পারে না,
সেই লোকটির এত যন্ত্রণা থাকে যে সে সব চেয়ে ভালো খাবারকেও ঘৃণা করে।
21 ঐ লোকটির গায়ের মাংস আর দেখা যায় না।
ঐ লোকটির হাড়গুলো বেরিয়ে পড়ে।
22 ঐ লোকটি ‘গহবর’ এর কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
ওর জীবনও মৃত্যুর কাছাকাছি চলে আসে।
23 ঈশ্বরের হাজার হাজার দেবদূত আছে; হয়তো তাদের একজন দূত ঐ লোকের ওপর নজর রাখছে।
সেই দূত হয়তো ঐ লোকটার জন্যই বলে এবং সে যা ভালো কাজ করেছে সে সম্পর্কেই বলে।
24 হয়তো ঐ দূত ঐ লোকটির প্রতি সদয় হয়ে ঈশ্বরকে বলবে:
‘এই লোকটাকে গহবর থেকে উদ্ধার করে দিন!
আমি ওর জীবনের জন্য একটি মুক্তিপন পেয়েছি।’
25 তখন ঐ লোকটির দেহ আবার তারুণ্যে ভরে উঠবে।
যুবকাবস্থায় তার দেহ যেমন ছিল, ঠিক সে রকম হয়ে যাবে।
26 ঐ লোকটি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং ঈশ্বর ওর প্রার্থনার উত্তর দেবেন।
ঐ লোকটি আনন্দে চিৎকার করবে এবং ঈশ্বরের পূজো করবে।
তার সৎজীবনের জন্য ঈশ্বর তাকে পুরস্কৃত করবেন ও আবার সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করবে।
27 ঐ ব্যক্তিটি লোকদের কাছে তার দোষ স্বীকার করবে।
সে বলবে, ‘আমি পাপ করেছিলাম।
আমি ভালোকে মন্দে পরিণত করেছিলাম।
কিন্তু আমার যে শাস্তি প্রাপ্য ছিল, সে কঠিন শাস্তি ঈশ্বর আমাকে দেন নি!
28 আমার আত্মাকে ঈশ্বর পাতালের মধ্যে পতন থেকে রক্ষা করেছেন।
আমি এখন আবার জীবনকে উপভোগ করতে পারি।’
29 “ঐ লোকটার জন্য ঈশ্বর বার বার এইসব করেছেন।
30 কেন? ঐ লোকটিকে গহবর থেকে উদ্ধার করবার জন্য,
যাতে ঐ লোকটি আবার তার জীবনকে উপভোগ করতে পারে।
31 “ইয়োব, আমার দিকে মনোযোগ দিন; আমার কথা শুনুন।
চুপ করুন এবং আমাকে কথা বলতে দিন।
32 কিন্তু ইয়োব, আপনি যদি আমার সঙ্গে একমত না হন তাহলে আপনি কথা বলে যান।
আমাকে আপনার যুক্তিগুলি বলুন
কারণ আমি দেখাতে উদ্গ্রীব যে আপনি নির্দোষ।
33 কিন্তু ইয়োব, যদি আপনার কিছু বলবার না থাকে, তাহলে আমার কথা শুনুন।
চুপ করে থাকুন, আমি আপনাকে প্রজ্ঞা বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে দেবো।”
ইকনিয়ে পৌল ও বার্ণবা
14 এরপর পৌল ও বার্ণবা ইকনিয়ে গেলেন। সেখানে তাঁরা তাঁদের কাজের পদ্ধতি অনুযায়ী সেই একইভাবে ইহুদীদের সমাজ-গৃহে প্রবেশ করলেন। সেখানকার লোকদের কাছে পৌল ও বার্ণবা এতো সুন্দরভাবে কথা বললেন, যে অনেক ইহুদী ও গ্রীক তাঁদের কথায় বিশ্বাস করল। 2 কিন্তু কিছু ইহুদীরা বিশ্বাস করল না এবং তারা ভাইদের বিরুদ্ধে অইহুদীদের ক্ষেপিয়ে তুলল।
3 পৌল ও বার্ণবা ইকনিয়ে অনেক দিন থেকে গেলেন, আর তাঁরা নির্ভীকভাবে প্রভুর কথা বলে যেতে লাগলেন। তাঁরা প্রভুর অনুগ্রহের কথা প্রচার করতেন; আর প্রভুও তাঁদের মাধ্যমে নানা অলৌকিক কাজ করে সেই প্রচারের পক্ষে সাক্ষ্য দিতেন। 4 সেই শহরের লোকরা দু’দলে ভাগ হয়ে গেল, একদল ইহুদীদের পক্ষে আর অন্য দল প্রেরিতদের পক্ষ নিল।
5 তখন অইহুদীরা ও ইহুদীরা তাদের সমাজপতিদের সঙ্গে এক হয়ে পৌল ও বার্ণবাকে অপমান করে পাথর মেরে হত্যা করার পরিকল্পনা করল। 6 শৌল ও বার্ণবা তা জানতে পেরে সেই শহর ছেড়ে গেলেন। তাঁরা লুকায়নিয়ার লুস্ত্রা ও দর্বী শহরে ও তার চারপাশের অঞ্চলে চলে গেলেন; 7 আর সেখানেও তাঁরা সুসমাচার প্রচারের কাজ চালিয়ে গেলেন।
লুস্ত্রা ও দর্বীতে পৌল
8 লুস্ত্রায় একজন লোক বসে থাকত, সে তার পা ব্যবহার করতে পারত না। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া ছিল, কখনও হাঁটা চলা করে নি। 9 সেই লোকটি বসে বসে পৌলের কথা শুনছিল। পৌল তার দিকে চেয়ে দেখলেন। সুস্থ হবার জন্য লোকটির ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আছে। 10 পৌল তখন তাকে ডেকে বললেন, “তোমার দু পায়ে ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াও!” আর সে লাফ দিয়ে উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল।
11 পৌল যা করলেন তা দেখে লোকেরা লুকায়নীয় ভাষায় বলে উঠল, “দেবতারা মানুষ রূপ ধারণ করে আমাদের মধ্যে অবতীর্ণ হয়েছেন!” 12 তারা বার্ণবাকে বলল, “দ্যুপিতর”[a] আর পৌলকে বলল, “মর্কুরিয়,”[b] কারণ পৌল ছিলেন প্রধান বক্তা। 13 শহরের ঠিক সামনেই দ্যুপিতের যে মন্দির ছিল, তার যাজক কয়েকটা ষাঁড় ও মালা নিয়ে শহরের ফটকে এল ও লোকদের সঙ্গে সেখানে তা বলিদান করে পৌল ও বার্ণবার কাছে উৎসর্গ করতে চাইল।
14 কিন্তু প্রেরিত বার্ণবা ও পৌল যখন একথা বুঝলেন, তখন তাঁরা নিজেদের পোশাক ছিঁড়ে দৌড়ে বাইরে গিয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন, 15 “আহা, তোমরা এ করছ কি? আমরাও তোমাদের মতো সাধারণ মানুষ! আমরা তোমাদের সুসমাচার শোনাতে এসেছি। এইসব অসারতার মধ্য থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের দিকে ফিরতে হবে। ঈশ্বরই আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সকলের মধ্যে যা কিছু আছে সে সমস্তই সৃষ্টি করেছেন।
16 “তিনিই অতীতে সমস্ত জাতিকে নিজেদের খুশী মতো পথে চলতে দিয়েছেন। 17 তথাপি ঈশ্বর যে আছেন এর প্রমাণের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছিলেন। তিনি সকলের মঙ্গল করেছেন। আকাশ থেকে বৃষ্টি ও বিভিন্ন ঋতুতে শস্য দিচ্ছেন। তিনি তোমাদের খাদ্য যোগাচ্ছেন ও তোমাদের অন্তর আনন্দে পূর্ণ করছেন।”
18 এইসব কথা পৌল ও বার্ণবা অনেক করে বোঝালেও তাঁদের উদ্দেশ্যে বলিদান করা থেকে কোনভাবেই এই লোকদের রুখতে পারলেন না।
19 এই ঘটনার পর ইকনিয় ও আন্তিয়খিয়া থেকে কয়েকজন ইহুদী এসে লোকদের পৌলের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করল। তারা পৌলের ওপর পাথর ছুঁড়ল, তাঁকে টেনে এনে শহরের বাইরে নিয়ে গেল। তারা মনে করল পৌল বুঝি মারাই গেছেন। 20 কিন্তু যীশুর অনুগামীরা এসে তাঁর চারপাশে দাঁড়ালে তিনি উঠে তাদের সঙ্গে শহরে গেলেন। পরদিন তিনি বার্ণবার সঙ্গে দর্বীতে চলে গেলেন।
সুরিয়ার আন্তিয়খিয়ায় প্রত্যাবর্তন
21 সেই শহরে তাঁরা সুসমাচার প্রচার করলেন, আর বহুলোক যীশুর অনুগামী হল। এরপর তাঁরা লুস্ত্রা হয়ে ইকনিয় ও পরে আন্তিয়খিয়ায় ফিরে এলেন। 22 তাঁরা ঐসব শহরে শিষ্যদের শক্তি জোগালেন। সমস্ত নির্যাতনের মধ্যেও বিশ্বাসে অটল থাকতে তাঁদের সাহস দিয়ে বললেন, “অনেক দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে আমাদের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে।” 23 তাঁরা প্রত্যেকটি বিশ্বাসী মণ্ডলীর জন্য প্রাচীনদের নিয়োগ করলেন। এই প্রাচীনরা, যারা প্রভুর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন, প্রার্থনা ও উপবাসের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে তাঁরা প্রভুর হাতে সঁপে দিলেন।
24 এরপর তাঁরা পিষিদিয়ার মধ্য দিয়ে পাম্ফুলিয়ায় গেলেন। 25 তারপর পর্গায় আবার সুসমাচার প্রচার করলেন ও সেখান থেকে অত্তালিয়ায় চলে গেলেন। 26 সেখান থেকে তাঁরা জাহাজে করে আন্তিয়খিয়ায় গেলেন। যে কাজ তাঁরা এখন শেষ করলেন, সেই কাজের জন্যই এই শহর থেকে বিশ্বাসীরা পৌল ও বার্ণবাকে প্রভুর কাছে সমর্পণ করেছিলেন।
27 পৌল বার্ণবা ফিরে এসে মণ্ডলীর বিশ্বাসীদের একত্র করলেন; আর ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে থেকে যে সব কাজ করেছিলেন ও অইহুদীদের জন্য বিশ্বাসের যে দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন, সে সব কথা তাঁদের জানালেন। 28 পরে তাঁরা অনুগামীদের সঙ্গে সেখানে দীর্ঘ সময় থাকলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International